Wednesday, 31 May 2017

থিসিস ডক্টর গেরুয়া

- মণি জুয়েল(Moni Jewel)

চিন্তাটা ওদের ঘুরিয়ে দাও। মেরে ফেলো,
ওদের মেরে ফেলো...
উঁচু করতেই মাথা, নুইয়ে দাও!
শুরু করো শুয়োর-রাজনীতি, গরুর।

মনে রেখো- এনফিল্ড" ভুলো না।

বর্জ্য গলাধঃকরণের জাত গিলে নেবে ঠিক।
চুবে যাবেই ঠিক। অন্ধের বংশধর-
তারোয়াল হাতে,
ধ্বনিতে ধ্বনিতে
মৃত্যুর জয়াকার,মরা মরা শ্রী মরা!
অতঃপর শ্বেত'চর্মের অবৈধরা? রাজাসনে!

সাবধান 1857" সাবধান একবিশ!

বলে দাও গড়ে দেবো দেবালয় মদ্যপ,
জুটে যাবেই পিপিলিকার দল
বর্জ্যের গন্ধে গন্ধে।
চিন্তাটা ওদেরে ঘুরিয়ে দাও, মেরে ফেলো।

****31.05.17-ধুলিয়ান-02:00দুপুর****

তোমার পলকে বন্দি আমি

- মণি জুয়েল(Moni Jewel)

ইয়ে মেরি জিন্দেগি তেরা প্যায়ার হে
জো তেরি খুশি ও.. মেরি খুশি হে
বস্ মেরি জেন্দেগি তেরা প্যায়ার হে-

যদি তুমি ডেকে নাও, যদি বলো ডুবে যাও
আমি হারাতে পারি
আমি ডুবে যেতে পারি,
তোমার এক পলকেই মিলিয়ে যেতে পারি
আমি তো জানি, আমি আমার নই, কেউ আমার নয়!
আমি বন্দি তোমার পলকে!
যদি পলক পড়ে যায়, যদি এ বাঁধন ছিড়ে যায় -
কি হবে!

ইয়ে মেরি জিন্দেগি তেরা প্যায়ার হে
জো তেরি খুশি ও.. মেরি খুশি হে ।।

যখন সামনে আসো, আয়নার মতো দাঁড়াও
আমি দেখতে থাকি...
আমাকেই আমি দেখি..
অপলকে পলকে! জানি, নিভে যেতে পারি
পলকে বন্দি, জীবন, আমার নয়, আমিও আমার নই!
বন্দি জীবন তোমার পলকে!
যদি পলক পড়ে যায়, যদি বাঁধন ছিঁড়ে যায়,
কি হবে!

কিউ কি জিন্দেগি তেরা প্যায়ার হে
জো তেরি খুশি ও.. মেরি খুশি হে
বস্ মেরি জিন্দেগি তেরা প্যায়ার হে।
     ।। 22.12.16/05:00সন্ধ্যে/ধুলিয়ান ।।
×উর্দু কথাগুলো নুসরত ফতে আলি সাহেবের গান থেকে নিয়েছি×

Monday, 29 May 2017

হিঁচড়ে ভাঙাতে ইঙ্কুবাস

- মণি জুয়েল(Moni Jewel)

কে কি খাবে, আমি কি খাবো, তা বলে দেবে তুমি!
কে হে তুমি হরিদাস-পাল?
এ কি তোমার বাপের সম্পত্তি?

কে দিয়েছে তোমায়, ফরমান অধিকার!
খাওনি তো থাপ্পড়!
দেখো, উঠে গেলে হাত, ফের, ছুটে না যায় লেংটি
ভিজে না যায় ফের, গেরুয়া বস্তিদেশ!
এ কি তোমার বাপের সম্পত্তি?

না কি রাজনামা মদ্যপ ত্রেতার?
গিলে খেয়ে মাথা অনুক্রম মাদকতায়
শুরু করেছো বনের উৎসব। কল্পের সোনারহরিণ?
কষে দুই'গালে চড়
জানে বীরকর, হিঁচড়ে ইঙ্কুবাস ভাঙাতে।

জাগো, জেগে যাওয়ার আগেই
তা নয়লে,লাথ চড় থাপ্পড়ে
খসে গেলে ত্রিশেক রক্ত চোয়ালে ফোকলা কাঁদবে!

****30.05.17-ধুলিয়ান- 01:00AM*****

Sunday, 28 May 2017

শব থেকে গেলো পড়ে

- মণি জুয়েল(Moni Jewel)

কাঁ কাঁ স্বরে কাকগুলো তখন ডাকছিলো,
সমবেত হয়ে দলে দলে;
মরে পড়ে থাকা কলমের কালির গন্ধে!

অশ্বত্থ গাছ, তাল গাছ, হুট্টুম গাছ
আরো কত পাড়া ঘুরে বেড়ানো কাকগুলো
সব,মিছিলে এসেছিলো।

মুগ্ধ হতেই হয় একতায়-
ওদের। শিখিয়ে দিয়ে যায় প্রগতি-সমবায়
গর্জে ওঠা মুষ্টি আকাশে বাতাসে।

কিন্তু, দৃশ্য বদলে গেলে, দৃষ্ট'ও বদলে!
ঠোঁকা মেরে খন্ড পুরে
কাঁ কাঁ স্বরে কাকগুলো, ফিরে গেলো সব...

