মসজিদের উঁচু মিনারের উপরে চাঁদ দেখা যাচ্ছে
যেখানে যা'ই দাঁড়িয়ে আছে আমিই আছি সেই-সবে
আর তুমি
উন্মুক্ত যা কিছুতে
এখন ভাবো পেরেছো কি উন্মুক্ত হতে
ওহ্ বসুন্ধরা পৃথ্বী আমার
পেরেছো কি
নিজেকে মেলে দিতে?
.
প্রতিবাদে যেও না, প্রতিবাদ সাধারণত ছলনা
.
চাইলে পারো, ভাবতে!
কাবা দেখেছো?
ওহ্ বসুন্ধরা পৃথ্বী আমার
ভাব ভাব, পেরেছো, আবিষ্কার করতে
সৃ-জনের তোমাকে
বর্গীয়জতে
যেখানে দাঁড়িয়ে মোম্বাতি সানন্দে জ্বলে গলে যাচ্ছে
ভীষন রাত প্রিয়তমা, আবিষ্কার করতে হবে তোমাকে@ মণি জুয়েল
উন্মুক্ত রমণী দেখেলে সদ্য যুবকের যেমন হয়
তেমনই
আমার এই হৃদয়
আমি তোমাকে বোঝাতে পারলাম?
না না পারি নি সম্ভবত
সুপুরুষকে
কেউই বোঝে নি
.
প্রভাবিত করা যায় নি রমণীকে মিথ্যে ছাড়া
.
এ আমি বলি নি,
ঐতিহাসিক
নইলে তুমি বুঝে যেতে
আমি তোমাকে কত'টা ভালোবাসি!
আহ্ আমার হৃদয়
সদ্যযুবক
কল্পচোখে দেখেও কামুকের মতো কেপেই যায়
নদী ঝরতে থাকলেও তুমি পাহাড় থেকে যাও@ মণি জুয়েল
একটি চুড়ান্ত দুর্বোধ্য দূর্বোধ্য কবিতা
মোমবাতি সারাদিন তুচ্ছ হেন কাত হয়ে পড়ে থাকে
প্রতীক্ষায়
রাতের প্রতীক্ষায়
রাত হলেই জ্বলে উঠবে আগুন ছুঁয়ে দিলে
কিন্তু সে যুগ তো আর নেই
LED জ্বলছে
অন্ধকার ঢেকে দিয়ে
.
সে আলোয় প্রমাণ করছে সভ্যতা এখন আঁধার
.
যদিও অন্ধকার নিয়ে
মাথাব্যথা নেই
কারণ আলোর শেষই নেই
কিন্তু মোমবাতি? এখনও অনেকেই জ্বালে
রম্য রোমান্টিকতায়
স্মরণিকায়
মোমবাতি সারাদিন তুচ্ছ হেন কাত হয়ে পড়ে থাকে
আগুনের ভেতরে প্রবেশ করবে বলে@ মণি জুয়েল
বেহালার ছড় লাফাচ্ছে আমার হাতে
দিনে রাতে পাঁচবার ইচ্ছে করলেও কাছে পাই না
জমে থাকে
সবই জমে আছে
শ্যাম্পুর ফ্যানা হেন, ঝেড়ে ফেলতে চাই
জলে ভিজতে পাই না
জমেই আছে
সবই জমে আছে
.
শিল্পী আমি অসহায় কিছুই করতে পাই না
.
যদিও বাঁশি আছে
সে দূরে আছে
ঠোঁট ডোবাতে পাই না।
অধর ডুবিয়ে ওতে,তবলা বাজাতে চাই
খিরনে অঙ্গুল রেখে
ওই কৃষ্ণচূড়ে
আমাকে ব্লাবিত কর। বহুদিন চান করতে পাই না।
ঝর্না আছে পড়ুক আমি উজানে যাই@ মণি জুয়েল
আমার ঘরে বই ছাড়া কিছু নেই
কি অদ্ভূত! আমি বই পড়তে ভালো বাসতাম না
অথচ
কি এখন দেখো
আমার বিছনাতে বইয়েরই সমাহার
টেবিলেও বই, তাকেও
কিন্তু তুমি
যাকে ভালবাসতাম
.
অন্যের বিছানায় এখন বেশ শুয়ে আছো
.
যাকে ভালবাসতাম
সেই তুমি...
ভালবাসতে আমাকেও
অথচ তোমার বুকে এখন হাহাকার
নিয়তি দেখেছো?
