তুমি মেলে দিলেই

মৃত্যু তো হবেই প্রিয়তমা। সে আজ এখন বা ওখন তখন
তাই আমি চাই
তোমার সীমান্ত। তোমার সীমান্তে
নিজের সমাধী। তোমার সীমান্তে মরে যেতে চাই
তোমার সীমান্তে মরে চির বাঁচতে চাই

তুমি ছাড়া
অমর হওয়ার আর বিকল্পই নাই

কোথাও কিছুই নেই তুমি ছাড়া, আর দ্বিতীয়া নেই

আর তাই ওই পথের সন্ধান চাই
যা তোমার

তোমার কামনার যা, যার অন্তই নাই
সে অন্তঃস্থে আমাকে নিয়ে যাও, আমি চলে যাই
তোমার সীমান্ত। তোমার সীমান্তে
আমি যেতে চাই
মৃত্যু তো হবেই প্রিয়তমা। এ তুমিই জানো তা কবে কখন

এবং তুমি মেলে দিলেই@  মণি জুয়েল

শিশিরে ভিজছে ভূ-বনের তৃণলতা

তোমাকে দেখলেই আমার সমস্ত রকমের ইচ্ছেরা পেয়ে বসে
ইচ্ছে করে
জিভের ডগায় তবলা বাজাই
বাঁশির ওই নদী'তে আতৃষ মুখ ডুবিয়ে সুর তুলি
বাঁশি বেয়ে, জল, গড়িয়ে যেতে থাক
দ্বারে-দ্বারে, আঙ্গুলেরা খেলে যাক

ইচ্ছে করে শিল্পী হতে
সেতার অথবা গিটার বাজাতে

অথচ বলেছো কদিন না দেখলে এসব কমে যাবে

কিন্তু সেই ছবিগুলোর কি হবে?
যেগুলো দেখা হয়েছে।

তুমি কি সত্যি চাও সব থেমে যাক
ওহীর মতো।আমায় যন্ত্রণায় ভাসাক
না না না এসো আমি এ পাহাড় ও পাহাড়ে চড়ি
শব্দে শব্দে দুনিয়াকে জানাই।
কিন্তু পাই না
তার মাঝরাতে তাই কলম নি হাতের মুঠাই চোখ বুঁজে আসে

দেখি চোখ বুজে শিশিরে ভিজছে ভূ-বনের তৃণলতা@ মণি জুয়েল

মাছ ধরি

কবিতা লিখি, মাছ ধরবো বলে এমন তো ছিলো না
এখনোও না
তবে আমি মাছ ধরি
যদিও মানিকের "পদ্মানদীর মাঝি" নই
তবুও, নদীর প্রতি খুব টান

আমি যাই
নদীর পাড়ে গিয়ে বসি

মাছগুলো ধরাও দেয়, কিন্তু ছেড়ে দিই

কি কারণে ছেড়ে দিই?
কেন ধরি?

ইউনুসে আমার খুউব টান
ইচ্ছে করে, যদি জীবন দিতে পেয়ে যাই
কিন্তু ধরে ছেড়েই দিই
উত্তর পাই না
আমিই কেন, আমি ছাড়া আর কেউই কি ছিলো না?

এই জিজ্ঞাসা ওরা যখন জিজ্ঞেস করে@Moni Jewel

যেখানে সূর্য ডুবতে দেখেছিলো

পরম প্রেমে তবলার খিরণে জিভের ডগা দিয়ে শব্দ তুলি
এসো
আঙুল দিই সেতারে
অতঃপর..., সমগ্র বাঁশিতে বাঁশিতে ছুটে বেড়াই
আমি আমার আঙুল আমার ঠোঁট

