Tuesday, 28 February 2017

হাসির আড়ালে

- মণি জুয়েল(Moni Jewel)

মায়ের হাসিতে, বাবার কপালে, কোথায় না কান্না দেখি!

পাড়ার বেকার'গুলো যখন হাসতে থাকে
আমি তখন কান্না দেখতে পাই
পার্কে যখন চারঠোঁট দু' হয়ে যায়
তখন আমি কান্না দেখতে পাই
যদিও মাতোয়ারা তখন তারা ভাসতেই থাকে

ওরা ভুলে থাকতে চাই, একটু বাঁচার আশায়!
কান্না দেখি 'শব্দছকএ মাতোয়ার
বন্ধু'র চোখের ওই বন্ধুরপথে
কান্না দেখি বাইশোর্ধ মেয়ের স্তনে
খুঁজে ফেরে জীবন, শূন্যতায়!
আসলে সবাই জীবন'হীন, ভাসতে থাকে

কতগুলো চাওয়া যে থেকে গেছে না'পাওয়া, চেয়ে দেখি

উপেক্ষা'ই প্রেম জন্মে দিয়ে যায়

- মণি জুয়েল(Moni Jewel)

তোমার উপেক্ষা আমায় ভালবাসতে শেখায়
আমায় ভালোবাসতে শেখায়
তোমার নিরবতা

যখন তুমি উপেক্ষা করতে থাকো
তখন আমি
খুঁজে ফিরি শব্দ
ইমরুল কায়েস যেমন খুঁজেছিলো মরুর নদীতে!

আমি জানি তুমি অবাক হলে- মরু আবার নদী!
ভালোবাসতে যদি
যেমন কবি
ভালোবেসে বসন্তরাতের অপেক্ষা...

তোমার উপেক্ষা'ই
ও মরুতে নদী বেয়ে নিয়ে যায়
ভালোবেসে, ভেজাতে শেখায় প্রণয়ের বন্যায়
××× 28.02.17, 11:40pm, Dhuliyan ×××

রামধনু মিলিয়ে যায় শূন্যতায়

- মণি জুয়েল(Moni Jewel)

সাতরঙা রামধনু কখনও তালুবন্দি হতে শেখে নি
যেমন তোমার মন, আমার মন

সবেরই কি নাগাল পাওয়া যায়?

কতগুলো কথা
যেগুলো বালিশে লুকিয়ে থাকে
কতগুলো কার্নিশে
আরো কতগুলো আনমনামনের সিলিংএ

তবুও সব কি দেখানো যায়, পেরেছো কি?
ঘুলঘুলিআশ্রিতা
পাখির ছানারা দেখেছে হয়তো
এই মনের কার্নিশ
আর হয়তো বা ছুটো বেয়ে আসা রোদ্দুর!

মনের গহীনে তবুও দেখেছে কি?

দেখেছে কি তবুও রামধনু বুকের শূন্যতা
দেখেছে হয়তো-
এ তরঙ্গের পিছনে ভেজা তরঙ্গ,
রঙীন এই ফার্নিশ ।

দেখেছে কি কেউ গুমোটশুন্যতা?

দেখেছে নিভৃতে মিলিয়ে যাওয়া?
মনের মনেরগোপনকথা মন ছাড়া কেউ শোনে নি!
।।। 28.02.17-ধুলিয়ান-01:50দুপুর ।।।

Monday, 27 February 2017

নিশি পিপাসি

- মণি জুয়েল(Moni Jewel)

প্রায়ই তুমি বলে যাও- তোমায় চাই, ভালোবাসি
তোমায়
আমি চুপ থাকি
দুর থেকে ছুঁড়ে চলে যাও চুম্বন
লোভ হয়, তবুও কুড়িয়ে আনতে যাই নে!

আসলে তুমি চাও কি, ভালোবাসো আদৌ
মনে প্রশ্ন আসে
চুপ থেকে তবু দেখি চোখ ভরে!
কামুষ্ণ কোলাহল তবু ছুঁতে সাহস পাই নে

কত কত নেশা চুর নিশা মিটে যেতে দেখি
বেহাগ মুছে যেতে
সোনালী ও চাঁদ আমি দেখেছি
দ্যুতি'হীন হয়ে যেতে, তাই হারাতে চাই নে

তুমি জানো ডোনা প্রেমী কেন নিশিপিপাসী
কোনো তিক্ষ্ণতা নেই,
আছে লাবণ্য আর অসীমমত্ততা
ডোনা,
জানো দিনের তপ্ততায় কত নক্ষত্র ম্লান হয়ে যায়

প্রেম আছে

- মণি জুয়েল

কোথাও প্রেম নেই!তোমরা প্রেম প্রেম বলে চেঁচাচ্ছ
কোথাও প্রেম নেই কোত্থাও নেই?

