Monday, 31 January 2022

আড়াইশো বছরে, আঁধার কাটলো কই?

আমি ঘুমোতে পারছি না, জেগেই আছি

আড়াইশো বছর হয়ে গেছে, এখন, ভীষণ অন্ধকার
জেগে নেই কেউ
কাঁপ্তে কাঁপ্তে ঘুমিয়েছে
ঘুম আসছে না তাই আমি জেগে আছি
শুনছি কুকুরদের ঘেউ ঘেউ

ঘরে পড়ছে
হয়তোবা চাকরিপ্রার্থী

.
কিন্তু সেটাকে জাগরণ মনে হচ্ছে না, নয়ও
.

অন্যদিকে পূণ্যাকাঙ্খী
ঘুমিয়ে গেছে

এজন্যেই কেউ জেগেই নেই-
ফজরএর অপেক্ষাতেই, আমিও আছি
দেখি কেই জাগছে সত্যি
কেটে গেল এভাবেই
আড়াইশোর বেশি সাল। এলো-গেলো অযুত ফজর

আড়াইশো বছরে, আঁধার কাটলো কই?@মণি জুয়েল

শিমুলে কাঁটা থাকুক, দৃশ্য সবুজ হবে

শিমুলে কাঁটা থাকুক, দৃশ্য সবুজ হবে

পাতাগুলো ঝরে যেতে শুরু করেছে শিমুলের
শুকিয়েছে
মাঠের হলুদের পাতা
বোঝা মাথায় কৃষক, ঘরে ফিরছে
আজানে নেমে এলো সন্ধ্যা

আমি দেখছি
তাদের ওই ফাটা-পা

.
এক পা দুই পা করে ওরা ঘরে ফিরছে
.

হাঁটছে যুগ থেকে যুগ
আঁধার নেমেছে

ফসলের দাম ওরা পায় নি
ওরা সুখ পায় নি, তবুও হেঁটে যাচ্ছে
মাটির গর্তে চুলো হবে
ধোঁয়া উড়বে
শিমুল হাসবে লাল, সবুজ হবে কৃষিজমি ফের

আমি জেগে থাকবো, ফজর অবধি@মণি জুয়েল

অথচ ঠিকই জানে জড়েরা

অথচ ঠিকই জানে জড়েরা

একটা ইদুর বিশাল পাহাড়ের নিচ দিয়ে ঢুকে যাচ্ছে
কিন্তু পাহাড়
খবর রেখেছে তার
ওদিকে একটা বড় গাছে প্রজাপতি...
পৌঁছে গেছে মূল অবধি-

তার উপস্থিতি
অথবা দেখ নিজেকে

.
একটা খড়কুটো উড়ে এসে শরীর ছুঁয়েছে
.

জেনেছো সাথে সাথে
তার উপস্থিতি

কিন্তু যে মরে যেতে চাচ্ছে
ডুবে, তোমার কেন্দ্রে, শেষ যার গতি
ওহ.. শরীর তোমার
কলব্ কবর
তুমি কি তার খবর পেয়েছো?দেখ সে ঘুরেই যাচ্ছে

অথচ তুমি বুঝতেই পারো না@মণি জুয়েল

শরীরটাকে খুলে দাও প্লিজ

জামাকাপড় তো খোলাই যায়

বিশাল পাহাড়ের নিম্নদেশ দিয়ে ইদুর প্রবেশ করলে
জানতে পারে
কিম্বা বিশাল পাতায়
একটা অনুজীবন বসে থাকলেও
সবই টের পাওয়া যায়

তুমি পাও
আহ্ মানুষ তুমি

তুমি কি পারো, কেউ তোমাকে ছুঁয়ে আছে

আবাদের জমি
দেখেছো ?

