হওয়াই হাওয়াই গাছগুলো সব নগ্ন হয়ে যাচ্ছে
কিন্তু আমি
আমি তো চাই নি
এভাবে খসানো নগ্ন দেখতে চাই নি
চেয়েছিলাম পরে থাকো
রঙিন শাড়ি
আর ব্রাহীন ব্লাউজ
দেখেছো কি হলুদের সবুজ পাতার পরিণতি?
নিভ্রয়ান পিলসুজে
অন্ত্যজ বাড়ি
ওই-রকম জেগে থাকো
আমি চাই নি। সর্বহারা আমি চাই নি@ মণি জুয়েল
সালোকসংশ্লষে নিজেকে ঢেলে দিতে
ছবিতে দেখতে পাচ্ছি, পেয়েছি তোমার উঠোন
তৃনাচ্ছাদিত
শিশিরে ভিজে আছে
তার মাঝখান দিয়ে গমনাগমনের পথ
আমার ভীষণ ইচ্ছে করছে
কিন্তু আমি
নলকূপের মতোন
.
চাইলেও তো আর গমনাগমন ঘটে যায় না
.
তবে চাইলে সম্ভব
কিন্তু তুমি...
হ্যাঁগো ওদিকে শীত পড়ছে
মানে তুমি কেঁপে উঠছো? দিন ও রাত
এদিকে সাঁঝ নেমেছে
তারকাচ্ছাদিত
কিন্তু আমি, চেয়েছিলাম নির্জন দুপুরের বাথান
সূর্যের মতো মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকতে@ মণি জুয়েল
কোর্টের বিচারক রায় ঘোষণার পরে যেমন ভেঙে ফেলেন
কলমের নিব
তেমনই ঈশ্বরও সম্ভবত
তোমাকে রূপ দিয়ে থামিয়েছেন উৎকর্ষতা
নয়তো এতো সৌর্ন্দয দেখি কই?
কোথাও তো নেই
তোমার মতো কেউই একটা
ওহ্ ডিয়ার মাই লভ সংশিত তুমি সমস্ত তোমারই প্রশংসা@ মণি জুয়েল
সাগর, ওহ্ সাগর, তোমাকে অধে গমন করতে হবে
নদীর জন্যে
নিম্নগামী হতে হবে
নদী'র জন্যে। আরও নিচু হতেই হবে
বুকে ধরে অতল স্রোত
নেমে যাও
গমন করতেই হবে
.
ওই পথ ধরে গুহা-এ-হেরার অন্তঃ পথে
.
মত্ত মগ্ন হতেই হবে
নেয়ে নাও
দেহ ধরে অতুল স্রোতে
স্রোতের জন্য। আগুনে ভিজতে হবে
আহ্ আগুনের ঢেউ
তৃষ্ণার জন্য
তোমায় পান করতেই হবে, সাগর, মন্থন করতে হবে
দুই পার মাঝে সুদৃঢ় দাঁড়িয়ে থেকে@ মণি জুয়েল
অথচ এখন শীতের রাত, মৌসুম ওই রসেরই
ব্যস্ত থাকি, কাজের ভিড়ে কিন্তু ভুলে থাকতে পারি না
স্মরন করি
মুহূর্তে মুহূর্তের মুহূর্তে
যেমন করে ধার্মিকরা তাদের ঈশ্বরকে
কিন্তু, সে তা কল্পনা নয়
নয় বস্তুও
কিন্তু বাস্তব, চরম
.
অথচ তাকে কল্পনা ছাড়া করতে পারি না কিছু
.
কিন্তু ইচ্ছে ত চরম
ফ্যান্টাসিও
চাই- তানপুরার মতোন
আমার আমার কোলে আমার বাহুতে
তবলা হেন আঙুলে
নাড়ি চাড়ি
বাঁশির মতো ঠোঁটে তুলে ধরি তার যোনি কিন্তু পাই না
ইচ্ছে করে তাকে খেজুরগাছ করি আর জিভকে লাব্নী@ মণি জুয়েল
মানুষ আয়না দেখতে পছন্দ করে না
এ পৃথিবীতে বঞ্চনার ইতিহাস খুবই সংক্ষিপ্ত না
তার রেশ
মজুত বর্তমানেও
কিন্তু খুব একটা তুলে ধরা হয় নি
না ঠিক হয় নি এমনো না
তবে অর্ধ।
বাকী থেকে গেছে...
.
খুব কৌশলে সুবীরপুরুষ চিত্রিত হয়েছে
.
বাকী থেকে গেছে
তার অর্ধ
অর্থাৎ রমণীয় স্ত্রীর কথা
এখনও যে খুব লেখা হচ্ছে তা না
এখন এ বর্তমানেই
ওরা বঞ্চিত
রাতের ভাইব্রেটর আর তার সন্ধান কিন্তু কম না
এভাবেই অলিখিত থেকে যায় বঞ্চনা@ মণি জুয়েল
আমি সে তাকে দেখেছি, আমার চোখ আছে
কতো কতো কথা মনে পড়ছে! আর অবাক হচ্ছি
ভুলিই নি!
কিন্তু সে তা তো...
