উপমহাদেশীয় সমাজে বিয়ে বা অন্য বড়ো অনুষ্ঠান হলে সোনা মণি মানিক্য ইত্যাদি সম্প্রদান করার আনন্দদায়ক খুব সুন্দর একটা চল আছে। এরকম সুন্দর কারণে আজকে কিছু কথা মনে আসলো। পৃথিবীর যাই মনে আসুক নিজের নামটা কোনো অবস্থাতেই ভুলে যাই না। আপনার সবাই দেখতে পাচ্ছেন আমার নাম মণি জুয়েল। আসুন আমার নামটা নিয়ে কথা বলি। Jewel এর অর্থ হলো মণি মানিক্য। কিন্তু মণি মানিক্য ব্যাপারটাকে ইংলিশ শব্দে Jewel বলে কেন?
খেয়াল করুন JEWEL. শব্দটি থেকে ELসরিয়ে নিন। ওখানে পাবেন JEW. Jew মানে ইহুদি। কি হলো, আমি ভুলভাল বলতে লাগলাম তাই না? আচ্ছা একটু Wait করুন। আসুন EL(IL) অর্থ জেনে নিই। IL বা EL হলো আব্রাহামিকদের আল্লাহ( উপাস্য) বা তেমন কিছু। আব্রহাম বা ইব্রাহিম নবীর পুত্র ইসমাইল এর নামে ইল কেন জানতে চেষ্টা করুন খুব ভেতরে গিয়ে ঠিক বুঝতে পারবেন আরো অনেক কিছু। ইসম আছে ইল আছে।
যাইহোক....এর সাথে Jewel এর সম্পর্ক কি? সম্পর্ক হলো পুঁজির যা এখনকার পুঁজিবাদ। কিম্বা লক্ষী আর স্বরস্বতির দ্বন্দ্ব, মানে ইলম আর পুঁজির মধ্যে লড়াই। কেমন করে? আপনার যারা ইহুদী খৃষ্টান ইসলাম ধর্ম পড়েছেন এবং ইতিহাস সম্মতভাবে পড়েছেন তারা ভালো জানবেন(যদিও এভাবে পড়েছেন এমন মানুষের সংখ্যা বাংলা ভূখণ্ডে আমার জানা নেই-ই বলা যায়)। আসুন আরও সহজ করে বলি - পৃথিবীর সেরা বই কোরআন এ আপনরা ইহুদী নবী ( খৃস্টান, মুসলিমদেরও) নবী মুসা র কথা পড়তে পাবেন, সাথে পাবেন হারুনের কথা। যেখানে নবী জ্ঞান প্রজ্ঞার জন্যে সাধনায় ডুবে ছিলেন কথা দিয়ে গেছিলেন তিনি ইলমের বস্তুরূপ সাথে ফিরবেন। কিন্তু ৩০ দিন বলে তিনি গেলেও তাঁকে থাকতে হয়েছিলো ৪০ দিন। পরে কখনও মন চাইলে বলবো তবে জেনে রাখুন মানুষের জীবনে ৪০ মিনিট দিন বছর ইত্যাদি খুব গভীর ভূমিকা রাখে। ৪০ ব্যাপারটা একটা বিশেষ ব্যাপার।
যাইহোক... ১০ দিন দেরি করায় মূসা যাদেরকে পুঁজির উপাসক থেকে বদলে জ্ঞানের উপাসক করার জন্য জড়ো করেছিলেন তারাই তখন মুসার পথ ত্যাগ করে আগে যেমন পুঁজির উপাসনা করতো সেই একই কার্যকলাপ শুরু করলো। মানে সোনা দানা দিয়ে ঈশ্বর গড়ে তুলে তার উপাসনা শুরু করলো। এই হলো JEWEL, JEW+EL. যা থেকে মূসা ওদেরকে দূরে সরিয়ে জ্ঞানের জগতে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। আপনারা গবেষণামূলক পড়াশুনা করলে দেখতে পাবেন মূসা নবী অন্যতম জ্ঞান বিদ্যা বুদ্ধি ও তথ্যের অধিকারী ছিলেন। তারপর পৃথিবীতে মাত্র দুজন অমন মানুষ পৃথিবীতে এসেছেন। বাকিরা আংশিক।
উল্লেখ্য: তারা আগে থেকেই দখলদারী চালিয়ে সোনা দানা মণি মানিক্য জড়ো করে বেড়াতো। এখন পর্যন্ত তারা সম্পদে পূর্ণ।
দ্রঃ কোনো তথ্যই নিজে পরীক্ষা না করে গ্রহণ করবেন না। আবার না জেনে বিরোধিতা করবেন না। দরকারে বেশি বেশি পড়ুন, চেষ্টা করুন শব্দের গোড়া পর্যন্ত, কারণ শব্দ ইতিহাস ধারণ করে আছে। পাঠক পাঠিকাদের অধিকার আছে আমার পোস্টের ভুল ধরিয়ে দিয়ে আমাকে সংশোধন করে দেয়ার। যদি আপনার পরীক্ষার পর আমার দেওয়া তথ্যগুলো সঠিক মনেহয় তবে জানবেন আপনার সেই জেনে নেওয়ার পেছনে আমি দাঁড়িয়ে আছি। হাহাহাহা.... একটু মজা করলাম বন্ধুরা, আপনার জ্ঞান বিদ্যা তথ্য তত্ত্বে শুধু আপনার অধিকার। ভালোবাসা সবাইকে।