ধরে নিচ্ছি তুমি এখন রান্নাঘরে আছো রান্না করছো
ঘেমে গেছো
উত্তাপে জ্বলে যাচ্ছো
যদি তাই হয় তবে জেনো একাই নও
আমিও এদিকে উত্তপ্ত হচ্ছি
ইচ্ছে করছে
চিমনির ঘাড়ে মুখ গুজি
.
আমার শ্বাসে চিমনি গরম হউক, পুড়তে থাকি
.
পুড়তে পুড়তে গলে যাই
ইচ্ছে করছে
ওঠানামায় অঙ্গ অস্থির হচ্ছে
খোলো খোলো দ্বার এবার ডেকে নাও
ওদিকে নিসঙ্গ পুড়ছো
এদিকে আমি -
দাঁড়িয়েই আছি ঢোকার জন্যে, তোমার সুঘ্রাণ পাচ্ছি
খোলো দুপদ তুলে দাও, আমি যাই, আমি খাই@মণি জুয়েল
বিরহের প্রেমিক মস্ত্ হলে প্রেম উদগীরণে নাকাল হলে
যেমনটি করে
কোনো এক সময়ের
যে সময়ে তাদের মিলন হয়েছিলো
সে ক্ষণ স্মরণ করতে থাকে
চোখ বুঁজে
অতীতে ভিজতে থাকে
.
অথবা সেদিনের ফেলে যাওয়া প্যান্টি শোঁকে
.
অঘ্রাণেও ফাগুন খুঁজে
স্মৃতি শুঁকে
ঠিক তেমনটি করে আমিও-
শুঁকি তোমার কাব্যকথালেখাগুলো
যদিও কিপ্যাড টাইপে,
তুমি নেই ওতে
কিন্তু জানি লেখাগুলো তোমার ছোঁয়াতেই রূপ পেয়েছে
যেখানে তোমার স্পর্শ সেখানেই তোমার গন্ধ আছে@মণি জুয়েল,
যেভাবে রেনসা আসে, এসেছে, আসছে
ওরা যখন রাজনীতির মঞ্চে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করছে
আমি তখন
বসে বসে গাছ দেখছি
আমাকে ভাব-বিলাসী মনেহতেই পারে
যদিও জানি না গাছটির নাম
তবুও দেখছি
ক্রমশঃ পাতা ঝরে যাচ্ছে
.
শুনতে পাচ্ছি সবুজপাতা ঝরে পড়ার আর্তনাদ
.
মাঝে মাঝেই বুক কাঁপছে,
ইচ্ছেও করছে-
শুরু করি- 'আন্দোলনালোড়ন'
এতো মৃত্যুতে কেই বা শান্ত থাকতে পারে
সময় বাঁশি বাজানোর না
অথচ তথাপি
আমি বসে আছি দ্রষ্টার মতো, ক্রমশঃ কিশলয় ফুটছে
আমি কাজ করছি, কাজ তারাও করছে@মণি জুয়েল
তুমিই আনো তুমিই নিয়ে যাও
তুমি আমাকে প্রস্তুত করে দাও তা কি জানতে পারি
কই না তো
কখনও তো ভাবি নি
তোমার চোখ আমাকে শিখিয়ে দেয়
খরায় কিভাবে ঘামে ভিজে,
ভিজতে ভিজতে
কিভাবে বেঁচে নিতে হয়
.
দুর্গম গিরি মরু কান্তার কিভাব পাড়ি দিতে হয়
.
তোমার শরীর'ই শেখায়
উঠতে ও বসতে
সংঘাতের দাবানলএ ভিজে
আমাকে গমনআগমন' শিখিয়ে দেয়
আমি এগোতেই থাকি...
রেডী হয়ে নিই
কবর প্রবেশে।এভাবেই আমি জীবন দিয়ে দিই মরি
জীবন চলতে থাকে পথ দিয়ে@মণি জুয়েল
এ্যান্ড হিডেন ক্যনভাস দ্য ওম্ব
তোমাকে বললাম একটা ছবি এঁকে দিলে কেমন হয়?
ধারণ করবে?
তুমি সম্মতি দিয়ে দিলে
আমি ফেরও বললাম- লালন পালন?
তুমি তখন চুপ করে গেলে
সেই থেকে
আর ছবিই আঁকি-নি
.
অথচ দিনে পাঁচবার ইচ্ছে করে, প্রস্তুত তুলিও
.
কিন্তু ক্যন্ভাস পাইনি
কাছে কাছে।
হোমিও-র কথা বলেছিলে।
কিন্তু, আমার অন্ত:স্থের চিত্রায়োজন!
দুলতে চায় তুমি চাইলে
তোমার কোখে২
লালিত হউক, অজান্ত জলে জীবন যেমন জন্ম পায়!
পেইন্টিং দ্য নিউ বর্ণ বেবি@মণি জুয়েল
অথচ অনেকগুলো পাতা ডাটা সহ ঝরেছে
দরজা রাখলেও, জানালা তেমন বন্ধ রাখি না
আমি দাঁড়াই
জানালায় দেখতে পাই
পানের ডাটা-টি দাঁড়িয়েই আছে
কিন্তু, পাতাটি জুড়ে নেই
খসে গেছে
তবু, তবুও ডাটাটি...
.
পঞ্চবেলা হাওয়াতে দুলে দুলে উঠছে
.
