Monday, 29 November 2021

এখন প্রাককাল

এখন প্রাককাল

আসর হয়ে গেলো আযানের সুর ভেসে আসছে
আমি শুনছি
শুয়েও জেগে আছি
সূর্যটা ক্রমশঃ ক্রমশঃ নিচের দিকে
এভাবেই সে অস্তে যাবে

প্রাক মুহুর্ত,
স্খলন ঘটে গেলেই...

.
সঞ্চিত যত উত্তাপ ঝরে পড়ে গেলেই
.

স্খলন ঘটে গেলেই...
যেমন মৃত্যু

এভাবেই সব অস্ত যাবে
বয়ে গিয়ে, কাল-কেয়ামতের দিকে...
সেই অপেক্ষা করছি
প্রস্তুতও হচ্ছি
ঘটে যাক বিপ্লব; সময় ক্রমশঃই ঘনিয়ে আসছে

গেরুয়াসাঁঝ কেটে গেলে রাতও কেটে যাবে @মণি জুয়েল

ভেতরে অথবা শরীরে

কোথাও আঁধার নেই, আলোই সব আঁধারের কারণ
আমি আছি
এসো তুমিও এসো
খুলে দাও অন্তঃ আর যতো আবরণ
এখানে কোন ভেদাভেদ নেই

উন্মুক্তি শুধু
শুধুই যেমন তেমন

.
তুমি কি পারবে না, সব খুলে ফেলে দিতে?
.

পোশাকের মতোন
বিভান্তি শুধু

আলো তার বেশি নয় কিছু'ই
বিশ্বাস না হলে, গিয়ে বসো, আঁধারে
আমার কাছে এসো
জেগে আছি
দেখছি শান্ত পৃথ্বী, চাঁদ থাকুক বা না, নেই বিভাজন

ভেতরে অথবা শরীরে@মণি জুয়েল

Sunday, 28 November 2021

নিবিড়তার গভীর শীৎকার

ইসস উফ্ আঃ মরে যাই...

ইচ্ছে করে অনন্তকাল তোমার চোখে তাকিয়ে থাকি
গ্লাসের আড়ালে
ওই দু-নহর ভেসে থাক
দেখি দেখি দেখি আর মাতাল হয়ে উঠি
আমার প্রত্যঙ্গও' দুলে উঠুক

হাঁটতে থাকি
শিশির ভেজা ঘাসে

.
শিশির ভেজা ঘাসের মধ্যে দিয়ে, মেঠো পথে

.
শিশির ভেজা ঘাসে
মুখ ভেজাই

ওখান থেকে নদী বের হোক
ভিজি, ভিজতে ভিজতে নৌকা-তে উঠি
দুপার মাঝে ভেসে যাই।
তোমার শরীরে
জেগে উঠুক আতৃষ প্রাণের উচ্চারণ, শুনতেই থাকি

নিবিড়তার গভীর শীৎকার@মণি জুয়েল

Saturday, 27 November 2021

কখন আসবে জানি না

কখন আসবে জানি না

রাত এসে গেছে অনেকক্ষন, আমি শুয়ে পড়েছি
কই শীত?
আমার লাগছে না
এবার চাঁদ আসবে, উপরে উঠে বসবে
আমার এই ঠোঁটের উপরে

দ্বিখণ্ডিত চাঁদ
শীত_ভেজা শ্বেত-চাঁদ

.
যুদ্ধাশ্বের মতো আমি পান করবো সারারাত
.

পান করবো সারারাত
বি-গলিত চাঁদ

দুই পার, দুই মুঠোয়, ধরে
দুলে_উঠবে চাঁদ; উঠবে, নেবেও যাবে
রজঃনী শেষ হলে
ভিজে গিয়ে
রাত এসে গেছে অনেকক্ষন, আমি শুয়ে পড়েছি

কিন্তু ঘুম, আসছেই না@মণি জুয়েল

তাছাড়া এখানে কে চেনে তাকে

তাছাড়া এখানে কে চেনে তাকে

আমার টগবগে লাল হৃদয়, কুক্ষিগত করে রেখে
লোক সমাজে
সেই আমাকেই ডেকে
সে আজ আমায় জিজ্ঞেস করেছে-
কেমন আছো; ভালো তো?

আহ কি বলি
আহ..কি বলি তাকে

.
চুপ থেকে, বাতেন, বাতেনেই রেখে দিই
.

