Tuesday, 21 September 2021

জানার ইচ্ছে থেকে@মণি জুয়েল

এমন একটা অবহের মধ্যে আমরা বেঁচে আছি যেখানে আমরা যদি নিজেকে আধুনিক না বলি তবে সাধারণভাবে লোকে ভেবে বসবেন মূর্খ মধ্যযুগীয় অশিক্ষিত আনকালচার্ড,
যদি নিজেকে কেউ নিজেকে বলেন যে তিনি গনতন্ত্রে বিশ্বাস রাখেন না, তিনি যদি মুসলিম হন এবং বাজারে চালু কমিউনিস্ট হন তাহলে তেমন বিশেষ আঘাত আসবে না তার প্রতি কিন্তু সেই মুসলিম মানুষটি যদি ঘটনাচক্রে এমনি সাধারণ হন তাহলে তাকেও সেই একই নিন্দে মন্দর মুখোমুখি হতে হয় বা আরো বেশি। এগুলো আমাদের সামাজিক ব্যাধি। নিরাময় সম্ভব শিক্ষার মাধ্যমে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে শিক্ষা এখন পুঁজিবাদী পণ্য!

কথা প্রসঙ্গে - আমাদের সমাজে বিজ্ঞানমনস্ক হওয়াটাও একটা এগিয়ে থাকার ব্যাপার টাপার। এটা দারুণ। কিন্তু সমস্যা হলো আধুনিক বিজ্ঞান আসলে পুঁজিবাদের সবচেয়ে বড় এবং সফল বানিজ্যিক অস্ত্র। যদিও মার্ক্সবাদীরাও এই চলতি বিজ্ঞানের জয়গান গান। যাইহোক সেসব ম্যালা কথা। পক্ষে বিপক্ষে অনেক বলতে পারা যাবে গঠনমূলক আলোচনায়। মনে করি আমাদের বিজ্ঞানকে সন্দেহ করা প্রশ্ন করা সমালোচনা করাই সত্যিকারের বিজ্ঞান চেতনার জগতে প্রবেশ করাবে।

কিছু কথা বলে নিই গণতন্ত্র নিয়ে। আমি কিন্তু তার পক্ষে বা বিপক্ষে লিখছি না। ইতিহাস ও রাজনীতির ছাত্র হিসেবে বলছি মাত্র। গণতন্ত্রের অনেকগুলো ফর্ম আছে। খারাপ না। এ নিয়ে মনে কিছু জিজ্ঞাসা আছে তাই লিখছি। আপনারা নিশ্চয়ই ইতিহাসে পড়েছেন কোনো সভ্যতায় মন্দির তাকেই বলা হতো যেখান থেকে মানুষের জীবনের সবকিছু নির্ধারিত হতো। ফলে মানুষরা নিজেরা আপন আপন গোত্রের দেবতাকে সেই মন্দিরে রেখে আসতো এবং ভাবতো তাদের দেবতা তাদের হয়ে কাজ করবে, করছে। দেবতাদের একজন প্রধান দেবতা থাকতেন। আমি কেন যেন সেই একই জিনিসের ভিন্ন ফর্ম দেখতে পাই  আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত প্রার্থীকে আমরা যখন রাখি আমাদের আইন নির্মাণের স্থানে, এবং এখানেও একজন হেড থাকেন।

কেমন যেন মিলে যাচ্ছে না? একই জিনিসের দারুণ বিবর্তন দেখা যাচ্ছে না? তাই তো নাকি?

#জানার_ইচ্ছে_থেকে

No comments:

Post a Comment