#ব্যাখ্যা_করার যোগ্যতা অর্জন করি নি, যা বুঝেছি তা লিখলাম মাত্র
হ্যাইয়া আলাল ফলা" আযান দিলো। আমি তখন পথে বাইক চালাচ্ছি। কিছু কিছু আযান শুনতে খুব ভাল্লাগে। শুনলাম। মনে মনে কিছু কথা জন্মালো। সেই কথাগুলো লিখছি। আমি লিখছি আমি যেমন বুঝেছি সেই মোতাবেক। আমার থেকে যারা বেশি বোঝেন তারা দরকারে পরামর্শ দিতেই পারেন। তবে নিজেকে অযথা পণ্ডিত মনে করে আলাফল না বলার অনুরোধ করে রাখছি।
হাইয়া আল ফালাহ অর্থ হলো সাফল্যের দিকে মুখ ফেরাও কিম্বা সাফল্যের চিন্তা করো এরকম। কিন্তু মুসলামান দের মধ্যে সাফল্য তেমন দেখি না আমাদের দেশে। আজকাল কিছু পয়সাওয়ালা পরিবারের ছেলে মেয়েরা কিছু উন্নতি ঘটালেও মুসলমান জনগোষ্ঠী হিসেবে মুসলমানদের উল্লেখযোগ্য সাফল্য আমি দেখতে পাই না। ইসলামের আল্লাহ দিক দেখাচ্ছেন- রব্বানা আতয়ানা ফি দুনিয়া..."তে যে তোমরা পৃথিবীর মুক্তি কামনা করো আগে। তাই আমি পৃথিবীর কথা নিয়েই কথা বলছি। আখেরাত বিষয় নিয়ে এখানে কিছুই বলছি না।
তাঁরা দিনে ৩ থেকে ৫বার নামায পড়েন। আলহামদুলি্লাহ সূরা পড়েন। যে আলহামদুলিল্লাহ সূরা সাফল্যের পথ সন্ধানের জন্যে মস্তিষ্ককে প্রস্তুত করার দুআ। কিন্তু কই সাফল্য? নেই। না থাকার কারণ হিসেবেই আমি কোরআনের ৫৯ নম্বর সূরা আল হাশর এর ১-১০ আয়াত পড়ে আমি যা বুঝেছি যেমন বুঝেছি তা খুবই সংক্ষেপে আমার মতো করে কিছু কথা বলছি মাত্র। আরো অন্য সুরার অন্য আয়াত নিয়েও বলা যেতে পারে। কিন্তু সেদিকে যাচ্ছি না।
তার আগে একটু বলে রাখি। আমি যা বুঝেছি তাতে কাফের বলা যায় তাদেরকে যারা নিজের ফুটো বিদ্যার অহমিকার কারণে জ্ঞানগত উন্নত চিন্তাকে উপেক্ষা করে বা পাত্তা দিতে না চেয়ে দমন করতে আপ্রাণ প্রয়াসী, যারা নিজেদের গড়া শোষণের বাজার ধরে রাখতে চায়, প্রতারণা করে। মোনাফেক অর্থ যা বুঝেছি তা হলো - যারা প্রচলিত বাজার ধরেও থাকে আবার নতুন উদ্ভাসের দিকেও তলে তলে তাকিয়ে থাকে। মানে বাইপোলার। এটা একটা মানসিক অসুস্থ অবস্থানও। যখন যেদিকে পাল্লা ভারী সেদিকে তারা।
তো এমনই শিক্ষিত(কেতাবধারী)দের কথা উল্লেখ করেই বলা হয়েছে যে, নিজেদের গাধামো যুক্ত অতিপাণ্ডিত্যের কারণেই কিছু জনগোষ্ঠী পতিত হয়েছে অতীতে, তাদের ধারণার বাইরের আরও উন্নত শক্তির দ্বারা। শুধু বাইরের দ্বারাই না, তারা নিজেরাও নিজেদের ধ্বংস ঘটিয়েছিলো নিজদের কর্মের মাধ্যমে। এরকম দৃষ্টান্ত দিয়ে, তখনকার একটা ঘটনা তুলে ধরে, ইসলামের নবী চক্ষুষ্মান মানুষদের সতর্ক করে দিচ্ছেন যাতে এমন ভুল তারা না করে। সাথে সাথে আরও কথা যোগ করে বলা হচ্ছে যদি তারা অবস্থাচ্যূত নাও হতো তাহলেও তারা মুক্ত সুস্থ জীবন যাপন করতে পারতো না। কারণ তাদের অবস্থান ছিলো আরো উন্নত চিন্তার বিপরীতে।
এটা গেলো চিন্তা চেতনার দিকে। এবার আসি অর্থনৈতিক সামাজিক রাজনৈতিক দিকে। সেখানে সেই সময়ের ঘটনা উল্লেখ করে বলা হচ্ছে - সম্পদ অর্জন করে শুধু নিজের আখের গোছালে হবে না। প্রতিষ্ঠানের সম্পদ শুধু ধনবান দের হাতেই ঘোরাঘুরি করলে শান্তি আসতেই পারে না। সম্পদের সুষম বণ্টন দরকার, সেই ব্যবস্থার সমস্ত শ্রেণীর হাতে। সেখানে আল্লাহ মানা করছেন সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখতে। কাকে? শুধু ব্যক্তি মানুষকে মান করছেন না, রাষ্ট্রকে বলছেন। বলছেন - সম্পদের বণ্টন করে দিতে সমস্ত শ্রেণীর মানুষের মধ্যে। শুধু সেই ব্যবস্থার অংশীদার মানুষদের মধ্যেই না, তাদের মধ্যেও যারা ওই ব্যবস্থার মধ্যে অবস্থান করছেন তাদের সবার মধ্যে।
সাথে সাথে বলা হচ্ছে - অন্যের নিতান্ত প্রয়োজনের জন্য দরকারে নিজেকে আন্তরিকভাবে ভালোবেসে ত্যাগী হতে।
সূরায় বলা হচ্ছে এরাই সফল।।। এরা মানে শুধু individual না, সমষ্টি।।।
দ্রঃ সুরার ঘটনাগুলো আপনারা নিজেরা পড়ে নেবেন। আমি পড়ে যা বুঝেছি, যেমন বুঝেছি তেমন লিখলাম, ঘটনা উল্লখে না করে। জ্ঞানত কোনো প্রকার বিকৃতি ঘটাই নি, ঘটে থাকলে যে কেউই আমাকে সুপরামর্শ দিতে পারবেন সংশোধন করে নিতে। আরও বলে রাখি- পড়তে গিয়ে বুঝতে গিয়ে লিখতে গিয়ে কোনো প্রকার পূর্ব ধারণাকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই নি।