প্রেম জমে আছে শিশ্নের ডগায় বিন্দু হয়ে
নারীর কামুষ্ণ নিঃশ্বাসে
আড়ে তাকানো
যোনীতে চেসেসে বৃন্তে নাভী গহ্বরে।
উরুতে লুকিয়ে প্রেম, আর স্তনেরজোড়ে
আর তোমরা শুধু চ্যাঁচাও প্রেম প্রেম করে!

মাঝ বয়সিনীর খোলা পেটে প্রেম আছে
কিশোরীর স্কুলইউনিফর্মে
প্রেম আছে-
টিউটরের পায়ের গোপনীয় ঘর্ষণে
প্রেমীর লালারসে, বৌদির কুক্ষির গন্ধে
আর তোমরা শুধু চ্যাঁচাও প্রেম প্রেম করে!

প্রেম আছে পার্কের গোধুলী-মাখা চুম্বনে।
প্রেম আছে কনডমপ্যাকে
ভায়াগ্রা কিংবা
হুইস্কির প্রতিচি বিন্দুতে বিন্দুতে
প্রেম আছে নগ্নদুই মূর্তির রাতেরফুর্তিতে
আর তোমরা চ্যাঁচাচ্ছো প্রেমে কৈ প্রেম কে!

কালবৈশাখীর মতো উত্থালপ্রেম
প্রেমিকার পিছনের আঙিনা বস্তিদেশে প্রেম আছে

*বাংলাদেশের বিচক্ষণ কবি(Tarek)এর একটি লেখার বক্তব্যের বিপক্ষে লিখলাম। প্রায় একই কথা বলে কবিতায় পরস্পরের বিপক্ষে লিখলাম, তার অনুমতি নিয়েই। লেখাদুটোর মূল বক্তব্য আলাদা । এই লেখার ভাবনাজন্মদাতা বিচক্ষণ কবি(Tarek Islam Torikul) হলেও লিখনশৈলী আমার নিজস্ব
নিচের ছবিতে তার লেখাটি।

বহুদিন পরে

- মণি জুয়েল(Moni Jewel)

''যখন তোমাকে দেখি.. তার চেয়ে বেশি দেখি-
           যখন তোমায় দেখিনা!''
সহসা যেন নদী বয়ে গেলো ।  উত্থাল তরঙ্গে
দিয়ে গেলো দোল
পাখিগুলো তখন উড়ছে ডানা মেলে, আর আমি....

একথা কতদিন শুনি নি । তুমি তো আর আসো নি!

বৃষ্টি হয়ে গেছে... ভেজা ভেজা গন্ধে ভাসছি.
          কতদিন এমন ভিজি না!
সহসা মরা গাঙে গাঙচিল! নর্তকী সে রঙ্গে
পস্বিনী বয়ে যায়...
সারস দাঁড়িয়ে আছে ঠাঁই, ভেজা তুমি আর আমি....

এমন কতদিন ভিজি নি...। তুমি আর তো আসো নি!!

*''....'' এই অংশের কথা আমার নয়।*

      ০৪:৩৮ বিকেল/১০অক্টো১৬/ধুলিয়ান

মাঝ দুপুরের তপ্ততায়

- মণি জুয়েল(Moni Jewel)

হারানো দিনের কথা, সে হারানোশৈশব খুব মনে পড়ে

দুপুরের বাংলাদেশ রেডিওর মন কেমন করা গান
বলো কি সুখ তুমি পেলে"
স্কুল পালানো শৈশব, মাঝ দুপুরে কুলের স্বাদ,
তু চিজ বড়ি হে মস্ত"
না বুঝেই গানে গানে হারানো দিন'গুলো।

আমি দেখতে পাই সোনা-মণি'দের কান্না
মায়া মাখা সে জেদ!
বাঁধনহীন ছুটে চলার অদম্য এক দিব্যপ্রবণতা
এগিয়ে চলার এক দ্যুতি।
নিয়তির দ্বন্দ্বসংঘাত দ্বন্দ্বে ক্রমে মিটে যেতে দেখি

মধ্যদুপুরের তপ্ততায় কত কত নক্ষত্র ম্নান হতে দেখি

××× 27.02.17 - Dhuliyan - 02:20PM ×××

Sunday, 26 February 2017

যদি আমার হতে

- মণি জুয়েল(Moni Jewel)

যদি আমার হতে হতাম যদি তোমার
ফুল ধরতো মধু হাসতো সুখে ভ্রমর
হতাম যদি তোমার
যদি আমার হতে |

দখিনা বাতাস বয়ে যেত খাস
ফুলেল সুবাস সাথে
হাসতো শিমুল সাজতো পলাশ
যদি আমার হতে |

গুনগুন গান গায়তো ভ্রমর পরাণ
সুখতান লয় সাথে
নাচতো হৃদয় ভাসতো সুখসুখীমন
যদি আমার হতে |

সাঁঝ বিকেল ভোর বসন্ত ফাগুনপ্রহর
কোকিল কলতান সাথে
হাসতো হৃদয় দ্বীতে |
হতাম যদি তোমার, যদি আমার হতে ।

2016 - ফেব্রুয়ারি - ধুলিয়ান

বিষের জন্ম

- মণি জুয়েল

আমি ভালো নেই' বলেতে এসো না কখনও

তুমি ঠিকই ভার নিচ্ছো রোজ
চাপ নাও, তাপ দাও ঠিক
কামুষ্ণ সুখে উষ্ণ হচ্ছো রোজ.

