যোনিতে মুখ ডুবিয়ে, যে সুর তুলতে জানে নি
সে কী?
সে কিছুই না
ভ্রম, বাঁশি বাজানো ওই লোকটার
কোনোও শিল্প'টিল্প নেই-
.
বাক্য়াস।
কায় বিনা কিছু নাই
গিটার হাতে ছেলেটি বা দোতারার ভণ্ড?
ভেতর কিচ্ছু'টি নেই
অ-সার-
.
শরীর ছাড়া, কিছুই নেই
এ বোধ, এখনও হয়ে ওঠে নি যার।
রমণী-র সবই
সকলই
সেতার থেকে একতার তবলা কিছুই বাজেনি
জন্মই হয় নি রমণীর শরীর ছাড়া@ মণি জুয়েল
আমিই সূর্য তোমার বোঁটার তিলের মতো
কোথায় না তুমি আছো! যাই দেখি তাতেই তুমি থাকো
ভোরে জাগি
ভেজা সূর্যকে দেখি
আমাকে দেখতে পা'ই, তোমাকেও দেখি
শুয়ে আছো; আমি সূর্য হয়েছি
মুখ ডুবিয়ে
পৃথ্বা তোমার যোনিতে
.
এভাবেই সমগ্র প্রকৃতিতে সমস্ত তোমাকে দেখি
.
স্তন-বৃন্ত দেখি শনি'তে
গোল পেঁচিয়ে...
এভাবে নগ্রহে তোমায় পেয়েছি
ঠিক নয় দ্বার খোলা যেমন প্রেমের বাঁশি
এসো এসো ঠোঁট দিই
শব্দে ভিজি
ঠোঁট খেলে যাক আঙ্গুল তালে শীৎকার করতে থাকো
সাগর পানে ঢলে যেতে যেতে নদীর মতো@ মণি জুয়েল
বহু প্রতীক্ষার পর মধ্যরাতে পাহাড়ের চুড়া দেখা গেল
শনির মতন
কাল সূর্য তার পাড়ে
ঠিক নারীদেহের গোপন কোন তিল যেমন
অলৌকিক না, তবে তেমনই
এখন আমাকে
সে আগুনে ডুবতে হবে
.
সাঁতরে যেতে হবে ঠোঁট অথবা জিহ্বার সাহায্যে
.
নিম্নাষ্ঠাবধি যেতে হবে
সাঁতার কেটে
অলৌকিক না, তবে তেমনই
ঠিক নারী-দেহের সাঁতারে তরুণেরা যেমন
আছাড়ে পড়ে পাড়ে
ঠিক তেমনই।
ওভাবেই আমিও পাহাড় থেকে সমতল বেয়ে পৌঁছুলে
তবে ব্ল্যাকহোলে ডুবে জাগতে পাব নূতন জীবনে@ মণি জুয়েল
সম্ভবত
বৃষ্টি ও জলে পিচ রোডে অনেকে ক্ষত হয়ে গেছিলো
সময়ের সাথে
এখন সেরে উঠেছে
কিন্তু এখনও বোঝা যাচ্ছে যে তাতে
ক্ষত হয়েছিলো, আঘাতে
চাকাতেও
নাহ্ শুধু পথেই না
.
চাকাও বহু ঘাতে প্রতিঘাতে এগিয়ে গেছে
.
সম্ভবত এগোয় নি
ওই চাকাও
শুধু পথ'ই বদলে নিয়েছে
সম্ভবত এখন স্মৃতি চিহ্ন ধরে আছে
যেতে হয় চলে যাচ্ছে
সময়ের সাথে
পথও যেমন ধরে রেখেছে ছাপ যে, ক্ষত হয়েছিলো
এখনও সবটা উপড়ে দেওয়া যায় নি@ মণি জুয়েল
সে তাকে অনেক অনেকগুলো কথা দিয়ে রেখেছি
কিন্তু
কথা হয় না
অনেকদিন কথা হয়না আমাদের বহুদিন
তবুও বেঁধে নিজেকে রেখেছি
সিট বেল্টে
চার-চাকার যাত্রী, যেমন
.
এখন বিনয় মজুমদারকে আমার মনে পড়ছে
.