হাঁসি এঁকে অধরাষ্ঠে
চুপ থেকে যাই

ভেতরের কথা বলি কাকে
ভেতরের ভেতরে ক'জনই ঢুকেছে?
গেছে আর এসেছে-
অঙ্গে প্রত্যঙ্গে
তার বেশি কেই বা জেনেছে নিজেকে বা অন্যকে!

আহ্ কি বলি, আর বলি কাকে@মণি জুয়েল

আলোকিত পৃথ্বি শংসিত ওই আলোতে

আলোকিত পৃথ্বি শংসিত ওই আলোতে

প্রশংসারা গড়াগড়ি খেতে থাক তোমার পদতলে
আমি আনত হই
আলিঙ্গনে এসো, বুকে-
এসো, সঁপে দিই দুহাত তুলে নিজেকে!
ওহ্ ডিয়ার, ওহ্ মাই লাভ

খোল প্লিজ 
প্রশংসার ওই দুয়ার

.
একান্যে মিশে চলতেই থাকি, চলতেই থাকি
.

পথ হোক একাকার
ওহ্ মন্সিজ

ডুবে যাবার যারা ডুবে যাক,
স্খলনেই, হেঁটে গেছে যারা বিচ্যুতি'তে
হাঁটে নি, যারা মধ্য-পথে
তাঁদের আমি নই
এসো, দেখ, আমি দাঁড়িয়েই আছি দ্যু-কদমতলে

বিগলিত চাঁদের জোছনা ঝরে পড়ছে@মণি জুয়েল

Friday, 26 November 2021

আমি সাগর বলছি

সারাদিনে, ব্যস্ততার পরে তোমার শরীরের গলিতে
যে ঘ্রাণ ঝরে
সেই ঘ্রাণের বিন্দুতে
আমাকে বিসর্গ হয়ে যেতে দিও

বিশ্বাস করো
আমি শান্তি খুঁজে পাই

.
তোমার ভেজা লোমশ বগলে যোনিতে
.

আমি প্রাপ্তি পেয়ে যাই
বিশ্বাস করো।

এইভাবেই তোমাকে পেতে দিও
ঠোঁট রাখতে যোনিতে
কেশ ঘাম চেটে
তোমার সান্নিধ্যে আছড়ে পড়তে দিও বদ্বীপ প্রান্তে

আমি সাগর বলছি@মণি জুয়েল

জন্ম লিখি দিচ্ছি, তোমার যোনিতে ঢুকে

জন্ম লিখি দিচ্ছি, তোমার যোনিতে ঢুকে

দু আঙ্গুলে দরজা দুদিকে ঠেলে দিয়ে ডেকে নিচ্ছো
সেই দৃশ্য
ভুলতে কি পারি
ভুলে যেতে কি পারি- আমার কলমটা-
ঠোঁটে নিয়ে নিমগ্ন তোমাকে

সেই ব্যগ্রতা
সৃজনের সিক্ত উগ্রতা

.
চাইলেই কি ভুলতে পারি, তুমি কি পেরেছো?
.

সেই সব নিবিড় বার্তা,
উদ্দাম লিপ্সা,

পেরেছো আদৌ ভুলে যেতে
আমি ভুলিনি স্ফুরিত তোমার উর্বরতা
তুমিও ভোলো নি
সেই দৃশ্য
দু আঙ্গুলে দরজা দুদিকে ঠেলে দিয়ে ডেকে নিচ্ছো

ছড়ানো খাতার মতো তোমার অভ্যন্তরে@মণি জুয়েল

আমি আছি সেই আঁধারে দাঁড়িয়েই...

আমি আছি সেই আঁধারে দাঁড়িয়েই...

তোমাকে পাই না সেই বেদনা বুকে জমে আছে অথৈ
তুমি আছো তো?
আমি ভালো টালো নেই
এখন সন্ধ্যে নামলো, আর সন্ধ্যে নামলে
আমার ঈর্ষা, ভীষণ বেড়ে যায়

সূর্যকে দেখি,
নদীবক্ষে পেয়ে যায় ঠাঁই

.
কিন্তু আমি, কিন্তু তুমি! আহ কোন স্রোতই নেই
.