কৈ আমার তো থাকো নি

বলবে-এ যে দায় গো আমার!

আর এখানে'ই কিছু কথার জন্ম

ভিজিয়ে ঠিকই ভিজো রোজ
চাপ নাও তাপ দাও ঠিক!
সুখে ভিজিয়ে ভিজছো রোজ

কৈ, আজও তো পারি নি!

বলবে- এই তো প্রেম তোমার!

আর এখানে'ই ঘৃণা বিষের জন্ম!!

আমি ভালো নেই' বলতে এসো না কখনও

27-02-2016/ধুলিয়ান/11:35পি.এম

অসমাপ্ত গল্প কথা

- মণি জুয়েল(Moni Jewel)

শরীরটা দিন চারেক থেকে সমিরের ভালো যাচ্ছেনা, আবাহাওয়া পরিবর্তনের কারণে গায়ে ব্যথা-জ্বর জ্বর ভাব | চারদিন পরে আজ একটু সুস্থ মনে হচ্ছে , ঘুম থেকে উঠলো সকাল আধা দুপুর দশটায় | শরীর সুস্থ হলেও মনে খুব একটা শান্তি নেয়,চেহরায় সেই লাবণ্য নেয় | মাস দুয়েক থেকে ওষুধের ব্যাবসার অবস্থার অবণতি হচ্ছে, হাতে তেমন অর্থ ও নেয় |

সকালের কাজ সেরে হাতে ব্রাশ নিয়ে আনমনে কি যেন আকাশ-পাতাল ভাবছে ঠিকানা নেয় | সহসা দিপেনের স্ত্রী এসে হাজির ---
কথা বলার থেকে কান্নায় যেন বেশি,--ই রে ব্যাটা হামি মাস খানিক হনে বুকের বেদনায় ম ইরা যাছি, কয়দিন মে ঙে আইনা জমাইছিনু, সব চুরি করে করে লিছে ' এই বলতে বলতে কান্না শুরু করে দিলো |  মনটা খারাপ থাকার দরুন সমির খানিক রাগের সুরেই বললো -তোদের কি হবে না হবে আমাকে শোনাতে আসিস কেন!! তোরা মরবি-বাঁচবি আপনা দেখগে! আমি কি করবো!!
দুর থেকে কথাগুলো সমিরের মা- আহসানা শুনছিলেন…তিনিই দুর থেকে ডেকে বললেন ওগো ..কমলা এই দিকে আই |
আহসানা জি খুব সমাজের দীনদের ভালোবাসেন, যথাসাধ্য চেষ্টা করেন তাদের সাহায্য |
যেমন মা তার তেমন পুত্র !
তিনি বিষয়টা শুনলেন, ভাবলেন খানিক পরে কমলাকে আড়ালে ডেকে বললেন বললেন সমিরেরে বর্তমান অবস্থার কথা | আর তাতে কমলার কান্না আরো যেন বেড়ে গেলো |
এই কান্না বেড়ে যাওয়ার যথেষ্ট কারণ ও আছে -সমির এই এলাকার বেশ নামি ছেলে, বয়স কম হলেও সমাজে ভুমিকা বেশ ভালোই, নিজের পকেট…সময়  দরিদ্র জনের সেবায় খরচ করতে বেশ বাহাদুর আর এই কারণেই কত নেতার সাথে যে যোগাযোগ তার ঠিক নেয় | সাধারণের সমস্যার কারণে কত নেতা, দলের সাথে যে তার ঝগড়া তার ও ঠিক নেয় | তবুও এলাকার প্রায় সব নেতা,দল তাকে খুব ভালোওবাসে |
সমিরের মায়ের বিবরণ শুনে কমলা কাছে এসে মাথায় হাত বুলিয়ে কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বললো --ই বাবা আইজ তো শুক্কুরবার তুমি এক-জারা মহজিদে(মসজিদ) ব ইলা দাও, হামি চাঁদা হনে টাকা লিয়া ডাক্তর দেখাবো |কিছু সময় চুপ থেকে আবার বললো:-ও..হামার  বাপ তো  ফের ধম্ম মানেনা !
-তাও হামার লেইগা এক-জারা  ব ইলা দেও না বাপ |
হায়রে!! রাগে যেন আরো জ্বলে গেলো সমিরের গা, তবু রাগ না দেখিয়ে হাসি মুখেই বললো---ওরে ওই কমলা তুই ভাবলি কেমন করে যে আমি মসজিদে গিয়ে চাইতে বলবো? মসজিদে যারা তোকে চাঁদা দেবে তারা রোজ-প্রতিনিয়ত তোদের-সকলের ডাক্তার-ওষুধের খরচের একপ্রকার চাঁদা দেন, ও..তুই বুঝবিনা ,ছাড় | আমি ফোন করছি ব্যানার্জি ডাক্তারের কাছে যা হাসপাতালে, কিছু পয়সা দিবিনা, আর মিনারের দোকানে ওষুধ কিনবি, আর ছবি তুলতে বলবে হাসপাতালেই তুলে নিবি |
এই কথা শুনে কমলা যেন খানিক সুস্থ হয়ে উঠলো |
বললো---হামাদের আশীর্বাদ তোমাকে অনেক বড় করবে রে বাবা |
সমির বললো -তোদের ভালো হবে তো  আমি বড় হলে??
কমলা চলে গেলো |
আমাদের সমাজে কত কমলা যে এমন আছে , রোজ মরছে তার ঠিক নেয় | কখন কমলারা ভালো থাকবে! এমনই শত কথা ভাবতে ভাবতে হঠাত্
একটা বড় শ্বাস মনের অজান্তে বেরিয়ে গেলো!

