Saturday, 31 July 2021

আমি জানিনা ওই ঘর ভিজে আছে কি না

ঘরে ফেরা মোরগের টোপর বেয়ে সাঁঝ নামলো
ক্রমশঃ আঁধার
এখন টিউব জ্বালতে হবে
কিন্তু, টিউবের সুইচ' আমি খুঁজে পাচ্ছি না
তুমি কি ওটা'কে যত্নে রেখেছো?

দেখতে পাচ্ছো
কিভাবে তোমাকেই খুঁজছি?

.
সকালের পেস্ট টিউব যেভাবে জেগে থাকে

.
আমি কি বোঝাতে পারছি?
শুনতে পাচ্ছো?

আমার সন্ধান বুঝতে পেরেছো?
আমি সাঁঝের আলোও জ্বালতে পারছি না
সকেটটা প্লাগে দিয়ে দেবে?
বিরানার খামার
ঘাস ঘাসে মুখ রেখে মোরগটা তার গৃহে ঢুকলো

আমি জানিনা ওই ঘর ভিজে আছে কি না@মণি জুয়েল

Thursday, 29 July 2021

সাগরের ঢেউএ কবর ভিজতে থাকুক

আর একথা বলছি না যে তুমি মন্দির হয়ে যাও
আমার জন্যে,
দরাজ দ্বার খুলে দাও
না, ভেব-না, এ আবেদনও রাখছি না
কিন্তু কবর, এ তো খুলতে পারো

প্রস্তুত হও প্লিজ
আমি; নত হই, সেজদা দিই

.
বেঁচে থাকুক জীবন, কবরে, অযুত মৃত্যুতে!

.
উন্মুক্ত কর প্লিজ
আমার কবরে সেজদা দিই

এ কথাও বলছি না- ধারণ করো
জানি, সাগরের ঢেউ ধরা সম্ভবও না
কিন্তু, কবর খুলে দাও
উদোম মানের পাতা দুলে উঠুক, তুমি মাটি হও।

সাগরের ঢেউএ কবর ভিজতে থাকুক@মণি জুয়েল

Saturday, 24 July 2021

লিপস্টিক

তোমার লিপস্টিকে, শিব জেগে থাকে।
কখনও তোমার ড্রেসিং টেবিলে আমাকে খুঁজে দে'খো

আমি তোমাকে মাছের পেটিতে পাই

মাঝবরাবর কাটা আপেলে পাই

শঙ্খে পাই, পদ্মে পাই, ওহ্ শ্বেত পদ্ম আমার

একবার জেগে তো দেখো, আমি তোমার ড্রেসিংটেবিলে শিব হয়ে দাঁড়িয়ে আছি।

তুমি কি আমাকে চেনো? তোমার লিপস্টিক দেখেছো কখনো? @মণি জুয়েল

এস, নিকেশ কর; গড়াক অনন্ত জীবনের পানি

নিবিড় তোমাকে ডাকবো এমন কোনো ওহী পাই নি
লিখতে পারি না
আসলে আমি কবিও না
চাইলে আমি নেচে উঠতেও পারি না
যেমন ঠিক রুমি জালালুদ্দিন

কিম্বা বুল্লেহ শা
অথবা ফরিদ, দিওয়ানা

.
আমি বক্স ও খসরু নই; গাইতেও পারি না!

.
আসলে কিছু জানি না
কিছুই জানি না

সূচনা-ই পাই নি আমার দিন।
হায়! এখনও হেরা'-য় যেতে পারি না
এখনও  ডুবতে পারি না
মরতেও পারি না!
দাঁড়িয়েই আছি, বিরহে! এখনও তোমাকেই পাই নি

এস, নিকেশ কর; গড়াক অনন্ত জীবনের পানি@মণি জুয়েল

Friday, 23 July 2021

আমি জানি না, এ তরোয়াল নেয়াম পাবে কি না

আমি জানি না আমার জন্যে দরজা খুলবে কি না
কিন্তু আমি
আমি দাঁড়িয়েই আছি
আমি জানি না তুমি কবর হবে কি না
কিন্তু আমি অপেক্ষাতেই আছি

