Tuesday, 31 August 2021

কেউ ভুল ধরিয়ে দিলে খুশি হবো।

উপমহাদেশীয় সমাজে বিয়ে বা অন্য বড়ো অনুষ্ঠান হলে সোনা মণি মানিক্য ইত্যাদি সম্প্রদান করার আনন্দদায়ক খুব সুন্দর একটা চল আছে। এরকম সুন্দর কারণে আজকে কিছু কথা মনে আসলো। পৃথিবীর যাই মনে আসুক নিজের নামটা কোনো অবস্থাতেই ভুলে যাই না। আপনার সবাই দেখতে পাচ্ছেন আমার নাম মণি জুয়েল। আসুন আমার নামটা নিয়ে কথা বলি। Jewel এর অর্থ হলো মণি মানিক্য। কিন্তু মণি মানিক্য ব্যাপারটাকে ইংলিশ শব্দে Jewel বলে কেন?

খেয়াল করুন JEWEL. শব্দটি থেকে ELসরিয়ে নিন। ওখানে পাবেন JEW.  Jew মানে ইহুদি। কি হলো, আমি ভুলভাল বলতে লাগলাম তাই না? আচ্ছা একটু Wait করুন। আসুন EL(IL) অর্থ জেনে নিই। IL বা EL হলো আব্রাহামিকদের আল্লাহ( উপাস্য) বা তেমন কিছু। আব্রহাম বা ইব্রাহিম নবীর পুত্র ইসমাইল এর নামে ইল কেন জানতে চেষ্টা করুন খুব ভেতরে গিয়ে ঠিক বুঝতে পারবেন আরো অনেক কিছু। ইসম আছে ইল আছে।

যাইহোক....এর সাথে Jewel এর সম্পর্ক কি? সম্পর্ক হলো পুঁজির যা এখনকার পুঁজিবাদ। কিম্বা লক্ষী আর স্বরস্বতির দ্বন্দ্ব, মানে ইলম আর পুঁজির মধ্যে লড়াই। কেমন করে? আপনার যারা ইহুদী খৃষ্টান ইসলাম ধর্ম পড়েছেন এবং ইতিহাস সম্মতভাবে পড়েছেন তারা ভালো জানবেন(যদিও এভাবে পড়েছেন এমন মানুষের সংখ্যা বাংলা ভূখণ্ডে আমার জানা নেই-ই বলা যায়)। আসুন আরও সহজ করে বলি - পৃথিবীর সেরা বই কোরআন এ আপনরা ইহুদী নবী ( খৃস্টান, মুসলিমদেরও) নবী মুসা র কথা পড়তে পাবেন, সাথে পাবেন হারুনের কথা। যেখানে নবী জ্ঞান প্রজ্ঞার জন্যে সাধনায় ডুবে ছিলেন কথা দিয়ে গেছিলেন তিনি ইলমের বস্তুরূপ সাথে ফিরবেন। কিন্তু ৩০ দিন বলে তিনি গেলেও তাঁকে থাকতে হয়েছিলো ৪০ দিন। পরে কখনও মন চাইলে বলবো তবে জেনে রাখুন মানুষের জীবনে ৪০ মিনিট দিন বছর ইত্যাদি খুব গভীর ভূমিকা রাখে। ৪০ ব্যাপারটা একটা বিশেষ ব্যাপার।

যাইহোক... ১০ দিন দেরি করায় মূসা যাদেরকে পুঁজির উপাসক থেকে বদলে জ্ঞানের উপাসক করার জন্য জড়ো করেছিলেন তারাই তখন মুসার পথ ত্যাগ করে আগে যেমন পুঁজির উপাসনা করতো সেই একই কার্যকলাপ শুরু করলো। মানে সোনা দানা দিয়ে ঈশ্বর গড়ে তুলে তার উপাসনা শুরু করলো। এই হলো JEWEL, JEW+EL. যা থেকে মূসা ওদেরকে দূরে সরিয়ে জ্ঞানের জগতে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। আপনারা গবেষণামূলক পড়াশুনা করলে দেখতে পাবেন মূসা নবী অন্যতম জ্ঞান বিদ্যা বুদ্ধি ও তথ্যের অধিকারী ছিলেন। তারপর পৃথিবীতে মাত্র দুজন অমন মানুষ পৃথিবীতে এসেছেন। বাকিরা আংশিক।
উল্লেখ্য: তারা আগে থেকেই দখলদারী চালিয়ে সোনা দানা মণি মানিক্য জড়ো করে বেড়াতো। এখন পর্যন্ত তারা সম্পদে পূর্ণ।

