শরীর চলে যাক এপার থেকে ওপার

এই তো গম্যপথ চিরপ্রবেশে যাওয়ার

চোখদুটো তোমার ওই উপরেই চলে যাচ্ছে কেন
নামো, নামো
নিচেই সমস্ত সীমানা
কেন; চাইছো মুঠোবন্দি করে নিতে
বিলিয়ে দিতে জানো না

নিচে, নিচে
সাগর, আরো নিচে

.
আট পাড় ছুঁয়ে যাক, অদ্রিৃঙ্গ মেখে থাক
.

সাগর, আরো নিচে
দ্বীপ সমীপে

বিলিয়ে দিতে জানো না?
খোল, আহ্ খুলে দাও অনন্ত, অন্তে
ওই সেজদার সীমানা
রুকু-তে যাও
অতঃপর অষ্টাঙ্গে ভিজুক কা, স্রোতে, নৌকা হেন

শরীর চলে যাক এপার থেকে ওপার@মণি জুয়েল

প্রশংসিতের পথ

তারো হাজারবছর আগের তাকে নিয়ে আছি

প্রায় তিনশো বছর ধরে পথ খুঁজছি, পথ পাচ্ছি না।
বদলে গেছে
সবই এখন বদলে গেছে
আগের মতোন তথ্যে'রও অভাব নেই
গুগলম্যাপ পারে বলে দিতে

কিন্তু, সন্ধান?
কই খুঁজছে না কেই

.
পথিক হেঁটে গেছে, যাচ্ছি নিজের তাগিদে...
.

যে পথের নেই খেই
বৃথার সন্ধান

উন্মুক্তপথ' দেখাবে যে কেউ
নেই; ভ্রম-ভ্রষ্ট ভ্রমরদের কমতিও নেই
ফতোয়ায় চাঁদ ঢেকেছে
রাত নেমেছে
তিনশো বছর হতে যাচ্ছে, আমি ওই পথ পাচ্ছি না

গুহা থেকে তো আর পড়া বেরিয়ে আসবে না@মণি জুয়েল

গ্রাস করে রেখেছে বসু-র আট দ্বার

আমি বেরোতে চাইছি এমনও না

আট বছর কেটে গেলো মিশ্র ভাবে ভাবনায় কাব্যে
সকাল হয়
নূতন-এর ভাবনায়
জানালা খোলাই থাকে, আকাশ দেখি
আসলে জানালা বন্ধ করি না

ভীষণ শীতেও
খুলে রাখি উত্তরের জন্যে

.
কথা ছিলো একটা উত্তর-এর জন্ম দেয়ার
.

আমাদের উষ্ণতার জন্যে
নামলো শীতও

বহুদিন পর্বতে চোখ ভিজে না
শ্বেত_শরীর বেয়ে, নিচে নামাও হয় নি
ভেজা-গুল্ম সীমানায়,
অসমানতায়,
দীর্ঘ আটবছর ঝুলে আছি সাগর শ্বেতপ্রশ্নের মধ্যে

গ্রাস করে রেখেছে বসু-র আট দ্বার @মণি জুয়েল

ভোরের সূর্য লাল শিশিরে ভিজে যাক

তুমি আর আমি বিছানা ছেড়ে উঠি

দুই উচু পাহাড় লাগালাগি দাঁড়িয়েই থাকুক
আর বসুন্ধরা
উর্বরতায় উন্মুখ চিৎ
মাঝখান দিয়ে জীবন গড়ে যাক
বেরিয়ে আসুক ওই উট

খুব দরকার
অধুনা, মরু-ভূমিতে

.
আমি তুমি তো পিপাসায় মরে যাচ্ছি

.
ও মরবেনা তৃষ্ণাতে
খুব দরকার

বেরিয়ে আসুক ওই উট
সভ্যতা পিঠে তুলে, এগিয়ে যাক
বালিঝড় পেছনে রেখে
সবুজ পৃথিবীতে
এসো, আবাদ করি; রাত ভোর হতে থাকুক

ভোরের সূর্য লাল শিশিরে ভিজে যাক@মণি জুয়েল

ওই তো জ্ঞানের সীমানা

জীবন ওখানেই জ্যান্ত আছে

আমাকে জলে ভরা কুয়োতেই চলে যেতে দাও
ব্যাঙের জীবন
আমি বেছে নিতে চাই
(আমি ব্যাঙ হয়ে বেঁচে থাকতে চাই
আমার বাঙলার কুয়োতে)/
'কুয়োর ব্যাঙ' হয়েই বেঁচে নিতে চাই
রমণীয়-বাঙলার কুয়োতে,

সংকুচিত
তোমার কুয়োতে

.
উদভ্রান্তরা খুঁজে ফিরুক বহি'তে বহিঃতে
.