সম্ভাবনার রাত
আর দেরি নেই হয়ে যাবে ভোর

আর তাতেও যদি না হয় বদলে নেবো হরেকফের

আর দেরি নেই হয়ে যাবে ভোর
যদিও দুপররাত

এখনই তো চাই, সুতিমির অশ্ব-ছুট
আমাদের কর্মময় শব্দে যাক না জাগলে সবাই
অশ্ব মুখ দেয় পানিতে
কিন্তু
কিন্তু সুপেয় ছাড়া না ডিয়ার। এসো না আমার শুরু করি-

ঘোলাজল থেকেই, যেখানে সুর্য ডুবতে দেখেছিলো@ মণি জুয়েল

কেয়ামত সন্নিকটে

প্রস্তুত হয়ে নাও, আমিও প্রস্তুত হয়ে নিচ্ছি

একদিন কেয়ামত আসবেই। সব উত্থিত হবেই হবে
বিচারের সে দিন
কার কার আঁধার হবে
আমি জানি না। তবে তোমাদের হবেই হবে-
আমার হৃদয়, যার যার'ই হাতে

পণ্যের মতোন।
যে আমাকেই দাম শুধাচ্ছে

মনে রেখো সব লিখে রাখা আছে আমার বিন্দুতে

তারা, আজ, সিন্ধু গুছাচ্ছে
জীবনের মতোন

হ্যাঁ জীবনই তো সায়াহ্নে প্রাতে
আমার শ্রমে। ওই জালিমকে ওঠাতেই হবে
ইন্ধন তাকে করতেই হবে
বিচারের সে দিন
প্রজন্মান্তরে তাদের তাদের মুখোমুখি করতেই হবে

তুমিও বহিছো, আমিও প্রবাহিত হচ্ছি@ Moni Jewel

আয়াতের মতো

আয়াতের মতো তোমার সকল কথাই গুছিয়ে রেখেছি
আমি আছি
আর আছো তুমিও
আমানতের মতো। ঈমানে দাঁড়িয়েই আছি
যেভাবে পুরুষ দাঁড়িয়েই থাকে

মোরাকবার মতো
অথবা যেমন নীলমোম্বাতি

@মণি জুয়েল

অশ্ব প্রজাতির পুরুষ

আনডাবট্যেডলি, হ্যাঁ আমি অশ্ব প্রজাতির পুরুষ
বাঙ্গুদের মতো না
কিন্তু ঘোড়া কি তুমি জানো?
জানো না, তোমার জানবার কথাও না
কারণ টেগোরের গোঁফ-দাড়ি!

আমি জানি
তুমি এখনও বোঝো নি

তুমি বুঝলেও তোমার এখনো বুঝবেই না

তুমি এখনও বোঝো নি
তাহারা কি!

ছাড়ো, শোনো, অশ্বকথা বলি
বেঁধে না রাখলেও অশ্ব বাঁধন ছেঁড়ে না
এই বাঁধন, তা কেমন জানো?
জানবার কথাও না
হস্তি বাঁধলে বল হারায়, কিন্তু অশ্ব না। এই পুরুষ।

তুমি জানো অশ্বরেশ? হাঁসের পুকুর সাঁতার না।@ মণি জুয়েল

নেপথ্যে এক তুমি

তোমার অস্তিত্ব আমার যন্ত্রণায় জেগে থাক

তার ভাষা, থাক না-থাক শুরু থেকে শেষ অবধি
অন্যতম নির্মম
মানুষ বা অন্য প্রাণী
তারও অভ্যন্তর থেকে বেরোবেই "আহ্"
সে যদি শোনে তোমার কথা

আমার কথা,
রক্তাক্ত আমার, কথা

পৃথিবীর সবথেকে বড় "খুন"টি ঘটে গেছে

আর ওই তারই ব্যথা-
আমারই ব্যথা।

এ শোণিতহত্যাকাণ্ডের কথা
হৃদয়ে তোলপাড় তুলবে। কিন্তু না, নাহ্
চিহ্নিত করে যাবো না
তোমার কসম
নেপথ্যে এক তুমি, এ সাক্ষ্য'ই দিয়ে যাব অনাবধি

