ওরা যখন নামাজের জন্যে দাড়িয়ে বুকে হাত বাঁধে
আমিও বাঁধি
ভাবি জড়িয়ে ধরেছি
ওরা সকলে যখন চোখ বুঁজে প্রার্থনা করে
আমিও আমার চোখ বুঁজি
তোমাকে দেখতেই থাকি
দেখতে পাই
দাঁড়িয়ে তুমি শাড়িতে
.
দুবাহু বুকে জড়িয়ে তুমিও দাড়িয়ে আছো
.
কামুক ওই দুইবাহুতে
জীবন অখেই
ক্রমশঃই দেখতেই পাচ্ছি
দু-বাহু ছড়িয়ে গেঁথে যাচ্ছি
এক তোমাকে ভালোবাসতে ভালোবাসতে!
ওরা গ্লাসে ডুবে যাচ্ছে
অলীক সবই
কোথাও কেউ নেই, কিন্তু তুমি! প্রকাণ্ড শরীর সাথে
আমি বিক্ষত হয়ে যাচ্ছি ভালোবেসে@ মণি জুয়েল
ও মণি, ওহ্ মাই ডিয়ার, ও সাগর, মণি জুয়েল
উপরে না
ওদিকে নিচে নিচে
যেখানে তুমি এখন, সেখান থেকে
আরও নিচে যেতে হবে
উপরে না
নিচেই ওই সীমানা
.
যে সীমানা আকাশকে সীমাহীন করেছে
.
নিচেই সেই সীমানা
প্রকাশ্য না
খুব গোপনে যেতে হবে
সে তার শুরুও তারই কেন্দ্র থেকে
নিম্ন-দেশে ভূ-দেশে
চেন কি তা?
ওহ্ মাই লভ্, জীবন নিচে নিচেই টিউবওয়েল
যার হাতল ধরে আছো তুমি দাঁড়িয়ে@ মণি জুয়েল
মসজিদের গম্বুজের উপরে যখন চাঁদ বসে আছে
আমি হাঁটছি...
তুমি কি ফীল করছো?
করছো, আমি এটাই বিশ্বাসও করে নিচ্ছি
তুমি কি বিশ্বাস করতে পারছো?-
এক তুমি ছাড়া
আমি কিছু ভাবতে পারছিনা
.
আমি হাঁটছি, আমার গমনে, দেখতে পাচ্ছি-
.
তৃণ-রা ভিজতে শুরু করেছে
শিশিরে শিশিরে
আভাস পাচ্ছো কি আমি হাঁটছি...
ভিজুক সারারাত। আমি, আজ, গ্লাস ধরে-
থাকবো। বুঝছো তো?
হেঁটেই যাচ্ছি
মসজিদের গম্বুজের উপরে যখন চাঁদ বসে আছে
পবিত্র অশ্লীলতা কিম্বা দুর্বোধ্যতা@ মণি জুয়েল
জানি সবই মিটে যাবে তবুও
তোমাকে রুল কাটারের বেশি ভাবতে পারছি না
আর আমাকে
বিলীন হতে থাকা রুল
দেখো দেখো, দেখো নিজেকে দেখো
কিভাবে ধ্বংস করে দিচ্ছো
না ডিয়ার
তোমাকে না, এ আমাকে
.
অস্থায়ী হলেও লিখে নেওয়া যেতে পারে
.
এখনকে, এই বর্তমানকে
কিন্তু, তুমি!
ভেঙে, চুর চুর করে দিচ্ছো
দেখো দেখো, দেখো আমাকে দেখো
বিলীন হতে থাকা আমি
সেই তোমাতে
ইচ্ছে কর্ছে উত্তর লিখে দিই কিন্তু সুযোগ পাচ্ছি না
শুধু একটিমাত্র উত্তরের জন্যে@ মণি জুয়েল
বালিশের কোনটা আমার হাতের তালুতে চলে আসে
অথবা
আমার হাতের তালু
আমার হাতের তালু চলে যায় ওই কোনে
যেন হাতের দুই_মুঠোয় স্তন-
তোমার
তাতে মুখ ঢেকে যাচ্ছে
.
এভাবেই ক্রমশঃ সকাল আসবে উঁকি দিয়ে
.
সূর্য-টি লুকিয়ে দেখছে
ভাব তো
ভিজে আছো তুমি সারাতন
ঠিক যেমন কোনো রমণী, তার বাথরুমে-
কিম্বা ট্যুবোয়েল তলায়
তরুণটি...