দ্রঃ কোনো তথ্যই নিজে পরীক্ষা না করে গ্রহণ করবেন না। আবার না জেনে বিরোধিতা করবেন না। দরকারে বেশি বেশি পড়ুন, চেষ্টা করুন শব্দের গোড়া পর্যন্ত, কারণ শব্দ ইতিহাস ধারণ করে আছে। পাঠক পাঠিকাদের অধিকার আছে আমার পোস্টের ভুল ধরিয়ে দিয়ে আমাকে সংশোধন করে দেয়ার। যদি আপনার পরীক্ষার পর আমার দেওয়া তথ্যগুলো সঠিক মনেহয় তবে জানবেন আপনার সেই জেনে নেওয়ার পেছনে আমি দাঁড়িয়ে আছি। হাহাহাহা.... একটু মজা করলাম বন্ধুরা, আপনার জ্ঞান বিদ্যা তথ্য তত্ত্বে শুধু আপনার অধিকার। ভালোবাসা সবাইকে।

Friday, 27 August 2021

দুপার দূরত্বের স্রোত শীৎকারে কাঁদছে

বই-য়ের মধ্যে আঙ্গুল ডুবিয়ে আমি ভিজেছি
ওদিকে তুমিও
কলম নিয়ে তালুতে
তুমি ভিজে গেছো, ভিজে যাচ্ছো...
কলমটা নিয়ে তালুতে

এখন রাত
সঙ্গীহীন মাঝরাত

.
দূর কোত্থেকে দরবারী ভেসে আসছে

.
চাঁদহীন এই রাত
তবুও রাত

ঝিঁ'ঝিঁ ডেকে-ই যাচ্ছে
জেগে আছি, তুমি' জেগে আছো
খুবই ইচ্ছে করছে
কিছু লিখতে
চোখ বন্ধ মুঠোয় ক্রমশঃ ভেতরে ঢুকে যাচ্ছি

দুপার দূরত্বের স্রোত শীৎকারে কাঁদছে@মণি জুয়েল

কিন্তু আমি তো জানি এখন বর্ষা

তাকে আমি কি বলতে পারি, যে আমার ঘুম কেড়ে
লাস্য-ঘাড় নেড়ে
আমাকেই জিজ্ঞেস করে-
হ্যাঁ গো এখনও সকালে দেরীতে জাগো!
আহ্...কি'ই বলি আমি তাকে?

মনের সবটা
যে দখল করে নিয়েছে,২

.
সেই আজ জিজ্ঞেস করছে ভালো আছো তো!

.
যা কবে হারিয়ে গেছে!২
এখন শূন্যতা

নিরবে দেখছি আকাশটাকে
ভাবছি- তাকে কিছু জিজ্ঞেস করবো!
কিন্তু, কাক বসে আছে
ওই শিমুল গাছে
তাকে জিজ্ঞেস করতে পারি? এখন কি ফুল ঝরে?

কিন্তু আমি তো জানি এখন বর্ষা@মণি জুয়েল

Tuesday, 24 August 2021

এসো প্রতিষ্ঠা দিই ঠিক যেমন রেসের অশ্বেরা

মালাঙ জিন্দেগি জানো? আসলে অনেক কিছুই জানো না
নইলে জেনেই যেতে
আমার অবস্থা আমার দুরাবস্থা
ওরা যেমন কলান্দরি ধামাল শোনে ধারণ করে
দাড়িয়ে দাড়িয়ে মাথা দোলায় মস্ত

.
বাড়তে থাকে মগ্নতা
তেমনই আমি, আমার প্রত্যঙ্গ

.
অস্ফুটে হু'তে জেগেই থাকে ওই একের একাকীত্ব

.
কাঁপুনি দিয়ে যায় অন্তরঅঙ্গে
বাড়তে থাকে মগ্নতা

.
একা একা একাকিত্বে আমিও মস্ত...
ভয় পাই, অনাগত পরবর্তী, পথের ভুল না করে
তুমি কি বুঝতে পারছো দুরাবস্থা?
চাও পথভ্রষ্ট করতে?
আমি আর কিছুই চাই না, তোমার পথ আর অনন্ত সীমানা