নাহ্, না, সে মানুষ তারও মন আছে
আমিও মনে পড়ি নিশ্চয়ই
যোগাযোগ
অযোগ' তার মধ্যেই
.
সুতরাং যুক্ত নেই কিন্তু যোগাযোগ আছেই
.
অযোগের মধ্য দিয়ে
যোগাযোগ
প্রায়ই তাকে স্টোরিতে পাই
চুপ থাকে, দেখে, সুতরাং সে আছে
ঠিক ঈশ্বরের মতো
আদৌ আছে?
এ প্রশ্ন বা সন্দেহের মধ্যে আমি অশিক্ষা দেখছি
আর অশিক্ষার মধ্যে চোখের অনস্তিত্ব@ মণি জুয়েল
সে তাকে বহুবার ডাক দিয়েছে সে সাড়া দেয় নি
ইতঃমধ্যে
ট্রেনের বাউল ঘুমিয়েছে
শহরের রকস্টার হুইস্কি-তে ডুবে গেছে
কিম্বা পথভ্রষ্ট হেন গাঁজায়
ঠিক যেমন
যৌনঅক্ষম পুরুষ
.
ছটপট করতে থাকা বউকে জাগিয়ে রেখে...
.
কিন্তু অদ্ভুত দেখো
আমার দিকে
ঘুমই নেই দুচোখে আমার
খুলে রাখা কর্পূরের মতোন উবে গেছে
শরীর লাফিয়েই যাচ্ছে
দীপ শিখা!
আমি জানি, দীপ শিখার মারেফাত জানা হয় নি
অথচ কী অদ্ভূত! তোমার যোনি আছে@ মণি জুয়েল
আমি খসরুর পথ ধরে একদিন হেঁটে চলে যাবো
পাই বা না
তোমার দ্বার হতে
ঠিকানা জানি না জানি আর ফিরবো না
সেই পার কিনারা থেকে
পিয়া পিয়া ক্যারতা হু পল্ ভর সুখ মিলে না চ্যান
ঘুম আসে না
জেগে থাকতে পারি না
পারি না সুফির মতো ধামাল নাচতে
অথবা, দুলে যেমন মালাঙ
ছুটতে থাকি
যুদ্ধের ওই অশ্বের মতো
বিদ্ধস্ত যে পান করে নদীর অমল কিনারাতে
যুদ্ধের ওই অশ্বের মতো
খুঁজতে থাকি
আর্তমুখ গুঁজে দেয়ার পাড়
তার মুখ না দেখে সারাটাদিন কাটানো কি যে দুঃসহ
কিন্তু সে
চায় না দেখাতে
তাকে না ডেকে সময় ঠিকই চলে যাচ্ছে
থেমে থেকে গেছি আমি
সে আমায় ভুলে গেছে@ মণি জুয়েল
ঋতু যাই হোক না কেন, আমার আকাশে মেঘ জমে থাকে
রাতে
এমনকি দুপুরেও
ওরা আসে, ওরা ভাসে, কিন্তু ঝরে পড়ে না
এখন শীত রাত দারুণ জমাট
ব্রহ্মান্ডে
মেঘের শোরগোল
.
কিন্তু মেদিনী পুরে এখনও ডাক পড়ে নি তাদের
.
হুগলির হেলদোল
এখন নেই
এখন শীত রাত দারুণ জমাট
মেঘ? জমেছে, দুই কোষেই, পার পাচ্ছে না
দুই পার মধ্যস্থে
বয়ছে
অন্ত-হীন উত্তেজনা। হুগলি নদীতে। আষাঢ়ে যেমন থাকে
@মণি জুয়েল
কদমের দুই শাখা যেখানে এসে মিলিত হয়েছে
সে কুঞ্জে
বাঁশির যাতায়াত
বাঁশি যায়, বাঁশি আসে, অপেক্ষা করে
রাত জাগে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে
ঘন অরণ্যে
যেখানে নদীর পাড়
.
আমার যাওয়া হলো না সুদেষ্ণার ওদিকে
.
ওদিকে এখন জাঢ়
মেদিনীপুরে
কিন্তু সে? রাত জাগে, শুয়ে
বাঁশি শোনে, বাঁশি ভাবে, পরীক্ষা করে
বাঁশির মারেফাত
বিনিভৃতে
যেখানে কদমের দুই শাখা এসে মিলিত হয়েছে
বাঁশি ও কদমকুঞ্জ@ মণি জুয়েল
আমি নৌকায় সেই আলোর পথে গমন করতে চাই
ভীষণ নেশায় সে আমায় দ্যু পাহাড় তুলে ধরে দেখালো
অতঃপর
আমি মুসার মতন
জ্বলে যাচ্ছি, অথচ পুড়ে ছারখার হচ্ছি না
যদিও আমি তুর' হতে চাইছি
কিন্তু সে,
আমাকে ঠেলে দিচ্ছে
.
প্রত্যাঘাতে ভেসে যাচ্ছি ভেসেই যাচ্ছি ভেসে যাচ্ছি
.