লুকিয়ে দেখেই যাচ্ছে, ঘেমে যাচ্ছে, দুপুর ডেকে এনে
দিন এসে যাবে তুমি উন্মুক্ত হলে@ মণি জুয়েল
নিশ্চয়ই তুমি পরাজিত হবে
তোমাকে ভালোবেসে-ই আমি অসুর হয়ে গেছি
বেদনা!
কিন্তু ভাবছি না
তোমার ওই চতুর আঘাতে বিক্ষত
চিরে গেছে, আমার বক্ষ
যদিও
তবুও ভেঙে যাচ্ছিনা
.
তোমাকে ভালোবাসাই আমার সংগ্রাম
.
তাই হেরেও যাচ্ছিনা
যদিও
আমার সমস্তই পরাজিত
তোমার ওই চতুর আঘাতে বিক্ষত
তবুও ভাবছি না
যন্ত্রণা!
কারণ আমাকেই প্রতিষ্ঠা পেতে হবেই মরি বাঁচি
আমার জয় হলে প্রেম জিতবে@ মণি জুয়েল
কই আইসা দিল হো, জো, ফাসানা-এ-মহাব্বাত্
ও মুঝে
ম্যাই উসে শুনাকে...
শাবরীভাইদের কণ্ঠের আতুর আর্তনাদ
কোত্থেকে ভেসে আসছে
তুমি জানো?
তুমি শুনতে পাচ্ছো?
.
আমি শুনতে পাচ্ছি, আমি শুয়ে আছি
.
তুমি দেখতে পাচ্ছো?
শুন্তে পাচ্ছো?
কোত্থেকে ভেসে আসছে?
এসো, দেখে যাও, না না না কোকোনদ-
না, আমার দুই চোখ
ভাসছে...
সেই প্লাবন-স্রোত শব্দেই ভেঙে যাচ্ছে যতো বাঁধ
ওসব তারই শব্দ@ মণি জুয়েল
কতো কিছুই না হতে ইচ্ছে করে তোমার জন্যে
যেমন
লিপ-স্টিক
আঃ বিশ্বাস করো সত্যিই বলছি
খুব বেশিই ইচ্ছে করে
অতঃপর
তোমার অধরাষ্ঠে...
ভাবো তো প্রস্তুত আমি দাঁড়িয়ে আছি
প্রস্তুত হয়ে উঠেছে
নিম্ন-ওষ্ঠ
আর লিপ-স্টিক' হয়ে
এ আমি, ঘষাঘষি খেলেই যাচ্ছি,
ক্ষয়ে-যাচ্ছি
যদিও
তবুও ইচ্ছে করে। সব ইচ্ছেরাও তোমার জন্যে
যেমন মোমবাতি হতে@ মণি জুয়েল
যেভাবে এখন এখানে আঁধার টিকে আছে
এখন ভীষণ রাত, সময়ের "শিক্ষিত"রা সব ঘুমিয়ে
মানে ক্লান্ত
দিনের আখের গুছিয়ে
কিন্তু আমার মতো কিছু অসামাজিক
এখনো রাত জেগে আছে
.
ঠিক জানি না
কিসের সম্ভাবনায়।
সকালে জেগে তাঁরা প্রতিষ্ঠানে পৌঁছুবেন-
ঠিক সেই ভাবনায়
ঘুমিয়ে গেছেন
.
এভাবেই রাত বর্তে আছে
কিন্তু আমার মতো কিছু অসামাজিক
বহুরকমে শব্দ বাজিয়ে
হাঁক ডেকে
চেষ্টা কর্ছি জাগিয়ে দিতে। কিন্তু শিক্ষিতরা ঘুমিয়ে
কারণ তাঁরা দিনে সিস্টেম রক্ষা করবেন@ মণি জুয়েল
অক্ষীহীন ওরা প্রগতির বাঁধা
আমি প্রগতিশীল এগিয়ে থাকা শিক্ষিতদের বিপরীতে
যারা একদা
মুসার বিরুদ্ধে ছিলো
যারা ঈসার বিরুদ্ধে লম্ফ-ঝম্ফে ছিলো
বর্তমান তাদের বিরুদ্ধে আমি
কারা তারা
তোমরা তাদের জানো?
.
তারা আর কেউ না, বর্তমানে যারা বিজ্ঞাপিত
.
তোমরা তাদের জানো?
কারা তারা?