আমার কোনও নদী নেই
কেবলই তুমি

আর ঠিক তাই জ্বলছি সন্ধ্যায়
মাথা তুলে মাথায় আলো ধরে নগরপথে
এ পথের যেন শেষই নেই
তুমি হয়তো হাঁটছো-
কোন গমনাগমনে, নাকের ডগায় ঘাম জমেছে অথৈ

পথের আলোরা ওতে খেলে যাচ্ছে@মণি জুয়েল

Thursday, 25 November 2021

ডুবে আছে সভ্যতা, নক্ষত্রদের আঁধারে

আলো-তৃষ্ণায় কাল হয়ে গেছে বস্তি-দেশ

কাব্য-কবিতা, রূপক, প্রতীকি ইত্যাদিতে হচ্ছেই না
এ আমার তৃষ্ণা
ওসবে তৃষ্ণা মিটবে না
বস্তুকে ছেড়ে দিয়ে, প্রতীক! সম্ভব না
দাঁড়িয়েই আছি আমি, রাতে

ভীষণ আঁধার
কিন্তু, আমার তৃষ্ণা?

.
নিবারণ; প্লাবনের ওই পথে, আত্মোৎসর্গে
.

নিবৃত নিজ লহু'তে
সমস্ত্, অপার-

সোজা পথে, ডুবে যাওয়াতে
ফোঁটায় ফোঁটায়। কিন্তু আলোর ঝর্ণা
বহুদূর.. অবধি দেখছি না
কিন্তু আমার তৃষ্ণা।
নক্ষত্র দিয়ে তৃষ্ণা মেটে! নাহ্, নদীর মতো ন্যাব্য না

ডুবে আছে সভ্যতা, নক্ষত্রদের আঁধারে@মণি জুয়েল

কিন্তু জীবন অনন্ত, ওই দুইয়েরই বিসর্গে

কিন্তু জীবন অনন্ত, ওই দুইয়েরই বিসর্গে

ইসস..., তোমার এই উচ্চার, এতে'ই জীবন সোচ্চার
এই সংকেত
জীবনের, জীবন্তদের
জীবন্ত যতো জীবন সেই সূত্র থেকেই
দিনে রাতে পানি ঝরে যাচ্ছে

জন্ম নিচ্ছে
উষ্ণ মৃত্যুর সাথে সাথে

এই দ্বন্দ্ব সংঘাত, সুখ-শব্দ ওখানে থেকেই

সিক্ত জীবনের সংঘাতে
জন্ম নিচ্ছে

ভূ-দেহ চিরে খাড়া চারা-গাছ
জীবন্ত যতো জীবন সেই সূত্র থেকেই
অশ্লীলতায় যা শীৎকার
ও-ই সংকেত
আহহ...জান, আমার তোমার সুলিপ্সু মৃত্যু-সমাহার

কতো খড়কুটো উড়ে গেছে পুড়ে গেছে@মণি জুয়েল

Wednesday, 24 November 2021

নিষ্কাম, তিন ভাগের জলে

সাগরের শ্বেত-অশ্লীলতায়

আমি খসরুর মতো, আঙুল দু-তালুর প্লে জানি না
জানি না তবলা
জানি না নেচে উঠতে
বুল্লে হেন, আলিফ-অটল থেকে যেতে-
জানি না, যেমন সানাই স-মস্ত্

কিন্তু, বেদনা
কিন্তু, অন্তঃহীন যন্ত্রণা,

আমার বংশী? নাহ্ বিন্দুতে কম না, বিসর্গেও...

পারি না সুফির সাধনা
কিন্তু, কামনা

বিলিয়ে দিতে তোমাতে, সমস্ত
এস, এস খুলে ওই অদ্রিৃঙ্গ, চলে যেতে
দাও, হামাগুড়ি দিতে
আমি চলে যাই
আলিঙ্গনে; এস সাগর-প্রান্তে, দ্বীপ ভেসেই থাক না

নিষ্কাম, তিন ভাগের জলে@মণি জুয়েল

Tuesday, 23 November 2021

গুল্মেরা জেগে আছে প্রবেশের দুপাশে?

নিশ্চয়ই ওই পথ প্রকৃতির জল পাচ্ছে?

এমন রাতদিন নেই, তোমার ওদিকে আমি চাই না
প্রতিদিনই যাই
তোমার জানালাই তাকাই
কিন্তু জানালা খোলা দেখতে পাই না

তবে, মনে হয়
রোজ তুমিও উঁকি দাও

.
কুক্ষিগত অন্তঃরাভাস স্লিভলেস আলিঙ্গনে
.