যদিও নদী তার কাছে
কিন্তু সে -
আমাকে জ্বালিয়ে পোড়াচ্ছে
আমি ওই আগুনের প্লাবনে, কূল পাচ্ছি না
মাছের পেটে যেমন
পারাপার
চল্লিশের ওই পথ। ওই পথ পার হলে তবেই তো আলো
যে আলো তার সিক্ত ভূ বনে @মণি জুয়েল
ডিঙি নৌকায় অতলান্ত পাড়ি দিতে চাই
যদি
সুযোগ দাও
এ সাধ্য কার ,যে ডুবায় সাগরকে
তবে পারি, যদি চাও
ডুবাতে
তোমার সীমান্তে
.
আঃ তোমার রহস্যটুম্বর ওই পারবার
.
পারি ডুবে যেতে
অত্যন্তে
ডুবিয়ে পারে ভিড়াও
তো সাধ্য কার যে ডুবায় আমাকে
সুযোগ দাও
ডুবি
ডিঙি নাও'তে লহরে ভাসতে বরাবর চাই।
সাগরের কথা@ মণি জুয়েল
তবে জেনো, মোমবাতির কিন্তু অন্য মারেফাত
তার ফেসবুক প্রোফাইল দেখিয়ে একদা এক প্রেমিকা
বলেছিলো
চায়ের ভাঁড় নয়
অতঃপর ব্লক করেছিলো ওই ফেসবুকে
তারপর অনেক ঘটে গেছে
ঘটনা
সেসব গোপনই থাকুক
.
কিন্তু সবই তো গোপন করে রাখা সম্ভব নয়
.
আসুক কিছু বের হোক
যন্ত্রণা
ক্রমশঃই যাতে গলে যাচ্ছি
যেমন বিস্কুট, শৌখিন ওই চায়ের কাপে!
কিন্তু সে কাছে নেই!
কিন্তু ছিলো।
এখনও আছে একা কি না জানি না তবে জ্বলছি একা
তোমার প্রোফাইল না, তুমিই আমাকে গলাচ্ছো@ মণি জুয়েল
আমি সম্ভবত অসময়ে জেগে গেছি সবই আঁধার
কই
কেউ জেগে নেই
কেন কেন তুমি জাগিয়ে দিলে বল তো
তোমার উপরে'ই রাগ হচ্ছে
বুঝতে পার্ছি
জ্বালিয়ে উষ্ণ হতে চাও
.
তাই বলে এমন নিদ্রায় মত্ত মাঝরাত্তিরে!
.
শুধু কুকুরের ঘেউ ঘেউ
শুনতে পাচ্ছি
ভীষণরকমের ভয়ও পাচ্ছি
তোমার আর আমার 'সঙ্গম শব্দে' ওরা
যদি ক্ষেপে যায়?
তবে!
তবে তুমি আছো বলেই, নইলে ভয়ই নেই আমার।
ভয়@ মণি জুয়েল
চল্লিশ একটা ব্যাপার। তুমি মানো অথবা না মানো
তবে জেনো
সুস্থ জীবন চল্লিশে
সেটা শয্যা-সঙ্গম থেকে স্কুল ক্লাসরুম
অথবা মৌমাছির জীবন
কামের মৌমাছি
চল্লিশ-টি দিন'ই বাঁচে!
.
ওই চল্লিশে যায় হাজার পুষ্পে মানে গমন করে,
.
অথচ, তাহার ললাটে
মধু এক চাচামুচ
এই তো জীবনের জীবন
নিজেকে উজাড় করে দিয়ে অনন্তঘুম
সমস্ত-এর অবশেষ!
এ কি জানো?
চল্লিশ একটা ব্যাপার। তুমি, তোমার সীমানা চেনো!
না চিনে সীমানা গমন কোরো না@ মণি জুয়েল
আমি শরীরের বাইরে কিছু দেখি না
মিনারের উপরে চাঁদ, তারা বেশ ভিজে গেছিলো
আর আমি
তখন বাইক চালাচ্ছি
মনে তখন কবিতাও এসে গেছিলো
কিন্তু, লিখতে পারি নি
এখন লিখছি
কিন্তু, লেখা হচ্ছে না
.
আসলে সময় গেলে সাধন ব্যাপারটা হয় না
.
তাই লেখাও হচ্ছেনা
তবুও লিখছি
যে লেখা তুমি পড়োনি
শুধু তাইই না দাও নি লিখে নিতেও
তবুও চেষ্টা চালাচ্ছি
নিঃসঙ্গামি
যেখানে শরীর হারিয়ে গেছে, অথচ শরীর ছিলো
শরীর হারিয়ে গেলে কিছু থাকে না@ মণি জুয়েল
প্রেমিকার ভেজা যোনিতে আঙ্গুল ঢুকিয়ে বের করা
আঙ্গুল
তাতে প্রেম আছে
শুধু সেই জানে, যে ওই আঙুল চুষেছে
নিজে। এবং যে এ দেখেছে
ঈশ্বর সেই
এ কথা গোপন থাকুক
.
যেভাবে গোপন থেকে গেছে কবিদের কেচ্ছা
.