এস, চেনো চিনিয়ে দিই আমি
দেখো, সমাজের "শিক্ষিত" ওরা ছিলো
ওরা প্রতিষ্ঠিত ছিলো।
উপড়ে দাও
সমস্ত প্রতিষ্ঠান চুর্মার করে দাও। তুফান হও বিপরীতে
ওই চির প্রশংসিত যেমন@ মণি জুয়েল
বসে থাকি একা, বাঁধা সেও দুলে একাই
আমি মাঝে মধ্যেই নদীর কাছে চলে যাই
নায়ের কাছে
অনেকেরই মতন
গিয়ে, একা একাই বসে থাকি
কিন্তু, গমন? হয় না্
পাই না
ওই নৌকাটিকে
.
আহা আকাঙ্খার ওই নৌকাটি; শ্বেত
.
থৈ জলরাশিতে
সীমানা
কিন্তু উঠতে পাই না
বাঁধা আছে সে তাকিয়ে দেখি
সে তা দেখে কি না
ঠিক জানি না
শূন্যে আহ্বান ছুড়ে, ভাসছে, দেখতে পাই
বিশাল শরীর সে-তার, কিন্তু যাত্রী নেই@ মণি জুয়েল
পূর্ব থেকে উত্তর সৃষ্টি অবধি
দুই কুক্ষিগত সুঘ্রাণের কসম তোমাকে ভালবাসি
ভালবাসি
তোমার আলিঙ্গন
ওই শরীরে মিশে থেকে যেতে চাই
মিশে থেকে যেতে চাই-
ঘ্রাণ হয়ে।
ঢেকে দিও না প্লিজ
.
আচ্ছাদিত করে রেখো গোপন কালো ঘাসে
.
ঝুড়ে দিও না প্লিজ
নির্মম হয়ে
মিশে থেকে যেতে চাই-
যোনিতে চুলেরা যেমন, মিশে যায়
আর তার সু-ঘ্রাণ
ভালবাসি
প্রাকৃতিক আমি, ওই প্রকৃতিকে ভীষণ ভালবাসি
যা সৃষ্টি পূর্বের জানান দেয়@ মণি জুয়েল
হ্যাঁ.. আমি তোমার থেকে পালিয়ে যেতে চেয়েছি
বাঁধনে অনাগ্রহী
মুক্ত থাকতে চেয়েছি
কিন্তু আমার পালানো হরিণের মতো
আর তাই, ধরা পড়ে গেছি
বারংবার
তোমার শিকার হয়েছি
.
একথা আজ স্বীকার করতে সমস্যা নেই
.
কিন্তু তুমি, কি করেছো
বধ সংহার
এ হৃদয় বিক্ষত হয়ে গেছে
তোমার উপেক্ষার সু-তীব্র হিংস্রতায়
আর্তনাদ করে গেছি
অথচ তুমি, তুমি....
তুমি আমাকে ধংস করে গেছো, ধংস হয়ে গেছি
আমি শিং লুকোই নি, আঘাতও করি নি@ মণি জুয়েল
তোমাকে চান করতে দেখার আমার খুব ইচ্ছে
জানো কি
তা কতো সম্ভাবনার
তার উপরে, তুমি অন্যের গৃহবধূ
এ সব তোমারই জানার
কিন্তু অদ্ভূত
দেখ আমি জানাচ্ছি
.
আসলে আমি ডেভিড বা কৃষ্ণ হতে চাচ্ছি
.
আসলে আমি চাচ্ছি
একটা উত্তর
যে হবে, প্রসবে, তোমার
হও বাৎসরিকা, যদিবা না, রাধা।
তা কতো সম্ভাবনার,
বলবে কী?
উত্তর চাই তোমার থেকেই। শ্লামনের খুব ইচ্ছে
আকাঙ্খা@ মণি জুয়েল
হ্যাঁ গো; শুনছো, তুমি নিজামকে চিনতে পারো?
তুমি, তুমি।
আমাকে দেখো খসরু
মদ বানাতে কি দেখ নি, মাতালকে?
এসো, মিশি, তুমি আমি
হয়ে যাক
যা হওয়ার কিছু
অতঃপর ঘুরতেই থাকি সৃষ্টির মতো
হওয়ার যা কিছু
হয়ে যাক
বিলীন, তুমি আর আমি
যদি কিছু না, কিছুই না হবার থাকে
শব্দরা ঘুরতেই থাকুক
বিশ্ব্ব্রহ্মাণ্ডে
হাম তুম তা না না(২), এ তুমি কি ভাবতে পারো?
