ক্রমশঃই সংখ্যা-লঘু হয়ে যাচ্ছি

সাথে জেগে আছে ভীষণ কষ্ট অদম্য আনন্দে

এমনিতেই সংখ্যা-লঘু, ক্রমশঃই আরও হচ্ছি
এগোচ্ছি
যেমন, এগিয়ে যায়
অবস্থায়, দুরাবস্থায়, দূরাবস্থায়

বলতে পারছি না কিছুই
আমি জানি
পথ, আসলে এমনই

.
হেডফোনে বন্দী সময়ের কান, হাঁটছে

.
কান বুজেছে শিশাই
এ তো জানি
তাই, পৌঁছুচ্ছে না কিছুই।

তাছাড়া যন্ত্রে, অতীত শুনা যায়
বর্তমান ঝাপসা হয়।
তাকাচ্ছি...
বারবার মনেহচ্ছে এখানে একাই বেঁচে আছি

ক্রমশঃই সংখ্যা-লঘু হয়ে যাচ্ছি@মণি জুয়েল

নামহীন

Oh my dear oh my love oh husn oh husn-e-jaanaa
আ কি বলি!
কি বলি তোমাকে
পৃথিবী ঘুমিয়ে আছে, আমি একাই জেগে
চাঁদের আলো, আর সেই চাঁদে...

সেই চাঁদের আলোয়
ভৃঙ্গার এ দুনিয়া ম্যায়খানা

এসো এসো এসো দেখি গ্লাসে চোখ রাখি

যেমন রাতের কবি দিয়ানা
চোখ বুঁজে ভিজে যায়@মণি জুয়েল

পারবে না, জীবন্ত হতে আদিম হতে?

পারবে না, জীবন্ত হতে আদিম হতে?

এসো, দেখি, এখন কিছুক্ষণ, আদিম হয়ে নিই
বেরিয়ে আসি
ইউজ অ্যান্ড থ্রো থেকে
দাও, তোমার পুরু_ফাউন্টেন পেনটি
ফোঁটা কয় কালি ঢেলে দিই

প্রসব হউক
ঘটে যাক বহিঃপ্রকাশ২
.

উর্বর জমিতে তৃণরা বেশ সেজে আছে
.

প্রকৃতার্থে, এই উর্বরতা২
বহাল থাকুক

এসো মিশে আজ, প্রাণ দিই
ব্যথা বেদনা রক্ত সুখ মেখে জীবনটি
সবাক হোক ওহী থেকে
বেরিয়ে আসি
মিশে গিয়ে, মিশে থেকে, এসো, বই লিখে নিই

ইউজ অ্যান্ড থ্রো থেকে বেরিয়ে এসে@মণি জুয়েল

জানার ইচ্ছে থেকে@মণি জুয়েল

এমন একটা অবহের মধ্যে আমরা বেঁচে আছি যেখানে আমরা যদি নিজেকে আধুনিক না বলি তবে সাধারণভাবে লোকে ভেবে বসবেন মূর্খ মধ্যযুগীয় অশিক্ষিত আনকালচার্ড,
যদি নিজেকে কেউ নিজেকে বলেন যে তিনি গনতন্ত্রে বিশ্বাস রাখেন না, তিনি যদি মুসলিম হন এবং বাজারে চালু কমিউনিস্ট হন তাহলে তেমন বিশেষ আঘাত আসবে না তার প্রতি কিন্তু সেই মুসলিম মানুষটি যদি ঘটনাচক্রে এমনি সাধারণ হন তাহলে তাকেও সেই একই নিন্দে মন্দর মুখোমুখি হতে হয় বা আরো বেশি। এগুলো আমাদের সামাজিক ব্যাধি। নিরাময় সম্ভব শিক্ষার মাধ্যমে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে শিক্ষা এখন পুঁজিবাদী পণ্য!