সেভাবে গোপন থাকুক
ঈশ্বর নেই
এ জানে সে। সাক্ষী হয়েছে-
যে।আমি কি তোমায় বোঝাতে পারছি
যে এতে প্রেম আছে
মধ্যমা
যে আঙুল প্রেমিকার যোনি-দেশে ঢুকিয়ে বের করা
আসলে এসবের কোনো মানে নেই@ মণি জুয়েল
আঙ্গুল দিয়ে ডেকে চলেছি
ভালবাসা, তোমার ভালবাসা, তোমাকে ভালবাসা
আহ্ আহ্
কিই না করিয়ে নিচ্ছে
আমার মধ্যমা প্রবাহিত করছে ঝরনা
পাথরের অন্তর চিরে দিয়ে
এসব কিছু না
সবই হৃদয়ের ভালবাসা
.
আর ভালবাসা মানে? কিছুই না, সাধনা
.
সবই শরীরের আকাঙ্খা
এছাড়া কিছু না
দুনিয়াকে দেখ শরীর দিয়ে
শরীরে তার কতো পাহাড় আর স্রবনা
কিই না করিয়ে নিচ্ছে
দেহে দেহে
উত্তপ্ত হচ্ছে কাঁপছে দুলে উঠছে, কাঁদা আর হাসা
ঘটে চলেছে অর্গ্যাজম@ মণি জুয়েল
পড়ে লেখার জন্যে দাঁড়িয়েই আছি
সুদেষ্ণা-কে বলেছিলাম একটু পড়ে নিতে দাও
সে শোনেই নি
সে থেকে মুখিয়ে আছি
ইতিমধ্যে-ই অযুত বই পড়ে ফেলেছি
কিন্তু তৃপ্তি কোথাও পাই নি
ঠিক যেমনটি
সে নিজেও, অতৃপ্ত
.
অথচ কেন যে পাই নি কেন যে হতে চায় নি
.
আমার শরীর'পাঠ্য
বহি, যেমনটি।
কোত্থাও তৃপ্ত হতে পারি নি
অথচ কতবার না নিজেকে ফেলেছি
প্রেমে। বিগলিত হয়েছি
যেন শিব-যোনি!
ওহ্ আমার ৪০মিনিটের পাঠ, পড়ে নিতে দাও
অথবা উন্মুক্ত এসো, লিখেই দিই@ মণি জুয়েল
আমি রমণীর শরীর দেখছি
এক একটি বর্ণ বা লেটার-এ তুমিই জেগে আছো
আমি দেখছি
ঘুম থেকে জেগে উঠে
আমার সামনে 'G' জ্বল জ্বল করছে
আমি তোমাকে দেখে যাচ্ছি
অপলকে
যেমন বর্গীয়-জ দেখেছি
.
আদিমরূপে! এ যেন দেখা অদেখা-কে
.
ভগবানের উৎস, দেখছি
কাম মেখে
প্রকৃতপক্ষে, তোমায় দেখছি
আমার সামনে 'G' জ্বল জ্বল করছে
জেগে ওঠো ঘুম থেকে
দেখবে তুমিও
এক একটি বর্ণ বা লেটার-এ তুমিও জেগে আছো
জেগে আছে তোমার জন্মও@ মণি জুয়েল
গোরস্থানের কিই বা জাগা আর জাগি
আড়াইশো বছর আগে যে খেলা শুরু হয়েছিলো
শেষ হয় নি
শেষ হয় নি বলেই
এখন, শুরু হয়ে গেছে, ভাগাভাগি
দুইদিকে, উত্তরে দক্ষিণে
মরে গেছে
কেউ-ই বেঁচে নেই
.
এই মৃত্যদের সভ্যতায় আমার জন্মভূমি
.
কোন যৌবন নেই
বয়ে গেছে
খুউব কম জ্যান্ত এখানে
এই গোরস্থানে আমি জেগে আছি
অরব চিল্লে যাচ্ছি,
মরে যাই নি,-
আড়াইশো বছর। কবরের রচনা শুরু হয়েছিলো।
কেউই জাগছে না, রান টেনে ছিঁড়লেও@ মণি জুয়েল
৭ নভেম্বর ২০২১
প্রেমিকার যোনির চুলে যে সুঘ্রেয় ঘাম জমে থাকে
ওই অমৃত
দাও আমি পান করি
আমার ঘামে মিশে যাক ওর সুবাস
আমি, কস্তরী বহন করি-
নাভিতে
অথবা আরও নিচে
.
নত হতে অর্থাৎ নিচে না গেলে অর্জন নেই
.
যেতে দাও সে নিচে
যে নিচে-
পার হয়ে যায় দাঁড়'তরি।
শরীর মেখে নিক খানিক নাব্য-বাস
দাও আমি ঘ্রাণ করি
ওই ছলাত্
প্রেমিকা যোনির চুলে সুঘ্রেয়-ঘামে যে স্রোত থাকে
অমৃত থেকে আমি স্রোতে কেন গেলাম বুঝেছো?@ মণি জুয়েল
পানি কিম্বা আলতায় ভেজা তোমার জোড়া পা
তার ছাপ
সেই ছাপের মধ্যস্থে
যে ছাপ, মাটিতে বা পটে লেগে থাকে
ওটাই আসলে গমনের পথ
যারা জানে
মানে গমনাগমন জানে
.
এসো দেখি দাঁড়াও, কদম তলায় যাই
.
হাঁটু গেড়ে বসি ওখানে
পথে, পানে
ওটাই তৃষ্ণা নিবারণের পথ
যমুনা তারই মধ্যে দিয়েই আঁকেবাঁকে...