জানো কি না
আমি এও জানি না

.
আমার প্রেমই তোমাকে খুদা করে দিয়েছে

.
আমি বলি কিম্বা না
তুমিই সীমানা

আতৃষ আমি সেই পথেই হাঁটছি
অথৈ প্লাবনে তুমি নাও- এ নেবে কি না
জানি না,  সাঁতার দিচ্ছি
এক তুমি
আমার মৃত্যুতে ওই অনন্ত জীবনে ভেজাবে কি না

আমি জানি না, এ তরোয়াল নেয়াম পাবে কি না@মণি জুয়েল

Tuesday, 20 July 2021

খুউব ভেতরে ঢুকে গেছি

ঠিক যেমন কলন্দরী ধমলের প্রণোদনায় ওরা দুলে
অহমাঙ্গ দুলিয়ে
দুলতে থাকে তবলাও
তোমার ইচ্ছে করে-না তেমন করতে?
আহ্ দুল্যমান দু তালুর তবলা,

সুচারু মধ্যমা,
খেলে যাচ্ছে খেলে যাচ্ছে

.
খুউব ভেতরে ঢুকে গেছি, তুমিও টের পাচ্ছো

.
অন্তঃঅঙ্গ, প্রত্যঙ্গ দুলছে
অন্তহীন সীমা...

আর দুল্যমান দু তালুর তবলা
তার খিরনে, আঙুলেরা খেলে যাচ্ছে!
তুমি কি বুঝতে পারছো?
অহমাঙ্গ দুলিয়ে -
আমিও এই রাতে, ভেসে যাচ্ছি, কূল থেকে অকূলে

খুউব ভেতরে ঢুকে গেছি@মণি জুয়েল

Monday, 19 July 2021

কোরবানী

এখন কয়েকদিন সারা পৃথিবীতে #কোরবানী'র সময়। কোরবানি মানে উৎসর্গ-আত্মত্যাগ। প্রতীক হিসেবে চুতুস্পদের গোস্ত বা মাংস পাড়া পরশি আত্মীয় স্বজনদের এবং অন্যান্য তুলনায় আর্থিক সামাজিক দরিদ্র মানুষদের মধ্যে দেওয়া হবে। এসব আসলে দারুণ জিনিস। অনেকে পাণ্ডিত্য ঝাড়বেন করবেন 'পশুহত্যা' বলে চাঁচাবেন। এটা আসলে যতোটা না 'পশুপ্রেম' তার থেকে বেশি ইসলাম বিদ্বেষ। অনেকে এটাকে দিতে চাইবেন না, বদলে মানবসেবা র অন্য ফর্মের কথা বলবেন, অ্যাক্চুয়াল ইডিয়ট দে আর...।

যাইহোক... পৃথিবীর সমস্ত নবী সহ মহাম্মদ নবীর ফলোয়ারগণ এই রীতি পালন টরেন। যা আসলে ইব্রাহিমীয় বা আব্রাহামিক ট্র্যাডিশন, ইসলাম ধর্মের মানুষরা ধরে আছেন। বাকি ইব্রাহিমীয়রা এভাবে পালন করেন না।
এই ব্যাপারটা চালু হওয়ার পেছনের কারণ হলো ইব্রাহীম নবী তাঁর একেশ্বরবাদী মতাদর্শের জন্যে তাঁর পুত্রকে উৎসর্গ করেছিলেন। তাওহীদের জন্যে নিজের পুত্রকে উৎসর্গ। যার প্রতীক মুসলমানেরা ধারণ করে আছেন, তাঁদের প্রধান নবী সাল্লাল্লাহুআলাইহি'র কথা মতো।

অন্যদিকে না ঢুকে আমি উৎসর্গ আত্মত্যাগ বিষয়ে আমার অল্প কিছু কথা বলে নিই। মনে রাখুন মুসলমানেরা ফলো করেন ইব্রাহিম নবীর প্রথাকে, যা বাস্তবায়িত করছেন। কিন্তু এই ঘটনার বাতেন কি? মারেফাত কি? বাতেন বলুন বা মারেফাত বলুন তা হলো একেশ্বরবাদের(বহুর বদলে এক)এর প্রতিষ্ঠা, আর এই প্রতিষ্ঠার জন্য নিজের থেকে প্রিয় কিছু উৎসর্গ আত্মত্যাগ।