কথা প্রসঙ্গে - আমাদের সমাজে বিজ্ঞানমনস্ক হওয়াটাও একটা এগিয়ে থাকার ব্যাপার টাপার। এটা দারুণ। কিন্তু সমস্যা হলো আধুনিক বিজ্ঞান আসলে পুঁজিবাদের সবচেয়ে বড় এবং সফল বানিজ্যিক অস্ত্র। যদিও মার্ক্সবাদীরাও এই চলতি বিজ্ঞানের জয়গান গান। যাইহোক সেসব ম্যালা কথা। পক্ষে বিপক্ষে অনেক বলতে পারা যাবে গঠনমূলক আলোচনায়। মনে করি আমাদের বিজ্ঞানকে সন্দেহ করা প্রশ্ন করা সমালোচনা করাই সত্যিকারের বিজ্ঞান চেতনার জগতে প্রবেশ করাবে।

কিছু কথা বলে নিই গণতন্ত্র নিয়ে। আমি কিন্তু তার পক্ষে বা বিপক্ষে লিখছি না। ইতিহাস ও রাজনীতির ছাত্র হিসেবে বলছি মাত্র। গণতন্ত্রের অনেকগুলো ফর্ম আছে। খারাপ না। এ নিয়ে মনে কিছু জিজ্ঞাসা আছে তাই লিখছি। আপনারা নিশ্চয়ই ইতিহাসে পড়েছেন কোনো সভ্যতায় মন্দির তাকেই বলা হতো যেখান থেকে মানুষের জীবনের সবকিছু নির্ধারিত হতো। ফলে মানুষরা নিজেরা আপন আপন গোত্রের দেবতাকে সেই মন্দিরে রেখে আসতো এবং ভাবতো তাদের দেবতা তাদের হয়ে কাজ করবে, করছে। দেবতাদের একজন প্রধান দেবতা থাকতেন। আমি কেন যেন সেই একই জিনিসের ভিন্ন ফর্ম দেখতে পাই  আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত প্রার্থীকে আমরা যখন রাখি আমাদের আইন নির্মাণের স্থানে, এবং এখানেও একজন হেড থাকেন।

কেমন যেন মিলে যাচ্ছে না? একই জিনিসের দারুণ বিবর্তন দেখা যাচ্ছে না? তাই তো নাকি?

#জানার_ইচ্ছে_থেকে

তোমার গন্ধ আমার অক্সিজেন

এখন রাত এখন Co2 ভাসছে

দূরত্ব বেড়ে যাক, আরো, দূরত্ব বেড়ে যাক
যা বাড়ছে
আর বেড়ে যাক
ক্রমশঃই বিপরীতে, যেতে থাকো।
ক্রমশঃই দূর যেতে থাকো

এত এত দূর
এত এত বিপরীতে,

.
যেন তুমি আমার খুবই কাছে থাকো

.
হয়ে যাও বিপরীত
চলে যাও দূর

ক্রম: মুখ ফেরাতে থাকো
পিঠ ছুঁয়ে নিক পিঠে, তুমি থাকো
দূরত্ব বেড়ে যাক-
দৈর্ঘ্য প্রস্থে
তুমি আমায় ছুঁয়ে থাকো, শরীর ছুয়ে থাক।

তোমার গন্ধ আমার অক্সিজেন@মণি জুয়েল

নামহীন

সম্ভোগে বিছানার চাদর যেমন এলোমেলো হয়
এখন আকাশও
শারদ মেঘের দৌরাত্ম্যে
একটা প্রজাপতি, ঠিক যেমন আমি
গ্লাসে ডুবে, তোমাকে দেখি

লিপ্সার সুরে
এ্যন্ড্রোয়েড, বাজছে

.
কামুক স্তুতি, অজন্তার দৃশ্যমান সৌন্দর্যে

.
ইচ্ছেরা বেড়ে যাচ্ছে
তোমায় ঘিরে@মণি জুয়েল

নামহীন

তোমাকে কি বলবো! ধ্যাত... তুমি কি বোঝো নাকি?
বুঝলে তো
এদ্দিন বুঝেই যেতে
আমি মিশে যেতেই চাই দিনে রাতে
ইচ্ছে করে খুউব ইচ্ছে করে

একবার ভোরে
অতঃপর ফের দুপুরে

.
তোমার সাথে মিশে যাই, মিশেই থাকি

.
থেকে, থেকে, আসরে।
আবারও সাঁঝে

ইচ্ছে করে খুউব ইচ্ছে করে
অতঃপর আবারও, রাতের শুরুতে@মণি জুয়েল

আমি শুধু এক-তোমাকেই খুঁজে ফিরি

যে তুমির দুই আর নেই, এক শুধু তুমি

আমি নামাজ পড়ি না, অজুও জানি না, তাতে কি?
তোমাকে মনে পড়ে,
মনে পড়লেই সেজদা করে দিই
বনধ্, তোমার মন্দিরের দ্বার, তাই তো?