অযুত বীজের আশ্রয়
অথচ প্রতি দানার খবর রেখেছে
আর সুবিশাল কায়
তুমি, শরীরে
পাও কি টের একটা রুহ ঘুরেই যাচ্ছে তোমাকে ঘিরে

শরীরটাকে খুলে দাও প্লিজ@মণি জুয়েল

Friday, 28 January 2022

একটি অবোধ্য অকবিতার উদাহরণ

একটি অবোধ্য অকবিতার উদাহরণ

মানুষের জীবনের গতি পাহাড় থেকে সাগর অবধি
অথবা
কৃষ্ণচূড়া থেকে কবর
জীবন ব্যাপারটা ঠিক নদীরই মতোন
বলতে পারো পৃথিবীর মতন
ব্যাখ্যা করবো?
না তার দরকার নেই

.
সবই জেনে যাবে বর্গীয়-জ'তে পৌঁছুলেই
.

বর্গীয়-জ পৌঁছুলেই
দেখতে পাবো -

কেমন করে শুরু হয়েছিলো
হাঁটা, মাথার ভরে, অতঃপর কৃষ্ণচূড়া...
কৃষ্ণচূড়ায় মুখ রেখে
গড়ছে...
ক্রমশ:ই নিচের দিকে, ততক্ষণে বদলে গেছে শরীর

আরশ, বসত বদ্বীপ এবং কবর বাঁশি @মণি জুয়েল

Monday, 24 January 2022

জাগবে শ্বেতদ্বীপ কবরের প্রদীপে

জাগবে শ্বেতদ্বীপ কবরের প্রদীপে

আমি থাকি না থাকি প্রেম চিরদিন থেকে যাবে
শীত চলে যাবে
হৃদয়ের কাঁপুনি থাকবে
মান পাতার মতো বাংলার রমণীর পিঠ
আর কৃষ্ণ-চূড়া জেগে উঠবে

শরীর কাঁপবে
সদ্যযুবকের, এসব দেখে

.
উন্মুক্ত শিমুল ছুড়ে দেবেই দেবে লাল চুম্বন
.

সাদাতুলার মতো ভাসবে
লিপ্সার দুপুর

আমি থাকি আর না, ভাসবে -
সুরে, সাঁঝের বাতাসে, আকাঙ্খার গীত
পাবে কেউ কেউ হারাবে
সময় চলে যাবে
থেকে যাবে প্রেম, শরীরেরা আসবে চলে যাবে।

সমাধি নেবে সাগর শ্বেত-দ্বীপে@মণি জুয়েল

দ্বিখন্ডিত তোমার শরীরে

দ্বিখন্ডিত তোমার শরীরে

আমাকে অমর হতে দাও আমাকে অমর করে দাও
মরতে দাও
আমি মরে যাই
আমি মরে যাই, এক তোমাতে মিশে
আমার অস্তিত্ব মিটে যাক

লীন বিলীন হই
আমাকে মরতে দাও

.
আমার কবর হউক তোমার ওই তেপান্তরে
.

আমাকে প্রবেশ দাও
আমি চলে যাই

ভেজা তৃণরা জেগে থাক
সকালে শিশিরে বিকেলে দিন শেষে
আমি ঝরে যাই
তারার মতো।
সেজদায়, জ্বলুক চার দ্বীপ, এক তুমি থেকে যাও

শুয়ে থেকে যাই আমি@মণি জুয়েল

তোমার বিশাল সাম্রাজ্যে, কবর খুঁজেছি

তোমার বিশাল সাম্রাজ্যে, কবর খুঁজেছি

কৃষ্ণচূড়া অথবা কুমারের চাক কিম্বা ঘাসের জমি
যাই বলো বা বলি
আসলে সবই তোমারই
আমার তো কিছুই নেই, সর্বহারা আমি
তবু সাম্রাজ্যবাদী হতে চাই না

কুকুর দেখেছো
কিভাবে দখল করে রাখে

.
সবার মতো আমি নিজেকে কুকুর ভাবি না
.