ইচ্ছে করছে তার মতোন
কবিতা লিখি
কিন্তু তাতে চাকা কি ফিরেছে
এগোলে ঢাকা-রা ঘুরতেই থাকে চিরদিন
ফিরে আসে না
কিন্তু
পথ, চিরদিনই পেতে রাখে বক্ষ যেমন আমি আছি
তাকে মেসেজ করেছিলাম রিপ্লাই করে নি@ মণি জুয়েল
তোমার সিট বেল্টে নিজেকে বেঁধে দিয়েছি
হেলমেট পরা ভালো তবে যখন বাইরে যেখানে সেখানে
কিন্তু অদ্যানে
মানে আমার নিজ বাগানে
তখন নিজেকে উন্মুক্ত করে দেয়াই বেটার
প্রকৃতির প্রকৃতিতে মিশে যেতে
হেলমেট ভালো
অবশ্য-ই দরকার, তবে-
.
বিপদ বাঁচাতে। কিন্তু, বিপদের বিপথে কেন যাবে!
.
যদিও যেতেই হয় তবে
হেলমেট ভালো
কিন্তু, জেনো, প্রেমিকারা তাতে-
খুশি না। তাই কন্ডোমছাড়া মিলনই বেটার
মানে তোমার নিজে বাগানে
নিজ উদ্যানে।
হেলমেট পরা ভালো তবে যখন বাইরে যেখানে সেখানে
বহুমুখী পথে, বাইরে, না যাওয়াই ভালো, @ মণি জুয়েল
সবাই এখন আঁধারে ডুবে আছে অন্ধরা ছাড়া
গেরুয়া রঙ দিয়ে সাঁঝের পূর্বাভাস পাওয়া গেছিলো
এখন আঁধার
যদিও বাল্ব জ্বলে উঠেছে
আধুনিক। তা হলেও এখন তো রাতই
চাঁদও নেই। আঁধার ভয়ানক
বসে আছি
আমার দেশের বাড়িতে
.
দেশের পথে পথে ক্ষমতাসীন গেরুয়া কুকুর
.
ভয়ে পারছেনা বেরতে-
অনেকে-ই!
চলছে ভাদর-মাস। ভয়ানক
এসব কুকুরেরবিষ লেগে গেলে মৃত্যুই-
প্রায় পরিণতি হয়ে উঠেছে
ভীষণ আঁধার
গেরুয়া রঙ দিয়ে সাঁঝের পূর্বাভাস পাওয়া গেছিলো
কিন্তু তখন বেশিরভাগ লোক রঙে উঠেছিলো@ মণি জুয়েল
পাহাড়ের মতো চাঁদ আমার উপরে নাচে
প্রতি দিনে-রাতে পাঁচবেলা লৌহকপাট খুলে দেখি
নূতন এলো না কি
কিন্তু সে-তাকে আর পাইনা
বহুদিন দেখা নেই তার সাথে কথাও হয় না
তবুও দেখি, তবুও আশা রাখি
আজ নয়তো
কাল সে এসেই যাবে
.
সেই আশাতেই দিন কেটে যায়, রাত কাটে না
.
নিশ্চয়'ই কেটে যাবে
কাল হয়তো
তবুও দেখি ওই আশাতে থাকি
যদিও বহুরাত তাকে আর দেখাতে পাই না
ঘুম থেকে তুলে রাতের চাঁদ
যে চাঁদ উঠে থাকে
লম্বা খাড়ান গাছের শীর্ষে। চোখ বুজে তাকে দেখি
দেখতে পাই চুড়া মুঠোয় আমি শুয়ে আছি@ মণি জুয়েল
প্রেম অ থ বা যৌনতা
নূতন কিছু আনতে পারো বা না, কর্ণ না আনতে পারি
একটা পানপাতা
পানপাতা, হতেই পারি
তুমি চাইলে'ই আমি হবো তার ডাটা
তুমি শুধু সৌন্দর্য বাড়াবে
ধারণ?
আমিই করে নেবো
.
তোমাকে চল্লিশ মিনিটের বলেছি মনে আছে?
.