এখন দেখুন নবী মহম্মদের একেশ্বরবাদের পেছনে কে কারা কিভাবে উৎসর্গ হয়েছেন, আত্মত্যাগ করেছেন। প্রথম উৎসর্গ বা আত্মত্যাগ তাঁর চাচা (কাকা) আবু তালিব, যিনি মহম্মদ নবীর মতাদর্শকে সাপোর্ট করতে গিয়ে সুখ্যাত সম্মানিত আড়ম্বরের জীবন ত্যাগ করে সমাজ বিচ্যুত হয়ে অনাহারে রোগভোগে মারা গেছেন। দুই হলো নবীর প্রেমিকা(স্ত্রী) শ্রদ্ধেয়া খাদিজা(নত হই), যিনি তাঁর সমস্ত সম্পদ এবং নিজেকে মহম্মদ নবীর মতাদর্শের জন্য উৎসর্গ করেছেন, এবং তিনিও সমাজ বিচ্যুতির শিকার হয়ে ঘাস পাতা খেয়ে বাঁচার চেষ্টা করেছেন, পরবর্তীতে ইন্তেকাল করেন। তিন, আবু তালিবের ছেলে মাওলা আলী, নবী যখন হত্যার মুখোমুখি এবং হিজরতে বাধ্য হচ্ছেন ঠিক সেই সময় মাওলা আলী'ই নবীর বিছানায় গিয়ে ঘুমোচ্ছেন(নবীর আদেশে) এটা জানার পরও যে, এই বিছানাতেই নবীকে হত্যার পরিকল্পনা হয়েছে। এটা আসলে মাওলা আলীর বাবার আত্মত্যাগ। অতঃপর পরবর্তীতে সেই মাওলা আলীকেও মহম্মদ নবীর মতাদর্শ বাস্তবায়নরত অবস্থায় মেরে দেওয়া হয়, এই হলো মাওলা আলীর নিজেকে উৎসর্গ করা নবীর মতাদর্শের জন্য। অতঃপর মাওলা আলীর দুই পুত্রকেও হত্যা করে দুষ্কৃতিরা, সেই মহম্মদের মতাদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে গিয়েই। হুসেইনের ইতিহাস আপনারা প্রায় সবাই কমবেশি জানেন, যাকে কারবালায় শহীদ করে দেওয়া হয়েছে। এই হুসেন হলেন নবীর নাতি, নবী কন্যা ফাতেমা(নত হই)র পেটের ছেলে, মাওলা আলীর পুত্র, আবু তালিবের ছেলের ছেলে, মানে পৌত্র।

উপরে যাঁদের নাম বললাম এরাই সকলেই নবীর মতাদর্শ ধারণ করে বাস্তবায়িত করতে গিয়ে বা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করতে গিয়ে নিজেদেরকে জীবনের বিন্দু ঢেলে গেছেন। এই হলো উৎসর্গ আত্মত্যাগ। @মণি জুয়েল

Saturday, 17 July 2021

মুর্শিদাবাদ ইউনিভার্সিটি চালু হতে যাচ্ছে

মুর্শিদাবাদ ইউনিভার্সিটি চালু হতে যাচ্ছে। কিন্তু উপমহাদেশের পুরোনো ব্যারাম এখনও সারলো না!

মুর্শিদাবাদ জেলায় মুসলমান মানুষের বাস বেশি। এবং সেই ইংরেজ আমলের ভারতবর্ষের মতোই যেখানে মুসলিম বেশি সেখানে বঞ্চনা একটু বেশি, এখনও। মুর্শিদাবাদের বহরমপুর একটা ভালো উন্নত স্থান যদিও উত্তরের পথে বাসের যোগাযোগ খুব খারাপ, রাস্তা এখন ভালো। বহরমপুর সদর শহরে মুসলিম সংখ্যা তুলনায় কম। এখন যদি মুসলিম সংখ্যা একটু বাড়তে যাচ্ছে, তো খবরে আপনারা পড়তে পাচ্ছেন- মুসলিমদের ঘর ভাড়া দিতে বাঁধা আসছে। উচ্ছেদ করার অপচেষ্টা চলছে। যদিও খুব একটা বেশি এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসে নি, তবে সুপ্ত গুপ্ত মুসলিম বিদ্বেষ আছেই, এটাকে যত  মুসলিম বিদ্বেষ না বলে ইসলাম বিদ্বেষ বলা যায়। 

সেই বহরমপুরেই মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়। ১৪ টা বিষয়ে পঠন পাঠন হবে। এটা খুব খারাপ না। কিন্তু ওই যে বললাম পুরোনো ব্যারাম! অন্যান্য সাবজেক্টে ২৫ থেকে ৬০ টা পর্যন্ত সিট থাকলেও, সংস্কৃতএ ৮০ টি। আর আরবী বিষয়টিই নেই!

