বই কোলে দেখতে পাবে

বই লিখবো বলে, ডাকার পরেও তুমি এলে না!
তবুও
এখনও ডাকছি
এসো প্লিজ, এসো না, এঁকেই দিই
আমি আঁকিয়ে, মন্দ নই

একটাই তুলি
আমার একটাই তুমি

.
চাইলেই কমাস নমাসে অঙ্কন দেখতে পাবে

.
সম্ভব সবই যদি তুমি
বর্ণে ডুবাও তুলি

বর্ণের বাইরে কিছুই নেই
নেই মানে? আমাদের মতোন নেই
এইজন্যই ডাকছি
মুসব্বির!
বিশ্বাস কর আমি আধুনিক কবিতা লিখছি না।

পরম বস্তুময় জীবনের কথা@ মণি জুয়েল

দাসত্ব

আর পরাজিতরা বসে কবিতা লিখছে

না আমি চাঁদ দেখতে ভুলে যাই নি, ভুলানো হয়েছে
'প্রগতিশীলতায়'
'বিজ্ঞান' ও আধুনিকতায়
কৃত্রিম আলো-তে ঢেকে গেছে আকাশ
তাকানোর-ও নেই অবকাশ

দাসত্বে
হারিয়েছে মুক্ত আকাশ

আহ্ কাকে আমি কাকে দোষারোপ করবো!

কে বা নেবে সে আরোপ
স-দর্পে

প্রতিষ্ঠেয়_মঞ্চ দেয়াল তাক
তাহাদেরই চিত্রে পুষ্প জ্বলজ্বল প্রতাপ
জাগিয়েছে নাকি তাহারাই
আর সেই ফেতনায়
আধুনিক জাগ্রত মানুষদের ঘুমই নেই কারো চোখে

ওদিকে আকাশে চাঁদ জেগে আছে@ মণি জুয়েল

এডিট দরকার

যে পথে সাফল্য পেয়েছে যারাই গেছে

যে কোনো আধসী-প্রেমিকা যোনির গভীরতার মতো
প্রেম হোক
প্রেম তেমন গভীর হোক
তুমি উতপ্ত হও, ভিজে যাও, শুকাও
চিন্তা'কে চেঞ্জ কর ডিয়ার

বের হও
শ্লীলতা অশ্লীলতা হতে

.
অপার দুইজীবনকে থিঁতিয়ে দেখতে হবে তো

.
ওইপ্রান্ত এইপ্রান্ত হতে
দ্রষ্টা হও

দ্রষ্টা মানে ইংলিশে সিয়ার-
SEER. কুন কুন কুন, তুমি হয়ে যাও
প্রেম তোমার গাঢ় হোক
সুক্ষ্মও হোক
ও মণি ডিয়ার সংশিত_সে_তার পথে যেতে হবে তো

অশ্বরেসের মতো সহজ সরল মধ্যপথে@ মণি জুয়েল

বোধ্ ও গম্য তা

গমনের সাথেই যুক্ত জানা তুমি জানো না!

দীর্ঘদিন সে তাকে বলে যাচ্ছি ক্রমাগত যে মিস করছি
চুপ থেকেছে
শোনার ভানও নেই
সেই সে'ই আজ হঠাৎ করে বলেছে-
মিস করতে কে বলছে

কি বলবো
সত্যি ত কে বলেছে

ওহ ডিয়ার আমি জানি না সত্যিই কে বলেছে

তবে কেউ ত বলছে
সু-নিশ্চয়ই

ভাবের প্রকাশ, ঘটেছে
তাই তো এতো কথা, বলছি, বলছে
যার আর শেষ নেই
সীমা ছুঁয়েছে
সেই সীমাতেই, যেতে চাচ্ছি মানে গম্যতার কথা বলছি

তুমি কি সাথী হবে গম্যতার সাথে সাথে?@ মণি জুয়েল

তুমিও তো চাইছো এ হাংরীকালের ধ্বংস

যদি চাইছো তবে নাও জন্ম দিই এসো

তুমি কি ঈসার অপেক্ষা কর না, আকাঙ্খা কর না
করো
কিন্তু জাননা সম্ভবত
অথবা জান। কিন্তু বোঝো না বিশদ
আমি তো, প্রতিনিয়ত

ইচ্ছে করে
তোল্পাড় করে দিই

.
উলোট পালট হয়ে যাক, আমাদের কামকাণ্ডে

.
শোর্গোল তুলে দিই
শব্দ করে

কেঁপেই উঠুক ভূ প্রান্ত
ভিজিয়ে দিক, কাঁপুনির জলোচ্ছ্বাস
তৃতীয়-বারের মতো
কিম্বা
প্রথমবারের মতো।তোমার ভেতর ফেটে যাচ্ছে না?

