যোনির মতোন লাল তরমুজ

যোনির মতোন লাল ওই তরমুজ

খরার বৃষ্টিতে, ঘাসে ঘাসে ফুলে উপচে ওঠে জমি
জন্মভূমি
ডগার জলে রঙধনু
আমি চোখ বুঁজি, বুঁজে দেখতে থাকি
গুমোট ঘ্রাণে ঘাস ভিজছে...

ইচ্ছে করে
মুখখান ধুয়ে আসি

.
সেই পানিতে যে পানিতে জীবনের সৌরভ
.

কিন্তু, কে ওইসবের-
যতন করে,

গহীনের যতন কেই নিয়েছে?
তবুও আমি, ওই তৃণীদের ভেবে যাচ্ছি
ডগায় ধরে পরমাণু।
তৃণ-ভূমি
আছে কি আদৌ? সবাই ঝুড়ে দেয় কেউ রাখে নি

শুনেছি বালুভূমিতে তরমুজ ফলে@ মণি জুয়েল 

ভাদোই চাল ভাতের মাড়

চাষাবাদ, জনৈক আদিম পাঠকের

একটা বই মেলে ধরি, দেখতে পাই সে বাহু তুলে
মুখ ডুবাই
সে-তার কুক্ষিঘ্রাণ পাই
চোখদুটো বুঁজি, মস্ত্ পড়তে থাকি
পাতা ওল্টাই দেখতে পাই-

যেন সে'ই
পা দু-দিকে ছড়িয়ে...

.
আর তাই স্লিম বই আমার ভাল্লাগে না
.

অথবা অল্পবয়সের
কোনও বই।

খিদে-তেই বই নিয়ে ঘুমাই
বর্গীয়-জ গলে, গলে ঝরতে থাকে...
তৃষ্ণার্ত, পান করে যাই
ক্ষুধা মেটাই
যেমন ভাদোই চাল-ভাতের মাড় নুন দিয়ে খেলে

লাঙ্গলচাষী, ঘাম মুছে খুঁজে পান তৃপ্তি@ মণি জুয়েল

বই

ওদিকে তুমিও তো এখন চল্লিশে

নিজেকে বিসর্জন দিয়ে এস তোমাকে বই করে দিই
পারবে তো-
সাদাখাতা হয়ে নিতে?
দুপুর এখন, এস তোমাকে বই করে দিই
এখন তো দোয়াতের যুগ না

সব ইলেকট্রনিক
সুইচটা অন্ করো প্লিজ

.
অতঃপর ডেস্কটপ প্লাগটা সকেটে দিয়ে নাও
.

চালু হউক মাউস_ক্লিক
অতঃপর... টাইপ

এখন সেই দোয়াতের যুগ না
যদিও এখনও দিন-রাত কলমটাকে ছুঁই
কামের ড্রাফ্ট সেরে নিতে
আসবে তো?
এস নিজেকে দিতে, আমিই তোমাকে 'বই' করে দিই

যেভাবে ওহী প্রকাশ পায় গুহা থেকে@ মণি জুয়েল

স্মরণ করি তোমাকে

কি বলতে চাইছি তা কি তোমাকে ছুচ্ছে?

সকাল বেলা আমি জাগলে দেখি মৃতটি জেগে উঠেছে
আসলে তা না
সেই আমায় জাগিয়ে তোলে
হাতটা বাড়াই, তাকে আদরে করে ছুয়ে দিই
মৃতটি ক্ষোভে ক্ষোভে দুলতে থাকে
শান্ত হতে চায় না সে কোনোমতে

ক্ষোভে সে ঘামে
মাথা দিয়ে ঝরতে থাকে

হাত দিয়ে তাকে তাকে চেপে ধরি, উপরে নিচে

রাগ তার বাড়তে থাকে
বাড়ে ক্রমে ক্রমে 

তোমাকেই স্মরণ করতে করতে
আমিও তাকে শান্ত করতেই থাকি
হাত বুলিয়ে বুলিয়ে তাকে শান্ত করেই দিই
সে তার ক্ষোভ উগরে তোলে
নেমে আসে সান্ত্বনা
কিন্তু দুপুরবেলা? এছাড়াও সে দিনে পাঁচবার জাগছে

কি করবো, আমি স্মরণ করি তোমাকে @Moni Jewel

তুমি কি হাঁড়িতে তোমাকে দেখতে পাও?

তুমি কি হাঁড়িতে তোমাকে দেখতে পাও?

হাভাতের মতো আজও ভাতের ওই হাঁড়ি খুঁজছি
মনে রাখ, না রাখ
আমি সেসব মনে রেখেছি
এই তো সেদিন হাঁড়ি কাত করেছিলে
আর আমি সেই নিঃসৃত মাড়...

একটু নোনতা
রমণীয়তার সেই স্বাদ

.
ভুলে যেতে পারো, আমি কি ভুলতে পারছি

.
এখন, বেড়েছে মজুদ
সু-দীর্ঘ সঞ্চয়ে

তুমি চাইলে ঢেলে দিতে পারি
চাল, লক্ষ্যকোটি, যেভাবে চেয়েছিলে
এখনও সঞ্চয়েই রেখেছি
খোলা থাক না থাক
হাভাতের মতো আজও ওই ভাতের হাঁড়ি খুঁজছি

আসলে ওই হাঁড়ির ফ্যানে জীবন দেখি@মণি জুয়েল

আমি তোমাকে যেভাবে পেতে চাই

আমার বন্ধুরা যখন চান কোরে, শরীরে বডি_স্প্রে ছড়িয়ে
তাদের গার্লফ্রেন্ড কে বাইকে নিয়ে ঘোরে
তখন আমারও ইচ্ছে করে
রান্না-ঘরের তোমাকে জড়িয়ে ধরি
তোমার শরীরের ঘ্রাণ মেখে নিই

অতঃপর নদীতে যাই
নৌকায় উঠি, সদর দ্বার খুলে দিয়ে যাই

অতপর ভ্রমণের শেষে এসে ঘুমিয়ে যাই
মানের সুডৌল ছায়ায়

অর্থাৎ তোমার দেহের ছায়া নিই
মানের বিশাল পাতা দেখেছো তুমি?
বর্ষাকালে যখন বৃষ্টি ঝরে-
তখন, যেমন কিশোর মাথায় নিয়ে ঘোরে
অথবা শৈশব, গৃহ নির্মাণ করে কলমিডালে পাতা চড়িয়ে

আমি তোমাকে যেভাবে পেতে চাই@মণি জুয়েল

হ্যাঁ এখনই ভীষণ রাত

হ্যাঁ এখনই ভীষণ রাত

আধুনিক আলো জ্বলছে তার মানে এ না যে রাত না
এখন রাতই
২০:২০ পার হয়ে গেছে
কুকুর, শেয়াল, এদের দখলে এখন পথ
বেশ কিছু জোনাকিরাও জ্বলছে

কিন্তু তাতে কি!
ধাধানি আরো বেড়ে যাচ্ছে

.
তারচে বরং বিড়িখোর-দের গ্যাসলাইট ভালো

.
ওতে দৃষ্টির সম্ভাবনা আছে
ক্ষীণ! তাতে কি?

এভাবে' তো অনেকে হেঁটে গেছে
আলপথ দিয়ে না, খোড়া মাটির সে পথ
বন্ধুর, উষ্ঠা খেয়ে গেছে।
পথ এমনই
যদিও এখন রাস্তা মোরোম হয়েছে, তার মানে এ না-

যে এখন এখন রাত না@মণি জুয়েল