তাহাজ্জুদে

কিন্তু তুমি তো জানো আমি সালাতে আছি

সবাই যখন ঘুমিয়ে গেছে, আমি জেগে থেকেছি
তাহাজ্জুদে
জেগেছে কেউ কেউ
আর আমি, একা খেতে খেতে হুইস্কি
বুকে নিয়ে তোমার ঢেউ

ক্রমশঃ
সকাল হয়েছে

.
সেহরী নিয়েছি সারাবছরের দিনের রাতে

.
সময় কেটেছে
অবশ্য

কিন্তু থেমে যায় নি ঢেউ
সে ঢেউএ আমি এখনো ভেসে যাচ্ছি
কোথাও কেউই নেই
সহজ-পথে
নেশাতুর আমি তোমার অনুভূতিতে খেয়ে যাচ্ছি

জানি, ঘুমন্তরা আমাকে মাতাল বলবে!@ মণি জুয়েল

সাঁঝে

সাঁঝে, তোমাকে ডেকে শসাটা নিতে বললাম
তুমি এলে
তুমি নিয়ে গেলে
মানে, গমন করতে উদ্যত হলে
ও পথে বুঝতে পারলে?

অতঃপর
জলে ডুবিয়ে দিলে

.
অনেকক্ষন জলে ঘষে ঘষে শসা ভেজালে

.
জল লাগিয়ে দিলে
গা বরাবর

শসাটি তেজময় হইলো
দ্বীপ-শিখা নেভানোর প্রাক্কালে
তুমি নিয়ে গেলে
জ্বেলে দিলে
শসাটি জীবন দিয়ে হলেও ঢেলে দিচ্ছে মলম

ঠিক যেমন ointment tube@ মণি জুয়েল

তোমাতে আমি অসীম কিছু দেখছি

বহুদিন বর্গীয়-জ নির্মাণ করা হয় নি, এখন এসো
সাগরতটে
দীর্ঘ-ঈ নির্মান করি
এ কিছুক্ষনের স্থাপত্য বড়োজোর
অতঃপর মিশেই যাবে

তা বলে কি
নির্মাণ করবে না?

.
অসীম সম্ভাবনাযয় চিৎ হয়ে দাঁড়িয়ে আছি

.
তুমি কি উঠবেনা?
আমি বলছি

যে তোমার সঙ্গে যাবে
সঙ্গ শব্দটিকে ভাঙো খোলো দ্বার
দীর্ঘ-ঈ নির্মান করি
বদ্বীপকটে
সাগরের অধরাষ্ঠে নদী আছ্ড়ে পড়ুক তুমি এসো

তোমাতে আমি অসীম কিছু দেখছি@ মণি জুয়েল

কোথাও মানুষ দেখছি না

প্রেমিকার যোনিতে, জিভ ঢুকিয়ে কাটানো রাত
তার দিব্যি
পঁহাত-এর শিশির
যেন যোনির লোমে জমে থাকা ঘাম
কিমবা ভেজামাটির ঘ্রাণ

সেই তারই
সীমান্তে যেমনটি

.
সেসবের দিব্যি আমি এখন ঘেমে যাচ্ছি

.
দুপ্পহরে যেমনটি
পন্থ-পথিক

ঘামতে ঘামতে হেঁটে যায়
গ্রামেরপথ দিয়ে নাকের ডগায় ঘাম
সভ্যতার মাঝরাতে
আমি তেমনি।
নগরায়ন ঘটেছে, ছায়া নেই, মডার্নিজম নিপাত

কোথাও মানুষ দেখছি না@ মণি জুয়েল

চাঁদের আবাদ

ডুবে যাক অধর পাহাড়ের কৃষ্ণচূড়ায়

তৃণাচ্ছাদিত তোমার চাঁদে আমাকে আবাদ করতে দেবে?
নির্জনে আমি
আবাদ করবো নিভৃতে
অজ্ঞরা না মানলেও আমি তুমি দুজনে জানি
চাঁদের মাঝ-খানে নদী আছে