আমিই করে নেবো-
ধারণ।
তুমিও, পেছন দিক থেকে
তুলে ধরলেই, অভ্যন্তরে যাবে ডাটা
পান পাতাটির ভেতরে
আহ্হা পানপাতা
তুমি চাইলে শুধু জীবনই না মৃত্যুতেও সঙ্গী হতে পারি
একটি ডাটা ও পানপাতা @ মণি জুয়েল
মিক্সচার গ্রাইন্ডার অর্থাৎ আধুনিকতায় জীবন নেই
ওহ্ ডিয়ার
এস প্লিজ আদিম হই
তারা এগিয়ে যেতে দৌড়াচ্ছে, ভ্রমে।
এস, এগিয়ে যাই বাটুনিতে
বুঝতে পারছো-
গমনের কথা বলছি?
.
গমন হলে তবেই তো এগিয়ে যাওয়া ডিয়ার
.
গমনের কথা বলছি
বুঝতে পারছো?
পাটায় শিলনোড়াটা নেবে?
এস না, আমরা দু-জনে মিলে ঘেমে
হেঁসেলটাকে সাজাই
অতঃপর...
দুপদ তুলে ধর, একজীবন থেকে আরেক স্বাদ নিই
দুজনে মিলে প্রসব করি@ মণি জুয়েল
যদি আমি গমন জানি নির্দেশিত ওই মধ্যপথে
কাব্বাকে ঘিরে কতো প্রেমিক'রাই না ঘুরতে থাকে
ছুয়ে চুমু দেই
অনেকে ছুড়ে দুর থেকে
তাতে আমার মন্দ বা খারাপ লাগে নি
বরং সুখ আরো বেড়ে গেছে
ওহ্ শ্বেতা
ওহ্ জান আমার
.
আমি প্রদীপ দেখেছি তো, আর তার চারপাশ!
.
প্রদক্ষিণে তাহার
পুড়ে গিয়ে...
এভাবেই ভালো বেসে গেছে
তাতে আমি বিন্দুও দুঃখী হতে যাই নি
বরং এ আমি দূরে থেকে
অপেক্ষা করেছি
যদি শংসিত সে প্রেমে সেজদার দিক বদলে থাকে
তবে তাঁরই অনুসারীতে তুমিও আসবে নিজে@ মণি জুয়েল
কি অদ্ভুত কি অদ্ভূত সব তো তুমিই দখল করে রেখেছো
চাঁদ তোমার
তোমার ভোরের সূর্যও
উঁচু উঁচু সুউচ্চ ওই দ্যু-ছোয়া পাহাড় তোমার
বস্তি তোমার আর এ সাগরও
আরো কি
কিছুই তো নেই বাকি
.
গোচারণ তৃণভূমি আঃ তার পাড়ের পানিও তোমারই
.
এরপর আর থাকে কি...
থাকে কি?
বাঁশি তোমার, প্রেমিক আমিও
বাদ্য যতো আছে সব সমস্ত শরীরই তোমার
বিকেলের সাগর লহরও
রজনী তোমার
ঘুমের আঁধার, আধার, একখোপা চুলও দখলে রেখছো
এদিকে সর্বহারা আমি সব হারিয়ে সাগর হয়েছি@ মণি জুয়েল
শুরু করেছিলাম তোমার ওই রান্নাঘর থেকে
নিশ্চয়ই তুমি এখন রান্না করে স্নানে যেতে প্রস্তুত হচ্ছো
গলায় ঘাম জমেছে
গরমে একটা অস্থির ভাব
ঠিক এরকম একটা সময়ের তোমাকে চাই
পেছনে থেকে, জাপটে ধরতে
তোমার ঘামে মুখ ভেজাতে
তোমার ঘাড়ে
আমার ঠোঁট রাখতে
.
অতঃপর দুপুর গড়িয়ে বিকেলে পৌঁছে যাক
.
নেমে যাই নদীপ্রাতে
তোমার পাড়ে
যাই, গিটার বাজাই, নদীতে
আঙুল ডুবিয়ে। উত্তাল-স্রোতে
ওই স্রোতে ভেসে সাঁঝও ডুবুক হারিয়ে খেই
আমি বাঁশিতে ঠোঁট দিই
আঃ সব ভিজে গেছে...