প্রবেশদ্বার@ মণি জুয়েল
তোমার পা মোছা রুমাল তাজ করে রাখি
ওরা আমাকে নিয়ে জিজ্ঞেস করে কিছু বলি না
এই যেমন
হতে বালা পরি কেন
বুড়ো আঙুলে আংটি পরে আছি
এতেও জিজ্ঞাসা থাকে!
সবই প্রেম
এটা বুঝতে'ই দিই না
.
যা অনুভবের তা তো মুখে বলা যায় না
.
এটাও বুঝতে দিই না
সবই প্রেম
মাথাতেও গামছা থাকে
প্রায় রুমালের মতন, বেঁধে আছি
কিন্তু কেন এটা পরি
কেই জানে নি
সকলেই আমার সব বুঝে যাক এটাও বলছি না
কিন্তু তুমি! এসো, তোমার দু পদ মুছে দিই@ মণি জুয়েল
চোখ বুজলে অনেকের ঘুম আসে, আমার স্বপ্ন আসে
দেখতে পাই
রাজ্যেশ্বরীকে দেখি
পিঠে হাত করে, ব্লাউজের হুক খোলে
খুলতে খুলতে মিনার দেখে
সে রাত জাগে
জাগিয়ে দেয় মিনারকে
.
তার কালো বোঁটাগুলো ঘষাঘষি মিনার গাত্রে
.
জাগিয়ে দেয় মিনারকে
মিনারও জাগে
ভালমতো জেগে যায় দেখে
মানে রাজ্যেশ্বরীকে দেখে, তৃণঅরণ্যে-
আঙ্গুলে'রা চলে গেলে
সে সরিয়ে দেয়
রাগে রাজ্যেশ্বরী মিনারে উঠে বসে যায়, মিনার ভাসে
চাঁদের নৌকায় মিনার ভিজতে থাকে@ মণি জুয়েল
সে তার ছবি দেখলেই আমার বুক কেঁপে ওঠে
তবু দেখি
দিনে আর রাতে
মনে আছে বাইবেলের ডেভিড'কে
অর্থাৎ ইসলামের দাউদ
এসো এসো
সুলাইমান আসুক
.
শুধু আমার বুক না পাহাড়ও দুলে ওঠে
.
সুলাইমান আসুক
এসো এসো
মাছগুলো উঠে এসেছে
আমার আহ্বানার্ত্নাদ শুনতে পেয়ে
দিন আর কি রাত
এসো দেখি
জেনো পাহাড় টের পায় পতঙ্গেরও যেটি ওঠে-
পাহাড়ের পাশ দিয়ে@ মণি জুয়েল
মন্দিরের দরজাও খোলা আছে মিনারও খাড়া
কিন্তু দূরত্ব
কোন যোগাযোগ নেই
শুধুমাত্র হওয়ার যোগাযোগ ছাড়া
তাই আমি শ্বাসে প্রশ্বাসে
মিশিয়ে
নিয়েছি সে তাকে
.
যাকে ঘিরে আমার খাড়া জাগরণ বন্দনা
.
চোখ দু'টো বুঁজে
দেখছি
নিভৃতে, ভিজে যাচ্ছে সে
আর নির্ঘুম আমি, একপায়ে খাড়া
কোন যোগাযোগ নেই
অনেক বছর
মন্দিরের দরজাও খোলা আছে মিনারও খাড়া
মন্দির আর মিনারের কথা@ মণি জুয়েল
সন্ধ্যা নেমে এলো, বিকেলে নদীতে যেতে পাই নি
আহা
বিকেলের নদী
আঙ্গুল জানে বিশেষত মধ্যমা জানে
ভেজা বিকেলের স্রোতে
কিই না সুখ
আঙ্গুল ভেজানো তে
.
অতঃপর সাঁঝে দূর্বা ঘাস মাড়িয়ে চলতে
.
আঙ্গুল ভেজানো তে,
শিশির মেখে
গমনে, মানে হেঁটে যেতে
এ আঙ্গুলেরা জানে, তালুরাও জানে
আবাদের জমি
আহা
কদ্দিন নদী থেকে জমিতে জল সেঁচ দেয়া হয় নি
দূর্বা ঘাসের কেন্দ্রে আবাদী জমিতে@ মণি জুয়েল
আধুনিকতায় হালচাষীরা অক্ষম এখানে
সন্ধ্যা নেমে এলো, বিকেলে নদীতে যেতে পাই নি
আহা
বিকেলের নদী
আঙ্গুল জানে বিশেষত মধ্যমা জানে
ভেজা বিকেলের স্রোতে
কিই না সুখ
আঙ্গুল ভেজানো তে
.