এসো প্রতিষ্ঠা দিই ঠিক যেমন রেসের অশ্বেরা@মণি জুয়েল

Wednesday, 18 August 2021

ওহ্ স্বপ্ন আমার

তোমাকে দেখলে আমার সমস্ত ইচ্ছেরা বেড়ে যায়
কি করবো
করার কিছুই থাকে না
আঙুল, কলম আর বেহালার ছড়
এছাড়া আমার কিছুই না

খুব ইচ্ছে করে
আমি তবলা বাজাই

.
দুই খিরণ তালুতলে! খেলে যাক আঙুল

.
স-মস্ত বাঁশি বাজাই
ঠোঁট ভিজিয়ে

কিন্তু আমার তো কিছু না
দু-দিকে ছড়ানো শুভ্র-খাতা_উর্বর
কোনোটাই আমার না
কি করবো!
তাই অতৃপ্ত যত কাব্য কল্পনারবেহালায় ভেসে যায়

ওহ্ স্বপ্ন আমার@মণি জুয়েল

আসলে শূন্যতার রঙ'ই নীল

সাগরকে দুর থেকে দেখলে লিপ্সু-নীলই মনেহয়
অযুত তরঙ্গ
সীমান্তে সুডৌল সৌন্দর্য
উন্মুক্ত V-উপত্যকা, কিম্বা গিরিখাত
ভিজছে ভিজেগেছে দুলছে

সাধারণত তাই।
কিন্তু, আসলে তা নয়

.
বেরঙ সাগরও নিভৃতে, স্রোতের শুরু খুঁজছে

.
আভাস পাওয়াই যায়
লোনা সিক্ততায়

পিনাগ্রে তৃষ্ণা জেগে আছে
নুনজল ও মাটির ঘর্ষণে উদ্ভূত শ্বেত...
মনে হতেই পারে- কামার্ত,
সম্ভোগে প্রমত্ত।
মাথা উঁচিয়ে তাকালে মহাশূন্য নীলই দেখা যায়

আসলে শূন্যতার রঙ'ই নীল@মণি জুয়েল

শ্বাসে দুলুক মানপাতা, মান-দণ্ড হতে ভালবাসি

আমাকে অমর কোরো না, আমি মৃত্যুকে ভালবাসি
খুনি কোরো না
বয়ে যেতে ভালবাসি
তোমার তীরচোখ আমাকে মেরে দিক।
তুমি দেখো, দেখতেই থাকো-

মরণের স্পন্দন।
ভিজে যাক, এ পৃথিবী

.
আমার তরবারী ডুবে যাক তোমার নেয়ামে

.
ভিজে যাক, এ পৃথিবী
হউক উৎপাদন

এ আমাকে কুয়োতেই রাখো
অজ্ঞ-প্রাজ্ঞ'রা অতলান্তে সাঁতার দিক।
তুমি এস হে সম্রাজ্ঞী
দেরী করো না
এস, ভেজা দুবড়িতে দীর্ঘ-ঈ নির্মাণ করি, মুখ রাখি

শ্বাসে দুলুক মানপাতা, মান-দণ্ড হতে ভালবাসি@মণি জুয়েল

Monday, 16 August 2021

দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবেসে

এখন সারা পৃথিবী তাকিয়ে আছে আফগানস্থানের দিকে। আফগানস্থানে তালিবান'রা ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছেন। কিন্তু রাষ্ট্রের ক্ষমতায় শুধু বসে গেলেই হয় না। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির একটা বিশেষ দরকার পড়ে। মানে কিছু সার্বভৌম রাষ্ট্রের সমর্থন দরকার পড়ে নিজের পক্ষে। এরকম অবস্থায় বৃটিশ প্রধান আহবান জানিয়েছেন তালিবানদের বৈধতা না দিতে। অন্য দিকে রাশিয়া তার দূতাবাস চালু রেখেছে আফগানস্থানে। তালিবানদের একটু সমস্যা হয়েছে তুর্কির সাথে, এটা মিটে যেতে পারে পাকিস্তানের মধ্যস্থতায়। এসব কথা আপাতত বাদ থাক। আগে মূল দিক বলে নিই।
তালেবানরা মূলত সুন্নি মতাদর্শের, বলা যেতে পারে খানিকটা দেওবন্দী আন্দোলনের ফলাফল ওরা ধারণ করেন। কিন্তু ওয়াহাবী আন্দোলনের মতাদর্শ তাঁরা খুবই বিশেষভাবে গ্রহণ করেন নি। এ হলো সাধারণ ধারণা। সময়ের সাথে সাথে তাঁরা নিজেদের চেঞ্জ করেছেন স্বাভাবিক নিয়মে। শিয়া সুন্নি যে ভেদাভেদ ছিলো সেটা অনেকটা কেটেছে। এখন তালবানে শিয়া সুন্নি উভয় পক্ষের লোকজনই আছেন। সেই সূত্র ধরে ইরানের সাথে তালিবানের সম্পর্ক আর খারাপ না। ফলে ধরে ধরে নেওয়া যায় ইরান তালিবানদের সমর্থন করবে। আর তাদের একটু সমস্যা এখানেই, যা হলো সৌদি আরব আর আরব আমিরাত তালিবানদের ক্ষমতা বিষয়ে কেমন অবস্থান নেয়। কারণ ইরানের সাথে একটা বড়ো দ্বন্দ্ব আছে সৌদির।