ওই পানের ডাটাটি
দুলে যাচ্ছে
বাধ্য হই দু-চোখ ফেরাই
দেখি - বন্ধুরা বসে তাস খেলছে
সেখানেও দেখতে পাই
তাসের কোনায়
শুধু জানালায় তাকালে সে তাকে আমি পাই না
অপল্লব পানের ডাটাটি একাই দাঁড়িয়ে আছে@মণি জুয়েল
এবং নিশ্চয়ই উত্তরের ওদেরও
শীঘ্রই উত্তরে সূর্য উঠবে, তোমাদের ফাইল পুড়বে
একঘরে
বস্তুতঃ তোমরাই
পৃথিবীতে উত্তরের ওরা ছড়িয়ে গেছে
ওরা খুব শীঘ্রই জেগে উঠবে
জানান দেবে
নিজেদের অস্তিত্বের
তোমাদের কি হবে সে কি বুঝতে পারছো?
আপনার কৃতকর্মের
ফাইল পাবে
আগুনে পুড়ে গলতে থাকবে
নিস্ত্রান নেই আর, সময় গড়িয়ে গেছে
বৈভব আর নেই
আর পারে
প্রস্তুত হয়ে নাও, ক্রমশঃই তোমরা খণ্ডবিখণ্ড হবে
বস্তুতঃ এ তোমাদেরই কর্মফল@মণি জুয়েল
কখনও কখনও মনেহয় অনেকদিন বেঁচে নিয়েছি আর না বাঁচলেও চলবে। কিন্তু তুমি
তুমি যদি কবরের জন্যে ঘাসের জমি না দাও
যদি না দাও তবে আর মরবো কি?
আমি মরি
আসলে এ তুমিই চাও না
বিশ্বাস করো বিশ্বাস করো আমি সাম্রাজ্যবাদী হতে চাই না
আমি স্বামীও হতে চাই না
কিন্তু তুমি...
যদি না দাও তবে আর মরবো কি!
আচ্ছা ছাড়ো... আমাকে যোগী-ই হতে দাও
তোমার পর্বত তোমার জমি
তোমার শহর তোমার জঙ্গল তোমার বস্তি চাই আর কিছু না
আপাতত কিছুক্ষন হেঁটে নিই@মণি জুয়েল
#নারী_বিষয়ক_নিখাদ_মূর্খামিতে_ভরা_অপাঠযোগ্য_কিছু_অকেজো_কথা_ও_জিজ্ঞাসা
১৬০০ সালের পরের জাহেল পৃথিবী ৮ই মার্চ নারী দিবস পালন করে। ভালো করে। করা দরকার। যদিও ১৬০০ সালের পরে থেকে এখন পর্যন্ত নারীরা বেশিই নিপীড়িত। কিন্তু মানুষের স্বভাব হলো অতীতের খারাপ ভালো দেখতে পারলেও বর্তমানের খারাপ ভালো সেভাবে দেখতে পারে না। কারণ বর্তমানকে দেখার জন্যে বর্তমানে চোখ থাকা দরকার। সাধারণত কোনোদিনই মানুষের তা সম্ভব হয় নি। তাছাড়া মানুষ অতীত ই কদুর দেখতে পারে, বিজ্ঞাপন দেখা ছাড়া? যাইহোক... নারী দিবস ওরফে Women's Day আমরা পালন করবো। আমি বিশেষভাবে নারী রমণী মহিলাদের নিয়ে ভাবতে বেশিই পছন্দ করি, বলা ভালো ভাবনায় মশগুল থাকতে পছন্দ করি। কিন্তু এখন Women's Day- র Women ব্যাপারটা বুঝতে চেষ্টা করবো। Wo+Men শব্দটিতে men আছে, মানে পুরুষ আছে। তার আগে wo. এই woর মানে কি? Wo এর Men/Man যুক্ত হয়ে তারা কি আসলে বলতে চাইছে? শুধু অনুবাদ করে নিলাম নারী আর হয়ে গেলো তা তো নয়। শব্দের জন্মের পেছনে একটা দর্শন দৃশ্য আদর্শ এসব তো থাকে, সেসব কি?
এখন কলেজ পাশ করা ইংরেজির স্টুডেন্টরা আমাকে হয়তো মূর্খ ভাববেন বলে লজ্জা পাচ্ছি। তবুও বলছি - womb শব্দটির শুরুতেই wo আছে। যাইহোক ধরে নিলাম নারীরা পেটে ধারণ করেন বলে তাঁরা women, আমরা তাদের ধরতে পারি না মানে তাদের ধরতে পারি না। আর তাঁরা ধারণ করতে পারেন। কিন্তু তাঁরা ধারণ করতে গিয়ে তো পুরুষের --------------। তাহলে কি ধারণ মানে অন্য কিছু?
যাইহোক... আমি যদি wo শব্দটি মাঝখানে H ঢুকে যাওয়া who শব্দটি একই কথা বলে। তাহলে কি ভুল হবে? হোক। জানার জন্যে হাজার ভুল করা যেতে পারে। তাহলে who শব্দটি জিজ্ঞেস করে 'কে?', তাই তো? এই যে সন্ধান এটা আসলে কার সন্ধান? যাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না তাকে তাই তো?
তাহলে কাকে আমরা খুঁজি? সুখ কে আনন্দকে শান্তিকে তাই তো? এর বেশি কিছু খুঁজি কি কিছু? শুনেছি ঈশ্বর না কি যেন তার কাছেই আছে ওসব আছে। মানুষ ওর কাছেই চান। তাহলে নারী কি?