সকল তীর এক আমাকে কেন্দ্র করেই থাক@ মণি জুয়েল

মহাভারত ও রামায়ন

আমি জানি এ বড় যন্ত্রণার কিন্তু উপায় এই

ওই মহান শয়তানের কুমন্ত্রণায় ওরা পাঁচজন মিলে
ভেঙে দিয়েছে
ধংস করে দিয়েছে আমাদের
তারপর আমরা আজও তাঁদেরই পেছনে...
শত ছিলাম আজও শত বিভক্ত

একত্রিত তারা
নিজেদের বিভক্ত রেখেছে

নিজেদের সম্মিলনের তাদের এ এক কৌশল

নিজেদের বিভক্ত রেখেছে
সম্মিলিত তারা

আমরা বিভক্ত হতে ক্রমবিভক্ত
আর তাই, মিলিত হতে চাচ্ছি, উৎপাদনে
কর্ণের জন্ম হোক আমাদের
শিশা ঢেলেছে
আকাশও ঢেকেছে, সূর্যের আলো যায়ই নি নিভিয়ে

আলো ঢেলে দিই চাঁদ তুমি জোছনা বিলাও@ মণি জুয়েল

আগুনের জলে

গমনের তোমার পথে উত্তপ্ত আগুনের জলে

আগুন যেমন হাওয়ার পেছনে ছুটে চলে আমিও সেভাবে 

তোমার পানে
আমাকে জ্বালিয়ে দিয়েছো তুমি
কিন্তু, আসলে, আমি তো দম, প্রিয়তমা
সহজেই আমার পতন হবে না

কিন্তু, পতন হবেই
নইলে থেমে যাবে সম্ভাবনা

বৃষ্টিকে তুমি রূপক অর্থে ভাবতে চেষ্টা করে দেখো

পাবেই, জীবনের সম্ভাবনা
আলিফ খাড়া হবেই

শয়তানি, তুমি, বলতেই পারো
কিন্তু, এই লীলা, উপেক্ষা করাই যায় না
আমাকে জ্বালিয়ে দিয়েছো তুমি
জীবন মরণে
এ আমাকেও, অতি সতর্কে, যেতে হবে ওই পথে, যেভাবে-

চলে গেছে অতীতের যারাই প্রাণ পেয়েছে@ মণি জুয়েল

তুমি কি করছো?

আমি তো জানি তুমিও ঘুমাও না

আমাকে, প্রেমিক করে দিয়ে, তুমি কি যে করছো
রুহ-এর মতোই
তোমার অস্তিত্বই পাই না
কিন্তু তুমি যে নেই একথাও বলতে পারি না
তাই হলে কেন আমার প্রেমে পড়া

কি দরকার-
আমার প্রেমে জেগে থাকার

দুনিয়া ঘুমিয়ে আছে, জেগে আছি বেকারার

ইচ্ছে কর্ছে, জাগিয়ে দেবার
কি দরকার-

ঘরের খেয়ে বনেরমোষ তাড়াবার
কিন্তু তোমার অস্তিত্বে স্থির থাকা যাচ্ছে না
একটু বসেই আবার খাড়া
অশ্ব-দের মতোই
দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই কেটে যাচ্ছে, তুমি কি করছো?