দেখছো-
আমাকে, যে দুইপার মধ্যস্থে, ডুবলে উঠতাম না
সেই এখন বইতে সাঁতার দিচ্ছি@ মণি জুয়েল
ইচ্ছে করে অশ্বের মতো, ভূ-বনে হন্যে ছুটে বেড়াই
ছুটতে থাকি
ছুটেই যাই সীমান্তে
ঢের রাত থেকে হয়ে যাক কাক-ভোর
ভোর গড়াক দুই-প্রহরে
বিকেল হোক
হাঁটু গেড়ে বসে যাই
.
বিকেলে সূর্য যেমন ভূ শরীরে মিশে যেতে
.
স্রোতে, দেহ বাসায়,
ভিজিয়ে রোদ
ঠিক তেমনি ইচ্ছে করে
ডুবেগিয়ে রাতভোর খুঁজেআনি ভোর
জেগে উঠুক এ প্রাচ্য
শিশির বিন্দে
আমি তোমাতে মিশে শীৎকারিহ্রেষায় রাত কাটাই
অশ্ব অথবা সূর্য, রোদ অথবা হ্রেষা@ মণি জুয়েল
এখন বল এরপর তুমি দেবে আমায়
সে আমাকে বললো- বই উপহার দিতে চাই।
বললাম
তোমাকেই চাই
অবাক হলো সাথে খানিক বিস্ময়
বললাম বিস্ময় সৃষ্টিতে
বই নেই
রমণী ছাড়া
.
প্রেমিকার যোনি-তেই সমস্তের উৎস
.
মানুষ ছাড়া
বই নেই
বিস্ময় তার চোখ মুখে
বুঝিয়ে বললাম তুমি কি শোনোনি-
বই প্রকাশের কথা
বহিঃপ্রকাশ
আসলে অন্য কিছুই নয়। আসলে তাই, তাই।
আর জেনো বহির জন্ম ওহি থেকে@ মণি জুয়েল
সূর্যের আলো পশ্চিমে ডুবে যাবার পর হতে
রাত হতে হতে, এখন, বেশ ভালোই রাত হয়েছে
আঁধার
কৃত্রিম লাইট জ্বলছে
ব্যবসা মন্দ হয় না দোকানগুলোতে
আলোর খদ্দের ভালোই
বিল যদিও
নাজেহাল করছে
.
এই 'চেতন' মধ্যবিত্ত সমাজে আলোকায়ন
.
সমাজটা জ্বলছে
রাত যদিও
কিন্তু, আমাদের ঘুম চাই
সফল ঘুমই ডেকে আনে, সু-প্রভাত
কৃত্রিম বাল্ব ম্লান করে
জোনাক
কিন্তু চেতনারভ্রান্তি সমগ্রের ঘুম কেড়ে নিয়েছে
কিভাবে বাল্বের উন্নয়ন ঘটাবো ভাবতে ভাবতে@ মণি জুয়েল
আমি সাগর বলছি, চাইলে নদী হতেই পারো
সাগরের জলে জাহাজ ভাসতে থাকে সে জাহাজও
বুঝতে পারে-
তলদেশে শিলা ছুঁলে
প্রকাণ্ড পাতা টের পায় ঠিকই পতঙ্গের
ইদুরের, সুবৃহৎ পাহাড়ও
কিন্তু তুমি
এখনও বোঝো নি
.
আমি তোমায় ভালোবেসে সঙ্গীহীন কাটাচ্ছি
.
এটুকুটা বোঝো নি
শুধু তুমি
কিন্তু, সকলেই ওরা জড়
আর তুমি? যে সৃযোনী, সমস্ত সৃষ্টিদের
বাংলার তুমি, রমণী!
বুঝতে পার?
তোমাকে ধরে নিঃসঙ্গ কেউ! সঙ্গ-হীন তুমিও যদিও
ভিজে যাচ্ছো অতল সাগরের মতোই লবণে@ মণি জুয়েল
আমি যেমন নাস্তিক নই, তেমনই ধার্মিকও নই
কিন্তু তুমি
তুমি তুমি যদি চাও
তবে আমি, হতেই পারি ধার্মিক হেন
যেতেই পারি- মন্দিরে
প্রস্তুত আমি
পাঁচবার দিনরাতে
.
ঠিক যেমন করে সুন্নীরা মসজিদে যায়
.
পাঁচবার দিনরাতে
আমি প্রস্তুত
তুমি কি জান মন্দির?
