Monday, 9 August 2021

ভক্তি বিষয়ক

"ভক্তি"। একটা ব্যাপার। আমি এখন ১৫০০ ইংরেজি সালের আগের কথা বলছি না। বলছি ১৫০০ ইংরেি সালের পর থেকে এখন(২০২১) পর্যন্ত "ভক্তি"(আন্দোলন)র। আপনার সবাই জানেন এর ভালো দিক। সাথে সাথে এও জানেন সব কিছুই দুই দিক রাখে। আপনি কোন দিকে আছেন তার উপর নির্ভর করে। যাইহোক... সেসব ফেসবুকে লেখার বিষয় না। আমি ব্যাক্তিগতভাবে এই "ভক্তি" ব্যাপারটা অপছন্দ করি, দৃষ্টিভঙ্গীগত কারণে। তার মানে এই না যে আমি কবির নানক এঁদের অপছন্দ করি। পছন্দ করি। আরও বলে রাখি আমি ভক্তির বিপক্ষে একদমই না। দেখুন এখানে র ভক্তি "...." মধ্যে নেই।

আমি এখন এই পোস্ট লিখছি কারণ গতকাল #গুরুদেব #কবিগুরু #বিশ্বকবি নোবেল জয়ী বিশ্বভারতীর উপাস্য স্বর্গীয় #রবীন্দ্রনাথ #ঠাকুর মহাশয়ের পূর্ব পুরুষদের কিছু  বিষয় লিখেছিলাম। সেই পোস্ট তাঁকে উদ্দেশ্য করে না। আমার উদ্দেশ্য ছিলো শুরুতে বলা "ভক্তি"। এখনও বলছি এই "ভক্তি" অসার, বাকোয়াস।

"ভক্তি"র শুরু ছিলো ঈশ্বরকে মানুষের পর্যায়ে নিয়ে আসা। আর এদের ভক্তি এখন  মানুষকে ঈশ্বর পর্যায়ে নিয়ে গেছে! আরো একটা কথা বলে রাখি - পৃথিবীর যেকোনো বড়ো মানুষের সবচেয়ে বড়ো ক্ষতি করেছে তার ভক্তরাই। মিলিয়ে দেখে নেবেন। না মিললে জানবেন আপনার ভুল হচ্ছে। আচ্ছা .. মা ব্যাপারটা নেগটিভ না পজিটিভ? যাইহোক... একটা কথা সবাই জানেন সব নেগেটিভ'ই পজিটিভএর সাথে সাথে বর্তমান।  মানে তারা একা না।

বাদ দিন এসব অকেজো কথা।

মূল কথা হলো আমাদের উচিত অন্ধত্ব থেকে নিজেকে বের করে আনা। যদিও অন্ধত্ব ব্যাপারটা সম্পূর্ণ ফ্যালনা এমন না।

এখন আপনি যে বড়ো মানুষটির ব্যাপারে নিজের অন্ধ ভক্তি উজাড় করে ঢেলে দেবেন তাতে বড় মানুষটি বাড়তি বড়ো হয়ে যাবেন না, আপনিও না। কিম্বা কেউ যদি কোনো বড়ো মানুষটিকে খাটো করেন তাতেও তিনি বাড়তি খাটো হয়ে যাচ্ছেন না, বরং যে করবে সেই। কিন্তু যদি সজাগ থেকে তাঁকে ধারণ করেন তাহলেই তিনিও সফল হবেন মানে তাঁর সারাজীবনের কর্ম, সাথে সাথে আপনিও। যা যেমন যতো, তা তেমন ততো, দেখতে শুনতে ধারণ করতে চেষ্টা করাই শিক্ষা জ্ঞান বিজ্ঞানের উদ্দেশ্য।

আর একটা কথা বলে নিই আমাদের বড়ো শত্রু হচ্ছে আমাদের মাপকাঠি। এটা ভেঙে ফেলা দরকার। কারণ আমাদের মাপকাঠির মধ্যেই সব মাপ ধরা পড়বে এমন না। তাছাড়া যে মাপকাঠি তে সাধারণ আমরা অন্য দের মেপে দেখার চেষ্টা করি সেই মাপকাঠি টা কিভাবে মাপবো? এটাও জানতে হবে। তার থেকে মাপামাপি বাদ দিয়ে যা যেমন তা তেমন থাকুক। ব্যক্তিরা সবাই অনন্য।
মানুষকে সমীহ করা মানুষের মানবিকতার দ্বিতীয় সিড়ি। আর মানুষকে সমীহ করতে প্রথমে "মা"কে সমীহ করতে জানতে হবে। আর মাকে সমীহ করতে জানতে হলে নারী রমণী মহিলাদের সমীহ করতে জানতে হবে। মানুষ বানানটা খেয়াল করুন, প্রথমে মা পাবেন। @মণি জুয়েল

No comments:

Post a Comment