হওয়াই হাওয়াই গাছগুলো সব নগ্ন হয়ে যাচ্ছে
কিন্তু আমি
আমি তো চাই নি
এভাবে খসানো নগ্ন দেখতে চাই নি
চেয়েছিলাম পরে থাকো
রঙিন শাড়ি
আর ব্রাহীন ব্লাউজ
দেখেছো কি হলুদের সবুজ পাতার পরিণতি?
নিভ্রয়ান পিলসুজে
অন্ত্যজ বাড়ি
ওই-রকম জেগে থাকো
আমি চাই নি। সর্বহারা আমি চাই নি@ মণি জুয়েল
সালোকসংশ্লষে নিজেকে ঢেলে দিতে
ছবিতে দেখতে পাচ্ছি, পেয়েছি তোমার উঠোন
তৃনাচ্ছাদিত
শিশিরে ভিজে আছে
তার মাঝখান দিয়ে গমনাগমনের পথ
আমার ভীষণ ইচ্ছে করছে
কিন্তু আমি
নলকূপের মতোন
.
চাইলেও তো আর গমনাগমন ঘটে যায় না
.
তবে চাইলে সম্ভব
কিন্তু তুমি...
হ্যাঁগো ওদিকে শীত পড়ছে
মানে তুমি কেঁপে উঠছো? দিন ও রাত
এদিকে সাঁঝ নেমেছে
তারকাচ্ছাদিত
কিন্তু আমি, চেয়েছিলাম নির্জন দুপুরের বাথান
সূর্যের মতো মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকতে@ মণি জুয়েল
কোর্টের বিচারক রায় ঘোষণার পরে যেমন ভেঙে ফেলেন
কলমের নিব
তেমনই ঈশ্বরও সম্ভবত
তোমাকে রূপ দিয়ে থামিয়েছেন উৎকর্ষতা
নয়তো এতো সৌর্ন্দয দেখি কই?
কোথাও তো নেই
তোমার মতো কেউই একটা
ওহ্ ডিয়ার মাই লভ সংশিত তুমি সমস্ত তোমারই প্রশংসা@ মণি জুয়েল
সাগর, ওহ্ সাগর, তোমাকে অধে গমন করতে হবে
নদীর জন্যে
নিম্নগামী হতে হবে
নদী'র জন্যে। আরও নিচু হতেই হবে
বুকে ধরে অতল স্রোত
নেমে যাও
গমন করতেই হবে
.
ওই পথ ধরে গুহা-এ-হেরার অন্তঃ পথে
.
মত্ত মগ্ন হতেই হবে
নেয়ে নাও
দেহ ধরে অতুল স্রোতে
স্রোতের জন্য। আগুনে ভিজতে হবে
আহ্ আগুনের ঢেউ
তৃষ্ণার জন্য
তোমায় পান করতেই হবে, সাগর, মন্থন করতে হবে
দুই পার মাঝে সুদৃঢ় দাঁড়িয়ে থেকে@ মণি জুয়েল
অথচ এখন শীতের রাত, মৌসুম ওই রসেরই
ব্যস্ত থাকি, কাজের ভিড়ে কিন্তু ভুলে থাকতে পারি না
স্মরন করি
মুহূর্তে মুহূর্তের মুহূর্তে
যেমন করে ধার্মিকরা তাদের ঈশ্বরকে
কিন্তু, সে তা কল্পনা নয়
নয় বস্তুও
কিন্তু বাস্তব, চরম
.
অথচ তাকে কল্পনা ছাড়া করতে পারি না কিছু
.
কিন্তু ইচ্ছে ত চরম
ফ্যান্টাসিও
চাই- তানপুরার মতোন
আমার আমার কোলে আমার বাহুতে
তবলা হেন আঙুলে
নাড়ি চাড়ি
বাঁশির মতো ঠোঁটে তুলে ধরি তার যোনি কিন্তু পাই না
ইচ্ছে করে তাকে খেজুরগাছ করি আর জিভকে লাব্নী@ মণি জুয়েল
মানুষ আয়না দেখতে পছন্দ করে না
এ পৃথিবীতে বঞ্চনার ইতিহাস খুবই সংক্ষিপ্ত না
তার রেশ
মজুত বর্তমানেও
কিন্তু খুব একটা তুলে ধরা হয় নি
না ঠিক হয় নি এমনো না
তবে অর্ধ।
বাকী থেকে গেছে...