কিন্তু সবাই দখলেই রাখে।
নিজেকেই দেখো

কিভাবে দখল হয়েছে সীমানা
তোমার।কিভাবে হয়েছো আবাদীজমি।
দুজনে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছি
আর তাই বেঁচে আছি
একপ্রান্ত ঘাসের জমি ছাড়া, কিছুই দখল করি নি

শুধু ঘাসে ঢাকা প্রান্তে ডুবে যেতে চেয়েছি@মণি জুয়েল

Sunday, 23 January 2022

রাজ্য

হৃদয়ের ঘর কাঁপতে থাক তার গমনাগমনে

বছরের শুরুর দিন তাকে হৃদয়ের দরজা খুলে দিলাম
খোলাই আছে
এভাবেই মাস গেলো
যাক, খোলা থেকেই যাবে যদ্দিন সে আছে
আছি, যদ্দিন এই আমিও
সে রান্না করে
সে কবিতা লেখে

.
সংগ্রামী সে, আমার হৃদয় ফুটো করেছে
.

এ দেখবো কাকে!
বুঝবে বা কে

বুঝতেই বা দেবো কেনো?
অন্যকে। কে সেই যে আমার হৃদয়ে  আছে
থেকেই যাক চিরদিন
যেমনটি আছে
হৃদয়ের দ্বার, আমার শরীরের দ্বার আমি খুলে দিলাম

এসো, এসে দলিত করো, যখনই চাইবে@মণি জুয়েল

Saturday, 22 January 2022

তোমার ভেতরে

তোমার ভেতরে

তুমি তোমার সদর দ্বার দুদিকে ঠেলে নিয়ে গেলে
আমাকে দেখালে
ভূগোলের নদীর অন্তআদি
সেই থেকে আমি পৃথিবীকে চিনেছি
নইলে, ছিলো অজানা সবই

প্রশংসা তোমার
আমি ব-দ্বীপ চিনেছি

.
আমি হাঁটতে শিখেছি অরণ্যের মধ্যে দিয়ে
.

দাবানল-ও জেনেছি
প্রশংসা তোমার

হাঁটতে হাঁটতে তীর পেয়েছি
সভ্যতার। পাহাড় পর্বত সব চিনেছি
কৃষ্ণ চূড়ার আছড়ে পড়ে
নিজেকে জেনেছি
অগ্ন্যুৎপাতে আগ্নেয়গিরিতে। শ্বেতসাগরের জলে।

ভ্রমণে ভ্রমণে@মণি জুয়েল

Friday, 21 January 2022

খোশ কল্পনা না, বস্তুতেই তুমি শিল্পের মাঝে

খোশ কল্পনা না, বস্তুতেই তুমি শিল্পের মাঝে

ওরা যখন বাঁশিতে ঠোঁট রেখে ভাবে মাদকতা খোঁজে
তখন আমি
পেয়ে যাই বস্তুতে
তোমার গো-মুখ যোনিতে মুখ গুঁজে
যেখানে উৎস পায় নদী

আমিও যাই
গহীন কদম তলায়

.
বস্তু আমি তোমাকেও বস্তুতেই পেয়ে যাই
.

ওরা গিটার বাজায়
আমিও তাই

সেখানেও, একই দেখি
আমার আঙুল তোমারি তার খাঁজে
প্রেমের বিছানাতে।
বাহুতে তুমি।
সেতার ভায়োলিন আর সমস্তে তুমি, যেন তব্লা দুলছে

বেহালার ছড়ে তুমি আমি দুই মিশে আছে@মণি জুয়েল

জানি, ভ্রষ্টরাই আমাকে এখন ভ্রষ্ট বলবে

জানি, ভ্রষ্টরাই আমাকে এখন ভ্রষ্ট বলবে

ক্রমশঃ ক্রমশঃ ক্রমশঃই আমি দিশেহারা হয়ে যাচ্ছি
ভাবতেই পারছি না
চুপই বা কি করে থাকি
আর আমার সমস্ত সমস্যা, সেই তুমি
মস্ত্ আমিও তোমাকে ঘিরে

তোমাকেই পাই
রাতের বাঁশির ফুটোয়

.
সুরে দুপার মাঝে জিহ্বার ভরে সাঁতার কাটি
.