****28.05.17-ধুলিয়ান-02:45PM****

Saturday, 27 May 2017

প্রবন্ধ

প্রেম, যৌনতা, কবি এবং কাব্য
_ মণি জুয়েল

আমাদের সমাজে এখন যৌনতা এক গোপন ব্যপার | গোপন থাকাই ভালো | তবে তার প্রকাশ আরো ভালো তা যদি শিল্প মিশিয়ে প্রকাশ হয় | পৃথিবীর সমস্ত সৃষ্টির মাঝে সবচেয়ে যা সুন্দর.সৃষ্টি তা হলো নারী | যেমন উদ্ভিদ জগতে সবচেয়ে সুন্দর হলো ফুল | তাই তো জ্ঞানী সমাজ ফুলকে নারীর সাথে নারীকে ফুলের সাথে তুলনা করে থাকেন | ফুল ছিঁড়ে নিলে যেমন অল্প সময় পরে তার সৌন্দর্য্য ঝরে পড়ে তেমনি নারীর.বেলাতেও সমান যত্ন নেওয়া দরকার তার সৌন্দর্য্য সুখ নিতে | ফুলের যেমন একটা নির্দিষ্ট সময় থাকে প্রস্ফুটিত হবার তেমনি নারীরও |
নারী সবচেয়ে সুন্দরী দেখায় 90শতাংশ নগ্ন অবস্থায়, যেমন ফুল! 
আর এই সৌনদর্য্য উপভোগ করার জন্য আদর্শ মন দরকার |

আমরা যদি খুব ভালো করে লক্ষ্য করি কোনো নারীর স্নানের সময়গুলো তাহলেই বুঝতে পারবো তার সৌন্দর্য্য | নারীকে সবচেয়ে সুন্দরী দেখায় উল ঙ্গ(প্রায়) অবস্থায় স্নান করার সময় | ঠোঁট বেয়ে থুতনি দিয়ে জল গড়ানো, সেই জল বয়ে যায় দেহ.বেয়ে | স্তনের বৃন্ত তখন যেন তরতরে আ ঙুর! সরু কোমরের যে বাঁক তাতে জলের এক অসাধারণ খেলা, কচি বাঁশের দুই বাঁকা গিঁটের সন্ধিস্থানের মতো হাঁটুর উপরি অংশ, আর কামনার নিবিড় অঙ্গ নিতম্বের আসল সৌন্দর্য্য সেই স্নানেই লক্ষ্য করা যায় | যাই হোক আমার আলোচনার বিষয় আজ তা নয় |

450খৃ:(আনুমানিক) আরবি সাহিত্যের সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্র কবি ইমরুল কায়েসের জন্ম | তাঁর আসল.নাম আবু হারিস হুন্দুজ ইবনে হুজ্র আল কিন্দি | কবির স্বভাবগত কারণে তার নাম 'ইমরুল কায়েস, যার বাংলা_ অটল পুরুষ | তাঁর ভবঘুরে জীবন যাপনের জন্য তাকে 'ভবঘুরে যুবরাজ'ও বলা হয়ে থাকে |
তিনিই প্রথম আরবী কবি যিনি  চঞ্চলা হরিণী এবং বন্য গাভীর সাথে নারীকে অসাধারণ ভাবে তুলনা করেছিলেন | সৌন্দর্য্য বর্ণনা ও তার গুনকীর্তন, নারী, রাতের বেলার দৃশ্য, বাতাস এবং বৃষ্টির যেমনভাবে চিত্রিত করেছেন সেইসময়কালে আরবে এমনকি অনেকের মতে পৃথিবীর সাহিত্যের ইতিহাসে খুব কমজন পেরেছিলেন |
নারীকে বর্ণনা করেছেন এমন -(অনুবাদ)

"ঈষত্ বাঁকায়ে গ্রীবা সেই বর-নারী
আমাকে দেখালো তার গালের নরম; অত:পর
তাকালো আমার.পানে, লাজ নম্র চোখের চাহনি |
বনের হরিণী সে-ও হার মানে যেন
মায়াময় সেই চাহনিতে"

"অনেক কুমারী নারী মুরগির ডিমের মতো
দাগহীন দেহের সৌষ্ঠব, আর কোনোদিন ভুলে
যাদের তাবুতে অন্য পুরুষের পদক্ষেপ পড়ে নি কখনো-
নির্বিঘ্নে করেছি খেলা সেইসব.রমণীর সাথে"
(অনুবাদ)

শুধুমাত্র তাই নয় ব্যথা বিরহ ও খুব সুন্দর প্রকাশ পেয়েছে তাঁর কাব্যে |

"আমি যখন ই কোনো বঁধুকে বলেছি- সে ভালো
তাকে দেখলেই পরাণ জুড়ায়, তখনি তাকে আর পাইনি!
আমার কপাল! আমার সাহচর্য্যে যেই আসুক না কেন,
হয় সে বদলে গেছে নয় তো হারিয়ে গেছে"

"তুমি তো বিরহ বিচ্ছেদের কারণ
বিষণ্ণ এতো ভগ্ন হৃদয় যে-
প্রেমের পথ ভুলে অন্য পথ ধরেছো"(আলকামা)

এই সময়ের কবিদের রচনাকে 'মুআল্লাকা' বলা হতো | যার অর্থ ঝুলন্ত কবিতা | সেই সময়ের নিয়ম ছিলো সেরা কবিদের সেরা কবিতাগুলো কাব্বা ঘরের দেওয়ালে ঝুলিয়ে রাখা | সেই থেকেই নাম 'ঝুলন্ত কবিতা' বা 'মুআল্লাকা'