একটা ফাটল
সেখানে আঙুল দিই

.
পাহাড় চিরে যেমন আসে তেমনই পানি বের হউক

.
আমরা, জীবন দিই
একটা উত্তর

ওতে নূতনের সম্ভাবনা আছে
বদ্ধ-রা না মানলেও, আমি তুমি দুজনে জানি
এস আবাদ করি দ্বিতে
উপরে উঠে।
আরোহণ করবে তো নাকি আমাকেই উপরে উঠতে হবে?

চাঁদের পাহাড় দাও হাতের মুঠোয়@ মণি জুয়েল

সূর্যের মতো কমন পুরুষ নই

প্লাবনের আগুনে সাঁতার কাটাতে ইচ্ছে করছে, ডিয়ার
মাঝরাত কবে হবে
চল্লিশের রমণীর মতোন?
আমি দিনের সূর্যের মতোন কমন পুরুষ নই
যে, সাঁঝেই নদীতে ডুবে যায়

পুরুষের মতো...
যেমন বীর্যস্খলনের পরে

.
অথচ দিনে লোকদেখানো তাদের আড়ম্বর দেখো!

.
লম্ফঝম্পে সবুজ পোড়ে
লজ্জাবতী যত

অথচ কিছুক্ষনেই ফিরে যায়
রাতে আকাশের জমাশিশিরে ভিজে গিয়েই
জীবন দেয় ওই নীল স্রবন
সেই রাত কবে হবে
প্লাবনের আগুনে সাঁতার কাটাতে ইচ্ছে করছে, ডিয়ার

- মণি জুয়েল

দেবে মরে যেতে গমন করতে?

মাঝে মধ্যেই ইচ্ছে করে আর না এবার মরে যাই
কিন্তু তুমি
তুমি আমাকে ডাকো না
ওহ্ ডিয়ার ওহ্ ডিয়ার দেখো২ আমাকে
উন্মুক্ত আমি দাঁড়িয়ে আছি২

প্রস্তুত
আমার প্রান্ত প্রত্যঙ্গ

.
নিজেকে মেলে দাও, আমি গিয়ে ঢুকে যাই২

.
সীমান্তে মিশুক অঙ্গ
বদ্বীপে

আমি উন্মুখ দাঁড়িয়েই আছি
কবর রচনা করো, তব ওই জল-বেষ্টিতে
আরশে আমায় ডেকে নাও
সৃজনভূমি
মিশিয়ে দিয়ে দেহ দেহে প্রেমের সীমানা চলে যাই

দেবে মরে যেতে গমন করতে?@ মণি জুয়েল

অস্ফুট সুখের বেদনাময় ওই ওম ধ্বনি

বহুদিন নৌকায় উঠে নি, আসলে নৌকা পাচ্ছি না
বন্ধু বললো-
বাবা চড়ে হাঁটতে যাবে?
আসলে নদীতে এখন তেমন জল নেই
ভাঙ্গনে, সর্বহারা করেছে

অতঃপর
শুকিয়ে গেছে

.
নাহ্ আসলে শুকিয়ে যায় নি, বাঁক বদলেছে
.

তীর বদলেছে
পয়ঃতার

যা ইচ্ছে তার তা করেছে
কিন্তু অদ্ভূত ব্যাপার আমার বদল নেই
শরীর নৌকাতে উঠবে
ভিজবে দুলবে
স্রোতের পানিতে ডুবে থাকা দাঁড়ের ওম শুনবে না!