তুমিও তো চাইছো এ হাংরীকালের ধ্বংস @ মণি জুয়েল

বুঝতে পারছি উতপ্ত সে, কিন্তু বিভ্রান্ত

বুঝতে পারছি উতপ্ত সে, কিন্তু বিভ্রান্ত

তার ওই উন্মুক্তপিঠস্থান যবে থেকে কেন্দ্র হয়েছে
সেই থেকে
আমি আর ভালো নেই
সেই থেকে আমি ধূসর চাঁদ হয়ে গেছি
চুম্বকত্ব বার্বার টেনে যাচ্ছে

জোয়ার আসছে
আমি কাছে আসছি

.
মিশে যেতে পাচ্ছি না সে দূরত্ব ধরে রাখছে
.

তবুও, ঘুরেই চলেছি
সেও পাকখাচ্ছে

কিন্তু সে! সূর্যের অভিমুখে
পুড়ে যাবে পুড়ে যাবে" অরব চিল্লাচ্ছি
শোনার ভানটুকুও নেই
পুড়ে যাবে
ভালোবাসি তো, তাই, তাকে ভেজাতেই মন চাচ্ছে

আমার নিঃসৃত ধবধবে জোছনায়@ মণি জুয়েল

জ্যান্তকথা

এখন আমি যদি বলি চাঁদকে ঘিরে পৃথিবী ঘুরছে
ভুল বুঝবে
বিশেষত 'শিক্ষিত"রা
আর যদি বলি যোনি'কে ঘিরে ঘুরছে
তবে ব্যাপারটা "অশ্লীলতা"

কি করি
তাই কিছু বলছি না

.
চুপচাপ লিখে যাচ্ছি জীবনের যত জ্যান্তকথা
.

মুখে কিছু বলছি না
কি হবে!

না বুঝে কাব্য না বাস্তবতা
অথচ হাব্ভাবে যেন সব বুঝে নিয়েছে
বিশেষত 'শিক্ষিত"রা
কিছু জানেনা
জানলে তবে তো জেনেই যেত 'বস্তু'র কাব্যময়তা

কিম্বা সেই নিজে কিভাবে কি ঘিরে ঘুরছে@ মণি জুয়েল

সপ্ত সাগর সাঁতার কেটে

তোমার যোনির শেষ সীমানা পর্যন্ত সাঁতার কেটে
বলি দেবো
আমার লকলকে জিভ
সীমান্তে চলে যাক সীমান্তে চলে যাক
কেঁপে কেঁপে উঠুক পাড়

শুভ্র ফ্যানায়
বালুভূই হোক তোল্পাড়

ঢেউ তুলে তুমি শব্দ করো, নাবিক চলে যাক-

এই পাড় হতে ওই পাড়
নীলের দোলায়

প্রতি ঘাতে উপচাক পাড়
ভিজে যাক প্রান্ত, সীমানা কেঁপে যাক
আমার লকলকে জিভ
বলি দেবো
জিভের সাহায্যে অন্ত অনন্ত প্রশান্ত সাঁতার কেটে

সপ্তসাগর সাঁতরে কেটে@ মণি জুয়েল

বিশাল পেটের পোস্ট বক্স

বিশাল পেটের পোস্টবক্স ঠিকানাদ্বার তার নিচেই
দূর থেকে
দুইচোখ বুঁজে
আমি সেই পোস্টবক্সটিই দেখছি
এখন নিখুঁত মাঝ্রাত

এখন সম্ভব
যতো গোপনকথা -

তার ভেতরের ওই দ্বার দিয়ে ফেলে আসতে

যতো নিগুঢ়-ব্যথা
পুঞ্জ নির্যাস

সব উজাড় করে দিতে
চাইলে করাই যায়। শরৎ এসেছে
এখন তো সময়

মণি জুয়েল