এই মুআল্লাকাই ইমরুল কায়সের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি | যাতে তিনি রচনা শৈলি, প্রকাশ ভ ঙ্গী, অনুপম সুরা গজল রচনা, গুনকির্তন ও উপমা-উত্প্রেক্ষায় সমগ্র শক্তি নিয়োজিত করেছিলেন | তার সৃষ্টি শুধু জীবনের কথা নয় শিল্প নিপুনতার রাজকিয় প্রদর্শন |

এবার মূল আলোচনায় আসি - এই কবি প্রেমে.পড়েছিলো উনায়যা নামের এক মেয়ের | সমাজ কিন্তু  চিরদিন ই প্রেমে বাঁধা দিয়েছে, দেয় (হয়তো)দেবেও!
স্হানীয় লোক সমাজ উভয়কে সান্নিধ্য আসতে দেওয়ার পক্ষপাতি ছিলো না | সমাজ চায়তোনা কাব্য চর্চা হোক উনায়যা নিয়ে | জাহেলি যুগে শিক্ষায় গ্রহন করতে চায়তো না | জাহেলি যুগ মানে অন্ধকার কাল | সেই সমাজে প্রেম এবং তা কেন্দ্র করে কাব্য রচনাও ছিলো কলঙ্কের কারণ! 
কবি কিন্তু লোক চক্ষুর অন্তরালে দেখা করতেন প্রেমিকার সাথে |
একদিন এক সুযোগ পেয়ে গেলেন কবি প্রেয়সীর সাথে সময় কাটানোর দেখা করার | গোত্রের লোকেরা স্থান বদল করবে দলবদ্ধ হয়ে (প্রায়.মিছিলের মতো জাকে বলা হয় কাফেলা) | কাফেলার নিয়ম অনুযায়ী পুরুষরা সামনে আর নারীরা পেছনে পেছনে | কবি অতি চালাকির সাথে পুরুষ স ঙ্গ ত্যাগ করে কাফেলার পেছনে হয়ে মেয়ে-নারীদের পেছনে পেছনে পথ চলা শুরু করলেন |
পথিমধ্যে এক জলাশয়ে (দারাত জুলজুল) মহিলাদের নজর এড়িয়ে কবি পৌঁছে গেলেন এবং লুকিয়ে লুকিয়ে নারীদের নগ্ন স্নানের দৃশ্য উপভোগ করতে থাকেন তারিয়ে তারিয়ে এবং পোশাকগুলো লুকিয়ে রাখলেন নিজের কাছে| তখনকার নিয়মে মহিলারা পাড়ে পোশাক রেখে নগ্ন হয়ে স্নান করতেন | এত'র মাঝেও মূল কেন্দ্র হলো সেই 'উনায়যা' | স্নান শেষে মহিলারা পোশাক আনতে গেলে তখন সকলেই বুঝলো যে -এই বলো কবির কান্ড | মহিলারা সবাই দুই হাতে বিশেষ দুই অ ঙ্গ আড়াল করে কবির কাছে পোশাক চায়লে কবির প্রস্থাত "নগ্ন অবস্থায় সবাইকে একে একে আসতে এবং কাপড় নিয়ে যেতে হবে"
যেহেতু স্থানান্তরের সমস্যা দলছুট হলে আরো অনান্য সমস্যা বড়বে, উপায়ন্তর না দেখে উন্মুক্ত বসনা রসে পুরা আঁখের মতো, চামড়ার দড়ির মতো এক অসাধারণ দেহের ও হরিণের মতো চোখের অধিকারীনি নারী এসে পোশাক নিয়ে যায় |কবি সেই সোন্দরয্য প্রাণভরে দুইচোখে উপভোগ করেন |
(এখানে ভারতীয়রা "বল রাধা স ঙ্গম হোগা কি নহি" রাজকাপুরের সিনেমার গানটি কল্পনা করতেই পারেন)
অনেক অনেক বিশারদগন আবার এই কবির সাথে ব্যক্তি এবং কাব্যে কৃষ্ণের সাথে তুলনা করে থাকেন |
আলোচনার শেষ কবির আরেকটি কবিতার অনুবাদ দিয়ে শেষ করছি -
(কাব্যানুবাদ : মাহমুদুল হাসান নিজামী)
থাম বন্ধুরা-থাম একটু খানি
প্রিয়ার বসত স্মৃতি দেখে কেঁদে মুছি বিরহের গ্লানি
দাখুল-হাওমাল-তুজিহ-মিক্বরাতের মধ্যিখানে
বালির টিলার শেষ প্রান্ত যেখানে

যে টিলার ওপর
উত্তরীয় বায়ু বয়ে আনে বালির স্তর
দক্ষিনা বায়ু সে কৃত্রিম স্তর মুছে
নিয়ে যায় পুরোনো স্মৃতির কাছে

প্রিয়ার বসত ভিটার প্রাঙ্গণ ভূমিতে সমতল-
হরিণের লেদ ছিটিয়ে আছে গোলমরিচের মতো অবিকল
বসত ছেড়ে যখন যাত্রা করেছিল প্রিয়া
সেই বিরহী প্রভাতে
আমি বাবলা বৃক্ষের কাছে দাঁড়িয়ে-
হালযাল চূর্ণকারীর ন্যায় ছিলাম অনবরত অশ্রুপ্রাতে

