Sunday, 30 May 2021

ইন্ধনে রক্তবাতি গলে যেতে দেবার না

এতো কচলে দেওয়ার পরেও উত্থিত হবে না!
হে জীবন্মৃত
পারো-না মরে যেতে!
বিদ্রোহ তোমার, এখনও জাগে না!
জীবন; তোমার-ই মৃত্যু'তে

ওঠো ধরো
তেতো হয়েছে স্বাদ
.

ঢালো অর্জিত সব মুছে যাকে ছোপদাগ।

.
আগুন ছুঁয়ে গেছে?
ধারণ করো

নেভাতে হবে বীর্য-শক্তিতে
সময় এখন ভোগ-সম্ভোগের'ই না।
বাঁধো কাফন আপন
নিজের হাতে
তোমার নিজের, এখন নুয়ে থাকার সময় না,

ইন্ধনে রক্তবাতি গলে যেতে দেবার না@মণি জুয়েল

Friday, 28 May 2021

দুস্বপ্নের একটি বাস্তব ভবিষ্যত

ছেলেটি লজ্জিত, মেয়েটিও ওদের মুখ দেখতে পাচ্ছি
চেতনায় উদ্দীপ্ত
ওরা, ভীষণই লজ্জিত
পিতৃ-পিতামহ সম্পাদিত হিস্ট্রি দেখে
না.., মা ঠাকুমাতেও গর্বিত না

অতঃপর তাকালো
তিক্ষ্ণচোখে আমার দিকে

.
আমি তখন ওদেরই দেওয়ালে ঝুলছি
.

দেওয়ালে উপরের দিকে
জুতসই, বাঁধানো

কিন্তু, এতো ক্ষুদ্ধ ক্যানো ওরা
কেনো ক্ষোভের বহ্নি ওদের দু চোখে!
কেন বা ওরা লজ্জিত?
যেন পদদলিত
আমি, আমার ওই প্রগতিশীল ইতিহাস দেখতে পাচ্ছি।

দুস্বপ্নের একটি বাস্তব ভবিষ্যত@মণি জুয়েল

Tuesday, 25 May 2021

তোমার খোলা জানালায়

আচ্ছা, জানালার সুগন্ধি ফুলটা কেমন আছে?
বৃষ্টি হচ্ছে?
পর্দাটা কি সরিয়েছো?
যদি দু-দিকে সরিয়ে দিয়ে থাকো
নিশ্চয় ফুলটা ভিজে গেছে

কিন্তু দেখছো..
এ আমার অসহায়ত্ব

.
আমি চাইলেই বাড়াতে পাই-না হাত

.
আসলে ভীষণ দূরত্ব,
দূরত্বে আছো।

সাগরের যখন ঝড় উঠেছে
এ তুমি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছো
যদি খুলে দিয়ে থাকো
তবে ভিজুক।
দমকায় উড়ে যাব, যেন খড়কুটো উড়ে যাচ্ছে!

তোমার খোলা জানালায়@মণি জুয়েল

Friday, 21 May 2021

দেখতে পাচ্ছো, যাবে, দেখবে???

না না খুব বেশিদূর দেখাতে যাবো না, এখন
গাঢ় বিশৃঙ্খলে
কোত্থাও শৃঙ্খলই নেই
চল, ওই পুকুরপাড়ে গিয়েই বসি।
বেশি পারবেও-না যেতে

.
পশ্চিমপাড়ের
ওরা;জাল ফেলেছে

পূর্বে, জানালায় বসে আমি দেখছি

ছট-ফট করে যাচ্ছে...
সংকট, প্রাণের।

.
তুমি ওই বিবাদ জানতে-
যে বিবাদে, মাছসব মরে ভাসছে,
বাকিদের নিস্তার নেই,
প্রাণবন্দী জালে?
জেনো, ওসব ইতিহাসই জানার সময় এখন

দেখতে পাচ্ছো, যাবে, দেখবে???@মণি জুয়েল

Wednesday, 19 May 2021

যখন বাইরের আলোয় কেউই জেগে নেই

ভেতরের সবগুলো বাল্ব'ই বন্ধ করে দিয়েছি
গাঢ় অন্ধকারে
বাল্ব জ্বলছে, বাইরে!
ওই অন্ধকারেই জেগে বসে আছি
আসলে ঘুমোতে চাইছি-না

অরব দেখছি
এখন সবাই ঘুমিয়েছে
.

