উক্ত সূর্য হারিয়ে গেছে এখন দেখা যাচ্ছে না
উক্ত চাঁদ
উক্ত তারারাও নেই
কিন্তু ফলতঃ আঁধার তা বলছি না
আসলে ফলতঃ নয়ও
কিন্তু
এখনও অন্ধকার
.
সমগ্র জেগে আছে আলোর অন্ধকারে
.
জলন্ত-অন্ধকার
পক্ষ
লাপাতা' হয়েছে ঘুমও
তার মানে সজাগ সবাই, বলছি না
কিন্তু সম্ভাবনা নেই?
না তাও না
প্রাক মুহূর্তে পৌঁছে গেছি প্রায় সমূহ সম্ভাবনা
কেয়ামত ঘটে গেছে, ঘটতে যাচ্ছে@ মণি জুয়েল
যদিও তিনভাগে বিভক্ত তবু ভয়ানক ইচ্ছে করছে
আঙ্গুল দিই
এক দুটো না তিনটে
আবার ফেরো ভিজি, বিভক্ত করেই দিই
কিন্তু সম্মিলিত হওয়া হচ্ছে না
সম্মিলিত
যাকে ইউনিয়ন বলা হচ্ছে
.
ভীষন রকমের মুখিয়ে আছি সম্মিলিত হতে
.
যাকে ইউনিয়ন বলা হচ্ছে
অঙ্গীভূত
কিন্তু আমার শব্দ পৌঁছুছে না
অসংখ্য শব্দের ভিড়ে। তথাপি ডাকছি
অন্তরঙ্গতাও জানাচ্ছি
আঙুল ছুঁয়ে
নিশ্চয়ই খসে খসে যাবে। যেমন চাঁদ ভেঙে গেছে
@ মণি জুয়েল
সহজিয়া
আমি সীমাহীন হ হয়ে আছি, অথচ তুমি
স
চির-দিনই
বেশ ভালো রকমের বাঁকানো
ফলতঃ ফ্যান্টাসি জ
অলৌকিক।
যদিও এ সত্য না
লৌকিক সমস্তটা দ্বিতের যাপনা
'সহজিয়া' সাধনা
ক-লৌকিক।
সৃজনের_অন্তঃস্থ জ
"আরশ" ওই ভাবেই সাজানো
দ্বীপভুমিতে
ব
পন করে মুখিয়ে আছি, আসবে আগামি
সভ্যতার শুরু এই বদ্বীপ থেকেই@ মণি জুয়েল
ততক্ষণে দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে
মাঝরাত, অরব আমি, রেহেল হয়ে বসে আছি
তুমি এসো
তুমি এসো, হে কিতাব
অধিষ্ঠিত হও বিগ্রহের মতো অধিষ্ঠানে
আমার কোলে আলিঙ্গনে
বসে আছে
আবার দাঁড়িয়েও আছি
.
চাবি রেডি আছে কিন্তু তালা পাচ্ছি না ঘরের
.
আমি বোঝাতে পারছি
অবস্থা কী?
অন্ধকার এরকম নির্জনে
আলোর খুব দরকার, বিশেষত এখানে
আ: মোমবাতির খোয়াব
তুমি এসো
তুমি, জ্বলছো উপরে নিচে দাঁড়িয়ে গলে যাচ্ছি
মুখ দিয়ে অস্ফুটে ইল ইল বেরোচ্ছে@ মণি জুয়েল
অবশ্যই অতি অবশ্যই আধুনিক নই, গ্রামের পথিক
আর তাই
এখন হেঁটে যাচ্ছি
প্রেমিকার যোনির চুলের মতো ঘাসগুলো
ভিজে আছে মাটি ভিজেছে
সন্ধ্যা নামলো
আঁধারও বেশ হয়েছে
.
তবুও একা একা নির্জনে হাঁটছি নীর্ভার হয়ে
.
দুইচোখে স্বপ্ন উঠেছে
চাঁদের মতোন
সেই আলোয় দেখতে পাচ্ছি
ঘাসেরডগায় জ্বলজ্বল করছে মুক্তাগুলো
পুং মণি'র সাদৃশ্যে
ঝিকমিক
অর্থাৎ এবার ফসলেরই দিকে এগোচ্ছে, সময়, ঠিক
সমূহ সবুজ বিপ্লবের সম্ভাবনা মণি জুয়েল
অপেক্ষা করতেই হয় করতেই হবে
অবশ্যই অতি অবশ্যই আধুনিক নই, গ্রামের পথিক
আর তাই
এখন হেঁটে যাচ্ছি
প্রেমিকার যোনির চুলের মতো ঘাসগুলো
ভিজে আছে মাটি ভিজেছে
সন্ধ্যা নামলো
আজানও হয়ে গেছে
.
পাঁচবার ভাবি নামাজ পড়বো সম্মিলিত হয়ে
.
চাইলেই কি সব হচ্ছে
কিন্তু সম্ভাবনা
এই যে মাটি এখন ভিজেছে
অথচ এতোদিন কতোই না তাদ্দাহ ছিলো
এখন ভিজে গেছে
তাত নাই
অর্থাৎ এবার ফসলেরই দিকে এগোচ্ছে, সময়, ঠিক
সমূহ সবুজ বিপ্লবের সম্ভাবনা @ মণি জুয়েল
কতগুলো ধ্বংস হবে বাট্ প্রাণ
বিকেল থেকে, সে তার বাহুর দিকে তাকিয়ে আছি
সাঁঝ হলো
এখনও দেখতে পাচ্ছি
ইচ্ছে করছে এবার মোমবাতি'টা জ্বালি
কিন্তু ঘর'টা খুলতে হবে তো
চাবি হাতে
সে থেকে দাঁড়িয়ে আছি
.