@মণি জুয়েল

নদীতে ডুবে যেতে সূর্য অপেক্ষা করে ভোর থেকেই

নদীতে ডুবে যেতে সূর্য অপেক্ষা করে ভোর থেকেই

দরজা খোল, ভেতরে যাবো অতঃপর সাঁতার দেবো পথে
গেরিলা যেমন।
কিম্বা মরুজাহাজের মতোন
হেঁটে চলে যাব ভাঁজে ভাঁজের প্লাবন লুতে ভিজে
অথবা সাগরের মাছ যেমন জলে পুড়ে

এখন উত্তাপ দরকার
আলোকায়োন শীতল করে দিয়েছে

.
কোথাও কোনো তেমন প্রসব নেই সাড়ে-তিনশো-বছর

.
আধুনিকতাবাদ নির্বির্য করে দিয়েছে
তাই আন্দোলন দরকার

হ্যাঁ হ্যাঁ এখনও হওয়া উড়ে শিশির পড়ে
আমি এখন সাঁঝে হেঁটে দেখছি ঘাসগুলো ভিজে
অপত্যকাঙ্ক্ষী রমণীর মতোন
মম কুন্তি যেমন
ডাক দিয়েই যাচ্ছে- কর্ণ.. কর্ণ, কাউকেই দেখছি না পথে

দরজা খোল, সূর্য ঝরে পড়ুক, চাঁদ আলো দেবেই@ মণি জুয়েল

রাব্বানা লাকাল হামদ

যদিও জানি এখন তমসা রজনী

একটি পঁচিশ বছরের যুবক, আর চল্লিশের রমণী
এর থেকে সুন্দর
আমি দেখি নি, দুনিয়াও না
ওহী থেকে বহিঃ, কোত্থাও নেই সীমানা
ব'দ্বীপ থেকে আরশ অবধি

কেউই জানে নি
কবর কাবা আর ত্রিবেণী

আঃ আঃ ভিজে যাচ্ছি ভিজে যাচ্ছি আমি

ওই কাওসার স্রোতস্বিনী
কেউই জানে নি

এপার থেকে ওপার অবধি
ঘটে গেছে বিপ্লব ছাড়িয়ে গিয়ে সীমানা
আলোয় আলোকিত দুনিয়া
পাহাড় কি সমুদ্দূর
সবাই রুকুতে কেউ কেউ সামিল্লাহুলিমান হামিদা

হাত তুলে দাঁড়িয়েই আছি আমি@ মণি জুয়েল

জেনো, এখন কিছু বিস্ফোরণ ঘটবে

আষাঢ় রাত দুপার মাঝে তুলকালাম শুরু হয়েছে
বৃষ্টি হচ্ছে
পার কর, প্রিয়তমা
নৌকা, মেলে ধর; আমাকে যেতে হবে
শব্দে শব্দে, নাও, নিয়ে যাক

৪০মিনিটের পথ
অতঃপর স্খলন ঘটে যাক

.
এক জীবন থেকে আরেক জীবনের সীমান্তে

.
হ্যাঁ হ্যাঁ কেয়ামত ঘটে যাক
সিরাত পুল্সিরাত

শংসিত গম্যের নিবিড়পুলক
নাওয়ের গম্যগামী'কে পার করে দেবে-
দিয়াড়, প্রিয়তমা।
বৃষ্টি হচ্ছে
খুব শীঘ্রই সবুজ হবে, তার আয়জন শুরু হয়েছে

জেনো, এখন কিছু বিস্ফোরণ ঘটবে@ মণি জুয়েল

তুমি কি কাবা হতে পেরেছো?

তুমি সবসময়ই আমার কামকে ঔদ্ধত্য ভেবে নাও
আসলে
তুমিই কাবা নও
সেই তুমিই সেজদা আশা করে নাও
সেজদা মানে বিনয় অবনত

তাই দেখবে
যা দেখতে প্রস্তুত হয়েছো

এসো রেডি হয়ে নও, উন্মুখ হয়ে আছি

বল, প্রস্তুত হতে পেরেছো
আমায় নিতে?

সত্য সত্য'ই চাই ঢলে পড়তে
আমার অন্তরের হামদ্ শুনতে পাও?
এখনো কাবা নও
যদি হতে
অথবা বলতে বুকে জড়িয়ে রুকু বেয়ে অন্তে যাও

গমন করতাম, জানি মাথা নোয়ালে ওখানেই কাবা@ মণি জুয়েল

তুমি কেন মধ্য মেধার হবে?!