তোমার শ্বাসে, রাতের বাতাস। তুমি ক্রমশঃই তপ্ত হচ্ছো-
ভিজতে ভিজতে দুপুর থেকে রাত-দুপুরে@ মণি জুয়েল
প্রেমিকার যোনির চুল হয়ে বেঁচে নিতে পারলেই প্রেমিক
শরীর যদ্দিন
থেকে যাবে তুমিও ততো
জীবন আবার কি! সে তো আগেই চলে যায়
মরার পরে শরীরই থেকে যায়
মানুষের মনে
কবিতায়, গল্পে, কল্পনায়
.
উপন্যাস শরীর ইতিহাসও শরীর প্রিয় আমার জান
.
দেহ ছাড়া কি'ই কোথায়
ভেতর বাইরে?
বস্তু যায়, সে বস্তুতে মিশে যায়
জীবন আবার কি! সেই তো আসে আর যায়
থেকে যায় প্রেম আর কাম
সুদিন দুর্দিন
খুউব গোপনে, দুজনেই বিলীন থাকো, কেউই না জানুক
জানলে তবেই তো জানা@ মণি জুয়েল
আহ্ হেরে যায় হেরে যায় তোমারামার কর্ণ
প্রায় প্রায়ই ইচ্ছে করে- তোমাকে কুন্তী বানিয়ে রাখি
নিজেকে সূর্য
ওভাবে জ্বলতেই থাকি
দূরে থেকে থেকে, আমি, পুড়ে যাই
দূরে তুমিও পুড়তে থাকো
তবুও তো...
তবুও তুমি পাবে চাঁদ
.
সেই জোছনায় তুমি কেঁদে নিও মুছে নিও...
.
চাঁদের সাথে আলাপ
তবুও তো...
নির্জনে, একা হবে না কো
যেমন আমি প্রতিনিয়ত পুড়েই যাই-
নিঃসঙ্গে। পুড়তে থাকি...
ঘুরতেই থাকি
তোমাকে ঘিরে। চাঁদেও আমি থাকি নিভৃতে একাকী
তবুও মাঝে অমাবস্যা আসে কৃষ্ণের মতো@ মণি জুয়েল
বাগিচার প্রতিটি তৃণ-লতা করে
যদি প্রেমিকার শরীরে নিজেকে পুঁতে রাখা না যায়
- তবে?
তবে তা প্রেমই না
প্রেমিক প্রেমিক না, আর প্রেমিকাও
কবর আসলে তার প্রতীক
আহ্ জীবন...
মরণও, দেহ কেন্দ্রীক
.
তোমার শরীরকে আমার কবর করে দিও....
.
পৃথ্বা করিও নিজেকে
ভূদেহ যেমন
উন্মুক্ত করে দিয়ে দশদিক
নিশ্চয়ই চেনাতে হবে না তোমাকেও-
ওই দশদিক, আহা...
প্রান্তেই
যার সদর দ্বার, সেই পথ যা পরিণত হয় বাগিচায়
কিন্তু কখনও রুদ্ধ হয়ে যায় না@ মণি জুয়েল
নিঃসঙ্গাঙ্গে শুয়ে আছি চাতক ডেকে যাচ্ছে
নিজেকে মাঝে মাঝে মনেহয় খুব বেশি..ই মূল্যহীন।
মিযরাব যেমন
না আছে সেতার গিটার
না ভায়োলিন, দোতারা কোনোটাই নেই
অথচ প্রস্তুত হয়েই আছি
এখন দুপুর
খুউব ইচ্ছে করছে
.
ডিঙি নাওয়ে করে রুবাব দ্বিতে প্রপাতে উঠি
.
চানের ইচ্ছে করছে
এখন দুপুর
অথচ বিযুক্ত পড়ে আছি
একলার অলসবিছানায়। সে-তাও নেই
যদি সে পাশে থাকতো
নিশ্চয়ই বাজতো
একাকার একতারা। সহবাসের শীৎকারের মতোন
অতঃপর.. এতক্ষন নিশ্চয়ই চান হয়ে যেতো@ মণি জুয়েল
কোথাও নেই কোত্থাও নেই কোথাও না
পূর্বাশার হালকা নিতম্ব কিম্বা ইন্দ্রাণীর বিশাল স্তন
সুখ নেই
কোথাও সুখ নেই
না_আছে মধুমিতার কালো-বৃন্তে
পৌঁছে দেখেছি সীমান্তে
নেই
কোথাও নেই
.