আ তাতে কি!
দুই চোখ, বন্ধ করি

.
তোমাকে দেখি; দ্বার দুদিকে ছড়িয়ে ধরি

.
ছড়িয়ে ধরে ভিজি
কেঁপে কেঁপে

কাঁপুনিতে ভিজতে ভিজতে ঢুকে পড়ি
নিজেকেই আবার বিলিয়ে দিই
নিজেকে আবার গড়ি
আমি নামাজ পড়ি না, অজুও জানি না, তাতে কি?

আমি শুধু এক-তোমাকেই খুঁজে ফিরি@মণি জুয়েল

তখন তুমি সম্ভবত রুটির আটা মাখছিলে

এদিকে আমার সজাগ রাত ভোর হতে যাচ্ছে

দুচোখ খুলে রেখে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি
অনেক তারা
একটা তারাই দেখছি
জানি, সে তারাটা দেখছেনা আমাকে
কিন্তু নিষ্পলক দেখেই আছি

এ পৃথিবীও
ক্রমে ক্রমে ঘুরে যাচ্ছে

সময় কেটে যাচ্ছে, শিশিরে ভিজেছে রাতও

নিচে ঘাস ভিজে গেছে
এ পৃথিবীও

আমি, অপলক জেগে আছি
আমি জানি তুমি দেখছোনা আমাকে
কিন্তু, আমি? দেখছি...
কিন্তু একতারা!
নাহ্ হতে পাচ্ছি না, নিশ্বাস প্রশ্বাসে আকাশ দেখছি

তখন তুমি সম্ভবত রুটির আটা মাখছিলে@মণি জুয়েল

এসো ডিয়ার বস্তু আমি, তুমিও হয়ে যাও

প্রশংসা মাত্রই তোমার

মানুষেরা যখন জুম্মা পড়তে যায়, ইচ্ছে হয়
আমিও যাই
তোমার বর্ণনা শোনাই
অতঃপর নিগূঢ় প্রেমে জড়িয়ে ধরি
মিশে যাই, নামাজে দাঁড়াই

হামদ গাই
ওই পথের সন্ধান চাই

.
রকু দিই, ঢুকে যাই নিবিড় সেজদায়

.
প্রাণে-র সীমাহীনতায়
হারিয়ে যাই

মিশে যাই, নামাজে দাঁড়াই
তুমি আমাকে আমি তোমাকে ধরি
তোমাতে হারিয়ে যাই
তুমিও তাই।
মানুষেরা যখন জুম্মা পড়তে যায়, ইচ্ছে হয়

এসো ডিয়ার বস্তু আমি, তুমিও হয়ে যাও@মণি জুয়েল

অতঃপর ভিজি তোমার ঘামে তোমার ঘ্রাণে

উর্বর কাগজ ভিজুক কলমের আদরে

এখন মাঝরাত তোমাকে ছোঁয়ার খুউব ইচ্ছে হলো
অন্ধকার ঘর।
পোলটা দাঁড়িয়ে আছে-
ওটার মাথা গড়িয়ে, ঝরছে রশ্মির স্রোত
ঘুম হচ্ছে না, চোখ বন্ধ করছি

ছুঁতে চাইছি
তোমাকে, বারংবার

.
হাতের মুঠোয় কলম নিয়ে নাড়াচাড়া করছি

.
ঘর এখন অন্ধকার
ছুঁতে চাইছি

একটা কবিতা লিখতে চাইছি
তোমাকে দরকার, দরকার তোমার স্রোত
ওখানেই কবিতা আছে
অন্ধকার ঘর।
ইচ্ছে করছে- ঢুকি, মাথায় জমিয়ে জলের আলো