তুমি, এখনই গেরুয়া আধিপত্যের ধ্বংস চাইছো কেন?
গড়ে উঠুক
বিস্তৃত হতে দাও না
তুমি কি "ফ্যারাও"দের হিস্ট্রি ভূলে গেলে!
নিশ্চয়, নিশ্চয়ই মূসা আসবে
সাম্রাজ্য গড়ে উঠতেই দাও

ধ্বংসের জন্যে
গড়ে ওঠা দরকার বহুত

দেড় হাজার বছর আগের মাহাত্ম্য ভূলে গেছো?

অসহ্য যন্ত্রণা লাখঅযুত
তবুও তো ধন্য-

সেই জীবন, চির প্রশংসিত।
যীশুর মতো কেউ এসে যাবে
আগে তাদের 'সাম্রাজ্য' গড়তে তো দেবে।
নইলে ভাঙাও হবে না
গড়ে উঠুক
মধ্যমেধাবিরা, এসবকে কেচ্ছা বলবে কিন্তু তুমি কেন?

তুমি কেন মধ্যমেধার হবে অফুরন্ত জ্ঞানের দুনিয়ায়?@ মণি জুয়েল

১৭.৩.২৪

মহম্মদের আল্লাহর দরবারে

হ্যাঁ তোমার দিকে থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছি বটেই
তাই বলে
তোমায় ভুলে গেছি?
যদি তাই, তবে, কেন, মৃত্যুর মুখোমুখি
প্রাণ রোজ ঝরে যাচ্ছে, আক্সা

তুমিই প্রথম
প্রথমকে কেই বা ভুলে গেছে

আক্সা, আল আক্সা, আমার আল আক্সা

শিরায় শিরায় বয়েই চলেছে
তোমার ইন্ধন

ওই ইন্ধনেই বেঁচে আছি আক্সা
মরে যাওয়ার জন্যে।কাবার মুখোমখি
দাঁড়িয়ে এখনও খুঁজি-
মিলন, আমার তোমার, সেজদারও আগে রুকুতেই

মহম্মদের আল্লাহর দরবারে@ মণি জুয়েল

হাতের দুই তালুতে পাহাড়

হাতের দুই তালুতে পাহাড় ধরে ইচ্ছে করছে
টুম্বর গঙ্গায় মুখ রেখে
করি জল পান
লাঙ্গল, প্রস্তুত হোক চাষ-আবাদের
অথবা দাঁড়, নৌকার

অতঃপর
তুফান উঠুক

জেগে উঠুক জেগে উঠুক ওই নটরাজ

জেগে, উঠুক
তদ্ পর

অকূল ওই পারবারে
উপচে উঠুক ফ্যানা, নাদ সংঘর্ষের
আমরা করি চান
মস্ত্ শরীর ডুবিয়ে রেখে
ইচ্ছে করছে, ইচ্ছে করছে, খুব ইচ্ছে করছে

অবস্থা যখন নূহের মতো প্রায়@ মণি জুয়েল

তোমার হেঁসেল

তোমার হেঁশেলে ঢোকার অনুমতি দেবে?

রাতে, আমি খাই না, তুমিও বেড়ে দাও না তো
কিন্তু দুপুরে...
কিন্তু রাতে, ইচ্ছে করে
নিজেকে, নিয়ন্ত্রণ করে নিই, সয়ে নিয়ে
চোখ বুঁজিয়ে দেখতে থাকি

দুই ফাঁক করা
কেটে দেওয়া পেয়াঁজ

ঝাঁঝে পানি বেরিয়ে আসে দেখতে থাকি

বীফএর মজবুত হাড়
গোস্তে পুশ করে-

ভিজে আছে, গাঢ়-গ্রেভিতে
তবু খাই না ডুবে গিয়ে তারিয়ে তারিয়ে
কিন্তু ইচ্ছে? খুব  করে
যেমন দুপুরে।
তবুও খাই না। আসলে তুমি বেড়ে দাও না তো

চোখ বুঁজে দেখতে থাকি তোমার হেঁশেল @মণি জুয়েল

মেরুদণ্ডি ওরফে...