সহযাত্রীরা তখন স্বীয় সওয়ারী থামিয়ে সান্ত¦নার বাণী শোনায়-
ধৈর্য কর ধারণ-অধৈর্য নিয়ে যায় ধ্বংসের কিনারায়
অথচ অশ্রু বিসর্জনেই প্রশান্তি নেমে আসে হৃদয় গহীনে
কান্নার কাছে সমর্পিত হই সেই কারণে

প্রিয়া উনাইজার সাথে তোমার সেইই লীলাখেলা
মাছুল পর্বতে ইতিপূর্বে যা হয়েছিল অবলীলা-
প্রিয়া উম্মুল হুয়াইরিছ এবং তার প্রতিবেশীনি রোবাবের সাথে
উনাইজার ব্যবধান কোথায় তাতে
(কবি নিজকে বুঝ দিয়ে)

যখন তারা দাঁড়াতো দেহ থেকে কস্তরী সুরভীত সমীরণ
হৃদয়ে ছড়াতো বিচ্ছুরণ
তখন বিরহ জ্বালা ভীষণ
অশ্রুতে ভাসিয়ে দিয়েছিলো নয়ন
গলায় ঝুলন্ত তরবারী বেয়ে
অবিরাম ঝরছিল অশ্রুধারা সিক্ত হয়ে

জীবনের বহুদিন হাজারো রমণীর মায়ায়
কিন্তু সেই ‘জুলজুল’ এর স্মৃতিময় দিন
এখনো চির রঙিন
উজ্জ্বল জ্যোতির মতো ফুটে আছে
স্বর্গীয় অনুভবে হৃদয় ক্যানভাসে।"

*তথ্য - আরবী সাহিত্যের ইতিহাসের কিছু বই-পত্র, তালিম-- আবু রিদা (কোলকাতা), দৈনিক সংগ্রাম(খবরের কাগজ--বাংলাদেশ) ||

**কেউ যদি আমার লেখা থেকে প্রথম এগুলো জানলেন তবে আমার নাম অবশ্যই উল্লেখ করবেন বক্তব্যে বা লেখনিতে | জ্ঞান উত্সের অস্বীকারী চির পতিত**
****2016সালের আজকের দিনে ***

চারদিকে শুধুই আঁশটে গন্ধ


- মণি জুয়েল(Moni Jewel)

সত্তর বছর আগের আবেগী রক্তগুলো এখন'ও ঠিক-
মতো শুকোয় নি
আঁচড় লেগেই আছে। দেখা যায় একটু এগোলেই
আর একটু পিছোলেও।
রাস্তার মোড়ে মোড়ে, পথের ওই মুর্তিগুলোতে!

তারপরও কি থেমে গেছে!
না...
অবিরাম রক্তের ফিনকি অব্যাহত...
হাজার জীব্মৃত্যুর সাক্ষি এ যোনি এখনো শ্রান্ত হয় নি।

আর কত কত জীবনের গমনাগমন হলে তবে?
ভিজে ভিজে আর কত গ্লান হলে দু'চোখ তবে?

জীবনের কথা মনে পড়ে গেলেই আমি ভয় পেয়ে যাই!
ত্রস্ত হতে থাকে জীবন, মৃত্যুর ভয়ে! 
নাঃ
এ জীবন, ভাবতে পারি না!

বলতে পারো,জীবন না নিয়ে,দিয়েছে জীবন?
মৃত্যুহীন প্রাণের জন্ম!
ও... স্বাধীনতা, কত রক্ত আর খেলে তবে থাকবে?
চির থেকেই যাবে?
পরাধীনতার আঁশটেগন্ধে পরাধীন আমার মৃত্যু কবে?

****25.05.17-ধুলিয়ান-01:00PM*****

Thursday, 25 May 2017

অনেকক্ষণ ধরে ভিজতে ভিজতে

-মণি জুয়েল(Moni Jewel)

অনেকক্ষণ ধরে বৃষ্টির শব্দে ভিজতে ভিজতে,
টিপটিপ রিমঝিম শব্দের মেডিটেশনে,
ভেজা মাটির সোঁদা গন্ধে
তোমাকে পেলাম

উষ্ণ বাষ্পে, ভেজা পাতায়, বাঁশপাতার ডগায়!

আহ্ কি কামুকতা তোমার ও শরীরিগন্ধে
কি কোমলতা তোমার ও ভেজা চুলে,
কি স্নিগ্ধতা তোমার দেহে,
পেলব ঠোঁটে!

ভিজে যাচ্ছি-
ঘন ঘন আদুরে নিঃশ্বাসে,
কচিপাতার ডগায় জমে থাকা ঘামে!
আহ্ পস্বীনি কি লিপ্সায় না জড়ালে তুমি-

ভালোবেসে, সোহাগি পরশে, শরীরি সিক্ততায়!

ক্রমে অতঃপর
ধীর হলে শিৎকার, তখনও
আচ্ছন্ন তোমাতেই আমি, সুখ আবিষ্ট!
অনেকক্ষণ ধরে সম্ভোগহর্ষে ভিজতে ভিজতে!

****25.05.17-Dhuliyan-05:00PM****

Tuesday, 23 May 2017

প্রেমময় জীবন

- মণি জুয়েল(Moni Jewel)

আরো ভালোবাসো না,  আরো কাছে এসো না
ভালোবেসে এ মন ভরে না, বোঝো না?
হায়রে এ মন, প্রেমময় জীবন!