কোত্থাও কোনো শব্দ শোনা যাচ্ছে না

.
এখন সবাই ঘুমিয়েছে
বুঝতে পারছি

কিন্তু, কিছুই কি শুনছি-না!
না, আমার নিঃশ্বাস, শুনতে পাচ্ছি
স্বাচ্ছন্দে ভেতর বাইরে...
নিবিড় অন্ধকারে
আমি ঠিক বুঝতে পারছি আমি বেঁচে আছি

যখন বাইরের আলোয় কেউই জেগে নেই@মণি জুয়েল

সালাম বর্ষিত হউক তাঁর এবং তাঁর অনুসারীদের প্রতি।

লজিক যত সদর্থকই হোক না কেন মুসলমানরা যদ্দিন তাদের নবীকে উম্মি বলবে তদ্দিন তারা বঞ্চিত নিপীড়িত জাতি হিসেবেই থাকবে।

এই উম্মির কথার অর্থ ডাইরেক্ট অর্থে মূর্খ নয়। মানে জ্ঞানহীন পান্ডিত্যহীন শিক্ষাহীন ছিলেন এমন না। আসলে তার বিপরীত ছিলেন। কিন্তু এরা আসলে ইহুদী'দের ভাষাকেই ব্যবহার করে!

না আমি নতুন তথ্য নিয়ে আসি নি। প্রচলিত তথ্য দিয়েই অন্যভাবে দেখাচ্ছি। ইহুদী খৃষ্টান ইসলাম এই তিনটে আব্রাহামিক ধর্ম। নবী ইব্রাহিমের বংশের দুইভাগ একভাবে ইহুদী খৃষ্টান, অন্যভাগে ইসলাম। ইব্রাহিম পুত্র ইসহাকের অংশ থেকে ইহুদী খ্রিস্টান। আর ইসমাইল থেকে ইসলাম।

ঘটনাচক্রে ইসহাকের পরবর্তী প্রজন্মগুলোতে অনেক নবী এসেছেন, অনেক Special Knowledge তারা সরসরি পেয়েছে। ইহুদীরা তাদের মতানুযায়ী শেষনবি হিসেবে মুসাকে পেয়েছে, এবং পেয়েছে বই। অন্যদিকে ইসমাইলের পরবর্তী প্রজন্ম তেমন নবী এবং special knowledge বা বই কোনোটাই পায় নি(পরবর্তীতে কোরআন ও নবী মোহাম্মদ পেলো)। ফলে ইহুদীরা অহংকার দেখিয়ে বাকীদের থেকে নিজেদের উঠকৃষ্ট মনে করতো, বাকীদের মানুষও মনে করতো না। অন্যদের উম্মী(জ্ঞানহীন, মূর্খ, অজ্ঞ) সম্বোধন করতো, যাদের কাছে কিতাব (বই) আসে নি তাদেরকে। এই কারণেই ইসলামের নবী'কে তারা উম্মী বলতো প্রথম পর্যায়ে, আর তাঁর বংশকে, তাদের এলাকাকে। তাছাড়া ইসলামের নবীর পূর্বের ওই ইসমাইলি মানুষগুলো তেমন জ্ঞানী গুণী ছিলেন না ইহুদীদের তুলনায়, যদিও কবি টবি অনেক ছিলো। যেমন এখন বাংলা ভূখণ্ডে!

খেয়াল করে দেখুন এরকম সময়কালে নবী মহাম্মদ বিপ্লব আনতে চাইলেই তার নিজের সমাজে। হিজরত করতে হলো। অনেকে সংগ্রাম করে ইহুদী সহ সব জ্ঞানীদের উর্ধে নিজেকে উত্তীর্ণ করলেন সমস্ত বিভাগে এবং সাফল্যের সাথে নতুন ব্যবস্থা গড়ে তুললেন যা প্রকাগ্যে হোক বা গোপনে গোটা পৃথিবী ফলো করে নিজের নিজের ব্যবস্থার মধ্যেও। তিনি আবার মক্কা ফিরে এলেন, ক্ষমা দিয়ে মক্কাও জয় করলেন, এবং চলে গেলেন। সেই মানুষটিকে আপনারা যদি উম্মী (মূর্খ) বলেন তাহলে আর কিছু বলার থাকে না। শুধু তাই নয়, তিনিই পৃথিবীকে দিয়ে গেলেন সেরা কি(বই)।