বলা যায় এদ্দিন পর্যন্ত আরব তেমন কিছুই বলে নি বা করে নি তালিবান বিষয়ে। এদিকে চীন দেশটি এশিয়ায় দাপট দেখাচ্ছে। ফলে তালিবানরা চীনের সাথে রাজনৈতিক সুসম্পর্ক গড়ে তুলবেন। চীনও।
উপরে আমি ইরান, তুর্কি, সৌদি, আমিরাত, চীন এই পাঁচটি দেশের কথা বললাম তালিবানদের কেন্দ্র করে। এই পাঁচ পক্ষ ও তালিবান পক্ষের মাঝখানে যে দেশটা দাঁড়িয়ে আছে সেটা হলো পাকিস্তান। দেখে শুনে ধারণা করা যায় তালিবানরা খুব একটা ঝামেলায় পড়বেন না। আরো একটা কথা OIC- মূল পাওয়ারগুলোর একটি পাকিস্তান। ফলে ওআইসি-র কিছু দেশ তালিবানদের পক্ষে আসবে বলে ধরে নেওয়া যায়। এগুলো খুবই সাধারন সাদামাটা কথা বললাম।

কিন্তু এখন বিশেষ আলোচ্য আমরা কেমন অবস্থান নেবো, মানে আমার দেশ কেমন সিদ্ধান্ত নেবে? জানি, যারা আমাদের পরিচালক আছেন তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন। আন্তর্জাতকবিষয়ক যেকোনো সিদ্ধান্তে সাধারণত জনমতের তেমন ডিরেক্ট ভূমিকা থাকে না। তবে থাকেই না এমন না। থাকলে আবার খুব বেশি থাকে। তবে তার জন্য রাজনীতি সচেতন নাগরিক সংখ্যার আধিক্য দরকার। তবে যাই সিদ্ধান্ত নিন না কেন তা অবশ্যই দেশের জনমতের ভিত্তি করে হয়। আশা রাখি আমার দেশ সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে, দায়িত্বশীলরা সঠিক পদক্ষেপ নেবেন। আমার মতো করো পরামর্শ তেমন গুরুত্ব রাখে না। তবুও একটু বলি - আমাদের উচিত ২০১৪ সালের পর থেকে আমাদের দেশীয় মুসলিমদের উপরে যে হিন্দুত্ববাদী অত্যাচার চলছে তা বন্ধ করে তাদের আলিঙ্গনে আনার চেষ্টা করা।গরুর মাংস সন্দেহে পিটিয়ে মারা, "NRC করে মুসলিমদের তাড়াবো" এ জাতীয়  বাজারে চালু অসাংবিধানিক কথা ও কাজগুলো বন্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। যারা রাজনীতি জানেন তারা জানেন যেকোনো দেশের সব চেয়ে বড় সম্পদ তার জনগন। আর ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যা হলো মুসলিম। মুসলিমরা ভারতে সংখ্যাগুরুদের তুলনায় সংখ্যালঘু হলেও তাঁরা পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ মতাদর্শ ইসলামের ফলোয়ার। যে ইসলামের ব্যাপ্তি সারা পৃথিবীতে। এরকম অবস্থায় এই মুসলিমরাই পারেন দেশকে বহিঃশত্রুর হাত থেকে রক্ষা করতে। কারণ তাঁদের নবী তাঁদেরকে শিখিয়েছেন দ্বীনের সবচেয়ে বড়ো কাজের মধ্যে অন্যতম বড়ো কাজ নিজের মাতৃভূমিকে উন্নত করা, রক্ষা করা। তার মানে আমি সংখ্যাগুরুদের পাত্তা দিচ্ছি না এমন কিন্তু মোটেও না। আমি বলছি একসাথের মিলেমিশে'র কথা। রাজনীতি সচেতনরা ঠিকই বুঝবেন। @মণি জুয়েল