.
খুব কৌশলে সুবীরপুরুষ চিত্রিত হয়েছে
.
বাকী থেকে গেছে
তার অর্ধ
অর্থাৎ রমণীয় স্ত্রীর কথা
এখনও যে খুব লেখা হচ্ছে তা না
এখন এ বর্তমানেই
ওরা বঞ্চিত
রাতের ভাইব্রেটর আর তার সন্ধান কিন্তু কম না
এভাবেই অলিখিত থেকে যায় বঞ্চনা@ মণি জুয়েল
আমি সে তাকে দেখেছি, আমার চোখ আছে
কতো কতো কথা মনে পড়ছে! আর অবাক হচ্ছি
ভুলিই নি!
কিন্তু সে তা তো...
নাহ্, না, সে মানুষ তারও মন আছে
আমিও মনে পড়ি নিশ্চয়ই
যোগাযোগ
অযোগ' তার মধ্যেই
.
সুতরাং যুক্ত নেই কিন্তু যোগাযোগ আছেই
.
অযোগের মধ্য দিয়ে
যোগাযোগ
প্রায়ই তাকে স্টোরিতে পাই
চুপ থাকে, দেখে, সুতরাং সে আছে
ঠিক ঈশ্বরের মতো
আদৌ আছে?
এ প্রশ্ন বা সন্দেহের মধ্যে আমি অশিক্ষা দেখছি
আর অশিক্ষার মধ্যে চোখের অনস্তিত্ব@ মণি জুয়েল
সে তাকে বহুবার ডাক দিয়েছে সে সাড়া দেয় নি
ইতঃমধ্যে
ট্রেনের বাউল ঘুমিয়েছে
শহরের রকস্টার হুইস্কি-তে ডুবে গেছে
কিম্বা পথভ্রষ্ট হেন গাঁজায়
ঠিক যেমন
যৌনঅক্ষম পুরুষ
.
ছটপট করতে থাকা বউকে জাগিয়ে রেখে...
.
কিন্তু অদ্ভুত দেখো
আমার দিকে
ঘুমই নেই দুচোখে আমার
খুলে রাখা কর্পূরের মতোন উবে গেছে
শরীর লাফিয়েই যাচ্ছে
দীপ শিখা!
আমি জানি, দীপ শিখার মারেফাত জানা হয় নি
অথচ কী অদ্ভূত! তোমার যোনি আছে@ মণি জুয়েল
আমি খসরুর পথ ধরে একদিন হেঁটে চলে যাবো
পাই বা না
তোমার দ্বার হতে
ঠিকানা জানি না জানি আর ফিরবো না
সেই পার কিনারা থেকে
পিয়া পিয়া ক্যারতা হু পল্ ভর সুখ মিলে না চ্যান
ঘুম আসে না
জেগে থাকতে পারি না
পারি না সুফির মতো ধামাল নাচতে
অথবা, দুলে যেমন মালাঙ
ছুটতে থাকি
যুদ্ধের ওই অশ্বের মতো
বিদ্ধস্ত যে পান করে নদীর অমল কিনারাতে
যুদ্ধের ওই অশ্বের মতো
খুঁজতে থাকি
আর্তমুখ গুঁজে দেয়ার পাড়
তার মুখ না দেখে সারাটাদিন কাটানো কি যে দুঃসহ
কিন্তু সে
চায় না দেখাতে
তাকে না ডেকে সময় ঠিকই চলে যাচ্ছে
থেমে থেকে গেছি আমি
সে আমায় ভুলে গেছে@ মণি জুয়েল
ঋতু যাই হোক না কেন, আমার আকাশে মেঘ জমে থাকে
রাতে
এমনকি দুপুরেও
ওরা আসে, ওরা ভাসে, কিন্তু ঝরে পড়ে না
এখন শীত রাত দারুণ জমাট
ব্রহ্মান্ডে
মেঘের শোরগোল
.