অস্ফুট সুখের বেদনাময় ওই ওম ধ্বনি@ মণি জুয়েল

সে তাকে ঘিরে

নিজেকে ছাড়া, কাউকে, বঞ্চিত মনে করতেই পারছি না
সর্বহারা?
হ্যাঁ, হ্যাঁ আমি বেসাহারা
আমি চাইলেই গিয়েই শুয়ে যেতে পাই না
সে-তার পাশে, যেখানে সে
যেখানে সে, শুয়ে আছে

আমার
তৃষ্ণাও মেটে না

পান করতে পাই নি দুপার মধ্য স্রোতের পানি

ঘ্রাণও পাচ্ছি না
সে তার

সবঘ্রাণ কুক্ষিগত আছে
মোর ভূ-বন ঢেকে রেখেছে
অথচ এই আমি চাঁদের বেশি হতে চাই নি
স্তন বৃন্তের তিলটি যেমন-
পৃথিবীর চাঁদ
আমি নক্ষত্র হতে চাই নি, গ্রহ হতে পাই নি, উপগ্রহও না

কেন নিজেকে সর্বহারা মনে করবো না!@ মণি জুয়েল

জৈষ্ঠ্যের সাঁঝে বাঁশপাতা নড়ার মতোন

প্রেমিকার প্রবহমান যোনিতে ডুবে থাকা সমগ্র রাত
কিম্বা
উতপ্ত দ্বিপ্রহর
সেই দ্বিপ্রহরে নিমগাছের চাতকের ডাক
অথবা আঙ্গুল ভেজানো-

বিকেলের,
আগ্রাসী_স্রোতস্বিনী

.
সমস্ত এসবের দিব্যি, এসব সাক্ষী হয়ে থাক

.
তোমায় ভুলে যাইনি
পারিই নি

কিন্তু কেন যে বোঝো না
আমার অ-রবতা আর তাতে জাগা বাক্
ঠিক যেন নক্ষত্র
কিম্বা
চাঁদ। কতো কাব্য কতো সুর কতো গল্প ও বার্তালাপ

জৈষ্ঠ্যের সাঁঝে বাঁশপাতা নড়ার মতোন@ মণি জুয়েল

একটু অপেক্ষা করো

একটু অপেক্ষা করো

মডার্নিজমের মতো নিজেই সমস্যার সৃষ্টি করো
সমাধানও (২)
যে সমাধানে ভেঙে যায়
ভেঙে যায় আমাদের সমস্ত নিরাপত্তা
এ তুমি বুঝতেই পারো না

অতঃপর
অযুত লম্ফ ও ঝম্ফ

.
ততক্ষনে ভেঙে চুরমার হয়ে যায় নির্মান

.
অযুত লম্ফে ঝম্ফে
অতঃপর-

শুরু হয় বিনির্মাণের চেষ্টা
ধীরে ধীরে ঝরে পড়ে যায়, যত পাতা
নগ্ন কাঁটাশিমুলের মতো
চৈত্রের হাওয়া-
চুর-মার করে, মলিনতা। 'লোশন' আঁকড়ে ধরো!

এভাবেই কালবৈশাখ আসে এবং আসবে@ মণি জুয়েল

সহজ

হ হয়ে বসেই আছি যুগ থেকে যুগান্তরে
জ
হবো বলে
দ্বিতে মিলেমিশে সহজ হব বলে
কিন্তু তুমি, তুমি, তুমি

ফলে
হওয়া হয় নি

দন্ত্য-স‌ ভালোই বাঁকানো চিরদিনই

সম্ভব হয় নি
ফলেই

কিন্তু যদি মেলে দিয়ে
মিশেই যেতে,সম্ ভবা হবে বলে
সমঃ তলে
জ-
গড়ে উঠতো ভাস্কর্যে যুগ হতে যুগান্তরে

মুক্তি অথবা অশ্লীলতা@ মণি জুয়েল

সহজ হওয়ার ইচ্ছে থেকে

অপ্রকাশিতকে, প্রকাশিত করে দেওয়ার ইচ্ছে থেকেই
আমি
আমার কবিতা
কিন্তু আমি চেয়েছিলাম মুসব্বির হতে
সে কথা তোমাকে বলেছি