তবলারাও দুলে যায়
দোতারাও তাই

কিন্তু, এতসব বলি কিভাবে
কিভাবে বলি আমার নামাজেও তুমি
এসে যাও। দেখতে থাকি...
চোখ সরাতে পারি না
কিভাবে বলি আমি এমন সত্যি! ভেবেই ঘেমে যাচ্ছি

কিন্তু, এ সত্যের তো প্রকাশ দরকার@মণি জুয়েল

ভিজেছিলো শুভ্র ফেনায় সাগরপাড়ও

ভিজেছিলো শুভ্র ফেনায় সাগরপাড়ও

রাত নেমে এলেও, আর বাঁশি বাজানো হয় নি।
বহুদিন হলো
একদা বাজিয়েছিলাম
সাঁঝের প্রাক্কালে, কাছে এসেছিলো
শরীরটা তুলে দিয়েছিলো-

আমার ঠোঁটে
আমি বাজিয়েছিলাম

.
জানে না তারা, কদম তলা যারা যায় নি
.

কিন্তু আমি গেছিলাম
তৃষ্ণার্ত ঠোঁটে

গো-মুখ খুলে দিয়েছিলো
জিহ্বার পরশে, নদী বেরিয়েছিলো
যোনিতে রেখেছিলাম-
আমার নীলোষ্ঠ
বেজে উঠেছিলো বাঁশি, শীৎকারে, প্রণয় ধ্বনি।

সাগরে ভেসেছিলো সুডৌল শ্বেতচাঁদ@মণি জুয়েল

Thursday, 20 January 2022

কৃষ্ণ চূড়ার কথা অন্যদিন বলবো

কৃষ্ণ-চূড়ার কথা অন্যদিন বলবো

সে তাকে বলেছিলাম কৃষ্ণ-চূড়ার ছবি দিতে
শুনেছিলো
সে তা দিয়েছিলো
উষ্ণতার খুব দরকার দেখার জন্যে
উত্তাপে কাঁপতে কাঁপতে-

আমি দেখি
আমি দেখেছিলাম

.
নিজকে ঢেলে পাহাড় নিচে চলে গেছে
.

আমি দেখেছিলাম
আমি দেখি-

দণ্ডায়মান মধ্য রজনীতে
চাঁদের মতো দ্যূ দেশ ভ্রমণের জন্যে
সে দ্বার খুলেছিলো
ডেকেছিলো
আমি ভেতরে ঢুকেছিলাম, ভিজতে ভিজতে

তখন পথের দুপাশে ঘাস ছিলো@মণি জুয়েল

বসত

আমি অপার সীমার কথা বলছি

মানের চওড়া পাতার মতো ঢেউখেলনো তোমার পিঠ
আমাকে দোলায়
মানের কাণ্ডের মতোন-
ইচ্ছেও করে' মাটি চিরে ঢুকে যাই
তুমি, শ্বাসে, দুলতেই থাক-

নৌকার মতো।
দাঁড় ভিজতেই থাক

.
উজানে পৌঁছুতে গমন করি ভেতরে বাইরে
.

