ভয়

আমি সম্ভবত অসময়ে জেগে গেছি সবই আঁধার
কই
কেউ জেগে নেই
কেন কেন তুমি জাগিয়ে দিলে বল তো
তোমার উপরে'ই রাগ হচ্ছে

বুঝতে পার্ছি
জ্বালিয়ে উষ্ণ হতে চাও

.
তাই বলে এমন নিদ্রায় মত্ত মাঝরাত্তিরে!

.
শুধু কুকুরের ঘেউ ঘেউ
শুনতে পাচ্ছি

ভীষণরকমের ভয়ও পাচ্ছি
তোমার আর আমার 'সঙ্গম শব্দে' ওরা
যদি ক্ষেপে যায়?
তবে!
তবে তুমি আছো বলেই, নইলে ভয়ই নেই আমার।

ভয়@ মণি জুয়েল

চল্লিশ একটা ব্যাপার

চল্লিশ একটা ব্যাপার। তুমি মানো অথবা না মানো
তবে জেনো
সুস্থ জীবন চল্লিশে
সেটা শয্যা-সঙ্গম থেকে স্কুল ক্লাসরুম
অথবা মৌমাছির জীবন

কামের মৌমাছি
চল্লিশ-টি দিন'ই বাঁচে!

.
ওই চল্লিশে যায় হাজার পুষ্পে মানে গমন করে,

.
অথচ, তাহার ললাটে
মধু এক চাচামুচ

এই তো জীবনের জীবন
নিজেকে উজাড় করে দিয়ে অনন্তঘুম
সমস্ত-এর অবশেষ!
এ কি জানো?
চল্লিশ একটা ব্যাপার। তুমি, তোমার সীমানা চেনো!

না চিনে সীমানা গমন কোরো না@ মণি জুয়েল

আমি শরীরের বাইরে কিছু দেখি না

আমি শরীরের বাইরে কিছু দেখি না

মিনারের উপরে চাঁদ, তারা বেশ ভিজে গেছিলো
আর আমি
তখন বাইক চালাচ্ছি
মনে তখন কবিতাও এসে গেছিলো
কিন্তু, লিখতে পারি নি

এখন লিখছি
কিন্তু, লেখা হচ্ছে না

.
আসলে সময় গেলে সাধন ব্যাপারটা হয় না

.
তাই লেখাও হচ্ছেনা
তবুও লিখছি

যে লেখা তুমি পড়োনি
শুধু তাইই না দাও নি লিখে নিতেও
তবুও চেষ্টা চালাচ্ছি
নিঃসঙ্গামি
যেখানে শরীর হারিয়ে গেছে, অথচ শরীর ছিলো

শরীর হারিয়ে গেলে কিছু থাকে না@ মণি জুয়েল

যোনিতে আঙুল ঢুকিয়ে বের করা

প্রেমিকার ভেজা যোনিতে আঙ্গুল ঢুকিয়ে বের করা
আঙ্গুল
তাতে প্রেম আছে
শুধু সেই জানে, যে ওই আঙুল চুষেছে
নিজে। এবং যে এ দেখেছে

ঈশ্বর সেই
এ কথা গোপন থাকুক

.
যেভাবে গোপন থেকে গেছে কবিদের কেচ্ছা

.
সেভাবে গোপন থাকুক
ঈশ্বর নেই

এ জানে সে। সাক্ষী হয়েছে-
যে।আমি কি তোমায় বোঝাতে পারছি
যে এতে প্রেম আছে
মধ্যমা
যে আঙুল প্রেমিকার যোনি-দেশে ঢুকিয়ে বের করা

আসলে এসবের কোনো মানে নেই@ মণি জুয়েল

আঙ্গুল দিয়ে ডেকে চলেছি

আঙ্গুল দিয়ে ডেকে চলেছি

ভালবাসা, তোমার ভালবাসা, তোমাকে ভালবাসা
আহ্ আহ্
কিই না করিয়ে নিচ্ছে
আমার মধ্যমা প্রবাহিত করছে ঝরনা
পাথরের অন্তর চিরে দিয়ে

এসব কিছু না
সবই হৃদয়ের ভালবাসা

.
আর ভালবাসা মানে? কিছুই না, সাধনা

.
সবই শরীরের আকাঙ্খা
এছাড়া কিছু না

দুনিয়াকে দেখ শরীর দিয়ে
শরীরে তার কতো পাহাড় আর স্রবনা
কিই না করিয়ে নিচ্ছে
দেহে দেহে
উত্তপ্ত হচ্ছে কাঁপছে দুলে উঠছে, কাঁদা আর হাসা

ঘটে চলেছে অর্গ্যাজম@ মণি জুয়েল

পড়ে লেখার জন্যে দাঁড়িয়েই আছি

পড়ে লেখার জন্যে দাঁড়িয়েই আছি

সুদেষ্ণা-কে বলেছিলাম একটু পড়ে নিতে দাও
সে শোনেই নি
সে থেকে মুখিয়ে আছি
ইতিমধ্যে-ই অযুত বই পড়ে ফেলেছি
কিন্তু তৃপ্তি কোথাও পাই নি