কিন্তু তুমি!
আজও উন্মুক্ত না

.
আজ অবধি কোনো বহি প্রকাশ ঘটাতে পাই নি

.
আজও উন্মুক্ত না
সেই তুমি

যাকে, আমি ভালবেসেছি
আহ্ যদি তুমি, নিজেকে ছড়িয়ে দিতে
রঙের কৌটাটা
তবে...
তবে আমি তুলি হয়ে ডুবতাম।জন্মানোর ইচ্ছে থেকেই

ঘন অরণ্যে ঠিকই খুঁজে নিতাম মণি@ মণি জুয়েল

মানুষ এক অহঙ্কারের নাম

তুমি একটা প্রাণের বেশি কিছুই না

প্রেমিকার যোনির ঘ্রাণের মতো পবিত্র আর কিছু নেই
জানি তো
তোমরা অশ্লীল বলবে
অথচ এই তোমাদের এ কারো জানা নেই
এখন আমাকে তাচ্ছিল্য করবে

কিন্তু জানো না
পশুদের দিকে তাকাও নি

.
নিজেকে সেরা বলার মতো ঘৃণ্য আছে কিছু নেই

.
আর তা না করে পারো নি
"সবার উপরে...

যদি অন্যপশু'র দিকে তাকাতে
তবে ঠিকই জানতে ওর চেয়ে পবিত্র নেই
কিভাবে বা এ জানবে
জানবেই না
কারণ অহংকারীদের জানা তো দূর সবল লিঙ্গও নেই

মানুষ এক অহঙ্কারের নাম@ মণি জুয়েল

তোমার ঘরের এপার থেকে ওপারে

তোমার ঘরের এপার থেকে ওপারে

তোমার সদর দরজায় কাপড় উড়ে উড়ে উঠছে
ইচ্ছে করছে
ঠেলে ভেতরে চলে যাই
তুমি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছো বক্তব্য
নিশ্চয়ই ছোলা ভিজেছে-

জলে(২)
আমিও ভিজে যাচ্ছি

.
সাঁঝে হঠাৎ করে একপশলা বৃষ্টি ঝরলো

.
দাঁড়ান মাথা ভিজছে
জলে(২)

ভেতরে যেতে মন চাইছে
দ্বার মেলে দিয়ে, যেতে দেবে গন্তব্যে?
ঠেলে ভেতরে চলে যাই
ছোলার ক্ষেতে
তোমার বাড়ির ঐ কিনার দিয়ে, নদী চলে গেছে-

যে নদী সাগরে গিয়ে মিশে গেছে@ মণি জুয়েল

সত্যিই জেগে ওঠার জন্যে

প্যাগান আলোকায়ন ইত্যাদির উপাসনা করবো না ডিয়ার
অন্ধকার
কি আসে যায় তাতে
পুরো নগ্ন করে তোমায় আমি পথ দেখে নেবো
আলো, আসলে তোমার দেহে

আমি জাগবো না
আমি ঘুমাতে চাই, ডিয়ার

.
প্রাণবন্ত জাগরণের জন্যে নিখাদ ঘুমের দরকার

.
আমি ঘুমাতে চাই, ডিয়ার
আমি জাগবো না

মিশে যেতে দাও তোমার দেহে
মৃত'দের নিয়ে আমার ভাবনা নেই, জন্ম দেবো
নূতনেই সম্ভাবনা থাকে
বাঁচবার
এসো এসো আমি তুমি শুয়ে পড়ি, এখন এখানে অন্ধকার

সত্যিই জেগে ওঠার জন্যে@  মণি জুয়েল

সে-তার দেহে হারাতে চেয়ে

বহুদিন মদ খাই নি, মাঝে মাঝেই ইচ্ছে করে খেয়ে নিই
কিন্তু
কিন্তু খাওয়া হয় না
তুমি কোথায় ডিয়ার, সে তোমাকেই পাই না
এসো, উন্মুক্ত হয়ে, প্রিয়তমা
তোমার ভূ-ওষ্ঠে, ঠোঁট দিই