এপ্রান্তে ওপ্রান্তে,
গর্দ্ভোচিত-

ছুটেই যাক, সমুদ্দুর প্রান্তে
আমি তালুতে ধরে পান করতে চাই
আমি বেঁচে নিতে চাই
অনন্ত জীবন
আমাকে জলে ভরা কুয়োতেই চলে যেতে দাও

ওই তো জ্ঞানের সীমানা@মণি জুয়েল

এক শুধু তোমার জন্যে

একমাত্র তোমাকে পড়ার ইচ্ছেই আমাকে বহুবিধের-
পাঠক করে তোলে,
বাধ্য হয়ে যাই, বহু-গমনে
কত কত দ্বার খুঁজে ফিরি তাই ঠিক নেই
ক্রমঃ ক্রমঃ অপদস্থ হতে থাকি

জানার পরে
চুপ থাকতে বাধ্য থাকি

.
গোপনের কথা কেই বা বলে যেতে পেরেছে
.

আমিও তাই চুপ থাকি
কিন্তু ভেতরে...

শীৎকারে, কিভাবে অরব থাকি!
তোমার কাম! অন্ত নেই যার, শেষই নেই
বহিঃপ্রকাশ ঘটেই চলছে
না জেনে বা জেনে
শুধুমাত্র তোমাকে জানার ইচ্ছে জীবনের, বহুবিধের।

এক শুধু তোমার জন্যে@মণি জুয়েল

আমি শ্বেত শ্বেত আঁধারে জেগে আছি

আমি শ্বেত শ্বেত আঁধারে জেগে আছি

তোমাকে তো সবসময় সাথে নিয়েই থাকি, আছি।
কিন্তু স্বপ্নে!
গতরাতে পেয়ে গেলাম
পুরোনো বাঙালি আধসী বউর মতো
ব্লাউজ ছাড়া, নতুন শাড়িতে

গহনাদের ঢেউ
আমার এলো-বিছানায়

.
প্লাসসাইজ তোমার শরীর, তার কোমস পরশ
.

আমার এলো-বিছানায়,
পয়স্বিনীর ঢেউ...

আমার সীমান্তদের সীমান্তে।
লহর আছড়ে পড়ছে, সাগরের মতো!
তুমি তো সাগর চেনো,
কিন্তু স্বপ্নে ?
দেখেছ কি কখনো, সাগরের তরঙ্গেই পুড়ে যাচ্ছি?

ভেঙে যাচ্ছে পাড়, দুর্দম বানের মতো@মণি জুয়েল

ভেতরের জোনাক আমাকে ঘুমাতে দেয় না

যেভাবে রাত আসে যেভাবে চলে যায়

ভোররাতে, প্রেমিকার যোনি যে ঘ্রাণ প্রসব করে
সেই ঘ্রাণ মেখে
তৃণ শিশিরে ভোর আসে
তখনও গ্রামের চেরা পথে ছাপ পড়েনি
সেই অভ্যন্তরের লালের আভা

আমাকে জাগায়
আর পারিনা ঘুমোতে

.
এপাশ ওপাশ দলাদলি করি, বিছানাতেই
.