অতঃপর সাঁঝে দূর্বা ঘাস মাড়িয়ে চলতে
.
আঙ্গুল ভেজানো তে,
শিশির মেখে
গমনে, মানে হেঁটে যেতে
শুধু আঙ্গুলে'রাই না, তালুরাও জানে
আবাদের জমি
আহা
কদ্দিন নদী থেকে জমিতে জল সেঁচ দেয়া হয় নি
দূর্বা ঘাসের কেন্দ্রে আবাদী জমিতে@ মণি জুয়েল
জাগ ওঠ মুখ ডুবিয়ে দিই
এখন ঢের রাত। কোথাও কেউ-ই জেগে নেই
কিনতু আমি
খুউব ইচ্ছে করছে
কিন্তু এখন কুঁয়ো কোথায় পাই
আধুনিক এ সভ্যতায়
আঁধার
এই সভ্যতায়
ইচ্ছে করছে সবাইকে জাগিয়ে দিতে
এই সভ্যতায়
আঁধার
কাকে কিই বা জানাই
চোখ বুঁজি, কুঁয়োতে মুখ ডুবাই।
আপ্রাণ চেষ্টা করছি
নির্জনে আমি
এখন গভীর রাত। সে তাও এখন জেগে নেই
কুঁয়ো তার কাছেই আছে@ মণি জুয়েল
হ্যাঁ গো, তুমি এতো বেশি আধুনিক কেন হলে
ভালই ছিলে
গ্রামের নাদুস মেয়ে
সম্ভ্রান্ত পরিবার-এর, নাদুস মেয়ে
কুঁয়ো'তে ঝাপাতো ব্যাঙ
বর্ষা আসতো
আমরা ভিজে যেতাম
.
ব্যাঙের আরহে অবোরহে তৃপ্তি পেতে
.
প্রায়শ-ই 'ব্যাঙ' হতাম
বৃষ্টিও ঝরতো
আর এখন বর্ষা পেরলো
বাঁশের ডগার ফোঁটায় উত্তপ্ত হয়ে-
পুড়্ছি কিন্তু পানি নেই
শরৎ আসলো
খুউব মন্দ হবে কি ফের একবার গ্রামীণ হলে?
গ্রামীণ; এক মিলন পজিশনের নাম@ মণি জুয়েল
নাভিটা কেমন আছে; তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম
উত্তর দেয় নি
তার ঘুম পেয়েছিল
তারপরও আমার জানতে ইচ্ছে করছে
কারণ ওখানে পুকুর ছিল
ব্যাঙের
আহ্বান ছিলো
.
শীত বা গ্রীষ্মেও পথপাড় উপচে যেতে দেখছি
.
টইটুম্বুর ছিলো
স্রোতের
কারণ ওখানে পুকুর ছিল
কিশোরের মতন আমি সাঁতার কেটেছি
উষ্ণতা বেড়ে গেছিল
শীতল হই নি
পুকুরের কথা-ই আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম
সে ভেজাচুল নিয়ে হেসেছিল কিছুই বলে নি@ মণি জুয়েল
আরো উপমা দেওয়াই যায় কিন্তু...
পৃথিবী কাকে কেন্দ্র করে ঘোরে বা সূর্য তারা
আরো অন্য
সে সব জানি না
বিজ্ঞানের অনেক বানোয়াট আছে
কিন্তু, জানি তো আমাকে
আমি ঘুরি
কেন্দ্র করে তোমাকে
প্রেমিক যেমন ঘোরে প্রেমিকা যোনিকে...
কেন্দ্র করে তোমাকে
আমি ঘুরি
আমি তো জানি আমাকে
ঘুরতেই থাকি, তোমারই চারিপাশে
যেন ঘড়ির কাঁটারা
কিম্বা অন্যান্য
আর আর সব উপমিত হয়ে যাওয়া উপমারা
সব সব সবই তোমাকে কেন্দ্র করে@ মণি জুয়েল
হ্যাঁ চাইলে তোমার একটা মূর্তি গড়ে নিতে পারি
কিনতু...
সমস্যা ওতেই
তোমার মূর্তি যা তুমি তা নওই
অপব্যাখ্যা হতে পারে
হতে পারে
অযুত ভুল ভ্রান্তি
.