দারুণ খুনোখুনির সময় চলছে, ঘেমে যাচ্ছি
.
সে থেকে দাঁড়িয়ে আছি
তাতে তেতে
এ এক মৃত্যুরই সমাহার তো
তবুও। আকাশে চাঁদ উঠেছে একফালি
সামনে দেখতে পাচ্ছি
পূর্বে আঁধার
তবে উত্তর কেমন হবে? ওর জন্যে অপেক্ষা করছি
নাকে ভাসছে কুক্ষিগত ঘ্রাণ@ মণি জুয়েল
নবজীবনের জন্যে এ এক নূতন-সংগ্রাম
আমি ঠিক মাঝামাঝি দিয়েই এগিয়ে চলে যাচ্ছি
পথ
গমন করলে তবেই
নইলে কি তাকে পারে পথ বলা যেতে?
না। আসলে সৃ-জন চাইছি
আর তাই
এগিয়েই যেতে হবে
.
ইচ্ছে করছে সংশিত হেন আঙুলে চাঁদ ভাঙতে
.
কিন্তু তর সৈতে হবে
আমি জানি
জানি তৃবিভক্ত হয়ে আছে
তবুও কি পারে "অনায়াস" বলা যেতে?
না। সংগ্রাম হলে তবেই
পথ
খুলে যাবে মুক্তির। এখন সব অন্তঃস্থ হয়ে আছে
সংগ্রাম করলে গর্ভস্থ হবে, অতঃপর জীবন@ মণি জুয়েল
সাঁঝ হলেই ইচ্ছে করে দুটো সিঙাড়া একটা চপ
নিয়ে বসি
তারিয়ে উপভোগ করি
প্রথমে ভ্রমন সেরে নিই সিঙাড়া-তে
অতঃপর... চপটির দিকে
আঙুল দিয়ে
ফুটো উত্তাপ বার করি
গলে বেরিয়ে আসতে থাকুক উতপ্ত ঘ্রাণ
কিন্তু দূষণ! কি যে করি-
এইসব নিয়ে!
সে তার হেঁসেলের দিকে
যেতে ইচ্ছে করে। মানে গমন করতে
ভ্রমনও ভালোই করি
প্রান্তে ওপ্রান্তে
আহ সে তার ভূ প্রান্ত জল জ্বল তৃণময় আতপ
@মণি জুয়েল
শিক্ষত মূর্খরা যখন বানানে ঠিক ভুল দেখে ফেরে
ইকারে ঈকারে
আমারও ইচ্ছে করে-
সু-দীর্ঘ 'ঈ' গড়ি তুমি আর আমি মিলে
জানো কাল কথা হচ্ছিলো
বন্ধুর সাথে
সে "অশ্বত্থ" বললো
আমি সন্ধান পেলাম অশ্বের, মানে আমাকে
কিন্তু কই বলা হলো
তোমার সাথে
কিন্তু খুউব ইচ্ছে করছিলো
তাই তো লিখে দিচ্ছি আঙুলে আঙুলে
@মণি জুয়েল
গভীর রাত ঘুমোতে যাবো তার প্রাক মুহূর্তে
দেখলাম
তোমাকে ছবিতে
সেই তখন থেকে তৃষ্ণা পেয়েছে
এখন, দুপুর গড়ালো
ইচ্ছে করছে
মুখ ডুবাই কুয়োতে
.
কিন্তু সময় কুৎসিত আধুনিক চলছে
.
আমি আদিমতাতে
যেতে চাইছি
কেন এই রকম হলো @ মণি জুয়েলে
এখন বেনজির-অপরাজিতার কথা মনে পড়ছে
একটি ফুল
তার বেশি কিছু না
ফুলটি, মৃদু বৃষ্টিতে, গন্ধ ছেড়ে যাচ্ছে
ইচ্ছে করছে ডুবে যাই
সে ঘ্রাণে
বর্ষা নেমে আসুক
.
মেঘের মতো জমে আছে আমার শুক্রগুলো
.
তারা ধেয়ে আসুক
উপকূলে
সে তার' সাগর সীমায়
প্রকাণ্ড এক অট্টালিকা জেগে আছে
তারই সদর দরজা
তাতেই ফুল
চোখ বুঁজে দেখছি উ-দ্বার অপরাজিতা ভিজছে
সংঘর্ষে বৃষ্টি নেমে উত্তপ্ত এখন মাঝি ও নাও দুলছে@ মণি জুয়েল
বোঝানোর দায়িত্বও আমাকে দেওয়া হয় নি
আলোর জন্ম দিতে আমাকে কোরবানি দিতেই হবে
অন্ধকার
ঘন অরণ্যের পথ
পিচ্ছিল, যে কোনো সময় মৃত্যু হতে পারে
পড়ে গিয়ে, গলে, বেরিয়ে
মৃত্যু হতে পারে
কিন্তু গমন করতে হবে
এ এক হিংস্র পথ, জীবন কিন্তু তারই সীমান্তে
তাই গমন করতে হবে
জীবন দিতে হলে
দেবে, মরতে জীবন দিয়ে
আমি প্রবেশ করি ছুরিদণ্ড ডুবিয়ে সাঁতরে
বিস্তর মরুর এ পথ
জল্কূপস্থ
প্রশংসা করি তারই, প্রাণ, ফিরিয়ে আনবেই আনবে
আমি জানি তোমরা এসব কিছুই বোঝো নি@ মণি জুয়েল