2015.02.27/ Dhuliyan/01:00PM

আমি বদলে না আর


  _ মণি জুয়েল(Moni Jewel)

ভেবেছি কতবার ভালোবাসবো না আর
তবু
কেন যে ফোটে ফুল কাননে
কেন যে জাগে আশা মননে!
ফের
ছুটে যাই,  গাই গুনগুন গান
মধুভরা বুকে ডুবি, করি মধুপান ||

কেন যে বয় মলয় বাতাস
কেন যে আসে ফুলেল সুবাস
ফের
ছুটে যাই বসন্ত-জীবন আশায়
কাটে কাল, মহা-বেশাখী কীটে খায়||

কেন যে বহে ধারা ঝরঝর
কেন যে ভিজে মরু প্রান্তর
ফের
ছুটে যাই, নাই  ঘন বরষায়
ভিজি কামছলনায়, ভিজে মন-কায়||

আসে ফের ধারাপ্লাবন ঝরে ঝরঝর রোদন |
তবু
কেন যে ভালোবাসি !!

কেন যে থাকি সুনীল আশ
কেন যে আশি সু-শুভ্র কাশ
ফের
চলে যাবে কাল- বদলে হাল
জানি, থাকবো আমি, বেহালের বেহাল ||

বদলে সব, বদলে তুমি, আমি বদলে না আর ||
                      

*পূর্বে ফেবুতে একাধিকবার পোস্ট করেছি*

সেদিনের কখা


-মণি_জুয়েল

এই তো সেদিন
তোর আমার ইস্কুলের দিন
প্রেমে ভরা সেই প্রেমের দিন
মনেহয় যেন....হয়নি আজও পুরানো
ফুরিয়ে.দিয়েও....যেন হয়নি.ফুরানো
প্রেমে ভরা সেই প্রেমের দিন
তোর আমার ইস্কুলের দিন
এই তো সেদিন..........|

সাইকেল ক্রিং ক্রি,....চলেছে উড়ে মন ফড়িং
পিছুপিছু লুকিঝুকি|..তরুন বুকের ধুকুপুকি!
ও....দিন ..কিতনে থে হাসিন...
এই তো সেদিন.....
তোর আমার ইস্কুলের দিন

স্কুলের প্রোগ্রামের দিন, কিতনে হাসিঁ থে ও দিন!
আড়ালে ডাকছিস দাঁড়িয়ে....লোক নজর এড়িয়ে
প্রেমে পুরা সেই প্রেমের দিন...
এই তো সেদিন....
তোর আমার ইস্কুলের দিন

পাম দেওয়াবি বলে....আড়ালে দিয়েছিস ফেলে
সাগর,সমীর, জুয়েল বাদ....ডাকছিস মণি বলে
প্রেমেভরা সেই ইস্কুলের দিন
এই তো সেদিন
তোর আমার প্রেমের দিন

#পুরোনো_লেখা
#তখন_হিন্দিও_ভালো_জানতাম_না

প্রলাপ(চার)

- মণি জুয়েল

বিশ্বাস করো
কবি হতে চাইনি
কবিতা লিখতে চাইনি

শুধু তোমাকে- চেয়েছি
মনে রাখতে চেয়েছি মন-
চেয়েছি- একদেহ, অন্তর- দুই মন

কিন্তু
জানো যখন মনে পড়ে- তোমার
ঝরঝর চুল, মৃদু মাতাল বাতাস
তখন- যেন হারিয়ে যাই
মনেহয়- ক্লান্ত, শ্রান্ত পথিক;
মরুভূমে-
পেয়েছে খোঁজ ঘন কালো মেঘ,
স্বর্গীয় বায় !!!

যখন মনে আসে অধর- তোমার
থরথর কাঁপুনি, উষ্ণ মাতাল শ্বাস
তখন- আমি হারিয়ে যাই
মনেহয়- বিবস্ত্র, আর্ত কুঁড়ি,
ঘনকুয়াশায়-
পেয়েছে কর কুসুম প্রেমের সূর,
প্রাণ-স্ফুটন !!!