অতঃপর ভিজি তোমার ঘামে তোমার ঘ্রাণে@মণি জুয়েল

গোধূলি আগুনে রক্তিম ভোরের সম্ভাবনা খুঁজছি

জানি মাঝখানে তার ভীষণ আঁধার

পেছনটা না দেখলে দেখা অসম্পূর্ণ থেকে যায়
তাই দেখি
স্পন্দনে কেঁপে উঠি।
পুরুষের মতোন সূর্যও, ডুবে যাচ্ছে...
এখন আকাশটা মন্দ না

মেঘও ভাসছে
নিঃসৃত বীর্যের মতো

.
ওই রমণীটিকে এখনও মনে পড়ছে

.
জ্বমছে কল্পনা কতো
নিশ্বাস ভাসছে

সামনে তাকাতে পারছি না
বারংবার পেছনেই মন চলে যাচ্ছে
কেঁপে কেঁপে উঠছি...
ফিরে ফিরে
নদীতে হারিয়ে সব পেছনের ওরা সব অসহায়

গোধূলি আগুনে রক্তিম ভোরের সম্ভাবনা খুঁজছি@মণি জুয়েল

নীল রজনীর তোমার অভ্যন্তরে

নীল আকাশ, আকাশের ভেজা চাঁদ

তুমি বললে- এতটুকু দূরত্ব রাখা ভালো নয় কি!
বললাম- নাহ্
অতঃপর এখন দূরত্ব
এদিকে রাত ক্রমশঃ বেড়ে যাচ্ছে
তুমি ঘুমিয়ে যেতে চাইছো

আমি জানি না
তুমি ঘুমোচ্ছো কি না

.
সাদা জমাট ধারণ করে দাঁড়িয়েই আছি

.
ঢেলে দিতে পাচ্ছি না
প্রণয়ের বেদনা

তুমি কি সত্যি-ই ঘুমাচ্ছো?
তোমার ওই চাঁদ কি ভিজে যাচ্ছে?
এদিকে সীমাহীন দূরত্ব
ইচ্ছে হচ্ছে খুব-
ছুঁয়ে দিই দ্যূ দেশ, মিনারের হেন দাঁড়িয়েই থাকি

নীল রজনীর তোমার অভ্যন্তরে@মণি জুয়েল

বলার মতো কাউকে পাচ্ছি না, পুড়ে যাচ্ছি!

খুউব ভয়ে ভয়ে জেগে আছি, অন্ধকার ভীষণ
অন্ধকারে
ডুবে আছে সমাজ
কৃত্রিম আলোয় যারা আলোকিত
আমি তাদেরই ভয় পাচ্ছি

ঘড়িতে ষোড়শ
সে-ই তখন থেকেই

.
ওরা আলো জ্বালিয়ে পসার জমিয়েছে

.
যেন আঁধার-ই নেই
সাইন্স জ্বলছে

এদিকে সূর্যেরআলো নেই
সমগ্র-সমাজ_আঁধারে নিমজ্জিত
জ্বলছে...পুঁজিবাদ
অন্ধকারে
আর এই আলোর আঁধারে লালও কাল ভীষণ!

বলার মতো কাউকে পাচ্ছি না, পুড়ে যাচ্ছি!@মণি জুয়েল

প্রস্তুত আমি দাঁড়িয়ে আছি

তুমি এখন পালঙ্কে শুয়ে আছো, আড়াআড়ি।
আর আমি
দাঁড়িয়ে আছি লম্বালম্বি
একটা আকাশ নির্মাণ করতে চাইছি
এসো, দু-জনে 'খ' হয়ে যাই

মেঘ জমেছে
ঘর্ষণে বৃষ্টিরা ঝরুক

.
এসো দেখি দুই-র মিশ্রণে আকাশ গড়ি

.
শুভ্রতা লেপ্টে যাক
নীল_চাদরে।

এসো, দু-জনে 'খ' হয়ে যাই
একটা আকাশ নির্মাণ করতে চাইছি
হাসুক রবি আর শশী
ভাসুক পক্ষি
তুমি যখন পালঙ্কে শুয়ে আছো, আড়াআড়ি।

প্রস্তুত আমি দাঁড়িয়ে আছি@মণি জুয়েল