হয়তো তুমি দেখে নাও
তির জানালায়

কিন্তু খোলা জানালায় আর পাই না
হয়তো অন্দরে হরিৎলতায়-
বেশ সেজে গেছে
অপরাজিতা দুয়ার; তৃষ্ণায় ভিজে যায় ত্রিসীমানা

গুল্মেরা জেগে আছে প্রবেশের দুপাশে?@মণি জুয়েল

যদি উৎসের দুয়ার খুঁজে পাই, ভেবে

যদি উৎসের দুয়ার খুঁজে পাই, ভেবে

তোমার তো শীতলতা বা উষ্ণতায় ফারাক পড়ে না
এখন শীত পড়েছে
জানালা খোলা কি আছে?
লতাগুলো রেখেছো, জানালার দু পাশে?
যেতে পারি কি ইচ্ছে করলেই

জেগে থাকো-
এখনো কি রাত জেগে?

.
মাঝরাতে সদর দ্বার খুলে ভেতরে নেয়া আঃ
.

কতটা দুঃসাহস লাগে?
ভাবতে পারো!

কিন্তু ঘটেছে, তোমার ডাকেই
তারপর তোমার কাটা পেয়াজের ঝাঁঝে...
লম্বালম্বি ছুরি ভিজে গেছে
সুদীর্ঘ খিদে মিটেছে।
তুমি তো জানো, প্রতিকূল যাত্রা, আমার সমস্যা না

ইচ্ছে প্রস্তুত আছে উজান সাঁতরাতে@মণি জুয়েল

Monday, 22 November 2021

শুনুন, শুনুন না শুনুন মাটি কথা বলবে

শব্দে হোক বা না নিঃশব্দে কান ফাটাবে

একে একে তাঁহারা কবিতা পাঠ করে নামলেন
ঘেমে নেয়েছেন
মুছে নিচ্ছেন উত্তরীয়তে
এক নিঃশ্বাসে, বায়ান্ন হইতে একাত্তর
কিন্তু, আমাদের কথা' হচ্ছে না

সংস্কৃতির দাপট
চেপে বসেছে চেপে বসতে

.
অথচ; সবটা আমাদেরই আবেগ জাপটে
.

সালামের শব্দ মিটে গেছে
ঝাড়ু ধুতির পাটে

কিন্তু, কোথাও টুঁ শব্দ হচ্ছে না
নদ-চৈতন্যে' ডুবাতে বদ্ধ সব পরিকর
মাটিকে দেবে কি বলতে,
না, কেই শুনবেন!
আমাদের কথা, তাঁহারা কি আর কেউ শোনেন!

শুনুন, শুনুন না শুনুন মাটি কথা বলবে@ মণি জুয়েল

#মাতৃভাষা_বিষয়ক

Sunday, 21 November 2021

আলোর তৃষ্ণায় বস্তি-দেশ ভিজে গেছে

আলোর তৃষ্ণায় বস্তি-দেশ ভিজে গেছে

কাব্য কবিতা রূপক প্রতিকি ইত্যাদিতে হচ্ছেই না
এ আমার তৃষ্ণা
ওসবে তৃষ্ণা মিটবে না
বস্তুকে ছেড়ে দিয়ে, প্রতীক! সম্ভব না
দাঁড়িয়েই আছি আমি, রাতে

ভীষণ আঁধার
কিন্তু, আমার তৃষ্ণা?

.
নিবারণ; প্লাবনের ওই পথে, আত্মোৎসর্গে
.

নিবৃত নিজ লহু'তে
সমস্ত্, অপার-

সোজা পথে, ডুবে যাওয়াতে
ফোঁটায় ফোঁটায়। কিন্তু আলোর ঝর্ণা
বহুদূর অবধি দেখছি না
কিন্তু আমার তৃষ্ণা
নক্ষত্র দিয়ে পিপাসা মেটে? ছোঁয়া তো সাধ্যই না।

নক্ষত্র আলোকিত রাতও জেগে আছে

অটল দাঁড়িয়ে আছি একা তোমার সাথে

তৃষ্ণায় ভিজে যাচ্ছে ভিজে গেছে গেছি

কাব্য কবিতা রূপক উপমা প্রতিক ইত্যাদিতে হচ্ছে না
এ আমার তৃষ্ণা
এ তৃষ্ণা তুমি বুঝবে না
উম্মতের কেউই বোঝে নি, কেউই না
অটল দাঁড়িয়েই আছি রাতে

ভীষণ আঁধার
কিন্তু, আমার তৃষ্ণা?