আমি জানি, 'উন্মুক্ত' করে দাও দ্বার
তুমি, তুমি যদি চাও
তবেই আমি...
দেখো, দাঁড়ানো আমাকে, আমি ক্ষণস্থায়ী নই
আমি স্কুলে 40 মিনিট ক্লাস করেছি@ মণি জুয়েল
যেভাবে আপনার দিন ও রাত কেটে যাচ্ছে
সে আমার ঘুম কেড়ে শুলে ঠিক ঘুমিয়ে যায় রোজ
আমি জাগি
জাগতে দেরী হয় রোজ
ওরা আমাকে বলে- জাগতে পারো না!
কিন্তু, আমার নির্ঘুম রাত
আমার যন্ত্রণা
ওরা কেউ'ই দেখে না
.
Clonazepamও আজকাল অবাধ্য হয়েছে
.
আমি ঘুমাতে পারিনা
রাত জেগে রই
ভোরের দিকে ঘুম আসে
সকালে কি জাগতে পারি? না পারি না
জাগতে দেরী হয় রোজ
সেও জাগে
কিন্তু, আমার মতো না, ক্লান্তি তাকে ঘুম দেয় রোজ
ক্লান্ত আমি ক্লান্ত এ গান কানে ভেসে আসছে@ মণি জুয়েল
লাফাচ্ছে উপরে নিচে আসলে সে ডুবে যেতে চাইছে
গহ্বরে
স্পন্দন মধ্য কিছুক্ষণ
কিন্তু এমন না যে সবাই বেশিক্ষণ থাকে
এই তো সকল গহ্বরে যান
বসে ভাবছি
গম্য সেই পথের কথা
.
সে বলেছে দরজা সর্বদা নাকি প্রস্তুত আছে
.
গম্য সেই পথের কথা
বসে ভাবছি
রেডি হয়ে গেছে গহ্বরযান
গমনের জন্যে। জীবন ও মৃত্যুর সংঘর্ষে
যাপন মধ্য কিছুক্ষন
প্রাস্তরে
কবরের কথাই বলছি, যেখানে কতো অতীত হয়েছে
তুমি কি চাও না আমি কবরে যাই?@ মণি জুয়েল
শেষ বিকেলের একটি কবিতা
আমি এখন পথে আছি, মানে কোর্ট থেকে আসছি
আমার মুখ
এখন পশ্চিম দিকে
সূর্যটা ডুবে যাবে বলে পশ্চিমে সেও
ভাবতে পারছো, অবস্থা?
ঠিক ঠিক
প্রগতিশীলদের মতো
.
ওরা মিলেই সভ্যতাকে আঁধারে ডুবিয়েছে
.
নিখাদ চুতিয়ার মতো
ফলো করে
ভাবতে পারছো, অবস্থা?
যদি না পারো, কিছু-ক্ষন থেমে যেও
সূর্যটা পশ্চিমদিকে
ডুবেই যাবে
ডুবে গেলেই কৃত্রিম বাল্ব জ্বলবে, বোঝাতে পারছি?
সাঁঝ হলে ঠিকই বুঝে যাবে@ মণি জুয়েল
চোখ বুঁজে আমি শিশিরে ভিজে যাচ্ছি
এতো নেগেটিভ ভাবছো কেন, মিশে যাও প্রাণ খুলে
তারপর
আর কথা হয় নি
মানে সে কথা বলতে আগ্রহ দেখায় নি
কিন্তু আমি তাকিয়েই আছি
তারার মতো২
চাঁদে আমি এখন ম্লান
আকাশে চাঁদ থাকলে কেই বা তারা দেখে
চাঁদকে ঘিরে যত যান
তারার মতো২
তবুও আমি তাকিয়েই আছি
চাঁদ সাথে তারা এ দৃশ্য শিল্পী আঁকে নি?
দ্রষ্টার কি দেখে নি?
সোম সাঁতার!
এখন আমি ছাদে আমার উপরে দুলছে চাঁদ সব খুলে
সাদা কাপড়ে সে মাথা ঢেকে আছে@ মণি জুয়েল
তারা এসেছে তারা গেছে আমি জ্বলে পুড়ে গেছি
কিন্তু নক্ষত্র নই
আসলে
নক্ষত্র হতেও চাই নি
তাই আমার কোনো গ্রহ উপগ্রহ নেই
এমন নয় যে ইচ্ছে করে নি
তাকে বলেওছি
সে সম্মত হয়েও ছিলো
অথচ জন্ম দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে নি