তারই প্রতীক সীমান্ত
পা-র ছাপ।
কই দেখি, অনন্তের সীমানা, তোলো দেখি দু-পা
কদমতলার কদমলতার শিশির পান করি@ মণি জুয়েল
পুকুরে গিয়ে, মীন-রাশি ছেড়ে দিলেই মাছ চাষ!
হতে পারে
আবার তা নাও
কিন্তু, মানুষ আবাদ করতে চাইলে?
সু-দীর্ঘ শ্রম, ঢেলে দাও-
সাধনা,
চল্লিশ-টি মিনিটে
.
যেমন স্কুলে টিচার ঢেলে দিতেন শ্রম ক্লাসে
.
চল্লিশ-টি মিনিটে,
ধারণা।
প্রথমে ধারণ করে নাও
তুমিও মানুষ আবাদ করতে চাইলে!
অতঃপর.. ঢালো
সে কিনারে
যে কিনারায় নতুন, মাথার ভরে এসে, নেয় শ্বাস
এর থেকে বেশি খুলে বলা সম্ভব না@ মণি জুয়েল
শুনতে পাচ্ছি দেখতেও পাচ্ছি পার ভেঙে যাচ্ছে
ডুবে যাচ্ছে
বিঘের পর বিঘে বসত
অথচ কেন্দ্র উপকেন্দ্রের হেল্দোল নেই
আকাশ কেঁপে কেঁপে উঠছে
সর্বহারা
বাস্তুহারার আর্তনাদে
.
অথচ কেন্দ্র উপকেন্দ্রের কোন হেল্দোল নেই
.
বাস্তুহারার আর্তনাদে
অরব শব
বাতাস, ক্রমশঃ থেমে যাচ্ছে
পূর্বের। উত্তর-এর, সম্ভাবনাও কি নেই?
না কই নেইই আপাতত
তবুও খুঁজছি
শরীর পেতে দিয়ে তাতেও কি সে-তা টের পাচ্ছে
সাবধান তুমিই ভেঙে যেও না ফের@ মণি জুয়েল
জীবনসংগ্রাম ব্যাপারটা বুঝতে পারলে
ইভনিং ব্যাপারটা একটা নারী-বিজয়া বলতে পারো
লক্ষ্য করো
ইভ দিয়ে শুরু হচ্ছে
একটা আদিম ব্যাপার খুঁজে পাচ্ছো না?
আমি আদিমকথাই বলছি
আর, দিন?
একটা জীবন সংগ্রাম
.
এখন তুমি বলো জীবনসংগ্রাম বুঝতে পারলে?
.
একটা জীবন সংগ্রাম
এ হচ্ছে দিন
মুখ ঘষে ঘষে, দুই পাহাড়ে
সকাল। অতঃপর খাড়া, মাঝা-মাঝিতে!
সব তপ্ত হয়ে উঠেছে-
দ্বিতীয়প্রহরে।
তারপর অপরাহ্নের শেষে নদীকে ঢেলে অস্ত গেলো
যেমন জীবন সংগ্রামের পুরুষটি@ মণি জুয়েল
এখানে একটা বড়খণ্ডন দরকার সাগর
পরিস্থিতি এমনই যে চোখ খুললেই আঁধার দেখবে
এসবের চে
বরং ঘুমিয়েই থাকো
তাতে নিষকাম থাকা যায়, অকর্মাও
এতো আঁধার কি বলবো!
অথচ
উৎসব চারিদিকে
.
আলোর ধাঁধানি আর শব্দে বুক কাঁপছে
.
উৎসব চারিদিকে
অথচ
কিন্তু, রাত্রে কিই দেখবো
আলোই নেই, নেই আকাশের চাঁদও
জ্বলে যাচ্ছে যেগুলো
তাতে প্রমাণিত
প্রতিষ্ঠিত এখানে ভীষণ আঁধার তুমি কেন জাগবে
তাছাড়া এখানে জাগার সম্ভাবনাও নেই@ মণি জুয়েল
রাতে তৃষ্ণা পেলে "তোমার হাঁটু অবধি জল" মনে পড়ে
পানি
নেমে আসছে
দুদিকে ছড়ানো জানালা'য় মুখ রেখেছি
জলপ্রপাত আছড়ে পড়ছে-
ঘর থেকে
তখনও সদর দ্বার বন্ধ
.
ক্রমশঃ ভিজে যাচ্ছে ঘরের মেঝে শ্বেত্ নদীর
.
তখনও সদর দ্বার বন্ধ
অন্তঃ হতে
জলপ্রপাত আছড়ে পড়ছে
দুদিকে ছড়িয়ে ঢুকে যেতে ইচ্ছে করছে
ঠেলে মধ্যস্থে
যেন -
কোন বইয়ের পাঠক! কিম্বা পুরুষ, রমণীতে ঢুকে পড়ে
বর্গীয়-জ ঞ আকার দন্ত্য-ন@ মণি জুয়েল
কই আলো? যেগুলো জ্বলছে তাতে আঁধার প্রমাণিত
এখন রাত
চাঁদ নেই আকাশেও
কোথাও আসলে কোনও রকম শব্দ নেই
আর তাই বাজি ফেটে যাচ্ছে
নীরবতা-
কাম নিক্ষমতা ঢেকে দিতে
@মণি জুয়েল
তারারা ঢেলে দিক তাপ জ্বলতে জ্বলতে
এখন অনেক রাত এসো না কাস্তে হাতুড়ি হয়ে যাই
ভাস্কর্য গড়ি
আমরা মিশে যাই
না আমি উপমহাদেশীয় মার্ক্সবাদী কিম্বা
কম্যুনিস্ট-ও হতে বলছি না
প্রকৃতপক্ষে
জেনো, ওরা হিন্দু-বাদী
.