যদি হয় পরকীয়া, মিলে গেলে দুই হিয়া
তাতে কি আসে যায়?
চলো, হাসো ভাসো, ভালোবাসো
দুই এক হয়ে যাই
ভেবে ভেবে কি হবে, মন খুলে ডানা মেলো না।

যদি না হয় কাব্যময়, হোক তবু গদ্যময়
জীবন যাক যেমন যায়
জানো এ জীবনটাই, বুদবুদময়
তবু রংধুন খেলে যায়
উবে যাবে যতসবে, ভালোবেসে বেঁচে নাও না।

****23.05.17-Dhuliyan-বিকেল03টে****







Monday, 22 May 2017

প্রাণ দেবো বলে

- মণি জুয়েল(Moni Jewel)

ডোনা, তোমায় আমি কতটা চাই
সোনা, বলো বলি কোন কথায়?
তুমি কি আমার কথা কবিতা বোঝো না?
তুমি কি আমায় অনুভবও করো না!

কেন তুমি দুরে থাকো, কেন মিছে কাঁদা কাঁদো?
যদি তুমি ভালোবাসো,
মনে মনে ছুটে আসো
মন দিয়ে, মন ও আমায় টেনে নিয়ে চলো না।

কত কথা আরো ব্যথা, জমে আছে গাদা গাদা
ভালো'বেসে সরে গেলে
প্রাণে মোরে মেরে গেলে
দেবো বলে প্রাণ, নিয়ে গেলে কেড়ে জীবন টা!

***22.05.17-ধুলিয়ান-রাত09:00টা***

ফিরে ফিরে ভালোবাসো বারবার

- মণি জুয়েল(Moni Jewel)

ভালোবেসে দেখো না, ভালোবাসা ব্যথা না
ভালোবাসাই তো জীবন, জানো না!
আহ্ ভালবাসা শুধুই ভালবাসা

যদি ভুলেও একবার, প্রেমে ভালোবাসার
সুস্বাদ পেয়ে যাও
তবে কে বাঁধে তখন, মনে মেলাতে মন,
তাই বলে দাও?
এসো ফিরে আলতো হেসে ফের ভালোবাসো না।

যদি মনে গিয়ে মন মেশে, শরতে কাশে আকাশে
অমিল টা কোথায়?
তবে কেন ফিরে যেতে, তোমাতে আমাতে
দ্বিধা এসে যায়?
ফিরে চল বেসে ভাল ফের ভালোবাসো না।

****22.05.17-ধুলিয়ান-বিকেল 03টে***

Friday, 19 May 2017

তোমার চোখে দেখতে দাও আমায়

- মণি জুয়েল(Moni Jewel)

আমার সামনে আয়নাটা আবারও মেলে ধরো
অনেকগুলোদিন আমি আমাকে দেখি নি
অনেকগুলোদিন...
শেষ দেখেছিলাম তেরোই মে নীল ওই দুই'চোখে।
তারপর কতগুলো চোখ যে আমায় দেখেছে
কতগুলো মুখ যে আমি দেখেছি
তার হিসেবই রাখি নি।
হয়তো আকাশের তারা'রা  জানে
সংখ্যার অধিক যারা হয়তো তারাই
অসংখ্যের হিসেব জানে।
কিন্তু কোথাও পাই নি!
ঘাসের শিশির বিন্দুতে কতবার যে
নিজেকে দেখতে গেছি
কতবার যে ভেজামাটিতে
তোমার শরীরের গন্ধ পেতে চেয়েছি
কিন্তু কোথাও পাইনি, কোত্থাও না!
কখনো সখনো হয়তো
পদ্মা-ভাগীরথির মতন দুটোস্রোত
আনমনে, মনের অজান্তেই গড়ে চলে গেছে
কিন্তু ঘনতমসায় কোথাও তোমায় খুঁজে পাই নি
অনেকগুলোরাত...
অনেকগুলোরাত আমি আমাকে দেখি নি
ও ডোনা, তুমি এসো,আমার বুকে, নীলশয্যায়

আজ এ রাতে কাছে আসলে দোষ কি
নির্ঘুম রাতে মনের ব্যথা যে কি
তা আমি জেনেছি

শুধু মনে পড়ে ঘুমে ঘোর তোমাকে
কখন সকাল যে আবার,
হয়ে যাবে দেখা দুজনার
জানি না আমি তার কি দুঃখ আছে!
শুধু মনে পড়ে ঘুমে ঘোর তোমাকে

ঘোর নির্বাক রাত যে কত কথা কয়
তার জিরো বাল্ব সে মিষ্টি বিছানায়
সে বিছানায় বালিশ কেন ভিজে গেছে আজ!
নির্বাক কাঁদে এখন রাত্রি
                                    - মণি জুয়েল














আজ জানতে বড় ইচ্ছে হয়

আজ জানতে বড় ইচ্ছে হয়
- মণি জুয়েল(Moni Jewel)

আজ জানতে ইচ্ছে হয়

সেদিনের সেই ছলনা প্রেম-ছলনা
না কি
শুধুই ছল-ছলনা ?
যে ছলনায় ভেসেছিলো মন !

সেদিনের কাম-নয়ন শুধুই কামীন
না কি
প্রেমের কাম-নয়ন ?
যে নয়নে মজেছিলো মন |

আজ জানতে ইচ্ছে হয় -

রাতের সেই অভিকর্ষ, প্রেম-হর্ষ;
সেকি শুধু সম্ভোগ,
না কি
উন্মত্ত-প্রেম পুলক পরম অনুভব?