যখন মনে পড়ে বাস- তোমার
বক্ষ,কুক্ষি, শ্রোণী-যোনি, কন্ধ-কলেবর
তখন- আমি হারিয়ে যাই
মনেহয়- কাঙাল, ভুখা অনাহারী,
আকাল-কাল
পেয়েছে প্রাণে খোঁজ, ভোগ-প্রাণ,
প্রাণ-সুবাস !!!

আর
তখন - উন্মত্মাতাল, পাগল-আমি
বলে যাই- প্রেমের ক্ষুধায়
প্রলাপ !

তুমি বলো -আমি পাগল, আমি কবি
যা বলি তাই কবিতা!!!!!!!!!!!

*পুরোনো লেখা

Saturday, 25 February 2017

লীনা গাঙ্গুলীর প্রেম(৩)


- মণি জুয়েল(Moni Jewel)

রাত 1:30 ।
চোখ জুড়ে আসছে ঘুমে আমার, তুমি ঘুমাবে না- লীনা বলে উঠলেন
সাগর বললো- কে মিস্ড কল করলো দেখি
নোকিয়া 1100সেটটা ভাইব্রেশনে ছিলো বলে লীনা শুনতে পান নি ।
- কে আবার এতো রাতে? কতজনের সাথে তোমার কথা হয় গো!!! যত্তসব। সব পুরুষ তোমরা একই ...
বলতেই থাকলে,
লীনার কথায় সাগর ভ্রুক্ষেপ না করে ওই নম্বরে রিঙ ব্যাক করে কথা বলতে বলতে ছাদে উঠলো। বেশ কিছুবার আসা যাওয়ায় লীনার বাড়িটার পরিচিতি বেশ ভালোই সাগরের কাছে ।
কথা বলে সে যখন নামছিলো তখন লীনা দেবী মনের আঁশ মিটিয়ে মাঝরাতকে জাগিয়ে তুলছিলেন!
- এই জন্যই তোমাকে সে ছেড়ে গেছে"
এ কথা বলেই থেমে গেলো সাগর ।
লীনা তাকিয়ে থাকলেন বড় বিস্ময়ে। তিনি আশাই করেননি সাগরের কাছে এমন কথা। পৃথিবীর সবচেয়ে বেশী সত্যিটা সাগরকেই বলেছিলেন লীনা দেবী। সাগরও তা জানে খুব ভালো করেই। তবুও একটা অশান্ত কথা মুখ দিয়ে বের হয়ে গেলো । সাগরও ভালো করে জানে এর জন্য তারও দায় কম নয়। মেজাজ বিগড়ে সেও ভুলে গেছিলো, আরো ভুলে গেছিলো সমালোচনা শোনার পাত্রী সে নয়।
- শোনো, ওই প্রদ্যুৎ ছোঁড়া বাইক অ্যাক্সিডেন্ট করেছে, ওর মা শ্বেতা'ই ফোন করেছিলো। একটু হাসপাতালে যেতে হবে, ট্রান্সফার না কি করতে হবে বলেছে"- একটু থেমে থেকে কথাগুলো সাগর বললো।
ওষুধের ব্যাবসার সাথে যুক্ত থাকায় ডাক্তার,হাসপাতাল, নার্সিংহোমগুলোতে পরিচিতি ভালো থাকায় এমন অনেক আবদারই রক্ষা করতে হয়। 
- যাও ।
শুধু এই একটি শব্দই লীনা দেবী বললেন ।
লীনা জানতো শ্বেতা সাগরের সাথে পড়াশুনা করেছে, ওরা বন্ধু । শ্বেতার বরও ওর বন্ধু। সাগর বলেছে।

সে যাই হোক সে রাতে লীনা দেবীর ঘুম আর হয় নি । সারারাত শুধু ওই একটা ভাবনাই মনকে কুরে কুরে খাচ্ছিলো, সেই একটা কথায় মনে ঘুরপাক খাচ্ছিলো। চোখের কোন বেয়ে কয়েকফোটা জল ঠিক পৌঁছে গেছিলো গাল বেয়ে বালিশে। কত কত কথাই না তার মনে পড়ছিল! মনে মনে হয়তো ভাবছিলেন- মনের খবর বুঝি মন ছাড়া ভালো কেউই বোঝেনি কোনোদিন।

ভোর হতে না হতেই ফোন করলো সাগর, জেনে নিলো মন ভার না কি । বেশ কয়েকবার নিজের ভুল স্বীকার করে ফোনে একটা আলতো চুমু দিয়ে সকালটা সফল করে তুললো। আর কোথাও অভিমান মান নেই! 
সাগর একটু হাসলো
লীনা দেবী বললেন- রাতে তো ঘুমাও নি, চান করে ফ্রেশ হয়ে নিও
- তুমিও
হাসতে হাসতে একট সুন্দর দিনের শুরু হলো।