এ তরবারী বারবার মাথা তুলে তুলে দাঁড়াবে

মেরুদণ্ডী সেই তরবারী। রোদে জলে পুড়ে ভিজে
মরচে পড়ে যাচ্ছে!
অথচ তুমি
অথচ তুমি চাইলেই নেয়াম হতে পারতে

রক্তপাত থেমে যেতেই পারতো
উৎসও পেতো সবুজ জীবন

তুমি নিজেই তো ভিজে যাও ওই রক্তপাতে

অসহ্য যন্ত্রণা প্রবাহের দরুণ
সহ্য করে করে কাতর তুমিই তো

অথচ তুমিই, নেয়াম, হয়ে যেতে পারতে
কিন্তু তুমিই
অব্যাহত রেখেছ পাত
দোষ দিওনা, এতে আমার কিই বা দোষের আছে?

আমি তো চেয়েছিলাম তরবারীর সঁপে দিতে@ মণি জুয়েল

আর তার বইবাহক মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ

বৈবাহিক হতে যেমন চাই না, তেমনই চাই না বইবাহিক হতে।
এক 
অদ্বিতীয়া
সে তাকে ছাড়া, চাই না দ্বীতে গমন করতে
গমন মানে হলো যাওয়া

চাই না
চলে যেতে

তার কবরে নিজেকে ঢেলে থাকতে চাই জন্মান্তরে

বি-বর্তিতে
চাই না

অ-দ্বিতীয়ে স্থায়ী হওয়া
সে একই আমার চাওয়া, বাঁচতে বা মরতে
অদ্বিতীয়া
আহ্
আর কেউই নেই এক সেএক ছাড়া ভেতরে বাইরে স্বর্গ মর্ত্যে।

আর তার বইবাহক মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ@ মণি জুয়েল

তোমার বন্ধ দরজা

তোমার বন্ধসুডৌল বাড়িটায় যেতে ইচ্ছে করে

আমি জানি দীর্ঘক্ষণ দ্বার বন্ধ থাকার পরে খুললে
গন্ধ লাগে
একটা উৎকট ঘ্রাণ
তবুও তোমার ওই দরজা'তেই যেতে চাই
আঙুলে, দরজা দুদিকে ঠেলে

মুখ ঢোকাই
নাকে আসুক ওই প্রাণ

.
তুমি কি জানো সঠিক অর্থে প্রাণ কাকে বলে?

.
প্রাণ হলো গমনাগমন
আসে ছুঁয়ে যায়

বাঁধাবিপত্তিদের দুদিকে ঠেলে
আমারও ইচ্ছে করে খুল গিয়ে ঢুকে যাই
কিন্তু মেঝে বাঁধানো শান
দূরহ লাগে
হবে নলকূপ পোঁতা তোমার জমিন ওখানে চাইলে?

নগর তো সাবমার্শাল বসাতে দেবে না, ডিয়ার@ মণি জুয়েল

আমার বিছানায় উন্মুক্ত মরুভূমি

যে উন্মুক্ত মরুভূমি জীবনের ডাক দিচ্ছে

আমার বিছানায় উন্মুক্ত মরুভূমি দেখতে পাই না
অনেকের আছে
তারা উপভোগ করে কি?
জানি না। ইম্পটেন্স সমস্যার বিজ্ঞাপন
খুব দেখি। এবং বুঝতে পারি