কামানল ছিলো না কি প্রেমের অনল
জ্বলেছিলো তন-মন
না কি
শুধুই তনের দহনে গলেছিলো মন?

আজ জানতে বড় ইচ্ছে হয় |
*স্বত্ব সংরক্ষিত*
****2015 সালে আজকের তারিখে****

Thursday, 18 May 2017

একটা কিছুকে সামনে রেখে

-মণি জুয়েল (Moni Jewel)

মেডিটেশন, মিউজিক, কবিতা এরা কি পারবে
তোমায় ভোলাতে?
মনেহয়'ই না তা এতোটা সহজ হবে!
যা হওয়ার কথাও না।

ওরা বহুদিন'ই বলেছে-
একটা কিছু'কে সামনে রেখো।
তুমি তো জানো কখনও কারো শুনি নি
তার চেয়ে গোপন আমি জানি।
মনে মনে তাই করেছি!

কতবার কত কথায় না-
বলেছি-যেখানে নত হয়ে যায় শির
শুরু হয়েই যায়
সেখান থেকে শুরুর শুরু।যে শুরু তুমি জানো।
****18.05.17-ধুলিয়ান- দুপুর 01:30****

Wednesday, 17 May 2017

ইটে গুলিতে গপ্পে

- মণি জুয়েল(Moni Jewel)

ওদিক থেকে ওরা যখন ঢিল ছুড়তে ছুড়তে
এগিয়েই চলেছে
প্রতিক্রিয়াশীলগন ফেঁদে চলেছে তখন
গাল-গপ্পো
হ্যাঁ গাল গপ্পোই।
মনে পড়ে গেলো, দিদির পুরাণ গল্প-

বুই আসছে, বোম আসছে, জুজু আসছে রে

আরো কত কি,কত না ভয় পেয়েছি!
দিনের আলো'য়
তা কতটা না-
অবিশ্বাস্য। মনেহয় কিছু, ফাঁদ ছাড়া কি?
এ মাটি চিরদিনই
গেঁথে গেছে ইতিহাস, গল্প রচে। সংঘর্ষ চলছে...

****17.05.17-Dhuliyan-03:05PM****

Tuesday, 16 May 2017

ক্রীড়া উদ্যান

ক্রীড়া উদ্যান

জৈষ্ঠের তপ্ত-দুপুর বসিয়া আম্র-কানন
শান্ত বহিতেছে সমধুর সুশীতল সমিরণ |

দুরে দেখি কচি সব খেলিতে মত্ত
সমাজ-বন্ধু সবে আপনার কাজে রত |
কেহ কেহ ঢুলিতেছে বাদ দিয়া কাম
কচি কেহ ঢিল ছুড়ে পাড়িতেছে আম |
কিশোর-বালক গাছে করিতেছে দোলাদুলি
তাহাদেরই কেহ কেহ খেলিতেছে গুলি |

কচিদের কচি-কথা যাইতেছে  বাজিয়া
বাতাসে ভাসিতেছে আম-ভাগ কাজিয়া |

দুর হতে ডাকিতেছে কাহারো বা মাতা
কেহ বা লুকাইছে দেখি আসিছে যে পিতা |

কেহ খেলা ফেলে চলে যায় তাড়াতাড়ি,
কোনোও কচি কহিছে যাবেনা সে বাড়ি |

কচিদের মনে জেগেছে আম কুড়াবার ধুম,
তারি লাগি বাদ দেবে- খাওয়া, পরা, ঘুম |
             ------- মণি জুয়েল
***2015 সালের লেখা ***

মেদ একটু থাক না

- মণি জুয়েল(Moni Jewel)

নীল নীল চোখ হতেই হবে এমন কোনও কথা না,
ছিপছিপে মেদহীন তন্বী হতেই হবে তাও না।
লাস্যময়ী হতে হবে বলি নি,
তুমি হলেই হবে শুধু।

ঠিকই  চলে যাবে আমার, শুধু তোমায় পেলে
দেখতে পেলেই হবে  নিজেকে তোমার দু'চোখে।
ভিজে যেতে পারবো আমি ঠিকই-
তোমার শরীরের চিকচিকেঘামে,
উষ্ণ প্রেমের শীতলতায়,
তোমায় ভালবেসে।

কোনটা কাক আর;
কোনটা কোকিল, তা কি
কখনও আমরা নির্বাচন করেছি?
না কি কেউ? সবটাই সঙ্গীত, ডোনা।
সুরের এই সাম্রাজ্যে সুকন্ঠই কথা বলে সুকন্ঠে...
যেমন ঠিক আমি চাই তোমায় তোমার প্রেমে।

হলুদ চোখের পাখিটি
কিন্তু কত প্রেম, কত কাব্য!
গানে গানে সুরে সুরে এনে দেয় প্রেমের ঋতু
তেমনি আমি খুঁজে নেবো তোমায় তোমার প্রেমে।

  ****16.05.17-Dhuliyan-03:05 PM*****

স্ট্যটাস ১৩

তোমার কি মনে পড়ে(স্ট্যাটাস তেরো)
- মণি জুয়েল

তুমি কি এখন আর ব্রা পরো না?
তুমি কি এখন আর স্নান.করো.না?