খুলে দাও ভৃঙ্গার
শৃঙ্গারে ঝর্না ঝরতে থাক

.
খসরুর মতো সেতার বুকে নিই, তবলা বাজাই

.
মাদকতা বাড়তে-ই থাক
কূল কূল ভৃঙ্গার

পান করি, চানও করে নিই
কবর প্রস্তুত করো, প্রিয়তমা
দুইপার মধ্যস্থ স্রোতে, বাই, কায় এই নাইয়া
আমি মরতে চাই না
নাহ্
যেমন সুফি মালাঙ। ঈশ্বরের দেহে সজাগ। হারিয়ে খেই

সে-তার দেহে হারাতে চেয়ে@ মণি জুয়েল

তুমি কি ভি-উপত্যকা খুলে দেবে না?

নিম্নদেশে বাঁধ বেঁধে নিতে জানি ডিয়ার

সাঁঝের পরে থেকে এখন চান করতে ইচ্ছে করছে
কিন্তু
হাঁটু অবধি জল
তোমার হাঁটু অবধি জল দরকার
আর তা পাই নি বলেই

দাঁড়িয়েই আছি
মাথা ভিজিয়ে নিয়ে

.
জানি জানি তো ব্যাপারটা উল্টো মনেহচ্ছে

.
মাথা ভিজিয়ে নিয়ে
দাঁড়িয়েই আছি

কোথায় তোমাকে পাই
নদী, শুকিয়ে এখন বালুকার চর
নৌকা রমন করে
উজানে
যাব সে উপায়ও নেই, যেখানে অহরহ ঝর্না ঝরছে

তুমি কি ভি-উপত্যকা খুলে দেবে না?@ মণি জুয়েল

আমাকে দুপুরে গমন করতেই হবে প্রিয়তমা

বলেছিলাম

তোমার হাঁটু অবধি জলে স্নান করতে ইচ্ছে করে
কিন্তু
কিন্তু উষ্ণায়ন
আজ, পেপারে পড়লাম, সতর্কীকরণ
দুপুরে বেরনো'তে বারণ

ওহ্ ডিয়ার
তুমি তো জানোই

.
আমার দুপুর, আমার দুপুরের উতপ্ত যাপন

.
তুমি তো জানোই
২-য় পহার

মনে আছে কি জানি না
বলেছিলে- হ্যাঁগো তোমার কেন এমন!
হ্যাঁ বিস্ময় ছিলো
কিন্তু
কিন্তু, পাহাড় চিড়ে পানি ঝরেছিলো, খরে প্রখরে

আমাকে দুপুরে গমন করতেই হবে প্রিয়তমা@ মণি জুয়েল

বিছানা তাকে যা দিতে পারে নি

তার চুলের কথা বহু লেখা হয়েছে

অনেকগুলো কবিতা লিখে নিতে বাকী আছে এখনো
লেখা হয় নি
দোতলার বৌদির কথা
দুপুরের ঘুমের পর তার রেলিঙে দাঁড়ানো
শেষ বিকেলে। এখনও বাকী

তার পিঠের ডাগ
শুয়ে থেকে সৃষ্ট যে দাগ

.
তেল মেখে চান করা খোলা চুল লিখতে বাকী

.
আকাঙ্ক্ষী ললাট ভাঁজ
এসব লেখা হয় নি

ভেতরের কথা এখনও বাকী
চাইলে-ই তো ভেতরে চলে যাওয়া যায় না
তাই বলে ভেতরের কথা
অব্যক্ত থাকবে?
না,,, কেন না তার ভেতরের অনু-সন্ধান জারি এখনো

বিছানা তাকে যা দিতে পারে নি@ মণি জুয়েল