পাড়ের মাটি, খসুক
বানএর মতো।

দুপার মধ্য নদী বয়ে যাক-
বন্যায়, নূহ হেন আমিও উঠে যাই
দ্যূ চুম্বি পাহাড়ে পৌঁছায়
অথবা কৃষ্ণচূড়ায়
যেখানে পায়রা বার্তা এনেছিলো, বসতের, ঘাস ঠোঁটে

আমি সেই বসতের কথা বলছি@মণি জুয়েল

Tuesday, 18 January 2022

চাঁদ এখন উপরে উঠছে এখন মাঝরাত

ইন্দ্র যখন দুই আঙ্গুলে চিরে ব্রহ্মাণ্ড দেখিয়েছিলো
পথ দেখিয়েছিলো
আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম
ভেতরে সাদা সাদা ওগুলো কি ঝরছে
কিন্তু মশগুল সে তখন সুখে

মুখে ধরেছে
মাথার চাম্ড়াটুকু সরিয়ে

.
তখন সাগরও ডুবে আছে শ্বেত সীমানায়
.

চাঁদটাকে দুপক্ষে ছড়িয়ে
চাঁদও উঠেছে

ঠিক যেমন্টি প্রেমিকের মুখে
প্রেমিকা উঠে বসে রাত ভোর করেছে
দুলতে দুলতে নৌকা যেমন
দাঁড়কে ডুবিয়ে জলে
আসলে ইন্দ্র বহুপথে বহু-বাহন হতেই চেয়েছিলো

চাঁদ এখন উপরে উঠছে এখন মাঝরাত@মণি জুয়েল

Monday, 17 January 2022

একটি অশ্লীল অ-কবিতা

একটি অশ্লীল অ-কবিতা

তখন তোমার সাথে কথা হয়েছিলো তুমি বললে
এখনি ফিরলাম
আর আমিও বলে বসলাম
দুইপায়ের ওখানে দারুণ ঘ্রাণ হবে এখন
ইসস..." বলে তুমি চেঞ্জে গেলে

তখন থেকে
কল্পনায় ডুবে আছি
.

দেখছি সব খোলা প্লাস সাইজ তোমাকে
.

পেছনে ঘাম ঝরছে
পিঠের থেকে

প্যান্টিটা ফেলে দিয়েছো খুলে
খোলা পা'জামার ফিতেটা ঝুলছে তখন
আমার হৃদয়ে হাত দিলাম
বুঝতে পারলাম
আমার হৃদয়ের প্রাণ তোমার পাজামার ফিতেতে

একই ছন্দে দুজনেই দুলছে দেখতে দেখতে@মণি জুয়েল

তোমার বলতে না বলাতে কিই এসে যায়


তোমার বলতে না বলাতে কিই এসে যায়

যে প্রেমিক নামাজে তার প্রেমিকাকে দেখে না
সে জানে না
নামাজ সে জানে না
আমি, বার তিন চার কাছে যাই
বুকে জড়াই, সুরে গাই-

আল ফাতিহা
আল হামদুলি্লাহ...

.
মস্ত হতে থাকি, চোখ দুনিয়া দ্যাখে না
.

ভুলে যাই শরিয়াহ্
ফিক্হ'ও তাই

ভালবেসে রুকু'তে যাই
আরো ভেতরে যেতে, নিচে যাই
ওই সেজদার সীমানা
আল্ আলা৩
ফিসফিস বলতে বলতে কেউই আর থাকি না

এখন তুমি আমাকে কাফির বলতে পারো@মণি জুয়েল

স্খলন ঘটুক সৃষ্টিতে আমি মরে যাই

স্খলন ঘটুক সৃষ্টিতে আমি মরে যাই

অনেকদিন অনেকদিন অনেকদিন দ্বার খোলে নি
প্রবেশ পাই নি
মন্দিরে যেতে পাই নি
আহ্ আহ্ আমার পঞ্জিত_প্রসাদেরা
সব সবি জমে থেকে গেছে

দ্বার খোলে নি
আমি ঢুকতে পাই নি

.
আমি দাড়িয়েই আছি আমি দাড়িয়েই আছি
.