এরা জানে না
উক্ত উন্মুক্ত মরুভূমি

বর্ণপরিচয়হীন এরা দেখতে জানেনা, উম্মি

এরা'ই আসলে উম্মি
কিন্তু জানে না

তবে খুঁজি। পেতে'ও ত' পারি
এ রকম সম্ভাবনায় কেটে যাচ্ছে যাপন
মাঝ রাত্তিরে ঘরে ফিরি
বিছানা পাড়া থাকে
সেদিকে তাকাই কিন্তু না মরুভূমি দেখতে পাই না

একটি লাস্য কথা, একটি সম্ভাবনার কথা @ মণি জুয়েল

আমার কথা শুনে

আমার কথা শুনে তোমার ঘুম পেলো, চলে গেলে
কিন্তু আমি
আমি যেতে পারলাম না
যাওয়া অর্থ তো "গমন করা" অলুফা
আমার গমন করা হলো না

কোনো বিম্ভ্রাটে
বিদ্যুতও গমন করেছে

না আজ এমেরজেন্সি বা মোমবাতি জ্বালি নি

শরীরটা খাড়া হয়েছে
ধরেছি সেটাকে

যদিও তোমায় পেলাম না
তবুও চালিয়ে গেলাম ধরবার চেষ্টা
না ধরে পারলামই না
বীর্য বমি
তোমাকে ৪৮ মিনিট ভেবে তারা একঝাঁক বের হলো

তারা গমন করলো তোমার উদ্দেশ্যে@ মণি জুয়েল

সেদিন সেমিনারে

সেদিন সেমিনারে স্যর ওদেরকে বললেন মাউস ধরতে
সেই থেকে
না সেই থেকে নয়
যবে থেকে তুমি আমার নেই সেই থেকে
আতৃষ আমি মুখিয়ে আছি 

সেই প্রভাত থেকে রাত

না না শুধু রাতই না, এখন মাঝরাত, ডিয়ার

এখনও রাত, ঢের রাত

আতৃষ আমি মুখিয়ে আছি
আমার "ডিভাইস"-টা, হাতে পাবো কবে
না শুধু রাতেই নয়
দিনে দুপুরে
আমি চাই, আমি চাই, আমি চাই ওই মাউস প্লে করতে

যেখানে দিয়ে ঝরে ঝরে পড়ে জ্ঞান

তুমি কি জ্ঞান জানো? জানো না!@ Moni Jewel

আমার কোনো ঈশ্বরই নেই

নিঃসন্দেহে আমি, তুমিও নও বস্তু বাইরে

কৃষ্ণ চূড়ায় জিহবা রেখে আসা জিহ্বা দিয়ে বলছি
ভালোবাসি
আমি তোমায় ভালবাসি
আমার কোনও ঈশ্বর-ই নেই প্রিয়তমা
এক কেবলই অদ্বিতীয়া তুমি

শপথ চাইছো?
দিব্যি করে বলতে হবে?

এসো, দাও, ছুঁই, কিরে খাই। বলি- ভালবাসি

তাহলে তো বিশ্বাস হবে?
এই কি চাইছো?

যদি আরও কিছুই চাও তুমি
সে সকলও দিয়ে দিতে পারি প্রিয়তমা
কারণ ভীষণ ভালবাসি
ভালোবাসি
একথা তোমার যোনিতে মুখ ডুবিয়েও বলতে পারি

যার থেকে পবিত্র আর কিছু নেই বস্তুতে@ মণি জুয়েল

অথচ আজও

চিড়ে করে দেওয়ার কথা ছিলো অথচ আজও
ধান হয় আছি
ধরে রেখে জীবনের সম্ভাবনা

ইতঃমধ্যে
বরফ, গলে গেছে

.
অর্গ্যাজমের মতো নদী হয়ে ভূমি ভিজিয়ে

.
পর্বত উঁচু হয়েছে
নিতম্ব হেন

ধরে রেখে জীবনের সম্ভাবনা
রৈদও খেলেছে
দুপ্পহারের মতো খাড়া মধ্যিখানে অথচ আজও

অথচ আজও@ মণি জুয়েল