.
নিবারণ, তোমার পথে; প্লাবিত আত্মত্যাগে
.

নিবৃত নিজ লহু'তে
সমস্ত্, অপার

সোজা ওই পথে চলে যেতে
শির শিরধমনী সঞ্চিত ফিনকির ঝর্ণা
এ স্নান সকলে পারবে না
এক-গামী ছাড়া
চৌপদ উৎসর্গে ভোগ করাই যায়, কিন্তু আমি চাই না।

অটল দাঁড়িয়ে আছি একা তোমার সাথে@মণি জুয়েল

এভাবেই সকাল হয়ে যাবে আবার

এভাবেই সকাল হয়ে যাবে আবার

প্রেমিকার ঝিনুক হেন চাঁদ, আমাকে জাগিয়েই রাখে
জেগে থাকে চোখ
লাল তরমুজ যোনির মতো।
নির্ঘুম জেগেও আছি, পূর্বদিকে দেখে

দাঁড়িয়ে আছে
মাথা তুলে টাওয়ারটি

.
জেগে আছে, একান্যে গমনাগমনের অভীপ্সায়
.

চুপচাপ দেখেই যাচ্ছি,
শিশির ঝরছে

পাখা ঝাপটে দুটি সারস, উড়ে যাচ্ছে,
সম্ভোগ-প্রান্তে, স্নান করতে!
তুমি কি দেখছো?
কাঁপছে রাত, রাত জাগছে আমাকেও জাগিয়ে রেখে

ক্রমশঃ এগিয়ে আসছে ভোররাত@মণি জুয়েল

শব্দে শব্দে জাগিয়ে ভোর এনে দাও

শব্দে শব্দে জাগিয়ে ভোর এনে দাও

লিখে নিতে দাও, প্লিজ, ওহ্ ইন্দ্র, খাতাটা মেলে ধরো
ঝিনুক দাও
বহিঃপ্রকাশ ঘটাই
প্রজন্মের শুভ্র-মুক্তাদের সঞ্চয় দরকার
খুলে দাও তোমার ঝিনুকদ্বার

জীবন পাক
সাগরেরই প্রান্তের জলে

.
সঞ্চিত হউক, ওই উর্বর ঝিনুকের অভ্যঃন্তরে
.

তোমার রক্তিম অন্তরে
বেঁচে থাকুক

খুলে দাও- গমনাগমনের দ্বার
তুলে নাও দুআঙুলে ছুঁইয়ে, যত প্রাকার
নিশি, দ্বিতে রচে যাই
লিখতে দাও
সাধনারকলম ঝরুক, দুআঙুলে, খাতাটা মেলে ধরো

ওহ্ ইন্দ্র, তুমিও কলম তুলে নাও@মণি জুয়েল

যুদ্ধ অথবা

যুদ্ধ অথবা...

ক্রমশঃ আসর এসে যায়, শুরু হয় আয়োজন
চাই, না চাই,
সমস্ত বদলে যায়
শুরু হয় নীল_কামারীয়_সাম্রাজ্য
দগদগে সুরজ ডুবে যায়

তীরস্রোতে
রক্তিম_বীর্য্য ঢেলে

.
আসলে fore-play কি বোঝে সবাই

.
অন্তঃ জীবন দিয়ে
প্রোণিপাতে

দগদগে রোজ ডুবে যায়
একটাই জীবন আর অযুত মৃত্যে
আমূল বদলে যায়
মরে, জন্মায়
এভাবেই কাল_হাশর আসে, চুম্বকীয় আবর্তন

দ্বন্দ্ব আর ঘর্ষনে@মণি জুয়েল

Friday, 19 November 2021

যন্ত্র হতে ক্রমশঃই জীবনের উৎসপ্রান্তে

যন্ত্র হতে ক্রমশঃই জীবনের উৎসপ্রান্তে

রাতকে রাত মাউস দুই-আঙুলে নিয়ে, ভিজে গেছি
কলম হাতে
খুব চেষ্টা করে গেছি
উদ্ধার করে নেবো, কিন্তু কিই জেনেছি
কিচ্ছু'ই না। আসলে সম্ভবই না

উদ্ধার করা,
ভেবেছিলাম- গবেষণা

.
কিন্তু না, কিছু না। সৃষ্টিতে কালি ঢেলে যাচ্ছি
.