আমার গমন হয় নি
পদ ভেজে নি

কিন্তু ঘাসে শিশির জমেছে
ঠিকই।ঠিকই হেসেছে চাঁদ সূর্য তারা
কিন্তু, যেতে পাই নি
দ্বার খোলে নি
অনেকদিন অনেকদিন অনেকদিন তুমি ডাকো নি

ডাকো, প্লিজ, খুলে দাও, আমি যাই@মণি জুয়েল

Saturday, 15 January 2022

২১ পার করে এসে ২২ এখন মানুষ জাগছে

২১ পার করে এসে ২২ এখন মানুষ জাগছে

একটা ভীষণ রকমের ভয় ইদানীং পেয়ে বসেছে
জেনোসাইড
প্লানিত মানুষের মৃত্যু
ঠিক যখন মানুষ ক্রমশঃই জাগছে।
ওদিকে তাহারা তা চায় না-

তারা চায় না
জেগে যাক মানুষেরা

.
ঘুমন্তদের অবচেতনেই তাহাদের ব্যবসা
.

জ্বেলে রজনীর তারা,
নিমগ্ন তাহারা।

কিন্তু, খিদে; ঘুমই হচ্ছে না
জেগে উঠছে বসছে নড়ে দাঁড়াচ্ছে
ক্ষুধার্তের জীবন্ত নৃত্যে।
প্ল্যান্ড-সাইড
এ রকম ভীষণ একটা ভয় ইদানিং পেয়ে বসেছে

কারণ মানুষ ১৯, ২০-র ভয় আর খাচ্ছে না@মণি জুয়েল

Saturday, 8 January 2022

পথ দেখাতে হলে প্রথমে কামড় খেতে হবে

পথ দেখাতে হলে প্রথমে কামড় খেতে হবে

আজও জ্বলে ওঠে আমার চোখের সামনে
ওরা ফিরে যাচ্ছে
হারুন একা হয়ে যাচ্ছে
মুসা, তখনও ফিরিয়া আসে নি
এদিকে দেরী হয়ে যাচ্ছে

দূর্ভাগ্য
আমার না তাদের!

.
মূর্ত পুঁজিবাদে, জ্বলে পুড়ে যাচ্ছি
.

এদিকে লাল্বাদের-
বিভ্রান্তে

চিনতে ভুলই হয়ে যাচ্ছে
এখনও বার্তা পৌঁছুতে পারে নি
মৌমাছির মতো ছুটছে
যার চাক ভেঙেছে।
শুধু ধোঁয়াই দেখছে তারা দুচোখের সামনে

তাদের চোখ দেখতে পাচ্ছি, চোখে পথ না @মণি জুয়েল

কিন্তু দেখলে না তাকে যে সূর্যের রূপকে

অথচ দেখেই গেছি সূর্যের মতো তোমাকে

তুমি খুব সকাল সকাল জেগে যাও একথা বলেছো
সূর্য দেখো
সূর্য উঠতে দেখো
করো আরও কতো কি, কতোই কি
হ্রদের মতো চোখ' তোমার

কিন্তু অভাগ্য,
আমার না কি তোমার

.
ঢের রাত এখন তবু দেখলে আমাকে তুমি কই
.

ডুবে হয়েছে একাকার-
ভোরের সূর্য্য!

দশদিকেই জাঢ়ের আঁধার
ভিজেও জ্বলছে বাবলার জোনাকি
চাঁদও দেখিয়েছি
মনে করো
বিছানা থেকে তুলে এনেছি তোমাকে, তুমি দেখছো।

কিন্তু দেখলে না তাকে যে সূর্যের রূপকে@মণি জুয়েল

কিন্তু দেখলে না তাকে যে সূর্যের রূপকে

অথচ দেখেই গেছি সূর্যের মতো তোমাকে

তুমি খুব সকাল সকাল জেগে যাও একথা বলেছো
সূর্য দেখো
সূর্য উঠতে দেখো
করো আরও কতো কি, কতোই কি
হ্রদের মতো চোখ' তোমার

কিন্তু অভাগ্য,
আমার না কি তোমার

.
ঢের রাত এখন তবু দেখলে আমাকে তুমি কই
.