সমস্ত সুখ কুক্ষিগত তোমার আর ওই প্রান্তে
.
তা ছাড়া নেই
নেই
আছে শুধুই গমজমিতে
তোমার। কালোসবুজ সীমানাতে
গ্রামবাংলার ওই ভুঁই
যেন বিভুঁই
প্লাসসাইজের সুঘ্রেয় এক কেবলই তোমার মতোন
সব সুখ তোমার আমার 'বর্গীয়-জ'তে@ মণি জুয়েল
স্বপ্ন দেখি গমের জমি উপচে গেছে বর্ষায়
বর্ষা তেমন হয় নি আমার এলাকায়, বৃষ্টিও না
শ্রাবণ শেষ
ভাদর চলে এলো
সবুজ তৃণ-মূলে, শ্বেত কাশ, দুলবে
বীর্য হেন মেঘও, আকাশে
কিন্তু, তুমি...
আমার আবাদি জমি?
.
অনুরোধ করেছিলাম- গম আবাদ রাখতে
.
ওই কথা রেখেছো কি?
কিম্বা বার্লি
এখন ও ঋতু পার হয়েছে
আবারও কার্তিক এলে, বপন হবে
ভাদর চলে এলো
পানি হয় নি
অথচ হাঁটু অবধি-র কথা বলেছিলে, ভুলো না
আমি এখনও ডিঙ্গি নৌকার স্বপ্ন দেখি@ মণি জুয়েল
মুক্তির আকাশে ভাসবে উত্তরের বাতাস
সন্ধ্যা নেমে এলো মানে এখন বেশ ভাল রকম আঁধার
আলো কমেছে
আগে থেকেই ছিলো না
ডিজিটাল ওয়াচের 14 টা থেকেই, তাতে-
শতকের বিংশ বসানোই যায়।
পতাকা নেমেছে
নামিয়ে দেওয়া হয়েছে
.
দেখতে দেখতে আর পাচ্ছি না আঁধারের ঘনত্বে
.
ভাদ্রের কুকুর ডাকছে
পথিক কাঁপছে
জানালা খোলা রাখাই যায়
দমবন্ধ অবস্থা, গুমোট বদ্ধ-পরিস্থিতিতে
আগে এতোটা ছিলো না
রাত্রি নেমেছে
ভোর হলে এও থাকবেনা, চলে যাবে যেদিকে যে যার
এভাবেই একদিন নূতনেরা মাথা তুলবে@ মণি জুয়েল
মুক্তির আকাশে ভাসবে উত্তরের বাতাস
সন্ধ্যা নেমে এলো মানে এখন বেশ ভাল রকম আঁধার
আলো কমেছে
আগে থেকেই ছিলো না
ডিজিটাল ওয়াচের সেই ২০:১৪ থেকেই
কোলন তুলে দেওয়াই যায়।
পতাকা নেমেছে
নামিয়ে দেওয়া হয়েছে
.
দেখতে দেখতে আর পাচ্ছি না আঁধারের ঘনত্বে
.
ভাদ্রের কুকুর ডাকছে
পথিক কাঁপছে
জানালা'টা বন্ধ করাই যায়
কারণ গ্রীষ্মের তেমন খুব উত্তেজনা নেই
আগে থেকেই ছিলো না
জোশ কমেছে
ভোর হলে এও থাকবেনা, চলে যাবে যেদিকে যে যার
এভাবেই একদিন নূতনেরা মাথা তুলবে@ মণি জুয়েল
গাছের বীজ ধারণ করে কুঁয়ো খুঁজছি
একটি বহু প্রাচীন এক কুয়ো, আদিম বললে ভালো হয়।
ঘাসে ঢেকেছে
কিন্তু ভেতরে তার জল
জল মানে তো জীবন, এ প্রাইমারীর কথা
জানার কথা। তাই বলছি না
সেই কুয়োতেই
আমাকে গাছ হতে হবে
.
কিন্তু চাইলেই সব পারি না উদোম বলে দিতে
.