ঘুম কি আসে, তাতে!
বেলা বেড়ে যায়

উঠেই পড়ি, লম্বালম্বি দাঁড়িয়ে
দরজা খুলি আঙ্গুল দিয়ে, ঝাট পড়েনি-
বহুদিন আমার বারান্দাতে,
এসব দেখে দেখে
মুঠোয় টুথপেস্টটিউব নিই, দুআঙুলে চেপে ধরি

ভেতরের জোনাক আমাকে ঘুমাতে দেয় না@মণি জুয়েল

শরীর

হরিণের নাভিতে কস্তুরী জমলে যেমন ঘুরতে থাকে
যেমন ঘুরছে
স-মস্ত এই ভু-শরীর
যেমন প্রেমিক তার প্রেমিকাকে ঘিরে
তেমনই ঠিক তেমনই আমিও

ওহ্ ক্বাবা,
ওহ্ কেন্দ্র আমার।

.
কে রেখ কেন্দ্রকে ঢেকে রেখ কৃষ্ণচাদরে
.

ওই কবর্ আমার,
ওহ্ ক্বাবা।

না শুধু পৃথিবী'ই নয়, আমিও
ঘুরেই যাচ্ছি, কেবল তোমাকেই ঘিরে
লিপ্সাউন্মূখ এ শরীর
খুঁজেই যাচ্ছে...
হরিণের নাভিতে কস্তুরী জমলে যেমন ঘুরতে থাকে

শরীর@মণি জুয়েল

আমার, একটা শ্বেত নৌকার দরকার

একটি বিশাল শ্বেত নৌকার জন্যে

নদীর কাছে যাই, দেখি স্রোত, আলোর ঝিলমিল
কিন্তু নৌকা!
কই আমি তো দেখি না
যারা দাঁড় টানতে পারে-না, তারাও-
চেপেছে, পারও হয়ে গেছে।

কিন্তু এ আমি!
যাই আর বসে থাকি।

.
সম্ভবত নৌকাটি অন্য ঘাটে ঢেউ বাইছে

.
কিম্বা, ঘাটে একাকী
তারও রজনী-

বালু-চরে, বাঁধা পড়ে গেছে।
সম্ভবত খুঁজছে স্রোতেরমাঝি সেও,
আমিই ভুলে বসে আছি
শূন্যের প্রান্তে
চাইলেই তো উঠে যেতে পারিনা, যতই হোক নীল-

আমার, একটা শ্বেত নৌকার দরকার@মণি জুয়েল

দুপথের পথিক, তোমার শরীর ঘিরে

#নিঃশ্বাস

এক পথ বন্ধ হলে ততক্ষনাৎ আরেক পথ ধরে নিই
আসি, চলে যাই
এভাবে একদিন চলে যাই
এখন, আমাকে, পথ-ভ্রষ্ট বলতেই পারো
বলতে পারো বহুগামী আমাকে

কিন্তু মণি, ওহ মণি
এসো, জীবন ঢেলে যাই

.
এসো তুমিও মিশে যাও অবাধ আমার সাথে

.
এসো..না, জীবন ফলাই,
প্রবাহিত হতে থাকি...

দ্যাখ, দ্যাখ, দ্যাখ..না তোমাকে-
একবার, শ্বাসে চোখ রাখতে চেষ্টা করো
দ্যাখ, শরীরেই মিশে আছি
ঢুকছি, বেরোচ্ছি,
আহ্ তরঙ্গ তোমার, সুডৌল শরীর, সমস্তে আমিই-

দুপথের পথিক, তোমার নিঃশ্বাসে বেঁচে আছি@মণি জুয়েল

আলোর দরকার খুব

#চ্যারাক

ভিজবার জন্যে সলতের মতো ঢুকতে ইচ্ছে করে
তোমার ভেতরে
ভেতরের তরল আগুনে
অতঃপর..জ্বলে উঠি, দুজনে মিলে
রাত হলে দরকারও বাড়ে

তাছাড়া রাতই,
অনেকদিন দিন নেই

.
কোথাও কেউ সেভাবে জেগেও নেই

.
বহুদিন থেকেই নেই
রাত, বরাবরই

এসো, একটা প্রদীপ গড়ি
মাটির তুমি আমি এক অন্যে মিলে।
অতঃপর সজোর ঘর্ষনে
ভেতরের ইন্ধনে,
উত্তাপে, উষ্ণতায়, আমরা মরে যাই সঙ্গমে পুড়ে।

