অকেজোরা যখন ফালতু ফণা তোলে, তেড়ে আসে
তখন
তুমি ঈগল হও
অথবা চেষ্টা করো পাশ কাটিয়ে যেতে।
ওরা জানে না ওদের অক্ষমতা
গর্তের ওরা
অসীম আকাশ জানে না
কিন্তু এখন সময় পাশ কাটানোর মতোন না
তাই তুলে নিতে ভুলো না
নীলোচ্চতায়
অত:পর জেনে যাবে অক্ষমতা
না না তুমি না, সেই, জেনে যাবে নিজে।
উপরে তুলে দাও
অনন্তে
জেনো, আমি এভাবে উচুতে নিই যারা তেড়ে আসে
জেনো ঈগলের দুপক্ষ আছে@মণি জুয়েল
লিখছি চূড়ান্ত আদিম অশ্লীলতা
গম চাষের ইচ্ছে করে, কিন্তু আমার জমিই নেই
লাঙ্গল আছে
দুটো বলদও আছে
আমিও খাড়িয়েই আছি, ঠাঁই নেই
ধানের শীষ মাথা তুলেছে
নামছে উঠছে
হাওয়ার প্রণোদনায়
কি গেঁয়ো আদিমতা মনেহচ্ছে তাই তো?
হ্যাঁ সেই আদিমতাই
বলতে চাইছি
চাষাবাদের কথা'ই বলছি
ট্রাক্টরে, চিরে গেছে মাঠ বাদ নেই
যার হাতে ভেটো আছে
আবাদ করেছে
দখল করে রেখেছে সাম্রাজ্য, আমার সীমা নেই
চারদিকে বৈজ্ঞানিক আধুনিকতা@মণি জুয়েল
#লাঙ্গল আমার মুঠোয়
শুধু আমাদের যোগাযোগ নেই
ইচ্ছে করে ওর ভেতরে জমে যাওয়া ফেলে আসি
বের করি রাতে
সে তাকে ভাবতে ভাবতে
বের করি, দিনে, দুপুরে, মন খারাপে
লিখে যাই কাগজে পাতাতে
কিন্তু না
দুমড়ে, ফেলে দিই
জানি, দেখতেও পাই ডাকবাক্স উন্মুক্ত
তবুও ফেলেই দিই
অ-জনে
এদিকে, ডাকও বন্ধ হয়েছে
এখন আর যোগাযোগ নেই সেভাবে
কিন্তু সে আজো ভাবনাতে
দিনের পাঁচবেলাতে
একান্তে কলম নিই মুঠোয়, তার মুখ চোখে ভাসে
নিচের ডাকবাক্স হা হয়েই আছে@মণি জুয়েল
এখন আমাকে পৃথিবী হাঁটতে হবে
অনেকদিন সাপ খেলা দেখতে পাই না তুমি নেই
নগরায়ণ ঘটেছে
তুমি অরণ্য রেখেছো কী?
আমি, জান্নাত থেকে, পতিত হয়েছি
সাপ ঢুকে গেছিলো অতঃপর...
গ্রামও নেই
উঁচু উঁচু অট্টালিকা দেখি
.
কিন্তু সদর দরজায় খোলা দেখতে পাই না
.
শুধু জানলা খোলা দেখি
বাতাস নেই
ধোঁয়াধুলোয় সমস্ত একাকার
আমি, জান্নাত থেকে, পতিত হয়েছি
তুমি অরণ্য রেখেছো কী?
উর্বর জমি আছে?
কতদিন কেঁচোর উৎস্বর্গীয়-উৎপাদন দেখা নেই
দ্বীপে অবরুদ্ধ যাপন করছি@মণি জুয়েল
তুমি শাস্ত্রে হাত রেখে শপথ করতে বলো!
তোমার যোনিতে ঠোঁট রেখে বলতে পারি
এর থেকেও বড়কিছু অন্যকিছুকে মনে করো!@মণি জুয়েল
শায়া কিম্বা পাজামার ফিতেতে পৃথিবীর সমস্ত দ্বন্দ্ব সংঘর্ষ
মানুষ ওই কিশোরটির মতো যে মুক্তি খুঁজছে, কিন্তু পথ চেনে না। কখনও গমন করে নি। কিন্তু মুক্তি চায়। খুলতে গিয়ে আরো জটিল হয়ে যাচ্ছে গিরে!