ঠিক যেমনটি
সে নিজেও, অতৃপ্ত

.
অথচ কেন যে পাই নি কেন যে হতে চায় নি

.
আমার শরীর'পাঠ্য
বহি, যেমনটি।

কোত্থাও তৃপ্ত হতে পারি নি
অথচ কতবার না নিজেকে ফেলেছি
প্রেমে। বিগলিত হয়েছি
যেন শিব-যোনি!
ওহ্ আমার ৪০মিনিটের পাঠ, পড়ে নিতে দাও

অথবা উন্মুক্ত এসো, লিখেই দিই@ মণি জুয়েল

আমি রমণীর শরীর দেখছি

আমি রমণীর শরীর দেখছি

এক একটি বর্ণ বা লেটার-এ তুমিই জেগে আছো
আমি দেখছি
ঘুম থেকে জেগে উঠে
আমার সামনে 'G' জ্বল জ্বল করছে
আমি তোমাকে দেখে যাচ্ছি

অপলকে
যেমন বর্গীয়-জ দেখেছি

.
আদিমরূপে! এ যেন দেখা অদেখা-কে

.
ভগবানের উৎস, দেখছি
কাম মেখে

প্রকৃতপক্ষে, তোমায় দেখছি
আমার সামনে 'G' জ্বল জ্বল করছে
জেগে ওঠো ঘুম থেকে
দেখবে তুমিও
এক একটি বর্ণ বা লেটার-এ তুমিও জেগে আছো

জেগে আছে তোমার জন্মও@ মণি জুয়েল

জেলা ভাগ বিষয়ে

গোরস্থানের কিই বা জাগা আর জাগি

আড়াইশো বছর আগে যে খেলা শুরু হয়েছিলো
শেষ হয় নি
শেষ হয় নি বলেই
এখন, শুরু হয়ে গেছে, ভাগাভাগি
দুইদিকে, উত্তরে দক্ষিণে

মরে গেছে
কেউ-ই বেঁচে নেই

.
এই মৃত্যদের সভ্যতায় আমার জন্মভূমি
.

কোন যৌবন নেই
বয়ে গেছে

খুউব কম জ্যান্ত এখানে
এই গোরস্থানে আমি জেগে আছি
অরব চিল্লে যাচ্ছি,
মরে যাই নি,-
আড়াইশো বছর। কবরের রচনা শুরু হয়েছিলো।

কেউই জাগছে না, রান টেনে ছিঁড়লেও@ মণি জুয়েল

৭ নভেম্বর ২০২১

প্রেমিকার যোনির চুলে যে সুঘ্রেয় ঘাম

প্রেমিকার যোনির চুলে যে সুঘ্রেয় ঘাম জমে থাকে
ওই অমৃত
দাও আমি পান করি
আমার ঘামে মিশে যাক ওর সুবাস
আমি, কস্তরী বহন করি-

নাভিতে
অথবা আরও নিচে

.
নত হতে অর্থাৎ নিচে না গেলে অর্জন নেই

.
যেতে দাও সে নিচে
যে নিচে-

পার হয়ে যায় দাঁড়'তরি।
শরীর মেখে নিক খানিক নাব্য-বাস
দাও আমি ঘ্রাণ করি
ওই ছলাত্
প্রেমিকা যোনির চুলে সুঘ্রেয়-ঘামে যে স্রোত থাকে

অমৃত থেকে আমি স্রোতে কেন গেলাম বুঝেছো?@ মণি জুয়েল

কদমতলার কদমলতার শিশির পান করি

পানি কিম্বা আলতায় ভেজা তোমার জোড়া পা
তার ছাপ
সেই ছাপের মধ্যস্থে
যে ছাপ, মাটিতে বা পটে লেগে থাকে
ওটাই আসলে গমনের পথ

যারা জানে
মানে গমনাগমন জানে

.
এসো দেখি দা‌ঁড়াও, কদম তলায় যাই

.
হাঁটু গেড়ে বসি ওখানে
পথে, পানে

ওটাই তৃষ্ণা নিবারণের পথ
যমুনা তারই মধ্যে দিয়েই আঁকেবাঁকে...
তারই প্রতীক সীমান্ত
পা-র ছাপ।
কই দেখি, অনন্তের সীমানা, তোলো দেখি দু-পা

কদমতলার কদমলতার শিশির পান করি@ মণি জুয়েল

মাছ চাষী

পুকুরে গিয়ে, মীন-রাশি ছেড়ে দিলেই মাছ চাষ!
হতে পারে
আবার তা নাও
কিন্তু, মানুষ আবাদ করতে চাইলে?
সু-দীর্ঘ শ্রম, ঢেলে দাও-

সাধনা,
চল্লিশ-টি মিনিটে

.
যেমন স্কুলে টিচার ঢেলে দিতেন শ্রম ক্লাসে

.
চল্লিশ-টি মিনিটে,
ধারণা।

প্রথমে ধারণ করে নাও
তুমিও মানুষ আবাদ করতে চাইলে!
অতঃপর.. ঢালো
সে কিনারে
যে কিনারায় নতুন, মাথার ভরে এসে, নেয় শ্বাস

এর থেকে বেশি খুলে বলা সম্ভব না@ মণি জুয়েল