সবই বৃথা, পড়া, শুনা
কিন্তু, জানা?

কঠিন না। আসলে অসম্ভব না
ভাব তো, আমি পাণ্ডুলিপি লিখে নিচ্ছি
শীৎকার থেকে, নিচ্ছি
তোমার শব্দে
বর্গীয়-জ'তে উঠেছে ঞ, দন্ত-ন'তে রূপান্তরিত হচ্ছে

আকার, ধারণ করছে যোনি বহিঃপ্রকাশে@ মণি জুয়েল

শ্বেত জীবনের বৃংহতি শুনতে পাই

শ্বেত জীবনের বৃংহতি শুনতে পাই

আজও; তাই রাতে ওই কদম তলাতেই গিয়ে দাঁড়াই
নদীর কিনারায়
হাঁটু অবধি জল নামুক
কেটে যাক, রাত; এভাবেই কেটে যাক-
অধরওষ্ঠে মগ্ন তুমি বংশিতে

আর আমি,
দৌড়ের ঘোড়া; দৌড়াই

.
অজন অরণ্যে; উদ্দাম গহীনে, ছুটে বেড়াই
.

গিয়ে আর্ত-ঠোঁট ডুবাই,
স্রোতে নামি,

উঠে, কদমের সন্ধি প্রকোষ্ঠে
কেটে যায় রাত একভাবে কেটেই যাক
যুদ্ধাশ্বের তিয়াসা, মিটুক
তীরের ঝাপটায়
কানে বেজে ওঠে Do Do হস্তির ডাক, আঃ মরে যাই

মরে যাই, চাঁদের যোজন জোছনায়@মণি জুয়েল

Wednesday, 17 November 2021

যে পথ কাব্বাতে গিয়ে মিশে যায়

ক্রমশঃ গড়ে উঠেছে বসত দ্বীপেই

কোথায় কাব্বা, যাকে ঘিরে ঘুরছে, অনেকেই জানে না
অথচ ভালোবেসে
অনেকের নামাজ হয়ে যায়
তবে, তুমি কাছে নেই বলে, প্রেম হবে না!
আমরা দাঁড়াই না? ওহ্ ডিয়ার...

ওহ্ শ্বেত চাঁদ,
ওহ্ শিশির ভেজা রাত

.
তৃণ ভিজে আছে বদ্বীপে, ওই তো সাগরেরই মাঝে
.

জেগেই আছে দিনরাত,
সাথে বার্তালাপ

এসো, দেখো, তরঙ্গে-র প্রসার
শ্বেত নির্যাসে ভিজে যাচ্ছে, পার কিনারা!
অতঃপর দ্বীপে মিশে যাচ্ছে
শ্বেত-স্বেদ যত শুষে
তুমিও এস, ভালবেসে, ওই শংসিতপথই হোক ঠিকানা

যে পথ কাব্বাতে গিয়ে মিশে যায়@মণি জুয়েল

Tuesday, 16 November 2021

#ব্যাখ্যা_করার যোগ্যতা অর্জন করি নি, যা বুঝেছি তা লিখলাম মাত্র

#ব্যাখ্যা_করার যোগ্যতা অর্জন করি নি, যা বুঝেছি তা লিখলাম মাত্র

হ্যাইয়া আলাল ফলা" আযান দিলো। আমি তখন পথে বাইক চালাচ্ছি। কিছু কিছু আযান শুনতে খুব ভাল্লাগে। শুনলাম। মনে মনে কিছু কথা জন্মালো। সেই কথাগুলো লিখছি। আমি লিখছি আমি যেমন বুঝেছি সেই মোতাবেক। আমার থেকে যারা বেশি বোঝেন তারা দরকারে পরামর্শ দিতেই পারেন। তবে নিজেকে অযথা পণ্ডিত মনে করে আলাফল না বলার অনুরোধ করে রাখছি।