এভাবেই মানুষ একদিন মরে যায়। পৃথিবী চলতে থাকে, বর্গীয়-জ তে চেপে থাকে ঞ, আকার ধারণ করে, আবার উবে যায়। থেকে যায় দন্ত্য-ন ।
#প্রচণ্ড_অশ্লীলতা?
আমি তোমাকেই চায়ের কাপ ভাবছি।
একদা তুমি তোমার প্রোফাইলটি নিয়ে বলেছিলে-
চায়ের ভাঁড় নয়।
কিন্তু, তোমাকেই তা ভাবি।
কী, আমাকে খুউব অশ্লীল ভাবছো তো?
ভাবো তুমি তোমার মতো করে
ভাবছি আমিও
আমি, আমারই মতো!
.
তুমি কি লেড়ুয়া অথবা বিস্কুট দেখেছো?
.
চায়ে গলতে দেখেছো
কিভাবে গলছে
তুমি যাচ্ছেতাই ভাবতেই পারো
কিন্তু নিজেকে ওই বিস্কুট দেখতে পাচ্ছি
তোমার অভ্যন্তরে ডুবছি
উত্তাপে গলে যাচ্ছি
অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাচ্ছে আমার ওই গরম জলে
এই গরম জলকে চা বলতেই পারো@মণি জুয়েল
মাছের বমি গাঙ্গেয় বদ্বীপ পলিমাটিতে
আকাশে বাংলার আধসী রমনীর মতো চাঁদ উঠেছে
আমি দেখছি
দেখতে দেখতে হাঁটছি
চাঁদ' দেখলেই খুবিচ্ছে করে ঢুকে যেতে
মাছের মতো দ্বি-খণ্ডিত চাঁদে
হেঁটেই যাচ্ছি
কিন্তু সঙ্গ পাচ্ছি না
.
যদি সঙ্গ পেতাম তবে নদী সীমান্তে যেতাম
.
কিন্তু সঙ্গ পাচ্ছি না
হেঁটেই যাচ্ছি
এখন নৌকাও নিশ্চয়ই ঘাটে
ওতে উঠে ভেতরে লম্বাদাঁড় জলে পুঁতে
যাওয়াই যেতো ভেসে,
ভাসতে ভাসতে...
দ্বিখন্ডিত চাঁদের মতোন মাছের পেটে!নৌকাডুবিতে
এসো, কেটেই যাক, চল্লিশ দিন রাত@মণি জুয়েল
অনেক রাত মদ খাই নি, ইচ্ছে করছে আজ এখন
কিন্তু দোকান বন্ধ
হ্যাঁ অনলাইন পেতে পারি
একদা অনলাইনে পেয়েছিও সে-তাকে
কিন্তু এখন? ইচ্ছে করছে এখন
মুখ রাখতে
সাকি তোমার ভৃঙ্গারে
.
চোখদুটি বন্ধ করেছি, হাঁটু গেড়ে বসেছি
.
ভাসছে চোখের সাম্নে
ঝরনা ঝরছে
কিন্তু এখন!স্নানবেলা কি এখন
চোখ উঠে গেলাম, যেমন সাঁতারু ওঠে
অথৈ সেখানে শরাব রাশি
দুভাগে বিভক্ত পৃথ্বী
আমি কি তার মধ্যে ঢুকবো মদের তৃষ্ণা খুব যখন
যখন তুমি পাথর হয়ে গেছো@মণি জুয়েল
বিছানায় ৪০খানা বই নিয়ে পড়ছি, শুচ্ছি, ঘুমাচ্ছি
অথচ...
অথচ মনই ভর্ছে না
আচ্ছা তুমি কি পারো না, পারো না-
অগাধ-পানি'তে, মাছ হতে
আমি চাই
আমি চাই ইউনুস হতে
.
তুমি নাও থেকে তুমি মাছে ৪০দিন কাটাতে
.
চাই তোমাতে'ই ডুবতে
বইতে নয়
আমি চাই ৪০এ সাঁতরাতে
যেমন অন্তঃ অনন্ত প্রশংসিত-জনা
আহ্ কেন পাচ্ছি না
তোমাকে!