অনেকে ধর্মীয় কারণে আরবী চাইলেও আমি চাইছি আন্তর্জাতিক কারণে। কারণ আরবী ভাষা আন্তর্জাতিক ভাষা। বর্তমান পৃথিবীর পাওয়ারফুল ভাষাগুলোর একটি। এছাড়াও আমাদের দেশের অনেক অনেক মানুষ আরবী ভাষাভাষী দেশ সমূহে গিয়ে জীবন জীবিকা চালাচ্ছেন। এমনকি আমাদের দেশ সেইসব আরবী ভাষার দেশের সাথে বিভিন্ন ধরণে যুক্ত, এবং সুসম্পর্কে আবদ্ধ। আরবী ভাষা নিঃসন্দেহে ভারতীয় দেরকে আন্তর্জাতিক মানে আরো উন্নীত করতে সাহায্য করবে। তাছাড়া ভারতের  ইসলাম এদেশের একটা বড়ো পাওয়ার, সেই ইসলামকে জানতে হলে ভারতীয়দেরকে অবশ্যই আরবী জানতে হবে। ইসলামকে জানা উপেক্ষা করে কোনোভাবেই আমাদের দেশের অগ্রগতি সম্ভব না। আরবী ভাষাভাষী দেশগুলো বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থার একটা বড়ো অধ্যায়। আর ইসলাম একটা আন্তর্জাতিক বৃহৎ মতাদর্শ। তার পক্ষে বা বিপক্ষে বলার জন্য তার নিজের ভাষা আয়ত্ত করা দরকার।

ধর্মের কথা না বলতে না চাইলেও কিছু ধর্মীয় কথা চলে এলো!

প্রশ্ন আসবে কারা সাবজেক্ট গুলো নির্ধারণ করলেন, তাদের ভাবনার দৌড় কদ্দুর, পরামর্শদাতাই বা কারা, তাদের চিন্তাই বা কতটা কি, তারা আরবী বাদ রাখলেন কেন, সংস্কৃতে তুলনায় বেশি সিট কেন, কাদের স্বার্থে, এই সাবজেক্ট কি মুর্শিদাবাদের অধিকাংশ মানুষের স্বার্থ রক্ষা করবে??

যাইহোক...  আমি মনে করি সংস্কৃত ভাষার চর্চা দরকার, ভূখণ্ড ও তার আশপাশের ভূখণ্ডের ইতিহাস জানতে। কিন্তু পালি প্রাকৃত ভাষা কি দোষ করলো? দেশকে জানতে এসব ভাষা জানাও ভীষণ দরকার। যে রিপাবলিকানইজম এর এখন বাজার সেই রিপাবলিকানইজম ভালোভাবে জানতে প্রাকৃত পালি ভাষা বুঝতেই হবে।

উপরের এই আলোকে কেউ তো আক্ষেপ করে বলতেই পারেন যে, দেশের পুরোনো ব্যারাম এখনও সারলো না। কি সেই ব্যারাম? ব্যারাম হলো মুসলমান বিদ্বেষ। কারণ মুসলমানের ছেলে মেয়েরাই বেশি আরবী পড়তে চান, কারণ তাদের প্রধান বই আরবী ভাষার। সেই আরবী বিষয় রাখা হলো না, অন্যদিকে সংস্কৃত হাইলাইট করা হলো। যে সংস্কৃতকে সাধারণভাবে বলা হয় হিন্দু (ধর্ম অর্থে)ভাষা।

