Thursday, 2 June 2022

সুদ ও পুঁজিবাদ বিষয়ক

ঐতিহাসিক পুঁজিবাদ এবং বর্তমান বিষয়ে নিজের জানাশোনা এবং মতামত।

গ্রামাঞ্চলে যে সুদের বাড়াবাড়ি দেখতে পাওয়া যায়। অথবা আপনি আমার এই পোস্টের পাঠক পাঠিকা, আপনার মনে যে বাসনা কেমন করে এখানে ওখানে একটা ফ্লাট বা আপনার ব্যবসা কি  করে আরো বড়ো হবে অর্থাৎ আপনার সম্পদ আরো বাড়বে বা যা আছে তার থেকে কমে না যায়। এসবই হলো পুঁজিবাদ। আপনি জানেন আর না জানেন, মানেন আর না মানেন।

তো এই পুঁজিবাদ অবিশ্যি আপনাদের "শিক্ষিত"দের মতানুযায়ী ১৬০০ খ্রী: পরে বা মধ্য যুগের পরে জন্ম পেয়েছে এমন কিন্তু না। এর জন্ম চার হাজার বছর আগে। খুব সরল করে বললে বলাই যায় মানুষের জন্ম থেকেই পুঁজিবাদের জন্ম। যা আজও চলছে। তবে একে নেভানোর ব্যবস্থা ইতিহাস মোতাবেক। সুদ বলতে গিয়ে পুঁজিবাদ আনলাম কারণ সুদ আর পুঁজিবাদ দুই নয়। এর সত্যতা জানতে আপনাদের কেউ একাধজন জানা শোনা মানুষ থাকলে জিজ্ঞেস করে নেবেন, অথবা নিজে জানতে চেষ্টা করুন।

এই সুদ(এর বহু প্রকার) ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ইতিহাসে অনেক লড়াই সংগ্রাম হয়েছে পৃথিবীতে। তার সব থেকে বড়ো উদাহরন আব্রহামিজম। আবার এই এখনকার এখনকার পৃথিবী তে যে পুঁজিবাদ টিকে আছে তার পেছনেও আব্রাহামিজম। এ এক লম্বা ইতিহাস। সে আব্রাহামিজম বর্তমানে পুঁজিবাদকে বহাল রেখেছে তার নাম যায়োনিজম। অবাক হচ্ছেন? হবেন না। পড়ুন। পড়া শুরু করার পরে খুঁজে না পেলে আমাকে জিজ্ঞেস করে নেবেন। না শুধু যায়োনিসম না, যেটাকে আপনারা প্রোটেস্ট্যান্টইজম বলে জানেন না সেটাও আজকের বর্তমান পুঁজিবাদের বিশেষ স্তম্ভ। আপনারা নিশ্চয় মার্টিন লুথার এর নাম শুনেছেন, জন কেলভিনের নাম সম্ভবত শোনেন নি, ইনি মানবতাবাদী! যে মানবতাবাদ নিয়ে আপনাদের ঢলাঢলি। হ্যাঁ এরাই আজকের পুঁজিবাদকে এরাই জীবন দান করেছিলেন, যখন ক্যাথলিক চার্চ সুদকে অবৈধ ঘোষণা করে ছিলো। এইটুকুই বললাম। বাকিটা নিজেরা পড়ে নেবেন গবেষণার ধরণে।

এই পুঁজিবাদের আরেকটা সূত্র খুঁজে পাবেন আরবের ইতিহাসে। নবী মুহাম্মদ তার শাসনামলে ইহুদী খিস্টান মুসলামানদের মধ্যে একটা বিশেষ mutual understanding এর মাধ্যমে সারা পৃথিবী তে তখনকার পুঁজিবাদের যে ফর্ম সেটাকে ধ্বংস করে দেন। কিন্তু তিনি দেহত্যাগ করলে(এর মধ্যে অনকে কথা আছে) সেখানে অর্থাৎ সেই দেশের খাজার নামক এক জনগোষ্ঠী ইহুদী ধর্ম গ্রহণ করে। তারা সেমেটিক ছিলো না। এরা জানতো খিস্টন বা মুসলিমদের মধ্যে ঢুকে তাদের কাজ হবে না, কিছু হওয়ার সম্ভাবনা আছে ইহুদীদের মধ্যে থেকেই। তাই তারা ইহুদী হয়। এরা বনি ইসরায়েল না। এদের থেকেই যায়োনিজম এর জন্য, এদের থেকেই প্রোটেস্ট্যান্ট ইজমের জন্ম। আরো জানলে অবাক হবেন এদের থেকেই 'ইসলামিক-প্রোটেস্ট্যান্টইজম'এর জন্ম বলেই বিখ্যাত কিছু আন্তর্জাতিক-রাজনীতি গবেষকদের মতামত।

এইটুকুই থাক।

দ্রঃ তথ্য নিজে যাঁচাই না করে গ্রহণ করবেন না। কোথাও ভুল তথ্য আছে মনেহলে আমাকে আরো জানতে সহায়তা করবেন। উপরে লিখিত মতামত, কোনোভাবেই শেষ কথা বলছে না। ইতিহাসকে খণ্ডভাবে বললে ভুল হওয়ার এবং ভুল বোঝার সম্ভাবনা থাকে।

No comments:

Post a Comment