আমি আসলে বলছি জীবনের সহজ পাঠ
.
কাস্তে হও আমি হাতুড়ী
নিদেনপক্ষে
দ্বন্দ্ব শুরু হলে হয়ে যাক না
এখন গাঢ় রাত। এখন রাত এখানে লম্বা
এসো না মিশে যাই
জাগিয়ে তুলি
আমাদের শব্দে। দেখছোই তো কেহই জাগিয়া নাই
এসো তুমি কাস্তে হও আমি হাতুড়ি@ মণি জুয়েল
দাউদাউ চুলো থেকে বের হয় আসে যে নদী
সেই নদীতে
দাঁড় টানতে দিও
লাকড়ি যেভাবে চুলোতে সক্রিয়
অত:পর তুমি সাগরে
শুকিও না
জ্বলতে'ই থাকুক
.
চোখটা বন্ধ করো প্লিজ একবার দেখো
.
ডুবিয়েছি এ মুখ
চুলোগহ্বরে
পান করছি, আ-প্রাণ
ওই নদী থেকে, যে চুলো' সক্রিয়
ভেসে যাচ্ছে নৌকা
ওই গোমুখে,
গোমূখ থেকে দু-পার মাঝে সর্বহারা আহুতি!
ব্যঞ্জন, স্বর হইতে@ মণি জুয়েল
বিশ্বাস কর সুজাত যেমন সেতারের সাথে মিশে যায়
খসরুর কথায়
কিম্বা খসরু যেমন মস্ত্
ইচ্ছে তেমনই, আমি আর তুমি মরে যাই
শরীরে শরীর, শ্বাসে শ্বাস
ভাবো তো
দুজনে মিশে গেছি
.
তোমার অপরাজিতা যোনিতে সেঁধিয়ে গেছি
.
দুজনে মিশে গেছি
মরে যাবো
সমাপ্ত হতে যাচ্ছে নিশ্বাস
যেখানে জীবন নেই, নেই মরণেরও খেই
লীন হয়ে যাচ্ছো স্বমস্ত
মরণের দরিয়ায়
আমাকে মিশেয়ে নিয়ে, ভাসিয়ে নিয়ে, তব নই-কায়।
জানি না কূল পাবো কি না@ মণি জুয়েল
কিন্তু দেখো এখন কতো রাত
তোমাকে ভালোবাসতে ভালোবাসতে তোমার থেকে দূরে
সরে গেছি
বুঝতেই পারি নি
কখন কিভাবে দূর হয়ে গেছো আমার থেকে
অথচ আমি এখনও রাত জাগি
তোমার জন্যে২
আমি এখনও কবিতা লিখি
.
আমার কবিতার সমস্ত রূপক আরো যতো উপকথা
.
আহ্ কি নিয়েই লিখে গেছি
তোমার জন্যে ২
শব্দের সাধনায় উপোসও থাকি
বুঝতেই পারি নি, সরে গেছো, আমার থেকে
বুঝতেই পারি নি
সরে গেছি
তোমাকে কাছে পেতে গিয়ে আমি এখন কতো-ই না দূরে!
সোমত্ত চাঁদের কথা ছিলো@ মণি জুয়েল
হঠাৎ করে পেছন থেকে জড়ানো চুমুতে যে স্বাদ
যে স্বাদ ঘামে
যে স্বাদ বিকেলের চায়ে
যে স্বাদ খোলা জানালায় তোমাকে নিয়ে-
দাঁড়ানোর মাঝে তা কাব্যে নেই
তাই
আমি আজকাল লিখি না
.
কবি হতে চাই নি, শুধু তোমায় ভালবেসেছি
.
বিশ্বাস করো হতে চাই না
কবি।
তুমি ছাড়া কাব্য কোত্থাও নেই
যে ভাব তোমার চোখে, তোমার প্রত্যঙ্গে
সে ভাব নেই ছন্দে নির্মাণে
যে ভাব দেহে
মানে তোমার কাঠামোয় আর কোথাও নেই সে তা
@ মণি জুয়েল
আঙুলে মধু মাখিয়ে কেউ দিলো না ফুলের স্বাদ
ইচ্ছে করছে
এখন এখানে মাঝরাত
ভাবো তো কোত্থাও কেউই জেগে নেই
শুধু এক তুমি আর আমি
উন্মুক্ত পরিবেশ
আঙুল ডুবিয়ে দিয়েছি
.
মৌমাছির চাক থেকে গড়ানো মধুতে
.
আঙুল ডুবিয়ে দিয়েছি
সশব্দ পরিবেশে
মধু-মত্ত, স-মস্ত শীৎকারি
ভাবতে পারছো কি, কেউই জেগে নেই
আমি তুমি ও মৌচাক!