আমাদের সভ্যতার দিকে তাকিয়ে দেখো
.
অযুত ভুল ভ্রান্তি
পদে পদে
এতো সব কিছুর পরে
কি করে তোমাকে মূর্তি বানাই
না.. সন্দেহ নেই
তোমাতে
কিন্তু এ আঁধার সভ্যতাকে কি করে বিশ্বাস করি?
জেনো, আমি জানি এক এবং অবিকল্প তুমি@ মণি জুয়েল
সব কথা যায় না বলা কারণ সমাজ বলে কথা
আধুনিক বিজ্ঞানের টিচারের ঘরের জানালাটা খোলা
দেখতে পাচ্ছি
পশ্চিমে ঘুরে বসে আছেন
তাঁর ঘরে আলো জ্বলছে, বাইরে অন্ধকার
তিনি এগিয়ে আছেন তাঁর মতে
ফেসবুকে
টুকটাক পোস্ট করছেন
.
আলোতে বসে থাকার প্রমানে ছবি পোস্টাচ্ছেন
.
কিই বা করার যায় এখন
বসে বসে
তিনি এগিয়ে আছেন তাঁর মতে
কিন্তু, আমরা, যারা দর্শক মানে ছাত্র ছাত্রী
তারা ঠিকই দেখতে পাচ্ছি
তিনি আঁধারে
কিন্তু যাচ্ছে না বলা, দু চোখ বন্ধ করে ভাবছেন খোলা
আমাদের বিজ্ঞান, আমাদের শিক্ষক,আমাদের রাত@ মণি জুয়েল
লুকিয়ে দেখতে দেখতে সেই যে শুরু দিন হয়েছিলো
দুপুর হলো
অতঃপর... আগুনে
আমার একটু স্নান করতে, দেহ দাও
স্নিগ্ধ বিকেলে ডেকে আনো
.
ঘোলা জলে
ডুবতে দাও প্লিজ
দিন আর রাত একে অন্যে মিশেই যাক না
ডুবতে দাও প্লিজ
ঘোলা জলে
.
হয়েই যাক না সায়াহ্ন হলে
আমার একটু স্নান করতে, দেহ দাও
যে দেহে নদী বয়ছে
সন্ধ্যা আনো
আমি ডুবে যাই তোমাতে। যা দেখে দেহ জেগেছিলো
তখন তুমি শিশিরে ভিজে ছিলে, আমি কাঁপছিলাম@ মণি জুয়েল
না কি চোরা কারবারে সবই শেষ প্রতি মাসে
এ আমাকে অহিংস করে দেওয়ার কথা ছিলো
কথা রাখো নি
তরয়াল কেড়ে নাও নি
কথা ছিলো- নেয়ামে যত্নে লুকাবে
কোনও কথা-ই রাখো নি
এখন ভীষণ রাত
ইচ্ছে হচ্ছে বিক্ষত হই
.
তোমার সহিংসতায় আবারও জন্ম নিই
.
শোণিত নির্যাসে ভিজে
কেটে যাক এ রাত
নদী আর যেমন বান্ভাসি
কথা ছিলো- নাও-এ উঠিয়ে নেবে
দাঁড় হাতে প্রস্তুত আমি
কিন্তু ডাকো নি
গহীনঅরণ্যপথে আমাকে গমনের কথা ছিলো
হ্যাঁ গো নদীর দুপাশে গাছপালা কেমন আছে@ মণি জুয়েল
মাঝে মধ্যে আমার ভীষন রকম ইচ্ছে জেগে যায়
ইচ্ছে করে
তোমার হেঁসেলে যাই
মানে, গমনের পর্দা তুলি, ঢুকে যাই
অতঃপর ছুরি হাতে নিই-
পেঁয়াজে ঢুকাই
দুই ফাক হয়ে যাক
.
জল ঝরতে থাকুক, আমরা ভিজে যাই
.
জল ঝরতেই থাক...
ঝাঁঝে সিক্ত হই
অতঃপর ছুরি রেখে দিই
মাছের পেটিতে, তুমি তেল মাখাও
অতঃপর দুজনে মিলে
রেঁধে বেড়ে...