#মতামত  #আন্তর্জাতিক_রাজনীতি, #দেশ_ও_পড়শি

Saturday, 14 August 2021

দাম কতো, জানি, কারণ ওরা বিক্রি হয়

প্রায়ই প্লাস্টিকের রঙ বেরঙের ফুলগুলো শুঁকি।
সুগন্ধি বারান্দায়
পারফিউম"-এর সুগন্ধে
প্রায়ই, অনেকেই, বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন
ওসবের দারুণ শিল্প সাফল্যে

কিন্তু, কৃত্রিম
ধরা পড়ে, পরখে-ই

.
তুমি ভাবছিলে তোমাকে কল্পনা করি! নাহ্

.
তুমি ভাবতে পারো?
আমি কৃত্রিমে....

কন্ঠে নিতেই পারি ফুল-মাল্য
নিই'ও আদরে। কিন্তু মালিরা জানেন-
ফারাক সফল-সাফল্যের।
শিল্প্বিজ্ঞাপনতায়
ওদের গায়ে ল্যাপ্টানো সার্টিফিকেটগুলো দেখি।

দাম কতো, জানি, কারণ ওরা বিক্রি হয়@মণি জুয়েল

Friday, 13 August 2021

ভৌতিক? দৈহিক? যদি নয় তবে কি? জানো?

এখনও আমি ঘরের সব আলোই বন্ধ করে দিই
অতঃপর...
নিশ্চয়ই বুঝে গেছো।
কারণ, জানো, আমার সব কিছুই
বাইরের আলো'রা জ্বলছে

নেই অন্যথায়
অস্থাবর আমার রুহ
.

শরীরের জন্যই উদগ্রীব হয়ে ওঠে

.
গৃহ-হীন আমার রুহ
তোমাকে চায়

ক্রমশঃই দেহ ছেড়ে দিচ্ছে
কারণ, জানো, আমার সব কিছুই...
নিশ্চয়ই বুঝে গেছো-
অন্ধকার!
বিদ্যুৎ পোলের মাথা বেয়ে আলো ঝরছে অথই!

ভৌতিক? দৈহিক? যদি নয় তবে কি? জানো? @মণি জুয়েল

Monday, 9 August 2021

তোমার জানালার আলোয়

মুখ খুলে তোমার ড্রেসিং টেবিলে দাঁড়িয়েই আছে
লিপ-স্টিক।
কচি জাম পাতা জোড়া-
কতবার ছোঁয়া পাচ্ছে, কিন্তু আমি না!
কিন্তু আমার তো ইচ্ছে করছে

যদিও নিরুপায়
কিন্তু আলিফ হয়ে আছি

.
খুব ঝড় উঠছে বিদ্যুৎ-ও খেলে যাচ্ছে

.
ফোঁটায় ফোঁটায় ভিজছি
যদিও নিরুপায়

মান পাতা উঠছে আর নামছে
ঠিক উদোম_তোমার_পিঠের মতোন!
কেন্দ্রে তার পোক্ত কাণ্ড,
সুঠাম স্ট্রিক্ট!
ঘাসমাটির অনেকটা গভীর পর্যন্ত ওটা চলে গেছে

তোমার জানালার আলোয়@মণি জুয়েল

হ্যাঁ আমি মধ্যপথের কথা বলছি

দরজা খুললে তবেই এ শহরে প্রবেশ করা যায়
একটু থামো
ব্যাপারটা মধ্যযুগীয়!
আমি মধ্য-পথের কথাই বলছি যদিও
ডান-বাম দুদিকে চলে যাক

বিদ্যুৎ খেলুক,
আমি হেঁটেই যাচ্ছি...

.
আমি পৌঁছুতে চাই, ওই দরাজ-দরজায়!

