Sunday, 24 July 2022

তোমার যোনিতে

যে কামনায় খাড়িয়ে থাকি প্রতি রাতে

ওরা যখন বিখ্যাত হতে, অহেতুক প্রতিবাদে, গর্জে ওঠে
তখন ইচ্ছে করে
তোমার যোনিতে মুখ ডুবাই
আমাকে পলায়নবাদী বলুক, ওরা, চাইলে
ভাবতে চাইনা ওদের মতো করে

আসলে আষাঢ় চলছে
যদিও সেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে না

.
মাঝেমধ্যে ক'ফোঁটা আর বিদ্যুৎ গুমোট বাধাচ্ছে

.
কিন্তু, মাটি তাতে ভিজছে না
বক্ষ যদিও কেঁপে যাচ্ছে

এসো, দেখি এখন ঢুকি, ভেতরে
তোল-পাড় খেলে যাক, সমগ্র, হেলে-দুলে
এস দেখি আমরা জ্বলে যাই
মহাকাশ দিই ভরে
বৃষ্টি ঝরে পড়বে। তাতে যদি জীবন্ত-রা মাথা তুলে ওঠে

এবং অবশ্যই একদিন আছড়ে পড়বে@ মণি জুয়েল

Thursday, 21 July 2022

চাইলে দেহবাদী ভাবতে পারো

ঢুকে গেলে চাদরে ঢেকে দিও

সাম্রাজ্যবাদী হতে চাই নি, শুধু তোমাকে চেয়েছিলাম।
চেয়েছিলাম
একটুকরো ঘাসের জমি
তাতে ফসল উৎপাদন সম্ভব হোক না হোক
চেয়েছিলাম তৃণ-ছাওয়া জমি

পার্বত্য দ্যু প্রান্ত
মুষ্ঠি বাহির থেকে যাক

.
ঘাসে ঢেকে থাক শুধু ওই একটুকরো ভু-প্রান্ত

.
প্রান্ত! অন্তঃ আর প্রাক-
মিশুক, সীমান্তে

সীমান্ত! অনন্ত-জীবনের ভূমি
তাতে নূতন উৎপাদন-সম্ভবা হোক না হোক
ভিজে থাক তবু শিশিরে
চেয়েছিলাম২-
গো-কুল-গোষ্ঠ। শেষ-মেষ গোরস্তান'টুকুই চাইছিলাম

চাইলে দেহবাদী ভাবতে পারো@ মণি জুয়েল

টুকরো

আমি আছি তোমার দূরত্বের চূড়ান্ত সীমানার খুব কাছে

আকাশ
সাগর

অনন্ত শূন্যতার মাঝে যেমন করে মিশে আছে

এ-সব বুঝবে না
বোঝার কথা না

বৃষ্টি হউক, নদী ভরুক না ভরুক সবই বুঝে যাবে।

@মণি জুয়েল

Tuesday, 12 July 2022

ইচ্ছে করে তোমাকে ঠোঁটস্থ রাখি

তুমি কি পারো না বই হয়ে ঘ্রাণে মেলে ধরতে

না শুধু গবেষনা না, তোমাকে ঠোঁটস্থ করে রাখি
ইচ্ছে করে
নদী নামুক চাঁদ থেকে
নদীর সেই আলোতেই আলোকিত হই
সূর্যামি। রজনীভোর ভিজে-

তাও নিই
সারা-দিন জ্বলে থাকার

.
আমি আসলে বহিঃপ্রকাশ বলতে চাইছি

.
বলতে চাচ্ছি প্রকাশনার
তাও নিই

পঞ্জিভূত যত, ভাঁজে ভাঁজে
অতঃপর আমি নিজে আলোকিত হই
আলো ঝরুক আমি থেকে
কামের জোরে
ওই অন্তঃস্থে যাত্রা। অতঃপর আমার ছাপ রাখি

আর তাই ইচ্ছে করে তোমাকে ঠোঁটস্থ রাখি@ মণি জুয়েল

Sunday, 10 July 2022

১০ জুলাই ২০২১

আমাদের পড়াশুনা এবং আমাদের দাসত্ব। হোচট খাবেন না প্লিজ। একটু থামুন, বলছি, খুব সংক্ষেপে।

একটু বাস্তবে নেমে আসুন। চোখটা বন্ধ করে খোলা চোখে ইতিহাসের দিকে চোখ রাখুন। দেখুন অধিকাংশ আমরা উচ্চবর্ণের দাসত্ব করছি, ব্যবসা বানিজ্য করছি কর দিয়ে। আরেকটু অধ্যায় পরে আমরা তখনও দাসত্ব অতটা না করলেও খাওয়া পরা ইত্যাদি নিয়েই ব্যস্ত আছি, আর প্রথমে যাদের দাসত্ব করেছি তারা শাসকের স্টাবকতা করে সব পদ দখল করে বসে আছে আরামে। তার পরবর্তী অধ্যায়, তখনও। আমি উপমহাদেশের  ইতিহাস বললাম। মানে আমাদের ইতিহাস বললাম।