তখন বিকেলে 4টে হবে। লীনা তখন গানের রেওয়াজ করছিলেন। পুরোনোদিনের অভ্যেস। বেশ সুখ্যাতিও আছে তার। এক সময় জেলা থেকে রাজ্যস্তরে উঠে গেছিলেন। 
হঠাৎ সাগরেরে ফোন-
-এই জানো লীনা, আমার উপন্যাসটাও এবার প্রকাশ করছি
- তা তো রোজই বলো, এ আর নতুন কি? কতবার বলেছি করো করো...
- আরে এবার দেখোই না
- প্রকাশ করো তোমার সেক্স সেক্স কথা । সমালোচনার শেষ থাকবে না বলে রাখলাম" লীনা বললেন। 
- তুমি কি জানো সেক্স ছাড়া সৃষ্টিই অচল?
- রাখো তো তোমার ভাববাদী কথা।  হাসতে হাসতে বললেন লীনা দেবী
সাগর বললো- বইটা কিন্তু তোমার নামেই প্রকাশ করবো
-মানে? অবাক বিস্ময়ে বললেন লীনা দেবী
সাগর শুধু বললো - হ্যাঁ তাই।
- তোমার লেখা আমার নামে প্রকাশ করবে কেন? ও তো তোমার সৃষ্টি
- তুমি কি জানো লীনা আসলে আমি নতুন জন্মেছি তোমায় অনুভব করার পরে। তোমায় ভালোবেসেই আমার কবিত্ব, তোমার প্রেমেই আমি কবিতার বই প্রকাশ করে কিছুটা হলেও কবি পরিচয় পেয়েছি । সবই তোমায় ভালোবেসে। এতো কিছু তুমি দিলে আর আমি এটুকু পারবো না? থামলো না বলেই গেলো মনের কথাগুলো-
একটা সময় সময় ছিলো আমি একটু ভালোবাসা খুঁজতাম, একটু স্নেহ খুঁজতাম,  একটু হৃদ্যতা খুঁজতাম কৈ কেউই তো দেয় নি! কিন্তু তুমিই আমাকে পূর্ণতার দরজায় ঠেলে নিয়ে গেছো। এ কি আমি ভুলতে পারি?
লীনা বললেন - শোধ করতে চাও তাহলে?
সাগর বললো- যেখানে ঋন থাকে সেখানে শোধ এর কথা আসে, প্রেম তো ঋনের বস্তু নয় লীনা । তুমি হাজার চেষ্টা করলেও পারবে কি যাকে ভালোই বাসো না তাকে দয়া করে একটু ভালোবাসা দিতে? পৃথিবীর সব মা কি তার মমতা ঋন দেয়? পৃথিবীর সব প্রেমীকার ভালোবাসা দিয়ে ঋনি করে? মনে রেখো শুধু প্রেমে মায়া মমতা নয় যৌনতাও ঋন দেওয়া যায় না। ওগুলোর মালিকানা কোরোরই নয়। ওগুলো সবই স্বাধীন। কারো অধীন নয় ও সব। তুমি জোর করে সৃষ্টি বা ধ্বংয করতেই পারো না।

অন্য রকম একটা দার্শনিক পরিবেশ সৃষ্টি হলে
লীনা দেবী তার আপন কায়দায় বলে দিলো - রাখো তোমার ফিলোসফি! তুমিই বলো তুমিই শোনো।  মাথা খারাপ কোরো না তো, আমি বাথরুম যাবো ।
" উমমমমা" শব্দে একটা চুমু দিয়ে একটু আড়মোড়া দিয়ে একটু হেসে ফোনটা কেটে দিলেন।
                                *ধুলিয়ান,  মুর্শিদাবাদ

Friday, 24 February 2017

প্রেমের মরন চাই না

-মণি জুয়েল(Moni Jewel)

আমি রিজওয়ান হতে চাই না
জানি, তুমি প্রীয়াঙ্কা নও
জানি, তুমি বিলাসী নও
তবু রিজওয়ান হতে চাই না |

নেই বিত্ত বৈভব, নেই অহম.গৌরব
তবু ভয় হয় ..., যদি রিজ হতে হয়
ইতিহাস ফেরাতে আর  চাইনা …
আমি আর রিজওয়ান হতে চাই না |

ওখানে ধরম নেই, ওখানে ভরম.নেই
তবু সরে.যাই.....যদি প্রাণ ঝরে.যায়
প্রেমের.মরণ আর চাই না
আমি আর রিজওয়ান হতে চাই না ||

পারবে মিশে যেতে...একে একে দ্বিতে
ধর্মের বাঁধ ফিতে...ছিঁড়ে ফেলে দিতে
না পারিলে আর ফিরে ফিরে এসো না
আমি চাই না... রিজওয়ান আর হতে চাই না |

*গতবছরের লেখা

মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে হয়

- মণি জুয়েল(Moni Jewel)

আমি জানি পেয়ে যাবো ঠিক একদিন তোমায়
তবুও কি পারি আশাহীন পথ চলতে?

মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে হয়
তোমার তালু
ছুঁয়ে যাক আমায় মাথার চুল
তোমার গায়েরগন্ধে পুড়ে যাক যত আর্ততা
সবুজ পাতারা দুলে উঠুক লোমের শিহরনে
কামঘননিঃশ্বাস, কুক্ষিসুগন্ধে
বসন্ত আনো
মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে হয়২
তোমার ত্বক
ডেকে নিয়ে যাক বেহাগঝিলে
আধফোঁটা ওই কমস-কমলের মদমত্তগন্ধে
ভাসিয়ে দাও আমায়, হারিয়ে ফেলি এ কুল
দুলে উঠুক নদী, বাঁকে বাঁকে-
দোলে দোলে
ভেসে যেতে খুব ইচ্ছে হয় ।

যদি ভোর হবার আগে সমাধি না হয়
পেয়েই যাবো, তবুও তো আজ পেতে ইচ্ছে হয়
××× 24.02.17 / 11:22pm / Dhuliyan ×××

বন্ধু

- চন্দ্রকান্ত মন্ডল

ঘুরে ফিরে, দুনিয়া জুড়ে-
খুঁজতে চেয়েছিলাম, কুড়োতে চেয়েছিলাম ভালোবাসা,
পেতে চেয়েছিলাম প্রকৃতির মন,-
কিন্তু ভাবিনি কোনোদিন পৃথিবী এতো ভালোবাসতে জানে, 
প্রতিটি নুড়ি কাঁকরও হৃদয় দেওয়া নেওয়া করে,
গাছপালাও মন মাতাল সুরে গান গায় ভালোবেসে,
কিন্তু, কিন্তু -ভুলে ভালোবেসে ফেললাম শুধুই তোমায়"-
জানো প্রিয়ে, তোমায় ভেবে
হারিয়েছি নিজেকে তোমার সীমানায়,
গেঁথেছি কতোশত মালা, লিখেছি কতো কবিতার লাইন,
শুধু তোমায় দিতে, -
এ'সবই বুঝেছো, সবই নিয়েছো, ভালোবেসেছো তুমি আলিঙ্গনে, -
জয়ী করেছো নিজেকে, হার মানিয়েছো আমায় আমার কাছে,; আবার জিতিয়েছোও,--
প্রেমিক না করেও প্রেমে ভরিয়েছো আমায়,
ফিরিয়েছো শতগুনে প্রতিদান'-
একজনার মাঝে আমাকে সীমাবদ্ধ করোনি,
ঘুরিয়ে ভালোবাসতে বলেছো অন্তহীনে -,
শুধু তোমায় পাওয়ার নেশায় নয়...... 
    প্রেমের পথে বন্ধু হয়ে ---------

*নিচে কবির ছবি দেওয়া হলো

বাঁধনহীন

আমি প্রেমময় বলে আমায় ভালোবাসলে
ভালোবেসে আমার প্রেমময় সত্ত্বা
শেষ করতে বলো?
একাই থাকি বরং
পাবে তবুও ভালোবাসা চির'দিন...

জেনো, চাই না হয়ে যাও আমার
মনে রেখো
স্বার্থপর আমি -
ভালোবাসতে ভালোলাগে তাই ভালোবাসি
                                    - মণি জুয়েল
                                 ধুলিয়ান, মুর্শিদাবাদ

Thursday, 23 February 2017

লীনা গাঙ্গুলীর প্রেম(২)

- মণি জুয়েল(Moni Jewel)

ছেলে মেয়েকে ফোন করে খবর নিয়ে লীনা দেবী চুপচাপ বসে ছিলেন। রাত 9:50 বেজে গেছে, রান্নাবান্না খাওয়ার কোনো অনুভব করছেন না।
মোবাইলটা হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করতে করতে আনমনে কি যেন ভাবছিলেন, ফোনটা বেজে উঠলে নিরবতা ভাঙলো।
- কি করছো, আমি আসছি, পেট্রলপাম্পে আছি
কোনো কথা বলেই লীনা সাগরের ফোনটা কেটে দিলেন। চুপচাপ বসে থাকলেন ।