.
আমি হেঁটেই যাচ্ছি,
বৃষ্টিও ঝরছে-

ভিজে যাচ্ছে ত্বক, ক্রমশঃই
প্রসংশিত-উত্তাপে সিক্ত হচ্ছি আমিও
এসব আদিম জাতীয়?
ভাবতে পার!
হেঁটেই যাচ্ছি পথে, যে পথ শান্তির সান্নিধ্য দেয়

হ্যাঁ আমি মধ্যপথের কথা বলছি@মণি জুয়েল

ভক্তি বিষয়ক

"ভক্তি"। একটা ব্যাপার। আমি এখন ১৫০০ ইংরেজি সালের আগের কথা বলছি না। বলছি ১৫০০ ইংরেি সালের পর থেকে এখন(২০২১) পর্যন্ত "ভক্তি"(আন্দোলন)র। আপনার সবাই জানেন এর ভালো দিক। সাথে সাথে এও জানেন সব কিছুই দুই দিক রাখে। আপনি কোন দিকে আছেন তার উপর নির্ভর করে। যাইহোক... সেসব ফেসবুকে লেখার বিষয় না। আমি ব্যাক্তিগতভাবে এই "ভক্তি" ব্যাপারটা অপছন্দ করি, দৃষ্টিভঙ্গীগত কারণে। তার মানে এই না যে আমি কবির নানক এঁদের অপছন্দ করি। পছন্দ করি। আরও বলে রাখি আমি ভক্তির বিপক্ষে একদমই না। দেখুন এখানে র ভক্তি "...." মধ্যে নেই।

আমি এখন এই পোস্ট লিখছি কারণ গতকাল #গুরুদেব #কবিগুরু #বিশ্বকবি নোবেল জয়ী বিশ্বভারতীর উপাস্য স্বর্গীয় #রবীন্দ্রনাথ #ঠাকুর মহাশয়ের পূর্ব পুরুষদের কিছু  বিষয় লিখেছিলাম। সেই পোস্ট তাঁকে উদ্দেশ্য করে না। আমার উদ্দেশ্য ছিলো শুরুতে বলা "ভক্তি"। এখনও বলছি এই "ভক্তি" অসার, বাকোয়াস।

"ভক্তি"র শুরু ছিলো ঈশ্বরকে মানুষের পর্যায়ে নিয়ে আসা। আর এদের ভক্তি এখন  মানুষকে ঈশ্বর পর্যায়ে নিয়ে গেছে! আরো একটা কথা বলে রাখি - পৃথিবীর যেকোনো বড়ো মানুষের সবচেয়ে বড়ো ক্ষতি করেছে তার ভক্তরাই। মিলিয়ে দেখে নেবেন। না মিললে জানবেন আপনার ভুল হচ্ছে। আচ্ছা .. মা ব্যাপারটা নেগটিভ না পজিটিভ? যাইহোক... একটা কথা সবাই জানেন সব নেগেটিভ'ই পজিটিভএর সাথে সাথে বর্তমান।  মানে তারা একা না।

বাদ দিন এসব অকেজো কথা।

মূল কথা হলো আমাদের উচিত অন্ধত্ব থেকে নিজেকে বের করে আনা। যদিও অন্ধত্ব ব্যাপারটা সম্পূর্ণ ফ্যালনা এমন না।

এখন আপনি যে বড়ো মানুষটির ব্যাপারে নিজের অন্ধ ভক্তি উজাড় করে ঢেলে দেবেন তাতে বড় মানুষটি বাড়তি বড়ো হয়ে যাবেন না, আপনিও না। কিম্বা কেউ যদি কোনো বড়ো মানুষটিকে খাটো করেন তাতেও তিনি বাড়তি খাটো হয়ে যাচ্ছেন না, বরং যে করবে সেই। কিন্তু যদি সজাগ থেকে তাঁকে ধারণ করেন তাহলেই তিনিও সফল হবেন মানে তাঁর সারাজীবনের কর্ম, সাথে সাথে আপনিও। যা যেমন যতো, তা তেমন ততো, দেখতে শুনতে ধারণ করতে চেষ্টা করাই শিক্ষা জ্ঞান বিজ্ঞানের উদ্দেশ্য।