বীজ পুঁততে ইচ্ছে করে
সেই কুয়োতেই
বীজ মাথার ভরে আসুক না
আমি মরে, আমারই, ফের জীবনের কথা
গাছ থেকেই গাছের ফল
গাছও বীজ থেকে
কিন্তু আধুনিক সাবমার্শালের যুগে কুঁয়োই নেই কোথায়
ওগো শুনছো তুমি কি তুমি আছো?@ মণি জুয়েল
জেনো, দুইপার গ্যাপেই জীবন সীমানা পেয়েছে
বিশাল সুডৌল মানের পাতে ঘামের ফোঁটা লেগে আছে
কুক্ষিগত সমস্ত্
তুমি হেঁসেল থেকে এলে
নিশ্চয়ই সুঘ্রান ঘাম ভেজা গোপন মাটিতে।
ঘর আঁন্ধার করে বসে আছি
খোলা দরজা
জানালাও খোলা আছে
.
এখন কি একটু ওই উন্মুক্ত বাইরে গিয়ে দাঁড় হবে?
.
নাকি পদ প্রস্তুত হয়েছে-
ঝাঁঝে তাজা?
আমি উন্মুখ হয়ে বসে আছি
কাঁসার থালার মতন করে নিজেকে পেতে।
মাছের পেটির চর্বিতেলে
লালা ঝরে পড়ছে।
বেড়ে দেবে কি সু-ঘ্রাণের দুই পদ আমার জিহ্বার মাঝে
নাকি বাইরে গিয়ে একটু খোলামেলা দাঁড় হবে?@ মণি জুয়েল
খাড়াপোল থেকে গলে পড়ছে আলো
তোমার মূল-দরজায় আমি দাঁড়িয়েই আছি, ডিয়ার
সবই না কি দেখো
কই আমায় দেখছনা তো
হাতা নাড়া দিয়েই যাচ্ছি, এও কি বুঝছো না
নাকি এভাবেই দাঁড় করিয়ে রাখো
কিন্তু আমি!
আমি, ভেতরে, চলে যেতে চাই
.
ভেতরে গিয়ে, তোমার তুলসী-মূলে, পানি দিই
.
জল ছড়ানো মেঝেতে, এগোই
নিচে, নামি।
কেন এভাবে দাঁড় করিয়ে রাখছো!
আধুনিক-কলিংবেল' বাজিয়ে তো পাচ্ছি না
জ্বলে উঠেছে রাস্তায় বাল্ব
তুমি কি দেখ নাকো
তোমার মূল-দরজায় আমি, দাঁড়িয়েই আছি, বিস্তর।
ঘটে যাচ্ছে নির্মাণের বিনির্মাণ@ মণি জুয়েল
তোমার আরশি ড্রেসিংটেবিলে কি আমাকে পাও না!
মনে পড়ে না?
জাম্পাতা ঠোঁট, আহ্
তার কোমলতা, তার কোমস-পরশ
আমাকে জাগায়, সারা রাত
দেখতেই থাকি...
চোখ বুজে অরণ্যে চাঁদ
.
তোমার লিপ-স্টিকে, শিব জেগে থাকে
.
ওহ্ রজনী-র শ্বেত চাঁদ
এস এস জাগি
গুহায়, ক্রমশ:ই মিলিয়ে যাই
একান্যে। লৌহকপাট নূতন প্রকাশে
উন্মোচিত হউক, ওহি,
অভ্যন্তের যন্ত্রণা,
জেনো কান্না ছলনা হতেই পারে, বীর্যপাতে সম্ভব না।
শীৎকারে বেরিয়ে আসে যে কবিতা@ মণি জুয়েল
তোমাকে আমি যতোটা ভালোবাসি
ঠিক এর 25% যদি কোনো মানুষ তার কল্পনার ঈশ্বরকে ভালোবাসতো তাহলে নিশ্চয়ই পেয়ে যেতো।
কিন্তু আমি পাই নি
আসলে আমি পেতে চাই নি তোমাকে
ভালোবেসেছি কিছু না নেওয়ার বিনিময়ে
কিন্তু ওই ভূখণ্ড টুকু রেখো। যেখানে আমি থাকতে চাই
যে ভূখণ্ড শরীরকে ধরে রাখে, ঘাসে ঢেকে থাকে। @মণি জুয়েল