এখন আপনরা কেউ কেউ হয়তো কোরআন থেকে আয়াত এনে বলবেন যে, আল্লাও তো নবীকে উম্মী বলেছেন। আমি বলছি ভালো করে পড়ুন। আল্লাহ নবীকে তা বলেন নি, নবীকে বুঝিয়েছেন এবং পূর্বের ইতিহাস স্মরণ করিয়েছেন যা অন্যরা বলতো। নবী মূর্খ অশিক্ষিত জ্ঞানহীন ছিলেন না। যদি জ্ঞানহীন তাহলে নবী হওয়ার আগে মক্কার মানুষরা তাঁকে এতো সম্মান কেন করতো?আর হিজরতের পরে মদিনায় ইহুদীরা ই আবার কেন সমীহ জানিয়েছিলো?@মণি জুয়েল

Monday, 17 May 2021

জেগে থাকি এসো সবুজবিপ্লবের জন্য

ঘামে নেয়ে যাওয়ার পরে, বৃষ্টি ঝরে পড়লো
পথ ভিজেছে
আশে-পাশের ঘাসও
তুমি কি এখনি ঘুমিয়ে যেতে চাও?
আমার কিন্তু ঘুম পাচ্ছে-না

উঠতে হবে
সংগ্রাম আরও বাকি

.
এলিয়ে পড়তে চাইছে-না, প্রত্যঙ্গও!

.
এসো, জেগে'ই থাকি
লড়তে হবে।

জানি তো; এ খুব সহজ না
কিন্তু, যদি পৃথিবী'কে সবুজ  চাও
তবে এসো ভিজে নাও
জীবন ডাকছে...।
কতবারই এমন ঝড়ঝঞ্ঝা হলো আর গেলো।

জেগে থাকি এসো সবুজবিপ্লবের জন্য @মণি জুয়েল

এসো আমরা জেগে থাকি

ঘামে নেয়ে যাওয়ার পরে, বৃষ্টি ঝরে পড়লো
পথ ভিজেছে
আশেপাশের ঘাসও
তুমি কি এখনি ঘুমিয়ে যেতে চাও?
আমার কিন্তু ঘুম পাচ্ছে-না

উঠতে হবে
আরও সংগ্রাম বাকি

.
এলিয়ে পড়তে চাইছে-না, প্রত্যঙ্গও!

.
এসো, জেগে'ই থাকি
লড়তে হবে।

জানি তো; এ খুব সহজ না
কিন্তু জীবনকে পৃথিবী দিতে চাও-
যদি, তবে, এসো নাও
জীবন ডাকছে...
কতবারই এমন ঝড়ঝঞ্ঝা হলো আর গেলো

এসো আমরা জেগে থাকি@মণি জুয়েল

Friday, 14 May 2021

অথচ বাঁশি সাঁতার কাটে দরিয়ায়

যখন আমার বাঁশিতে ঠোঁট রাখ, ভেসে যাই।
প্লাবিত হয়-
পেলব উপত্যকা
সুর তোলে দুইপার মাঝের স্রোত
নৌকা-নাদুস, ভেসে যায়...

শ্বাসে প্রশ্বাসে
বার্তা, ভাসতে থাকে

.
অনুভূতিময়, যার কোনও ভাষা নেই

.
শব্দরা জেগে থাকে
জলের স্পর্শে।

রাত এভাবেই বেড়ে যায়।
এভাবেই কেটে যায় মণিময় রাত।
ছড়ানো কদমশাখা,
জানান দেয়-
নিকষ অনন্ত এই যমুনার কোনও কূল নেই।

অথচ বাঁশি সাঁতার কাটে দরিয়ায়@মণি জুয়েল

Monday, 10 May 2021

সময় আসুক উদগীরণে জীবন দেবো

না..., চাইছি, চাইলেও বের করতে পাচ্ছি না
জমেই যাচ্ছে
ক্রমশ পঞ্জিভুত হচ্ছে
হোক, বিস্ফোরণ একদিন হবেই
আমি অপেক্ষা করি বরং

ঠিক যেমন-
ঘুমন্ত-আগ্নেয়গিরি।

.
এখন সময় জেগে থাকার ঘুমের মধ্যে

.
এভাবেই বেঁচে নিই
প্রাক জন্মে।

প্রস্তুত হয়ে নিক' সে সয়ং,
উদগীরণে ভিজতে হবে, তাকেই।
তাকে কি চেনা যাচ্ছে?
ইঙ্গিত পৌঁছুচ্ছে?
না না দ্রোহে এখনি এনার্জীর ক্ষয় চাইছি না।

সময় আসুক উদগীরণে জীবন দেবো@মণি জুয়েল

Sunday, 9 May 2021

এমন দৃশ্য ভাবতে পারছো?