আর একটা কথা বলে নিই আমাদের বড়ো শত্রু হচ্ছে আমাদের মাপকাঠি। এটা ভেঙে ফেলা দরকার। কারণ আমাদের মাপকাঠির মধ্যেই সব মাপ ধরা পড়বে এমন না। তাছাড়া যে মাপকাঠি তে সাধারণ আমরা অন্য দের মেপে দেখার চেষ্টা করি সেই মাপকাঠি টা কিভাবে মাপবো? এটাও জানতে হবে। তার থেকে মাপামাপি বাদ দিয়ে যা যেমন তা তেমন থাকুক। ব্যক্তিরা সবাই অনন্য।
মানুষকে সমীহ করা মানুষের মানবিকতার দ্বিতীয় সিড়ি। আর মানুষকে সমীহ করতে প্রথমে "মা"কে সমীহ করতে জানতে হবে। আর মাকে সমীহ করতে জানতে হলে নারী রমণী মহিলাদের সমীহ করতে জানতে হবে। মানুষ বানানটা খেয়াল করুন, প্রথমে মা পাবেন। @মণি জুয়েল

Wednesday, 4 August 2021

হয়তো সূর্য হতে পারিনি তাই নদীতে ডুবতে পাই না

হ্যাঁ নতুন টুথপেস্ট টিউবের মতো আমার সকাল হয়
আমি জেগে উঠি
সদ্যযৌবনের যুবর মতো
সূর্য, লুকিয়ে লুকিয়ে ভেজা পৃথিবী দেখে
উত্তাপে ক্রমশ:ই  নিয়ন্ত্রণ হারায়।

সকাল হয়
ক্রমশঃ উত্তপ্ত দুপুরও
.

কিন্তু; দুপুরের আমি, বাঁশি বাজাতে পাই না
.

করতে পাই না স্নানও,
ওই ঝরনায়-

ভূঅঙ্গ চিরে যে স্রোত বয়ে যায়।
চাই- উজানের সাঁতার দিতে, সেই স্রোতে,
সাদা সাদা ইলিশের মতো-
মিঠা স্রোতে উঠি!
ইচ্ছে করে আঙুল ডুবাই, বিকেলের নদীর কিনারায়।

হয়তো সূর্য হতে পারিনি তাই নদীতে ডুবতে পাইনা@মণি জুয়েল

Monday, 2 August 2021

আহ্ সাগর থেকে এখন মাটিতে চলে এসেছি!

দুই একে অন্যে মিশে যাওয়ার পরেও মেশে না
বইতেই থাকে
নিজের নিজের পথে
তুমি  জানো-না এই সাগরের স্রোত?
এসো, তাহলে জেনে নিই।

মেঘ জমেছে
বিদ্যুৎ খেলে যাচ্ছে
.

বৃষ্টি ঝরে পড়ুক, বহিঃপ্রকাশ হউক
.

বিদ্যুৎ খেলে যাচ্ছে
মাটি কাঁপছে

এসো, এখনই ভিজে নিই।
তুমি কি জানো-না, জীবনের_স্রোত
বয়ে যায় নিবিড় পথে
বয়তেই থাকে-
কাদামাটির জমিতে। তুমি জলের টের পাও না?

আহ্ সাগর থেকে এখন মাটিতে চলে এসেছি!@মণি জুয়েল

Sunday, 1 August 2021

দাঁড়িয়ে আছি ডুবে যাওয়ার প্রাক্কালে

দাঁড়িয়ে আছি ডুবে যাওয়ার প্রাক্কালে

চল্লিশ মিনিটের ওই পথে হাঁটবো বলে বসে আছি
সকাল হয়েছে-
টুথপেস্টের লম্বা টিউবে
অতঃপর দন্ডায়মান দ্বিপ্রহরের উত্তাপ
উত্তাপে মাথা চোঁয়ানো জল...

ভিজে গেছি,
পুড়ে যেতে যেতে

.
ওদিকে তোমার জানালায় বিকেলে গড়াচ্ছে?

.
রোদ গলে পড়ছে
পুড়ে যাচ্ছি!

নদীর স্রোতময় সঙ্গুমে-জল
ক্রমশ: নিংড়ে নিচ্ছে লিপ্সুসূর্যের তাপ
বাতাসের কামুক নিশ্বাসে-
সন্ধ্যা ঘনাচ্ছে।
চল্লিশ মিনিটের ওই পথে হাঁটবো বলে বসে আছি

যে পথে পুরুষের মতো সূর্য ডুবে যাবে@মণি জুয়েল