আমার তো মনে পড়ে যায় ঠিক-
তুমি স্নান করছো, খোপা বেধে নিয়েছো
গা গড়িয়ে বেয়ে পড়ছে ফোটাফোটা জল
সৌন্দর্য্য তখন উপচে পড়ে ।
ভিজে যাওয়া মলমল.তখন শুধুই আবরন মাত্র
তুমি চুল ঝাড়ছো, তুমি পোশাক বদলাচ্ছো
ব্রা খুলে নিয়েছো, শায়ার বাঁধন খসে গেছে
সৌন্দর্য্য তখন ঝরে পড়ে!
এক চিলতে সলজ হাসি তখন শুধুই
আবরণ মাত্র

সেই তোমার ফেলে যাওয়া ব্রা, মনে করে দেয় ঠিক!

জানো, আজও সেই গন্ধ লেগে আছে
পারফিউম মেশানো তোমার গায়ের গন্ধ |

তুমি কি এখন আর রেলিংএর ধারে.চুল শুকাও না?

এলোকেশি তুমি চুল শুকাচ্ছো, উড়না উড়ে যায়
তখন আনমনে তুমি, আর আমি এক মনে।
সেই দিন-
তোমার কি মনে.পড়ে? আমার.তো মনে পড়ে ঠিক ||
                ||স্বত্ব সংরক্ষিত||
****গত বছর আজকের তারিখে****

Monday, 15 May 2017

গল্পাংশ

- মণি জুয়েল(Moni Jewel)

ওয়াহাব মাস্টারের বড় মেয়ে দুই বছর হলো পড়াশুনো ছেড়েছে ..পড়াশুনায় খুব ভালো না হওয়ার কারণে সেকন্ড ইয়ারের পরে আর এগোতে পারেনি | Sociology সাবজেক্টে ব্যাক করেছিলো |
যদিও সুন্দরী মেয়ে তবুও বাবার দুশ্চিন্তার অন্ত নেই মেয়েকে নিয়ে...শতই হোক মেয়ের বাবা তো!
এখন আপ্রাণ চেষ্টা- যেমন করে হোক মেয়েকে ভালো পাত্রের হাতে দিতে হবে আর তা পারলে শান্তি আসে!
যেহেতু তিনি শিক্ষক সেই কারণে শিক্ষক পাত্রের প্রটি দূর্বলতা তাঁর আছেও|

এই শিক্ষক পাত্র খুঁজতে গিয়ে অনেক পাত্রকে তিনি নাও করেছেন..আবার অনেক শিক্ষক পাত্র লেনদেনের কারনে বিয়ে পর্যন্ত এগোতেই পারেন নি ; কেউ চেয়েছেন দামি চারচাকা তো কেউ দশ-বিশ লাখ টাকা উপহার হিসেবে !! আর এতেই যেন আর খানিক চাপ বেড়েছে ওয়াহাব মাষ্টারের মুখখান অনকে খানি চুপসে গেছে ..শরীরটাও তেমন আর ভালো যাচ্ছেনা 
আর বাবার এমন অবস্থা দেখে মেয়েও অগোচরে তিলে তিলে নিজেকে দমিয়ে চলেছে ; কতরাত আধঘুম কাটিয়েছে তার অন্ত নেয় |

রবিবারের সকালে পেপার হাতড়াচ্ছেন মাস্টার মশাই হন্যে হয়ে চলছে খোঁজ
তখনি পড়শি মেহতাব সাহেব এসে খবর দিলেন যে- রংপুর গ্রামের এক পাত্রের ; পাত্র তারাপুর হাইস্কুলের ইংরেজির টিচার...লেনদেন ইচ্ছেমতো | তবে মেয়ে ধার্মিক হ ওয়া চায় |
মাষ্টার-মশাই মেহেতাব সাহেবকে বললেন -
যাও ভালো করে খবর নিয়ে এসো এবং দরকারে বলে এসো  মেয়ের খবর |
মেহেতাব সাহেব বললেন -আমি গিয়ে খবর দিচ্ছি, কি হলো না হলো আপনাকে ফোনে জানিয়ে দেবো |
মেহতাব সাহেব চলে গেলেন
মাষ্টার মশাই মনে মনে কত সুখ যে কল্পনা করলেন এই কয়েক মূহূর্তে তা বলে বোঝানা যাবেনা ; যাঁরা মেয়ের বাবা তাঁরাই হয়তো বুঝবেন |
দুপুরে খবর এলো - পাত্র আজ বিকেলেই স্কুল ফিরতি পথে পাত্রি দেখে নেবেন |
আয়োজন শুরু হলো মিষ্টি..চানাচুর ..আরো হরেক আধুনিক খাবারের ---টিচার জামাই বলে কথা !
বিকেলে তিনটে থেকেই মাষ্টার মশাই আর তাঁর গিন্নী বারান্দার জানালার পাশে বসে পথের দিকে তাকিয়ে অপেক্ষা করতে থাকলেন |
সাড়ে চার নাগাদ দুটো বাইকে চেপে দুজন এলেন সাথে মেহেতাব সাহেব |
ওয়াহাব সাহেব বেশ গভীর ভাবে মাষ্টার মশাই নজরে একবার দেখে নিলেন দুইজনের দিকে;  |
ঘরে আসতে বললেন সালাম কালাম হলো; বসতে বললেন |
সবাই আপন সিটে বসলে ;মেহেতাব সাহেব ইশারাই ওয়াহাব মাস্টারকে আড়ালে ডেকে বোঝালেন কোনজন পাত্র ;খানিক বিবরণ হয়ে গেলো !
পাত্র দেখতে মোটামুটি ভালোই -গায়ের রং একটু চাপা...সাজ গোজে আধুনিকতা আছে তবে আধুনিক ইসলামী ধাঁচের ; পায়ের গিটের উপর পর্যন্ত প্যান্ট..রুচিসম্মত শার্ট ..শরীর থেকে সুন্দর সুগন্ধ বের হচ্ছে মনে হয় বিদেশী কোম্পানীর আর নাহলে খুব দামী প্রোডাক্ট |

আলাপ পর্ব হবার পরে..প্লেট এলো কয়েক রকম খাবারের সাথে কয়েক রকম ফল সাথে কোল্ড ড্রিংক আরো কত কি!