এ ইচ্ছে, আমার মাঝে মধ্যেই ভীষণ-ই বেড়ে যায়
বিশেষত দুপুরে@ মণি জুয়েল
বিশাল পেটের পোস্টবক্স ঠিকানা তার নিচেই
প্রস্তুত হই উঠা নামা করি কিন্তু ওখানে যাওয়া হয় নি
ওখানে মানে
তোমার নিচে পোস্টবক্সে
ঘষাঘষি করি কলম, বের হয়ে আসে প্রাণ
কিন্তু নষ্ট করে দিই ফেলে দিই
ঠিকানা পায় না-
জমে থেকে যায় যন্ত্রণা
.
এভাবেই অসংখ্য শেষ হয় নষ্ট হয়; ফুরায় না
.
জমে থেকে যায় যন্ত্রণা
সীমানা, পাই না
ইচ্ছে করে ফেলি বক্সে গিয়েই
কিন্তু, ঢোকাবার আগে জরুরী অনুমোদন
অবশ্য-ই দরকার সম্মতি
সম্মতি নেই
নাকি আছে, তা বুঝে ওঠা হয় নি, বহুদিন কথা হয় নি
দূর থেকে চোখ বুঝে ডাকবাক্স দেখছি@ মণি জুয়েল
খসরু'র মতোন ইচ্ছে করে তোমার পাশে শুই
দ্বার হই
তোমাতে পৌঁছুনোর
অথবা মাওলা যেমন মহম্মদ(স:)এর
কিনতু, তুমি কি পারবে?
আঙুল দিয়ে
সবাকে জানাতে
.
মান কুন্ত মাওলা ফাহাজা ... উন মাওলা
.
পারবে জানাতে?
যেভাবে তিনি
ওভাবে তুমি কি পারবে?
আমি তো চাই নিজামের মতো কবর
তোমাতে পৌঁছুনোর
দ্বার হতে
পুনঃউত্থানের আগ অবধি তোমার পাশেই রই
যে সাঁঝে দিন রাত মিশে গেছিলো
ডোলা বলেছিল রসুনের কোয়ার মতো ভগাঙ্কুরের কথা
সেই থেকেই
আমি, রসুনে আগ্রহী
এখন প্রতিদিনই এক কোয়া রসুন চাইই
তাতে বেশ ভাল থাকা যায়
ভালো আছি
আমি ভালোই আছি
.
রক্তচাপ এখন সুনিয়ন্ত্রিত, মেদও কমে গেছে
.
তবুও সুঠাম'ই আছি
পোক্ত আছি
কিন্তু এতে সুখী থাকা যায়?
দু-সুঠাম বাহুতে যদি তোমাকেই না পাই
আমি তোমার পাণিগ্রাহী
সেই থেকেই
যে থেকে শুরু হয়েছিলো যত সব কায়েনাত সৃষ্টির কথা
তুমি কি ভুলে গেছো সেই সাঁঝ?@ মণি জুয়েল
দীর্ঘদিন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি একটা কবিতা লেখার
কিন্তু হচ্ছে না
লিখছি আর কাটছি
কতো কিছুই আমার না দেখা থেকে গেছে
তোমার। তোমার প্রতঙ্গ'দের
কিভাবে ঘাম
মেরুদন্ড দিয়ে নামে
.
পেয়াজে ছুরি ঢুকলে তোমার ঠোঁট কেমন হয়
.
কিভাবে পানি নামে
কিনার বেয়ে
যখন বটি মধ্যখানে দুপায়ের
এসব ভেবে কতদিন না কল্পনায় ভেসেছি
দরজা খুলে খাড়িয়েছি
জ্বল ঝরে গেছে
আমারও। তোমাকে দেখতে দেখতে। প্লাবিত পাথার
কিন্তু কাছে যাওয়া হচ্ছে না@ মণি জুয়েল
জল গড়াচ্ছে নিশ্চয়ই তুমি এখন চান করছো
হ্যাঁ গো
কোন ছিদ্র আছে
তোমার ওই সাড়োম্বর বাথ-রুমের
থাকলে, বন্ধ করে দাও
ঈর্ষান্বিত হবে
যতো বৃক্ষ, তৃণলতা
.
তোমার শরীর আহ্ আর তার কারুকাজ
.
যেন বৃষ্টিস্নাত পাতা
তাজা জবজবে
দরজাও বন্ধ করে দিও
ঘরের। পাতা-রা যেন না পায় খবর
তুমি ভিজে উঠেছ
সু-সিক্ত
ওরা বৃষ্টি পায় নি আর তুমি (অসমাপ্ত)@ মণি জুয়েল
জল গড়াচ্ছে নিশ্চয়ই তুমি এখন চান করছো
হ্যাঁ গো
কোন ছিদ্র আছে
তোমার ওই সাড়োম্বর বাথ-রুমের
থাকলে, বন্ধ করে দাও
ঈর্ষান্বিত হবে
যতো বৃক্ষ, তৃণলতা
.