বিক্ষত করো
শরীর বসাও দাগ, আমি জানতে চাই এরও স্বাদ
তান্ত্রিক লভ@ মণি জুয়েল
মাঝরাত হলে আমি উঠি ছাদে যাই ,দেখতে পাই
BSNLটাওয়ারটি
টানটান দাঁড়িয়েই আছে
আমি তার গায়ে হাত বোলাতে চেষ্টা করি
বুঝতে পারি সে ভিজে গেছে
জল-বিন্দু
তার মাথায় জমেছে
.
সে প্রস্তুত হয়ে আছে সে দাঁড়িয়েই আছে
.
কিন্তু, সে কি করছে
শ্বেতা বসু
সে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে?
পেছন থেকে ঘাড়ে মুখ রাখতে চেষ্টা করি
কিন্তু সে দূরে সরে আছে
অথচ কাছাকাছি
দিনরাত আমি তাকে উদোম আমার কাছেই পাই
@ মণি জুয়েল
দাঁড়িয়ে আছি মধ্যমঞ্চে সে তা জেনেও দেখছে না
অথচ লুকিয়ে
ঠিকই আমাকে দেখে
প্রেম এভাবেই থেকে যায় অপ্রকাশিত
অযুত গবেষনার জন্ম দিয়ে
অসংখ্য
প্রকাশের মধ্য দিয়ে
চিরদিন অপ্রকাশিত থেকে যায় বহিঃপ্রকাশ
প্রকাশের মধ্য দিয়ে
অসংখ্য
গল্প কবিতার উপকরণ হয়ে@ মণি জুয়েল
প্রেমের যে বিরহ সেজদার দিক বদলে দিয়েছে
সেই প্রেম
আমার তোমার
সু প্রশংসিত প্রেমী সংশিত হয়েছে
দিক'ও বদল হয়েছে-
সেজদার
প্রেম জিতে গেছে
.
সেই প্রেম আমাকে দিলাম তোমার দূরত্বে
.
রাত ভারি হয়েছে
একলার
চাঁদও লুকিয়ে গেছে
যে চাঁদ আঙুলে দুভাগ হয়ে গেছে
তোমার আমার -
এ প্রেমও
যে প্রেম দূরত্বের সীমা-হীন সেতু নির্মাণ করেছে
দূরত্বের সীমাহীন সেতু@মণি জুয়েল
তোমার বৃন্তে আমিও আবর্তিত হই চাদের মতন
হে শ্বেত পৃথ্বী
তোমায় কেন্দ্র করেই
অর্ধেক সময় তুমি আমাকে পাও না
কিন্তু, তবু, আমি ওই সেই-
অদ্বিতীয় এক
তোমায় কেন্দ্রে করেই
.
বিশ্বাস করো আমি তোমার থেকে দূরে না
.
একদম খুউব কাছেই
তোমারই বুকে
স্তন-বৃত্তে একটি তিল ওই
আচ্ছাদনে, হয়তো, দেখতে পাও না
বৃন্ত-কে কেন্দ্র করেই
তিল-টি আমিই
যত্ন নিও খুব, প্লিজ, চাঁদের যত্নে এই পৃথ্বী যেমন
জোয়ার ভাটায়@ মণি জুয়েল
ঘর থেকে বাহিরে গিয়ে দেখে এলাম, চাঁদ উঠছে
শ্বেত চাঁদ
চল্লিশ পেরোনো সে যেন
আমার শরীরও মাথা তুলে খাড়া হলো
উঁচু হয়ে যায় তাকে দেখলেই
মাথায় শীত জমছে
আমি সেই সটান দাঁড়িয়েই
.
মনে আছে বিছানা থেকে তুলে দিয়েছিলাম?
.
আমি তখন ছিলাম ছাদেই
এখনও স্মরণে আছে
এরকম আর-এক রাত'ই চাই
উন্মুক্ত তুমি, এস, আমাকে নিয়ে চলো
দাড়াও, হাঁটু গেড়ে বসি
পান করি
চাঁদের ছায়ায় অরণ্য থেকে নদী বেরিয়ে আসছে
অরণ্য প্রান্তে অশ্ব এক@ মণি জুয়েল
প্রেমিকার স্তন বৃন্তে আমার দুনিয়া আবর্তিত হয়
কুমারের চাক
যেমন নির্মাণ করে দেয়
পাত্রকে। ঠিক তেমনি আমিও ভালবেসে
আমিও সেতাকে ভালবেসে
হয়ে গেছি
নির্মাণ হয়ে যাচ্ছি
.
সে-তার প্রেম গবেষক করে দিয়েছে আমাকে
.
চোখ খুলে দেখছি
দেখে যাচ্ছি
সেই দুই চোখ খুলে দিয়েছে
নাকে, তার কুক্ষিগত ঘ্রাণ পাচ্ছি বাতাসে
বাতাসেও তারই অস্তিত্ব
সমস্ত দশদিকে
দশ দ্বারে আবর্তিত হতে থাকি, আমি তারই কায়
ঢুকি বেরোই সদর দরজায়@ মণি জুয়েল
জেগে আছি উত্তরের সম্ভাবনায়
তিন পঁচিশ পার হয়ে গেছে এমন অন্ধকারের
অন্ধকার
শুরু হয়েছে আগেই
কমবেশি পাঁচ পঞ্চাশ পার হয়েছে
সূর্য চলে গেছে পশ্চিমে
সাথে সাথে
অন্ধদের দুই চোখও
.