আলোর দরকার খুব@মণি জুয়েল

তুমি তখন নিচেই ছিলে, ডাকছিলে

তৃণভেজা পাদদেশে মিনিট চল্লিশের পথে

আমি অনেকক্ষন পর্বত পাদদেশে দাঁড়িয়ে ছিলাম
আকন্ঠ দেখছিলাম
রমণী চিৎ হয়ে শুয়ে আছে
কিন্তু একথা তো বলা যায়না কাউকে।
তাই একাই দেখছিলাম নিরবে

ওদিকে সূর্যটা...
আহ কি দুরবস্থা তার

.
যেমন বীর্য বিসর্জনের পর ডুবে যায় পুরুষটি

.
জলে ডুবে, একাকার
এখন অন্ধকার

এখন, আমাকে, নামতে'ই হবে
কল্পনা থেকে, বাস্তবে, পৌঁছুতে'ই হবে।
পথের তৃণরাও ভিজে গেছে
সেই পিছলেছিলাম,
পড়ে যাই নি, কিন্তু মনে আছে পিছলে পড়েছিলাম

তুমি তখন নিচেই ছিলে, ডাকছিলে @মণি জুয়েল

নীল কবরস্থানের আকাশ বেয়ে

ভিজতে ভিজতে প্রদীপ জ্বলবে কি না জানি না

সাঁঝ নেমে গেছে, সাঁঝ নামলে সব ফিরে আসে
ঘরের টানে।
হয়তো ফেরে হয়তো না!
ভেসে আসছে হইয়্যা আলাল ফালাহ
পাখিগুলো দৌড়ুচ্ছে, দুপক্ষে

কিন্তু, মানুষ?
না, মানুষের পক্ষ নেই

.
মানুষ বড়োই পক্ষ-হীন পক্ষপাতী প্রাণী

.
তাই তার ঠিকানা নেই।
আমিই মানুষ!

ঠিক এজন্যেই পাই না তাকে
ফিরে আসে না‌। আঁধার বেড়ে যাচ্ছে,
মিটে যাচ্ছে সব সীমানা-
রাতের গহীনে!
আসুক বা না, রাত ভারী হলে সারস উড়ে যাবে

নীল কবরস্থানের আকাশ বেয়ে@মণি জুয়েল

তুমি কি জানো না হোমিওপ্যাথির ঘ্রাণ?

আমার মাথা-কপাল ব্যথা করলে, প্রেম পায় খুব।
হ্যাঁ প্রেম
একে প্রেম'ই বলি
খুব ইচ্ছে বাড়ে, তোমার সান্নিধ্যের
আসলে ঠিক সান্নিধ্যই না

সু-গন্ধের
তৃষ্ণা বেড়ে যায়

.
ভাবো তো, তুমি কপালে তালু বোলাচ্ছো

.
নিবিড়_নিরাময়
যে পরশে

কিন্তু, তাতে ব্যথা কমে না
আমি রোগী তোমার শরীরী গন্ধের
একেই ওষুধ বলি
এই প্রেম।
ব্যথা করলে নাক ডুবিয়ে শুকতে ইচ্ছে করে খুব

তুমি কি জানো না হোমিওপ্যাথির ঘ্রাণ?@মণি জুয়েল

তুমিকি ডুবে মরতে দেবে?

জেনো আমি মরুতেও ডুবতে জানি

ভেতরে প্রেম জ্বলে উঠলেই মরতে ইচ্ছে জাগে
পরশ ছাড়াই
এই শরীর, প্রস্তুত হয়
একপায় খাড়া আমিও লিপ্সান্মুখ-
পুড়তে, ভিজতে ভিজতে...

ইচ্ছে করে,
ইচ্ছে করে পুড়তে!

.
মন চায় ঢেলে দিই জীবনের সমস্তকে

.
এস, নাও ভেতরে!
অভ্যঃন্তরে।

ভিজি, পুড়ে' যেতে যেতে...
আমি মরে যাই; নূতন-প্রাণের সুখ-
আমায় উদ্দাম জাগায়
পরশ ছাড়ায়
সীমানায় প্রণয় জ্বলে ওঠে, মরতে ইচ্ছে জাগে

তুমি কি ডুবে মরতে দেবে?@মণি জুয়েল