আমি মুর্শিদাবাদ জেলার অনেক ছাত্রছাত্রীকে জানি যারা আরবী বিষয়ে কাছাকাছি উচ্চশিক্ষা না পাওয়ার কারণে বেশিদূর আর এগিয়ে যেতে পারেন নি দারিদ্র্য। এমন অনকেকে জানি যারা বাইরে গিয়ে পড়তে বাধ্য হন। আমি নিজে দেখেছি অনকে ছাত্র ছাত্রী আমাদের ইউনিভার্সিটি এসেছেন পড়াশুনা করতে, আমি বাইরে পড়াশুনা করেছি এবং আমাদের ইউনিভার্সিটিতে আরবী সাবজেক্ট ছিলো। এমন কিছু স্টুডেন্টকে জানি যারা সপ্তাহে দুদিন তিনদিন ক্লাস করতো, বাইরে থেকে পরাশুনা করতে পারবে-না বলে। তাদেরই মুখে শুনেছি ভোররাতে(৫am) বাড়ি থেকে বেরিয়ে ক্লাস করে বাড়ি ফিরতো এশা(৮pm)র সময়। এই ছাত্রছাত্রীদের নিজের জেলায় ইউনিভার্সিটি হবে আর আরবী সাবজেক্ট চালু হবে না, এটা খুব দুঃখজনক।

এতো কিছুর পরেও ভালো খবর বঞ্চিত জেলার মানুষরা একটা University পেলেন। এই ইউনিভার্সিটি আগামী দিনে  ছাত্রছাত্রীর এমন প্রসার ও বিকাশ ঘটাক তা যেন ভারতবর্ষ ভূখণ্ডকে আলোকিত করে। ভূখণ্ডকে নতুন দিশা দেখাক। এবং অবশ্যই সাম্প্রদায়িকতা ধ্বংস হউক। বিদ্বেষ ধ্বংস হউক।

ভাবতে ভাল্লাগছে, আমার জেলার ছেলে মেয়েরা আগামী দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্ব করবে। JNU, AMU, Jamia- র ছাত্রছাত্রীরা যেমন এখন দেশের মানুষের কল্যাণে নিজেদেরকে আন্দোলনের পথে নিয়ে গেছেন, তেমনি আমার জেলার ইউনিভার্সিটির ছাত্রছাত্রীরাও আগামী দিনে দেশের মানুষের স্বার্থে আন্দোলন সংগঠিত করবে, দেশকে আরও উন্নতির পথে নিয়ে যেতে তারা পায়ে পা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হাঁটবে। তাদের ঘামে, তাদের মেধায়, গড়ে উঠবে আরো উন্নত  সমাজ। @মণি জুয়েল

Sunday, 11 July 2021

পশ্চিম, আঁধারে ডুবলে তবে পূর্ব জাগবে

কদিন থেকে আমার দুচোখ পশ্চিমে যাচ্ছে
ঠিক তা না
কিছুটা উত্তর ঘেঁষে।
পশ্চিমের আগুন, পতিত হচ্ছে-
ক্রমশ:ই পলায়ন দেখছি

আগুনের
কিন্তু, একটা ভীতি

.
ফের আঁধারের গ্রাসে পড়বে না তো!

.
এ যে পশ্চিম নীতি
গোধূলির!

টি.ভি-র চ্যানেলে শুনছি -
ক্রমশ: তালিবান বিজয় পাচ্ছে।
পাহাড় সমান হাসছে।
কেন জানি না-
কদিন থেকে আমার দুচোখ পশ্চিমে যাচ্ছে

পশ্চিম, আঁধারে ডুবলে তবে পূর্ব জাগবে@মণি জুয়েল

Saturday, 10 July 2021

যে নিচের উপরে সৃষ্টির শুরু

ওহ্ মণি, আরো নিচে, আরো নিচে, আরো নিচে
আরো আরো
অহমাঙ্গ ছুঁইয়ে দাও
এ ভূ দেহে, নত হও, সেজদায় প্লিজ
মুঠো বন্দি ওই দ্যু-শিখর না

কিম্বা, নীল যমুনা
কদমের দুইশাখ তলে!

.
জীবনের সীমানা পেতে যেতেই হবে নিচে

.
এগোও, এই সমতলে
এই প্রাণের সীমা

মুঠো বন্দি ওই দ্যু-শিখর না
আতুর জিহবার ভরে আর না প্লিজ
ছুঁইয়ে দাও অহমাঙ্গ
খুদা'র দ্বারে।
ওহ্ মণি, আরো নিচে, আরো নিচে, আরো নিচে...

