কাউকে দোষ দিচ্ছি না, ভেঙ্গে দিচ্ছি
সভ্যতার বিকাশের সাথে সাথে পোশাকের জন্ম
মুখোশের
আর আয়নারও
কিন্তু আয়নাতেও কি দেখা যায়
খুলে ওসব না ফেললে?
কিন্ডারগার্টেন
অতঃপর প্রাথমিক
.
ও হ্যাঁ পরিবার সমাজ মানে পাড়া পড়শি
.
সে ভাবেই মাধ্যমিক
মাস্টার ডক্টর
কতো শত থিসিস পড়ে
পড়তে পড়তে ইনস্টল হয়ে যায়
হয়ে যায় 'পরা'ও
প্রোগ্রামের
বিবর্তনে এ-পথ ধরেই মুখ থেকে মুখোশের জন্ম
আয়না ভেঙে দেওয়াই যায়, কিন্তু পানি?@ মণি জুয়েল
প্রত্যেকে চাঁদের পেছনে সূর্য পুড়তে থাকে
পূর্বদিকে চাঁদ উঠেছে, আমি তখন পথে হাঁটছিলাম
পূর্বদিকে
চাঁদটিও আমার সাথে
তার নাগাল পেতে পারবো না এ ভেবে
বাইক'টা ছোটাতে লাগলাম
যতোই যাচ্ছি
সে ততো-ই সরে যাচ্ছে
এভাবেই রাতও এখন মাঝখানে চলে এসেছে
আকাশ মেঘে ঢেকেছে
তবু তাকাচ্ছি
থেকে থেকে বেরিয়ে এলাম
বাইকটা তখনো কিট কিট করে যাচ্ছে
এভাবে ভোর এসে যাবে-
পূর্বদিকে
কেউ জানবে না আমি সারারাত আলো খুঁজছিলাম
যে আলোয় তখন ওরা আলোকিত@ মণি জুয়েল
যদি তোমাকে শরীরে না পাই তবুও তোমাকে চাই
মিতে যেতে
নিজেকে মিটিয়ে দিতে
নিজেকে পুড়িয়ে শেষ কোরোনা প্লিজ
বলে যেও কবরে রেখে দিতে
ডুবে মরবো
আমি যদি বেঁচে থাকি
.
তোমার কবরে আমার ঠিকানা করে নেবো
.
যদি না'ও বেঁচে থাকি
তবু আসবো
তোমারই দেহে মিশে থাকতে
ওই কবরে ডুবে থাকবো শব-ও-রোজ
সাথী ও সাগর সিদ্দীকি
অথবা খসরু-
খসরু যেমন মিশেছেন শরীর ঢেলে নিজামের ঠাঁই
সমাধী আমার সে-তার শরীরে@ মণি জুয়েল
মকবুল সাবরির কণ্ঠ ভেদ করে সাইফুদ্দিন সাইফের আর্তনাদ ভেসে আসছে-
মেরি দস্তান-এ-হাস্রত...
তুমি কি শুনতে পাচ্ছো, পাচ্ছো না? পাচ্ছো না!
ওটা আমি ওটা আমি ওটাই আমি
আমি পাচ্ছি আমি শুনছি
আমি কাঁদছি
আমি গাইছি
আমি বাজছি
আর কেউ না কেউই না তুমিও না।@মণি জুয়েল
শ্বেত-পাথরের ঘাতে ক্রমশঃ সবুজ হয়ে যাচ্ছি
ঘৃণিত ওরা, মসজিদে লিঙ্গ খুঁজে পাচ্ছে দাবী করছে
আর তুমি!
ওহ্ মসজিদ আমার
তোমাতে কি আমার অস্তিত্ব আছে?
আমি আছি, জেগেই আছি
ভালোবেসে
আমি দাঁড়িয়েই আছি
.
অটল এক অদ্বিতীয় একক তোমার অস্তিত্বে
.
আমি দাঁড়িয়েই আছি
ভালোবেসে
ওই মানগাছ দাঁড়িয়ে আছে
জানালাটা খোলো। ঠিক দেখা যাবে-
কাণ্ডের পৃথিবী আধার
ছায়া জমি।
আমি সেই জমিতে দাঁড়িয়ে পুড়ে যাচ্ছি রোদ গলছে
উত্তাপে অসম্ভব আমার উৎখাত, তবু চাচ্ছে@ মণি জুয়েল
ভুল হবে, ভুল হবে, এরপরও যদি প্রশংসা না করি
এই যে আমি
যা কিছুই নেপথ্যে তুমি
এরপরও যদি তোমার প্রশংসা না করি
ভুল হবেই হবে খুব ভুল হবে
রাজ-এ-মেরাজ
বা যা তা নেপথ্যে তুমি
.
এরপরও যদি এই তোমার প্রশংসা না করি
.