ডুবে হয়েছে একাকার-
ভোরের সূর্য্য!

দশদিকেই জাঢ়ের আঁধার
ভিজেও জ্বলছে বাবলার জোনাকি
চাঁদও দেখিয়েছি
মনে করো
বিছানা থেকে তুলে এনেছি তোমাকে, তুমি দেখছো।

কিন্তু দেখলে না তাকে যে সূর্যের রূপকে@মণি জুয়েল

দেখলে পৃথিবী দেখা হয়ে যেতো

আবহমান আমাকেও দেখা হতো

তুমি কি শীতের কুয়াশা জরা সকালের সূর্যকে দেখেছো
তার কৈশোর্য্য
তার সদ্যার্জিত কৌমার্য
ঠিক যেমন পুকুর গোসলের রমণী দেখা
আড়ালের বাংলার কিশোরটি

তাকাচ্ছে
তলচোখে জড়-চোখে

.
তুমিও কি দেখছ-না তাকে স্নান করতে করতে?
.

আড়চোখে আড়চোখে
চাতুর্যে!

কেঁপে'ই যাচ্ছে...বাংলার মাটি
ঠিক রমণীহৃদয়ের মতোন। শিশির মাখা
যেন অবগাহনে সু-সিক্ত
বামা বানপ্রস্থ!
তুমি কি শীতের কুয়াশাভেজা ভোরে তোমাকে দেখেছো

দেখলে পৃথিবী দেখা হয়ে যেতো@মণি জুয়েল

Tuesday, 4 January 2022

আমি মদ ভৃঙ্গারে মুখ গুঁজে দিই

আমি মদ ভৃঙ্গারে মুখ গুঁজে দিই

নূতন নূতন নূতন ওহ্ আমার প্রেমের সুডৌল বীণা
এসো এসো
এসো আমি বাজাই
কোলে নিই সপ্তদ্বারে আঙুল চালাই
আঙুল ভিজেই যাক না

ভিজতে দাও
স-মস্ত ভিজে যাই

.
তোমার সেই শব্দে বাতাস দুলে উঠুক
.

হারিয়ে দিয়ে খেই
ভাসতে দাও

নৌকা, ভেসে'ই যাক না
মস্ত্ আমি, নাও-এর মাঝি হয়ে যাই
লহরে দাঁড় ডুবাই
তুমি ভাসো
সুরে, শীৎকারে দুকূল হারিয়ে ভুলতে দাও ঠিকানা

তুমি অধর ওষ্ঠে বাঁশি তুলে নাও@মণি জুয়েল

Monday, 3 January 2022

ঠিক তুমি যেমন অযুতে একা

তোমার আস্তানায় আমরা একাই

ওরা যখন ঘুম ভেঙে, মাঝরাতে তাহাজ্জুদে দাঁড়ায়।
আমিও
আমিও দাড়িয়ে যাই।
ওরা যখন মন্দিরে পুজোর প্রসাদ দেয়।
আমিও দু-বাহু ছড়িয়ে দিই।

ওরা গির্জায় যায়
গিয়ে কন্ভেন্সে দাঁড়ায়

.
আমি এ হৃদয় খুলে দিই, 'পথভ্রষ্ট' হয়ে যাই
.

যেতে তোমার দরজায়,
ওরা সিঙা বাজায়

আমি তোমাকেই ডেকে যাই
বস্ত আমি, চাই তোমাকেও বস্তুময়তায়।
পথ-ভ্রষ্ট থেকেই যাই,
পেয়েও!
আসলে নিজেকে একা দেখি, ভ্রান্ত-সংখ্যাগুরুতায়।

ঠিক তুমি যেমন অযুতে একা@মণি জুয়েল

তুমি মিম‌ হয়ে শুয়ে ভিজে যাচ্ছো

আমি দাঁড়িয়েই আছি আলিফ হয়ে

আচ্ছাদন নেই, পথের জিয়ালার ডাল মাথা তুলে-
দাঁড়িয়ে আছে
প্রায়শই দুলে উঠছে
উত্তরের জানালাও খোলাই আছে
কাঁপতে কাঁপতে দেখছি

আর ভাবছি
সেই চাঁদ'টির কথা

.
যে ভেজা চাঁদ উপরে উঠেছিলো একদা
.