এবার আসুন চোখ খুলি। খোলা চোখে বর্তমান দেখি। আমরা সে...ই আছি, শুধু সময় বদলে গেছে। আমরা আজও খাওয়া পরা ইত্যাদি নিয়ে মজে থাকতে বাধ্য আছি। আমাদের পড়াশুনা নিছক খাওয়া পরা কেন্দ্রিক। আমরা ডাক্তার হতে চাই নিজের অবস্থার উন্নতিতে, আমরা মাস্টার হই ওই কারণে, ইঞ্জিনিয়ার হই একই কারণে। হ্যাঁ অনেক ভালো ভালো কথা আমরা বলে বেড়াই। কিন্তু আমরা সেই দাসত্ব থেকে মুক্তিই পাই নি, মুক্তির পথ বন্ধ করতে বহুবিধ বড়ো বড়ো কথায় নিজেদের সম্মোহিত করি। ভুলে থাকি, থাকতে থাকতে ভুলেই গেছি। কেউ এখন বর্তমান কে মনে করালে তাকেই পরাজিত করতে আপ্রাণ চেষ্টা করছি। এই হচ্ছে আমাদের দাসত্ব।

কেন দাসত্ব বললাম? শিক্ষার কথা বা কেন টেনে আনলাম? ডাক্তার মাস্টার ইঞ্জিনিয়ার হওয়া কি উন্নত হওয়া না?
হ্যাঁ নিশ্চয়ই উন্নত হওয়া। কিন্তু এসব দিয়ে মুক্তি সম্ভব না, নিরাময় সম্ভব। মুক্তির জন্য আমাদের বেশি যে বিষয়গুলো উচ্চমানের পাঠ ও গবেষণার দরকার তা হলো দর্শন, ভূ.., ইতিহাস, পলিটিক্স, ইকোনমিক, সমাজ বিজ্ঞান, ভাষা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এইসব সাবজেক্টে পড়াকে আমাদের আধুনিক ব্যবস্থা মনে করিয়ে দিয়েছে এই যে, এগুলো পড়ে পেটের ভাত হবে না, সামাজিক সম্মান অর্জন করা যাবে না। আর সত্যিই তাই। ফলে আপনার পাড়ায় আপনি একজনও অর্থনীতি সম্বন্ধে ভালো জানেন এমন স্টুডেন্ট পাবেন না। পলিটিক্স বোঝেন এমন স্টুডেন্ট পাবেন না, ফুটো দলীয় গাধা পাওয়া যাবে খুব। ভূ ব্যবস্থা সম্বন্ধে আপনাকে বিশেষ ধারণা দেবেন এমন স্টুডেন্ট ও পাবেন না নিজের পাড়ায়। মানুহর সমাজ সম্বন্ধে আপনাকে বিশেষ ধারণা দেবেন এমন স্টুডেন্ট পাবেন না। আর আপনাদের বিজ্ঞান চর্চার দৌলতে দর্শন কেউ পড়তে চান না এমন উদাহরণ আপনার কাছেই মজুত।

এবার বলুন ইতিহাস, সমাজ, দর্শন, অর্থনীতি, রাজনীতি, ভূ প্রকৃতি ভাষা সম্বন্ধে যদি special ধারণা না থাকলে মুক্তি সম্ভব? সম্ভব না, কারণ এগুলো জীবন যাপনের মূল। এই মূলকে বাদ দিয়ে কোনো বৃহৎ কল্যাণ ই সম্ভব না।

আরেকটা কথা এই যে আপনাদের বিজ্ঞান চর্চা, এটা নিছক অবৈজ্ঞানিক। আমার আপনার সমাজের বহু বিভাগের Bsc Msc Student এখন ভুরি ভুরি, আমাদের সমাজ জীবন কতটা বিজ্ঞানসম্মত। এর থেকে আরও বড়ো প্রশ্ন যেটাকে আমাদের সামনে বিজ্ঞান বলে হাজির করা হয় সেটাই বা কতটা বিজ্ঞানসম্মত?
আবারও হোচট খেলেন!? খান। তবে আমাকে ভুল বুঝবেন না। আমি যে যে বিষয়েগুলোয় বেশি বেশি গভীর মনোযোগের কথা বললাম সেগুলোও বিজ্ঞান। এবং বিশ্ব বিশ্ব পরিচালনা করতে ওই বিষয় গুলোয় বিভিন্ন ফর্মে কাজ করে যাচ্ছে। বাকী অন্যান্য সবই এসবের হেল্পার। মানে ব্যবহার করার দ্রব্য মাত্র, মূল না। আপনারা হেল্পার হবেন নাকি কর্তা হবেন সেটা আপনাদের। যদি হেল্পার হিতে চান সেটা আপনাদের ব্যাপার। আর কর্তা হতে চাইলে সব বিভাগের সব বিষয়ের গুরুত্ব দিতে হবে যেটা যতটা গুরুত্ব পাওয়ার @মণি জুয়েল

Friday, 1 July 2022

দরজায় মাথা পৌছুঁলেই আলো জ্বলবে

দরজায় মাথা পৌঁছুলেই আলো জ্বলবে

আড়াইশো বছর থেকে অন্ধকারে দাঁড়িয়ে আছি
ইতিমধ্যে
বিদ্যুৎ এসে গেছে
আলোকিত-তমসায় খাড়িয়ে আছি
আমার মুঠোয় মোম-বাতি

মনে হতে পরে
মধ্যযুগীয় কিম্বা আদি

.
যাদের মন যেমন ততদূরই তাদের চিন্তন

.
যাইহোক, পথ খুঁজছি
ইন্ধন যে পথে

ছড়ান সে-পথে হেঁটে যাবে
ছুঁয়ে দিয়ে মাথা।‌ তার প্রতীক্ষা কর্ছি
অনেক জ্বলে গেছে
ইতোপূর্বে
এরকমই আলোকিত কতো রাত সকাল করেছে

চাইলেই পারো দরজা খুলে দিতে@মণি জুয়েল