আলোর ফেরিওয়ালারা দারুণ অন্ধ
.
অন্ধ করছে প্রজন্মও
সাথে সাথে
হেঁটেই যাচ্ছে অনু-ক্রমে
কিন্তু বলা যাবে না পথভ্রষ্ট হয়েছে
বলার কোন জো নেই
জ্যহলিয়াত
তবে ইগ্নোরেন্স-ই বহিঃপ্রকাশ করেছিলো তার
এখন অবধি প্রশংসা যার@ মণি জুয়েল
সমূলে উৎপাটিত হউক এরা
ক্রমশঃই বুঝতে পারছি সজাগ উত্তরের সম্ভাবনা
খুশি হচ্ছি
সাথে কিছুটা ভয়ও
আবারও পিছিয়ে যাবে না তো
বদলালে বদলে যাক
উত্তরের
হাওয়া আসবেই
.
কাঁপিয়ে দিয়ে জরা ধরা এ ধরণীকে
.
হাওয়া ভাসবেই
উন্মুক্তির।
সমূলে'ই নির্মূল হউক
হবেই হবে দলিতেরা প্রতিষ্ঠিত।
কুয়াশা ভেদে করে
সূর্য উঠবে
তরুণের মতোই হয়তো একটু কাঁপবে, কাঁপুক না।
নূতন করুক ধারণ উত্তর@ মণি জুয়েল
যাকে বলা হয় গোমুখ
ভাবো তো মাঝ-রাত বাকিরা ঘুমিয়ে গেছে সব
কিন্তু তুমি
একাই নও আমিও
তোমার দরজায় গিয়ে কড়া নাড়ছি
বিস্মিত তুমি খুললে উঠে
ঢুকেই গেলাম
তোমার দ্বিধা ডিঙিয়ে
অতঃপর তোমাকেই শোয়ালাম পালঙ্কে
সুতির মশারী টাঙিয়ে
আমিও ঢুকলাম
তোমার দুপার দিকে উঠে
তোমার নাইট সাটিন ক্রমশঃ তুলছি
ঢুকে যাচ্ছি আমিও
যোনি মুখে
অর্থাৎ উৎসে, মুখ রেখেছি, প্লাবিত হয়েছে শব
মাঝরাতে উৎস মুখে@ মণি জুয়েল
দিন চার পাঁচেক আকাশটা বেশ অন্ধকার ছিলো
পরিবেশও
এখন অনেকটা মুক্ত
কালো যতো ঝরে আকাশ এখন নীল
বীর্য হেন, শ্বেত মেঘ ভাসছে
অর্থাৎ
এখন জীবনের সম্ভাবনা
.
প্রতারণার দিন শেষ হতে যাচ্ছে ক্রমশঃই
.
এখন জীবনের সম্ভাবনা
অর্থাৎ-
অমলবাতাস ভেসে আসছে
বিষাদের সুর বিলিয়ে হয়ে যাবে, ক্ষীণ
এখন অনেকটা মুক্ত
সম্ভাবনাও
নিশ্চয়ই আগুনের দিন শেষ হবে, যেমনটা ছিলো।
শুধু একটা উত্তরের অপেক্ষা করছি@ মণি জুয়েল
তোমার সাক্ষ্য দিই, আমি হাত ওঠাই, আর তুমি
উন্মুক্ত
আমার মধ্যমায়
আহ্ এ কি ভাবা যায় আল্লাহ্ আল্লাহ্
তুমি আর আমি সংযুক্ত
বিচ্ছেদ নাই
অনন্ত গোপনীয়তায়
.
এসো এসো মিলে ভাস্কর্য নির্মাণ করে নিই
.
অনন্ত গোপনীয়তার
যা দৃশ্যে নাই
তুমি আর আমি সংযুক্ত
আলিফ লাম মিম/বাংলার বর্গীয়-জ
ওই তাতে আকার
উন্মুক্ত
ঞ যুক্ত হলেই ঘটে যায় রূপঅন্তর দন্ত্য-ন আমি
অবোধগম্যতা@ মণি জুয়েল
ওভাবে উঁকি দিয়ে চলে যাবার কোন মানে হয়
আমাকে কি
তোমার মুসা মনেহয়?
এ ভ্রম যদি থেকে' থাকে ভেঙ্গে দাও
ভেঙে দাও যত বিভ্রান্তি
প্রশংসিত সে
অনুসারী আমি তারই
.
হয় ডাকো রাতে, নয়তো এসো সরাসরি
.
অনুসারী আমি তারই
প্রশংসিত যে
ভেঙে দাও যত বিভ্রান্তি
তুর ইত্যাদি না পরদা যত তুলে নাও
অভ্যন্তরে চলে যাই
বিলীন থাকি
যেমন XX আর XY একে অন্যে মিশে এক হয়
জেনো, একের বেশি নও তুমিও@মণি জুয়েল