কিন্তু মেদিনী পুরে এখনও ডাক পড়ে নি তাদের
.
হুগলির হেলদোল
এখন নেই
এখন শীত রাত দারুণ জমাট
মেঘ? জমেছে, দুই কোষেই, পার পাচ্ছে না
দুই পার মধ্যস্থে
বয়ছে
অন্ত-হীন উত্তেজনা। হুগলি নদীতে। আষাঢ়ে যেমন থাকে
@মণি জুয়েল
কদমের দুই শাখা যেখানে এসে মিলিত হয়েছে
সে কুঞ্জে
বাঁশির যাতায়াত
বাঁশি যায়, বাঁশি আসে, অপেক্ষা করে
রাত জাগে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে
ঘন অরণ্যে
যেখানে নদীর পাড়
.
আমার যাওয়া হলো না সুদেষ্ণার ওদিকে
.
ওদিকে এখন জাঢ়
মেদিনীপুরে
কিন্তু সে? রাত জাগে, শুয়ে
বাঁশি শোনে, বাঁশি ভাবে, পরীক্ষা করে
বাঁশির মারেফাত
বিনিভৃতে
যেখানে কদমের দুই শাখা এসে মিলিত হয়েছে
বাঁশি ও কদমকুঞ্জ@ মণি জুয়েল
আমি নৌকায় সেই আলোর পথে গমন করতে চাই
ভীষণ নেশায় সে আমায় দ্যু পাহাড় তুলে ধরে দেখালো
অতঃপর
আমি মুসার মতন
জ্বলে যাচ্ছি, অথচ পুড়ে ছারখার হচ্ছি না
যদিও আমি তুর' হতে চাইছি
কিন্তু সে,
আমাকে ঠেলে দিচ্ছে
.
প্রত্যাঘাতে ভেসে যাচ্ছি ভেসেই যাচ্ছি ভেসে যাচ্ছি
.
যদিও নদী তার কাছে
কিন্তু সে -
আমাকে জ্বালিয়ে পোড়াচ্ছে
আমি ওই আগুনের প্লাবনে, কূল পাচ্ছি না
মাছের পেটে যেমন
পারাপার
চল্লিশের ওই পথ। ওই পথ পার হলে তবেই তো আলো
যে আলো তার সিক্ত ভূ বনে @মণি জুয়েল
ডিঙি নৌকায় অতলান্ত পাড়ি দিতে চাই
যদি
সুযোগ দাও
এ সাধ্য কার ,যে ডুবায় সাগরকে
তবে পারি, যদি চাও
ডুবাতে
তোমার সীমান্তে
.
আঃ তোমার রহস্যটুম্বর ওই পারবার
.
পারি ডুবে যেতে
অত্যন্তে
ডুবিয়ে পারে ভিড়াও
তো সাধ্য কার যে ডুবায় আমাকে
সুযোগ দাও
ডুবি
ডিঙি নাও'তে লহরে ভাসতে বরাবর চাই।
সাগরের কথা@ মণি জুয়েল
তবে জেনো, মোমবাতির কিন্তু অন্য মারেফাত
তার ফেসবুক প্রোফাইল দেখিয়ে একদা এক প্রেমিকা
বলেছিলো
চায়ের ভাঁড় নয়
অতঃপর ব্লক করেছিলো ওই ফেসবুকে
তারপর অনেক ঘটে গেছে
ঘটনা
সেসব গোপনই থাকুক
.
কিন্তু সবই তো গোপন করে রাখা সম্ভব নয়
.
আসুক কিছু বের হোক
যন্ত্রণা
ক্রমশঃই যাতে গলে যাচ্ছি
যেমন বিস্কুট, শৌখিন ওই চায়ের কাপে!
কিন্তু সে কাছে নেই!
কিন্তু ছিলো।
এখনও আছে একা কি না জানি না তবে জ্বলছি একা
তোমার প্রোফাইল না, তুমিই আমাকে গলাচ্ছো@ মণি জুয়েল