সেই রজনীর কথা
ভেবে কাঁপছি

জানালা, খোলাই আছে-
তোমার, আলো' গড়িয়ে বেরোচ্ছে
আমি দাঁড়িয়ে আছি
ভেতরে ঢুকেছি
তোমারই সদর দরজা ঠেলে দিয়ে দুই দিকে খুলে

তুমি মিম‌ হয়ে শুয়ে ভিজে যাচ্ছো@মণি জুয়েল

Sunday, 2 January 2022

যেখানে মৃত্যুও জীবন পায়

যেখানে মৃত্যুও জীবন পায়

আজকাল কেন জানি না, মৃত্যুকে খুব মনে পড়ছে
কিন্তু তুমি
তুমি তো জানো
আমি কিভাবে মরে যেতে চেয়েছি
কিভাবে হারাতে চেয়েছি

আঃ মৃত্যু
স্বপ্নময়, নীল মৃত্যু

.
আমার আসলে তোমাকে মনে পড়ছে খুব
.

প্রতিমুহূর্তের নিত্য
আদিত্যে

কি ভাবে বাঁচতে চেয়েছি
মৃত্যু'র সাথে; মিশে যেতে, চেয়েছি
তুমি কি জানো না
তুমিই জানো
আর ঠিক তাই তোমাকে শ্বাসেপ্রশ্বাসে মনে পড়ছে

জীবনের বর্ণীল আদিত্যে@মণি জুয়েল

Saturday, 1 January 2022

আসলে কবির মুঠোর খবর রাখো না

আসলে কবির মুঠোর খবর রাখো না

সোয়েটার পরে আছো অথচ সব দেখতে পাচ্ছি
অন্তর
অন্ত অভ্যঃন্তর
স্পষ্ট তোমার ওই সুডৌল ক্লিভেজ
আর অশুভ প্রতিবন্ধকতা-

বোতামগুলোর,
ওরা ঠিক ঢুকে গেছে

.
রাগও আসছে, তবলার ইচ্ছেও করছে
.

তালুতল পেতে চাচ্ছে
খিরণ ও প্রাস্তর

কিন্তু অশুভ প্রতিবন্ধকতা
শীতের। কাঁপুনি যদিও চরম তেজ
উতপ্ত অনু-স্বর
দীর্ঘস্থ...
মাথা তুলে, চাঁদের অষ্পষ্ট বাকটাও দেখে নিচ্ছি

বিভ্রান্তে, তুমি কাস্তে ভাবাতে চাইছো@মণি জুয়েল

তুমি কাজ করছো আমি দেখছি

তুমি কাজ করছো আমি দেখছি

শৈশবে, বাবা জিজ্ঞেস করেছিলেন- কি হতে চাও?
কবি_
ফটাস বলে বসেছিলাম
তিনি বলেছিলেন- অনেক পড়ো তবে
পড়াশুনার শুরু সেই থেকে

কিন্তু তুমি,
পড়াই হলনা তোমাকে

.
অ-পদার্থ এখন আমি "Seer" হয়ে গেছি!
.

দেখে যাচ্ছি তোমাকে
সেই তুমি

দর্শনএর শুরুই তুমি থেকে
তাকিয়েই থাকি তোমার চোখে ফ্রেমে
এই কথা বলেওছিলাম।
তুমি...
তুমি চাকুটা হাতে নিয়ে ঢোকালে পেয়াজের মধ্যে

বললে- কাজ করতে দাও@মণি জুয়েল