তোমার শরীর আহ্ আর তার কারুকাজ
.
যেন বৃষ্টিস্নাত পাতা
তাজা জবজবে
দরজাও বন্ধ করে দিও
ঘরের। পাতা-রা যেন না পায় খবর
তুমি ভিজে উঠেছ
সু-সিক্ত
পাড় ধসে যাচ্ছে আমার তুমি যখন চান করছো@ মণি জুয়েল
অনন্ত তাকিয়ে থাকা যায় অন্তহীন তাকিয়ে থাকা যায়
তোমার দিকে
তোমার কি সীমানা আছে?
নাবিক পাবে কি সেই খেই অতুল স্রোতে
পারবে কি সাঁতরাতে পারাবার
জানিনা
তবে ভাস্কো দা গামা
.
নিশ্চয়ই আবিষ্কার হয়ে যাবে বেষ্টিত ব-দ্বীপ
.
চারদিকে জল জমা,
মধ্যস্থে...
ওখানেই, অবস্থান চাই আমার
চাই পাল তুলে তারই ভেতরে চলে যেতে
বসত গড়ি অরণ্যের মাঝে
তোমার বাঁকে
অনন্ত হারিয়ে যাওয়া যায় অন্তহীন ত্রিবেণীর সীমানায়
এ কথা তুমি জানো না@ মণি জুয়েল
রান্নাবান্না করে তুমি সম্ভবত এখন চুল খুলে দিয়েছো
আকাশ আঁধার
ফোঁটায় বৃষ্টি ঝরছে
সম্ভবত: তোমার শরীরে ঘাম জমেছে
দারুণ সুঘ্রাণ বিলিয়ে যাচ্ছে -
আমার এদিকে
মাটির সোঁদা সোঁদা গন্ধে
.
আহা তপ্ত দুপুর আমার সিক্ত তোমার যোনিতে
.
তার-ই সোঁদা সোঁদা গন্ধে
সব ভিজে যাচ্ছে
দারুণ সুঘ্রাণ বিলিয়ে যাচ্ছে -
সম্ভবত বিপুল অগ্ন্যুৎপাত ঘটতে যাচ্ছে
শরীর কেঁপে কেঁপে উঠছে
পৃথিবীর মতোন
রান্নাবান্না করে তুমি সম্ভবত এখন চুল খুলে দিয়েছো@ মণি জুয়েল
ওই আলোই প্রমাণ করে ওরাই আঁধারে
হ্যাঁ নিশ্চয়-ই এখন ঢের রাত আমাদের এদিকে
কিনতু
সকালের শুরু?
কেই না জানে সেও সেই পূর্ব-দিকে
মানে আমাদেরই দিকে
পূর্বদিকে
সূর্য জেগে উঠবেই
.
কিন্তু আমরা কখন জাগবো তা জানি না
.
জাগবো কি আদৌ
তবে কবে
সকলে-ই পশ্চিম দিকে-
সার্টিফিকট ধরে হাঁ..তাকিয়ে আছে
আধুনিক হতে!
এগোতে!
জ্বেলে দিয়েছে কৃত্রিমআলো আঁধারি বাড়াচ্ছে-
ধাঁধিয়ে দিয়ে, অনুসন্ধানের দুই নয়ন@ মণি জুয়েল
জেনো, অশ্ব বহুদিন পান না-করেও ছুটতে পারে
প্লাস সাইজের তুমি যখন আমার থেকে মুখ ফেরাও
হেঁটে যাও
গুমান করতে করতে
তখন হস্তীনি কি তুমি শুনতে পাও
আমার হৃদয়ের মচমচ
আহা
চুরমার হয়ে যায়
.
রক্তাক্ত আমার হৃদয় তোমার প্রতি পদে পদে
.
চুরমার হয়ে যায়
আহ...
তবু তবুও ছুটি খট খট-
অশ্বের মতোন। তুমি দেখতে পাও?
পেছনে ছুটতে ছুটতে
আমি যাই....
জেনো, অশ্ব শুধু সেইখানেই মুখ রাখে যেখানে নাও
যেখানে গমনাগমন, যেখানে পানি বয়ে যায়@ মণি জুয়েল