ভীষণ উত্তাপ ধারণ করে আমি দাঁড়িয়ে আছি
এখন দ্বি-প্রহর
মাথা বেয়ে জল গড়ছে...
বেহালা চাইলেও পাচ্ছি না বাজাতে
অথচ, হাতেই পরশের কাঠি-

যদিও, তবুও
অরব দাঁড়িয়েই আছি
.

কি করছো তুমি ওদিকে দ্বার বন্ধ করে?

.
আমি নিঃসঙ্গ ভিজছি...
বন্ধ জেনেও!

পার তো- জানালাটা খুলতে,
পাল্লা দুটো ছড়িয়ে জল ঢেলে দিতে।।
মাথা বেয়ে জল গড়ছে...
তোমার জানলার
তুমি দেখছো, বিস্ময়ে, আমিও তাকিয়ে আছি

এমন দৃশ্য ভাবতে পারছো?@মণি জুয়েল

Wednesday, 5 May 2021

ওঠানামায় আমার ভীষন তৃষ্ণা পেয়েছে

তোমাকে দেখতে দেখতে আর স্থির থাকা গেল না
টানটান অ-স্থির
নামছি, আবারও উঠছি...
কুল কিনারা না-পেয়ে মুঠোয় ধরলাম
কলম। সেই থেকে ঘষে যাচ্ছি...

.
কিন্তু হচ্ছেই না,
কবিতা ঝরে পড়ছে না!

তালুতে কলমটা নিয়ে চোখ বন্ধ করেছি

অন্য কিছুই দেখছি না,
এক তুমি ছাড়া!

.
যাইহোক.. ঐদিকে বৃষ্টি হচ্ছে?
হাত বাড়িয়ে দেখো তো জানালা খুলে
আঙুলে কি জল ছুঁয়েছে?
কিম্বা নীলশিশির
ভিজেছে দ্বিপত্রী? ভিজলে যেন জানাতে ভুলো না।

ওঠানামায় আমার ভীষন তৃষ্ণা পেয়েছে@মণি জুয়েল

Sunday, 2 May 2021

এই নাও আজ বলে দিলাম

ইচ্ছে করছে খুব তোমাকে এবার বলেই দিই
কিন্তু কেন যে...
বলতেই পারছি না
জানি-না, কেনো পারছিনা, বলতে!
হ্যাঁ গো... তুমি কি জানো?

আমার স্পন্দন
তোমাকে কাঁপাচ্ছে?
.

কেন মিশে যেতে পাচ্ছিনা আমি আহ্
.

ঢুকছে... বেরোচ্ছে...
দুলছে..জীবন

ভাবতে পারছো? ভাবছো?
একাকার মিশে, দুই, শ্বাসের প্রান্তে!
নাহ্ শুধু কল্পনা না।
কিন্তু কেন যে...।
তুমি কি পারবে-না, বস্তু হতে? এসো, বস্তু হই

এই নাও আজ বলে দিলাম@মণি জুয়েল

Saturday, 1 May 2021

আমি হৃদয়ে কথা বলছি, শুনতে পেলে?

তুমি তো এখন পৌঁছে গেছো মাঝামাঝি পর্যায়ে
মাঝামাঝি...
তুমি কি এ জানো?
স্রোতের নদী তৃতীয়স্তর পায় কেন?
কেবলমাত্র সাগরের জন্য।

সুবিস্তৃত দুপার,
কিনারা ভেসে যাচ্ছে...

.
ভাবতে পারছো? প্লাবনের আবাদীমাটি!

.
ক্রমশ:ই নদী ছুঁয়েছে-
সাগর_কিনার

এ সব তুফানস্নানের জন্য।
নিশ্চয় বুঝেছো। কিন্তু এমন কেন?
এস ছুঁয়ে দেখো এস
মাঝামাঝি,
নিভৃতে, রহস্য এখানেই থাকে, জেগে কিম্বা শুয়ে

আমি হৃদয়ে কথা বলছি, শুনতে পেলে?@ মণি জুয়েল