যে নিচের উপরে সৃষ্টির শুরু@মণি জুয়েল

Thursday, 8 July 2021

দাঁড়িয়েই ছিলাম তোমার সদর দরজায়

বেশ কটা সিগারেট পুড়িয়ে জ্বলতে জ্বলতে
তোমার জানালায়
তোমার দরাজদরজায়
আমি ধোঁয়ার মতন ভেসে এলাম
তুমি জানতেই পারলে না২-

আমার উত্তাপ,
আমার দাঁড়িয়ে থাকা

.
সুদৃঢ় আলিফ যেমন অটল বর্গীয়-জ'তে

.
জানো তুমি সে দৃঢ়তা,
ওই প্রেম্প্রতাপ?-

সম্ভবত: এ সব জানো না২
আমি ধোঁয়ার মতন ভেসে এলাম
তোমার দরাজদরজায়,
এবং নিঃসঙ্গতায়
বেশ কটা সিগারেট পুড়িয়ে জ্বলতে জ্বলতে...

দাঁড়িয়েই ছিলাম তোমার সদর দরজায়@মণি জুয়েল

Monday, 5 July 2021

আমার দেশ ও অন্যদেশের জ্ঞান এবং কমিউনিজম

আগামী ২৩(জুলাই) তারিখ চীনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠা দিবস। মহাসমারোহে চীন তা পালন করবে। না আমি এখন চীন নিয়ে লিখছি না। লিখছি কমিউনিস্টদের নিয়ে। কিন্তু যেহেতু চীনের কমিউনিস্ট পার্টি নিয়ে লেখার সূত্রপাত তাই চীন দেশের কিছু আসবে।

আর যাইহোক... বহু অভিযোগ থাকা সত্বেও চীন বিশ্ব নেতায় পরিণত হয়েছে। ওদিকে সোভিয়েত হয়ে গেছে রাশিয়া। চীন যে কারণে এতো বড়ো একটা পাওয়ারে পরিণত হলো তার পেছনে শুধু কমিউনিজম আছে এমন না। আগে থেকেই সে দেশের ডিএনএ তে রসদ মজুত ছিলো। ইতিহাস পড়লে আমরা তাওবাদ সম্বন্ধে জানতে পারি, জানতে পারি কনফুসিয়ানস্ম। আসলে এইধরনের মতাদর্শ গুলোই চীনের সম্বল। কমিউনিজম সেগুলোকে একটা বিশেষ ফর্মে এনে তাদের উন্নতি র দিকে নিয়ে গেছে, মাও এর নিওডেমোক্র্যাসির মাধ্যমে। এখন আমরা চীন দেশের রাজনীতির বিরোধিতা করতেই পারি, আমাদের বিরুদ্ধে তারা কিছু করলেই আমাদেরও উচিত তার অপজিটে দাঁড়িয়ে ওঠা। কিন্তু তারা যে রাজনৈতিক সাফল্য পেয়েছে তা অস্বীকার করতেই পারি না।

কিন্তু আমাদের উপমহাদেশে কমিউনিজম কেন তেমন কিছুই করতে পারলো না? কারণ জানতে আমাদেরকে ইতিহাসের মধ্যে আমাদের জীবনের বা মরণের কিম্বা ধুকতে থাকার কারণ খুঁজতে হবে।
আমাদের উপমহাদেশে চীনের তাওবাদ বা কনফুসিবাদ এসবের মতো উপমহাদেশীয় মতাদর্শগুলো উপমহাদেশের মানুষের কাছাকছি আসতে পারে নি। বরং মানুষকে দূরে সরিয়ে রাখার একটা প্রচেষ্টা থেকেই গেছে। আমাদের উপমহাদেশের জ্ঞান শুধুমাত্র গুটি কয়েক মানুষের হয়ে থেকেছে। পরবর্তীতে ইসলামের সুফিবাদের প্রভাবে জ্ঞান মানুষের কাছে মানুষের মতো করে পৌঁছুতে শুরু করে, আর তখন থেকেই সমাজে বিপ্লব ঘটতে শুরু করে। কিন্তু সেই বিপ্লব কে দমন করতে, উপর থেকে  দেখতে এবং ভাবতে তেমনই কিছু মতাদর্শ গড়ে তোলা শুরু হয় সেই তাদেরই ডিএনএ দ্বারা যারা জ্ঞানকে কুক্ষিগত করে রেখেছিলো এদ্দিন। ফলে সুফিবাদের মধ্যে বিভ্রান্তি আসে। সুফিবাদও আস্তে আস্তে নিজেকে ঝাপসা করে ফেলে। কারণ সুফিবাদ সংগ্রামী মতাদর্শ হলেও আক্রমনাত্মকসংগ্রামী মতাদর্শ না। কিন্তু সুফীজম তার কাজ অব্যাহত রাখে।