কি করি! কলম দিয়ে ছাইপাঁশ কিসব লিখে যাচ্ছি-
চল্লিশ মিনিট ধরে@মণি জুয়েল
এক শরীর হইতে অন্য শরীরে
মুহুর্ত-সংগ্রামী হওয়া সাধারণত সহজ কথা নয়
অনেক ওঠানামা
দাঁড়ানো দর্কার উঁচিয়ে
দরকার তরোয়াল, যুদ্ধ করে যেতে
এস, এস আমিই হতে চাই
হতে চাই আমি
ওই মুহূর্তের সংগ্রামী
.
অতঃপর হয়ে যাক জল ছুরিতে মুণ্ডুপাত
.
এই আমার কুরবানী
আমার আগামী...
আগামীর তরে সেটাই চাই
চাই শহীদ হতে এগিয়ে যেতে যেতে
উৎরাই ও চড়ায়ের পথে
আট্চল্লিশ মিনিটে
মেনে নিতেই পারি, হাসি মুখে, আমার পরাজয়
আমারই আগামী প্রজন্মের জন্যে@মণি জুয়েল
সকাল হলেই সবুজ তোমরা কবে সবুজ হবে?
ঠিক যখন গেরুয়া রঙে গাঢ় সাঁঝ নেমে এসেছে
ঠিক তখনই
একটা চাঁদও আকাশে
আসবে আসবে ভোরও হবে এভাবে
২৫০-বছরের ঘুমও ভাঙবে
এখন রাত
তাই কি সবাই ঘুমিয়েছে
.
এই তো আমি জেগে আছি তুমিও জাগছো
.
কুত্তারহাঁক শোনা যাচ্ছে
এখন রাত
খুব সাহসে হেঁটে যেতে হবে
যেমন চাঁদ গেরুয়াআঁধার ভেদ করে
একের আলো দেখিয়েছে
ঠিক তেমনই
তোমায় জ্বলতে হবে। এখন পুড়ার সময় হয়েছে
এভাবেই পুড়তে পুড়তে সকাল হবেই হবে@মণি জুয়েল
পথভ্রষ্ট-মুসলমানদের আল্লাহ আছে, খিশ্চানের খিষ্ট, কৃষ্ণের রাধা,
নিজাম আছে খসরুর,
নদী সেতারও তো সাগর আছে
আমার কেউ নেই কেউ নেই কেউই না শুধু এক প্রশংসিত তুমি
একবার এসো এসো একবার কাঁদি
যেমন মিয়া আজিজ কবির কাওয়ালিতে মস্ত হয়ে কাঁদে
একবার এসো, সামনে এসো আমি দুরাকাত সুন্নাত পড়ি
অথবা ডাকো
নাহ শুধু মসজিদই না, মন্দির গির্জা প্যাগোডা, ম্যায়কাদা ম্যায়খানা সব যেতে পারি
তুমি কি দেখো না, এক তোমার খোঁজে এক তোমাকেই পেতে আমি কেমন বহুগামী হয়ে গেছি@মণি জুয়েল
প্রশংসা-মাত্রই যার
ঈশ্বর টিশ্বর নিয়ে পরে কথা বলবো, এখন এসো
নিজের কথায়
মানে তোমার কথায়
তুমি আছো, এটার প্রমাণ আছে কি?
ভিড়েও কি একা বেঁচেছো?
যদি থাকো
তবেই তুমি আছো
.
যদি ভিড়ের শোরগোলেও স্ব-শব্দে নীরব
.
তুমি জীবন্ত আছো
যদি থাকো।
নদীর মাছ তো দেখেই ছো
মন্দ নয় দামও; তবু, ইলিশ তুল্য কি?
সে কঠিন প্রতিকূলতায়
উজানেই যায়
একবার ইলিশ হয়ে দেখ, নিজেকে'ই একা পাবে।
একা হয়ে দেখো ঈশ্বর টের পাবে@মণি জুয়েল
ওদিকে যখন তুমি Mr A-র কাছে
বিশেষত দুপুরে আর রাতে, খুব অপেক্ষা করি
বাঁশি হাতে
কবে যে তুমি আসবে
ওই ভরা জলে কল্সি তোমার কাঁখে
টেনে নিয়ে যাবে, আমাকে-
কদম তলায়
তারই দুশাখার মাঝে
.
উঠে দেখবো নিজের ছবি যমুনার পানিতে
.