আমিই পথভ্রষ্ট, আমি-
জাহেল-এ-রাজ২
কেটে যাবে রাত কেটে যাবে
কিন্তু, আলো?যা প্রাণ আমি খুঁজে মরি
এত ওহী বহি ইল্ম-ও-ভূমি
এরও নেপথ্যে তুমি
এরপরও যদি প্রশংসা না করি সাল্লাল্লাহু আলইহি
প্রশংসা তোমারই@মণি জুয়েল
যখন তুমি ভাসছো Mr: A-র বিছানায়
আকাশের মতো দাঁড়িয়ে থাকি চাঁদ তুমি উঠবে বলে
ভাবতে পারছো
তুমি আকাশে উঠেছো
তুমি দুলছো, আকাশও, পৃথিবী দুলছে
তুমি আকাশতে উঠে আছো-
ভিজে যাচ্ছে২
আকাশ, রশ্মির ঝরনায়
.
ওহ্ না না এবার একটু নেমে আসি মাটিতে
.
স্বপ্নে কতক্ষণ থাকা যায়
নামি পৃথিবীতে
বৃষ্টি হয়েছে, তুমিও ভাসছো।
আবছা, মেঘের ওপারে। মেঘ, ভাসছে
তুমিও আকাশে উঠেছো
জোনাক ঢালছো
এদিকে আমি দাঁড়িয়েই আছি তুমি চাঁদ উঠবে বলে
আমি দাঁড়িয়েই আছি নিয়ে মুঠোয় সুঠাম বাঁশি@ মণি জুয়েল
ঠিক আর ভুলের জন্যে দুটো চিহ্ন ব্যবহার করা হয়
ঠিক =✓
ভুল = ×
এখন ঠিক নিয়ে বলে নিই
ঠিক ব্যাপারটা যে ঠিক তা প্রতিষ্ঠিত হতে সাধারণত দ্বিতীয় পক্ষের উপর নির্ভর করতে হয়। যদি প্রতিষ্ঠিত না হয় তার মানে সেটা যে ভুল এমন না।
কিন্তু সাধারণত দ্বিতীয় পক্ষের উপরে নির্ভর করতে হয়। যেমন কোনো প্রস্তাব।
ঠিক চিহ্নটা দেখো আর কল্পনা করো দুটো মানুষ দাড়িয়ে আছে। বামদিকে প্রস্তাব যিনি দিয়েছেন তিনি আর ডানদিকে তিনি যিনি গ্রহণ করবেন না বর্জন।
প্রস্তাব গ্রহণ করলে তখন দুজনে করমর্দন বা বায়াত নেওয়ার মতো করবেন।
ঘটনার স্থান কাল পাত্র ভিন্ন হলেও এই দৃশ্য থেকেই ঠিক চিহ্নি টি তার রূপ পেয়েছে।
আরও খেয়াল করো এখানে যেহেতু দ্বিতীয় পক্ষের ভূমিকা বেশি তাই ✓ চিহ্নি টির ডান অংশটি বেশি বৃহৎ
কিন্তু মজবুত ছোট সত্ত্বেও বাম অংশটির মজবুতি বেশি।
বিশেষ উল্লেখ্য : মানুষ সাধারণত ডান হাতি।
@মণি জুয়েল
আসলে চাই না বিপথগামী হতে
মদ খেলে তোমার মসজিদে যেতে ভীষণ ইচ্ছে করে
ভুল ভেবো না২
বাজারী মার্ক্সবাদীর মতো
মাই ডিয়ার, অপব্যাখ্যা কোরো না প্লীজ
ওরা যেমন, আফিম quote করে
কিন্তু আসলে তো...
আসলে সে যন্ত্রণা খাদক
.
মদ! যেমন আমার ভেতরের শির্কগুলোকে
.
আমার বহুগামিতার শির্ক
কিন্তু আসলে তো...
আসলে আমি খুঁজি এক তোমাকে
বহুগামী আমি বহুগামী নই' নই মনসিজ
ভ্রষ্ট-দের উপাস্যের মতো
ভুল ভেবো না২
মদ খেলে তোমার মসজিদে যেতে ভীষণ ইচ্ছে করে
তুমি কি মদভৃঙ্গার ঢেলে ধরবে?@ মণি জুয়েল
একরাত, শুধুমাত্র একটি সূর্যের জন্যে
ওহ্ ডিয়ার, ওদিকে তাকিও না তারাদের দেখো না
তবুও যদি
তবে উপভোগ কর
জেনো, ওরা কখনও আলো দেয় নি
ওদেরই এক সূর্যটি ছাড়া
নিঃসন্দেহে
সু-প্রশংসিত ওই সে
.
তুমি কি জানো চির প্রশংসিত ওই সেই তাঁকে?
.
কিভাবে জ্বলছে সে
ভালোবেসে
আর যতো বাকি'রা তারা
যারা কখনই উষ্ণতা'র তাপ দেয় নি
রাত জাগানো ছাড়া
তবুও যদি
জাগতেই চাও রাত হও তবে চাঁদ দেখ আমি খাড়া
আকাশের মতোন খাড়া, এসো ওঠো@ মণি জুয়েল