রাত সাড়ে দশটা নাগাদ ডোর রিং বেজে উঠলো। কৃষ্ণের আগমনে রাধা যতটা না আপ্লত হয়েছিলো অথবা কৃষ্ণের বাঁশিতে যতটা মাদকতা ছিলো তার চেয়েও বেশী মাদকতায় আচ্ছন্ন দুই পা আপ্লুত হৃদয় এগিয়ে চলেছে দরজা খুলতে!
খেয়ালই নেই শাড়ির আঁচল ঠিক আছে কি না, কে এসেছে তা জানারও কোনো তাড়া নেই! ধরেই নিয়েছে সাগরই এসেছে।
হেলমেট হাতে সাগর দাঁড়িয়ে আছে । লীনা দরজা খুললেন ।
দক্ষিণা বাতাস বয়ছিলো, আনন্দঘন অথচ অবসন্ন মুখের উপরে কয়েকটা চুলের খেলে যাওয়া তরঙ্গে সাগর তাকিয়েই আছে
- কি হলো, এতো ঢঙ কোরো না তো
- হা: হা: চলো" সাগর হেসে বললো
- ফ্রিজে মনেহয় কোল্ডড্রিঙ্ক আছে, খেলে খাও, আমি রান্না বসাই
- আরে না না আমি ফ্রাই নিয়ে এসেছি তো
- ধুস,,, ও আমি খাবো না, কয়দিন বাইরের খাবার খুব খেলাম
- তাহলে রুটি করো, বেগুন ভাজা, আর নাও এগুলো রেখে দাও তবে
লীনা সাগরের হাত থেকে খাবারের ব্যাগটা নিয়ে চলে গেলেন ।

মুখহাত ধুয়ে ঘরে আসতেই সাগর দেখে লীনার মোবাইলে কার ফোন এসেছে। গিয়ে দেখে, অনীতা ফোন করেছে। নিয়ে গিয়ে রান্নাঘরে সাগর দিয়ে এলো ফোনটা।

মেয়ের সাথে লীনা কথা বলছিলেন -
- হ্যাঁ পৌঁছেছিস?
-হ্যাঁ, তুমি কি খেয়ে শুয়ে গেছো?
- না রে
- খাও নি? আজ তো অনলাইনেও দেখছি না!
- না যাওয়া হয় নি, দেখি খেয়ে যাবো
- অনেক রাত হলো মা, খেয়ে ঘুমাও, বেশী রাত জেগো না
- রুটি করছি রে, জানিস তোর সাগর দা এসেছে
-হু...  ভালো থেকো। ও হ্যা... সাগর স্যর চলে গেলে দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে যেও, বেশী রাত জেগো না। প্রিতম তোমাকে সকালে কল করবে বলেছে ।
-হ্যাঁ সকালে তুলে দিতে হবে মাকে? নিজে নিজে জাগতে শিখবি না?
- মা তুমি আছো না?
- আচ্ছা ঘুমা
-হু...  ভালো থেকো। ও হ্যা... সাগর স্যর চলে গেলে দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে যেও, বেশী রাত জেগো না। প্রিতম তোমাকে সকালে কল করবে বলেছে ।
এই বলে অনীতা ফোনটা কেটে দিলো।

প্রিতম না জানলেও অনীতা ঠিকই জানে মা'র সাথে সাগরের সম্পর্ক। এটাও জানে রাতে সাগর যাবে না, এর মা তাকে যেতেও দেবে না। তবুও নিজেকে আড়াল করতেই শেষের কথাগুলো বলা । মনে মনে মেনেও নিয়েছে তার মা ও তার সাগর স্যরের সম্পর্ক।
আগে সাগর দা বলতো, এখন সাগর স্যর বলে। উচ্চমাধ্যমিকে বাংলার কিছু নোট পেয়েছিলো। ওটাই স্যর বলতে সাহায্য করেছে হয়তো। তবুও কি সব প্রকাশ মেনে নেওয়া যায়?
মা কে ও খুব ভালোবাসে, দেখেছে  ওরা দুইভাইবোনের জন্য মায়ের আত্মত্যাগ ।
এই তো সেদিন এখানে বিএড করতে ভর্তি করাতে কত সমস্যার মধ্যেও মা ঠিক জোগাড় করে নিয়েছে । সব মেনে নিয়েও কোথাও কেমন একটা কিন্তু ভাব আছেই!

রান্না সেরে একটু হাতমুখ ধুয়ে লীনা সাগরকে একবার দেখে গেলেন । সাগর তখন কার সাথে মেসেজ চ্যাট করছিলো। একটু রাগ হলেও কিছু না বলে চুপচাপ থেকে গেলেন ।
এই দেখে সাগর বলে উঠলো -
রান্না হলো কি তোমার? মাঝরাতে রুটি খাবো তো---
বলতে বলতে হেসে দিলো
- চ্যাট করছো চ্যাট করো, তোমার সাদা গোলাপ, নীল গোলাপ, বসন্তের ফুলদের সাথে
- আচ্ছা আচ্ছা চলো, খেতে দাও" সাগর বললো
দুজনে উঠে খাওয়ার টেবিলে গিয়ে বসলো । খাওয়ার রাখা ছিলো।
খেতে খেতে গল্প হতে থাকলো কাব্য, ভাব, প্রকাশ, গল্প সাহিত্য প্রেম যৌনতা নিয়ে। শেষ বসন্তের মাঝরাতে দুইজন হৃদয়ের মানুষ পাশাপাশি। বয়স কোনো বাঁধায় নয় যে আন্তরিকতায়। কারো খেয়ালই কে বড় আর কে বয়সে ছোট।