সকাল বিকেল সাঁঝে
পঞ্চ_বেলা'য়
ভেজাবো তোমায় বাঁশিতে
তৃষ্ণায়, করবো পান, অধরাষ্ঠ রেখে
রজনীর প্রান্ত সীমান্তে
বাজবে বাঁশি
চাঁদ উঠে বসবে গগনে, ভাসবে দুলে দুলে তরী
দাঁড়িয়েই আছি যমুনা-র ঘাটে@মণি জুয়েল
স্বর্গের বাগান থেকে মর্ত্যে
পারস্যের কবিরা প্রেমিকার ভ্রুতে মিহরাব দেখেছে
তারা বলেছে
তারা বলতে পেরেছে
মিহরাব থেকে তারা কাবা ছুঁয়ে গেছে
কিন্তু আমি, পারি-না লিখতে
আমি পারি না
কাবা দেখিয়ে যেতে
.
তাই, আমি, উপমাতে শরীরই লিখে যাচ্ছি
.
মন কি ভরে, তাতে
তৃপ্তি পাচ্ছি না
দ্রষ্টারা যেমন অতৃপ্ত থেকেছে
সেভাবেই আমিও, চোখ খুলে দেখছি
নদী বেরিয়ে চলেছে
দুইপার মধ্যে
আমি উৎসে যেতে চাইছি, জঙ্গল আমাকে ডাকছে
যেখানে আদম হেঁটেছিলো@মণি জুয়েল
কিন্তু আমার কাছে তুমি কিছু ফেলে যাও নি
রাত বেড়ে যেতে শুরু করলে কবি কিম্বা মাতালরা
ঠিক যেমনটি
নেশায় বুঁদ হতে থাকে
অথবা যেমন নিগূঢ় ইবাদতের সুফি
বিলীন হতে থাকে, মৃত্যুতে
তেমনই আমি
জেগে উঠি মৃত্যু থেকে
.
মৃত্যু অর্থাৎ অতীতের দিনরাত স্মৃতি থেকে
.
হাঁটি জীবনের সীমান্তে
কিন্তু, পাইই না
ফিরে আসি তোমার কাছে
যেখানে বর্তমান তোমার গাঢ়-সুরভি
এখনও লেগেই আছে
মিলনের ঘ্রাণ
প্রেমিকার ফেলে-যাওয়া প্যান্টি'তে জীবন্ত যে ঘ্রাণ,
যে ঘ্রাণে বিরহের প্রেমিক নিঃশ্বাস খোঁজে@মণি জুয়েল
নদী শুকোচ্ছে ভিজেছে
হৃদয় নিজেরর গতিতে চলতে থাকে, কি করে না করে
টের পাই না
কিন্তু তুমি কাছে এলে...
তুমি কাছে এলে, তখন, বুঝতে পারি
ক্রমশঃ টের পাই, স্পন্দনের
গাঢ় হতে থাকে
আমার নিঃশ্বাস প্রশ্বাস
.
তোমার গহীনের কমোস প্রশ্বাসে জেগে উঠি
.
যেন গ্রীষ্ম সান্ধ্যবাতাস,
সুইং হতে থাকে...
ব্লাউজ খুলে দিতেই যেভাবে-
দুলে আছড়ে পড়ে মাই দুটো তোমার
মোমবাতির মতো গলি
টের পাই না
জ্বলে পুড়ে শেষ হয়ে গেছি কিভাবে, রক্ত ঝরে পড়ে-
আমার হৃদয় থেকে@মণি জুয়েল
আমার সবুজগুলো সবুজ হউক
লাল বলেই যে তা সকাল সকালের সম্ভাবনা এমন না
সে তো গোধুলিতেও
গেরুয়া লাল মিশেই থাকে
ঠিক যেভাবে ঢের আঁধার নেমেছে এদিকে
গেরুয়া জেগে ছিল লালের মধ্যে
এখন মাঝ-রাত
অনেকে অ্যান্ড্রয়েড হাতে
.
এটাকে জাগরণ বলাই যায় অফলপ্রসু যদিও
.
যাইহোক, কুকুর ডাকছে
হাল্কাশীতের রাত
এখন সবুজেরমাঠ বুঝতে পাচ্ছি
ক-দিন আগের কাঁপুনি অনেক'টা কেটেছে
বাতাস ক্রমশঃ দক্ষিণ দিকে
কিন্তু স্বস্তি কি তাতেও
এখন, ঢের রাত; আর আঁধারে সবুজ জীবন সম্ভব না
দরকার একটা ছদ্মবেশ ছাড়া ভোরের সূর্য@মণি জুয়েল