অতঃপর যুগের পরিবর্তন। ইউরোপিয়ান হওয়া। সেই হাওয়াতেই উপমহাদেশীয় কমিউনিজম এর জন্ম। যা আসলে সেই তাদেরই মতাদর্শ হয় যাদের অতীতরা জ্ঞানকে নিজের কব্জায় রাখতে অভ্যস্ত। কিন্তু ফর্মে চেঞ্জ আসে। তারপরও নেতৃত্বে তাদেরই ডি এন এ। বেশ কিছু এমনও মতামত পাওয়া যায়- উপমহাদেশীয় কম্যুনিজমের জন্মের অনেকগুলো কারণের মধ্যে একটি কারণ রাজনৈতিকইসলামের পথে বাঁধা সৃষ্টি। সে যাইহোক... আজ আমাদের উপমহাদেশে কমিউনিজম সেভাবে আমরা টের পাই না। যদিও উপমহাদেশের স্বাধীনতার প্রাক কাল থেকে ১৯৮০-৮৫ সাল পর্যন্ত তারা অসাধারণ ভালো ক্ষমতা দেখিয়েছে, কিন্তু তখনও মানুষের তথ্য পরিচিতি ছিলো না, ফলে যেমন করে পেরেছে ওরা বুঝিয়েছে, মানুষের দারিদ্র্যকে পুঁজি বা সম্বল করেই এরা যা কিছু। কিন্তু এখন? আমাদের পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুত্ববাদের মধ্যে গিয়ে তারা যেন তাদের মূলস্রোত ফিরে পেয়েছে!

মনে করি এই যে আমরা যদি আমরা যদি নিজেদেরকে নিজের মতো করে পৃথিবীকে দেখাতে চাই তাহলে আমাদের অবশ্যই পড়াশুনার অবাধ সুবিধে দিতে হবে। বহু ভাষাভাষী মানুষকে তার মাতৃভাষায় বিশ্ব জ্ঞানের সাথে পরিচিত হওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। এবং অবশ্যই পুঁজিবাদী সংস্কার থেকে বের করে আনতে হবে দেশের মন কে। আর একটা বড়ো কথা আমাদের দেশ যেহেতু বহু মতের ফলে আমাদের দেশকে কোনো এক মতের না হয়ে বহু মতের সমাহারে চলার পথ সন্ধান করতে হবে। যা আমাদের সংবিধান রচয়িতারা চেষ্টা করেছিলেন।  সেই পথ ধরেই আরো এগিয়ে যাওয়া সম্ভব।@মণি জুয়েল

Saturday, 3 July 2021

চেয়েছি ভূমধ্য সাগরের শ্বেতপদ্ম ঘাসে ঢেকে থাক

আহ্ কি অদ্ভুত রকমভাবে আমি তোমাতে ভুগছি
এটা অসুখ?
ওরা ঘাস কাটছে,
কিন্তু আমার তোমাকে মনে পড়ছে
বিস্তৃত অনাবাদি সবুজ ভূমি

ভিজে আছে -
মধ্যভাগ, বর্ষার জলে

.
বুঝতে পারছো কি, আমি কি বলছি??

.
বর্ষার এ ঘন বৈকালে
আমি দেখছি...

আমার চোখে ভাসছো তুমি
এখন, কবরের কথা, মনে পড়ছে
ওরা ঘাস কাটছে
কিন্তু, আমি?
আমি তৃণ ঘেরা কবরে কতবার ডুবতে চেয়েছি

চেয়েছি ভূমধ্য সাগরের শ্বেতপদ্ম ঘাসে ঢেকে থাক@মণি জুয়েল