খাওয়া শেষে মেহেতাব সাহেব বললেন-
পাত্রিকে নিয়ে আসুন ..সাঁঝ প্রায় হল..হলো

পাত্রির ভাই ওয়াইশ দিদিকে সাথে নিয়ে এলো -
পাত্রি সালাম দিলো , অনুমতি পেয়ে আসন গ্রহন করলো |
জামাইয়ৈর সাথে আসা ভদ্রলোক জানতে পাত্রীকে প্রশ্ন করলেন -নাম ধাম,পড়াশুনা..বিভিন্ন  আর কত কি ;
কতক উত্তর এলো কতক এলোনা |
এবার পাত্র নিজেই প্রশ্ন শুরু করলো - নামাজ পড়ো
পাত্রি-হ্যাঁ
আরো অনেক কথা হলো |
পাত্রীর হাতে পাঁচশো টাকা প্রথামত দিয়ে পাত্রীকে আসতে বললেন |

পাত্রীর বাবা ওয়াহাব সাহেব মেহেতাব সাহেব এবং অতিথি দুজনের এবার কথা বলা শুরু হলো |
কথা প্রস ঙ্গে কথা উঠে এলো  পাত্রের পক্ষ থেকে -
মেয়ে পর্দার জীবন যাপন করতে হবে ...সাজাগোঁজা জীবনের বদলের সাধারণ জীবন যাপন করতে হবে আর কত ধর্মীয় মানা ইত্যাদি |
ওয়াহাব সাহেব হাসিমুখে সব শুনে চলেছেন -হরেক ফরমান
পাত্রীর বাবা তো ...তাও আবার টিচার জামাই বলে কথা !
কথাগুলো আড়াল থেকে পাত্রী শুনছিলো ..আর আপনার কপাল ..বাপের আকুতি নিয়ে ভাবছিলো ..অজান্তেই কবেই যেন দুফোটা জল চোখের কোন দিয়ে বয়ে গেলো |
অতিথি বিদায় করে মাষ্টার মশাই ঘরে এসে ব্যথাতুর হৃদয়ে  মেয়ের মাথায় আদরে হাত বুলিয়ে দিচ্ছিলেন …
বলতে শুরু করলেন কত কথা -মেয়েকে কেমণ করে বড় করলেন, কত আদরে খাইয়ে পরিয়ে পড়িয়ে স্বাধীনভাবে; আর আজ মেয়ের বিয়ের সময় কত যে শর্ত !!
এ শর্ত শুধু তোকে নয় রে মা ..এ আমার উপরেও ! আমাকেও আজীবন মেনে চলতে বাধ্য হতে হবে যে!!
বলতে বলতে গলা যেন ভিজে এলো!!
মেয়ের বাবার হাত চেপে ধরে বললো - কান্না ভেজে গলাই বললো -
-বাবা তুমি তাকে একবারও কি জানতেচাইলে যে সে সাধারণ জীবন যাপন করে কি না , সে  নিজেকে পর্দায় রাখে  কি না, 
সে তো ফুলবাবু !!!!
ওখানে শুধু আমাকে সব বিসর্জন দিতে হবে বাবা...
বাবা বড় একতা শ্বাস ফেলে বললেন - তুই যে ওখানে দুদানা সুখে খাবি রে মা!
আমি মরবো তখন ভাববো -আমার সেই মিস্টি আদরের সোনা ভালো আছে ..দুটো খেতে পায়...ভালো পরতে পায় !!!
বাবা-মেয়ে দুজনের চোখ দিয়ে অশ্রু বর্ষন হয়ে গেলো |

দিন তিনেক পরে পাত্রের তরফ থেকে ফোন এলো কথা বললেন
পাত্রীর মায়ের সাথে পাত্রের মা
আপনার তাগিদেই পাত্রীর মা জানতে চাইলেন বেয়ান সম্বধোন করে-
বলুন বেয়ান - আপনাদের কথা
উত্তর এলো -আমরা আর কি বলবো,.লেনদেন তেমন নয় আমাদের ....একটু ইবলিশ হাসি হেসে !
ছেলে তো কিছুই তেমন চায়না ..আমরাও তেমন না ...তবে এই দুছর হলো চাকুরি পেয়েছে বাড়ি তেমন করে উঠতে পারিনি --অনেক খরচ আবার একটু হাসি হেসে বুঝিয়ে দিলেন তার..তাদের চাওয়া ...
কথা বলতে বলতে কথা এলো -
আপনারা আপনার মেয়েকে যেমন সাজিয়ে পাঠাবেন তার ঘর তেমন সাজবে ;
হটাত্ ফোনটা কেটে গেলো..নেট-ওয়ার্ক দুর্বল |

****16.05.15-ধুলিয়ান- দুপুর 01:20*****