হাইয়া আল ফালাহ অর্থ হলো সাফল্যের দিকে মুখ ফেরাও কিম্বা সাফল্যের চিন্তা করো এরকম। কিন্তু মুসলামান দের মধ্যে সাফল্য তেমন দেখি না আমাদের দেশে। আজকাল কিছু পয়সাওয়ালা পরিবারের ছেলে মেয়েরা কিছু উন্নতি ঘটালেও মুসলমান জনগোষ্ঠী হিসেবে মুসলমানদের উল্লেখযোগ্য সাফল্য আমি দেখতে পাই না।  ইসলামের আল্লাহ দিক দেখাচ্ছেন- রব্বানা আতয়ানা ফি দুনিয়া..."তে যে তোমরা পৃথিবীর মুক্তি কামনা করো আগে। তাই আমি পৃথিবীর কথা নিয়েই কথা বলছি। আখেরাত বিষয় নিয়ে এখানে কিছুই বলছি না।

তাঁরা দিনে ৩ থেকে ৫বার নামায পড়েন। আলহামদুলি্লাহ সূরা পড়েন। যে আলহামদুলিল্লাহ সূরা সাফল্যের পথ সন্ধানের জন্যে মস্তিষ্ককে প্রস্তুত করার দুআ। কিন্তু কই সাফল্য? নেই। না থাকার কারণ হিসেবেই আমি কোরআনের ৫৯ নম্বর সূরা আল হাশর এর ১-১০ আয়াত পড়ে আমি যা বুঝেছি যেমন বুঝেছি তা খুবই সংক্ষেপে আমার মতো করে কিছু কথা বলছি মাত্র। আরো অন্য সুরার অন্য আয়াত নিয়েও বলা যেতে পারে। কিন্তু সেদিকে যাচ্ছি না।

তার আগে একটু বলে রাখি। আমি যা বুঝেছি তাতে কাফের বলা যায় তাদেরকে যারা নিজের ফুটো বিদ্যার অহমিকার কারণে জ্ঞানগত উন্নত চিন্তাকে উপেক্ষা করে বা পাত্তা দিতে না চেয়ে দমন করতে আপ্রাণ প্রয়াসী, যারা নিজেদের গড়া শোষণের বাজার ধরে রাখতে চায়, প্রতারণা করে। মোনাফেক অর্থ যা বুঝেছি তা হলো - যারা প্রচলিত বাজার ধরেও থাকে আবার নতুন উদ্ভাসের দিকেও তলে তলে তাকিয়ে থাকে। মানে বাইপোলার। এটা একটা মানসিক অসুস্থ অবস্থানও। যখন যেদিকে পাল্লা ভারী সেদিকে তারা।

তো এমনই শিক্ষিত(কেতাবধারী)দের কথা উল্লেখ করেই  বলা হয়েছে যে, নিজেদের গাধামো যুক্ত অতিপাণ্ডিত্যের কারণেই কিছু জনগোষ্ঠী পতিত হয়েছে অতীতে, তাদের ধারণার বাইরের আরও উন্নত শক্তির দ্বারা। শুধু বাইরের দ্বারাই না, তারা নিজেরাও নিজেদের ধ্বংস ঘটিয়েছিলো নিজদের কর্মের মাধ্যমে। এরকম দৃষ্টান্ত দিয়ে, তখনকার একটা ঘটনা তুলে ধরে, ইসলামের নবী চক্ষুষ্মান মানুষদের সতর্ক করে দিচ্ছেন যাতে এমন ভুল তারা না করে। সাথে সাথে আরও কথা যোগ করে বলা হচ্ছে যদি তারা অবস্থাচ্যূত নাও হতো তাহলেও তারা মুক্ত সুস্থ জীবন যাপন করতে পারতো না। কারণ তাদের অবস্থান ছিলো আরো উন্নত চিন্তার বিপরীতে।

এটা গেলো চিন্তা চেতনার দিকে। এবার আসি অর্থনৈতিক সামাজিক রাজনৈতিক দিকে। সেখানে সেই সময়ের ঘটনা উল্লেখ করে বলা হচ্ছে - সম্পদ অর্জন করে শুধু নিজের আখের গোছালে হবে না। প্রতিষ্ঠানের সম্পদ শুধু ধনবান দের হাতেই ঘোরাঘুরি করলে শান্তি আসতেই পারে না। সম্পদের সুষম বণ্টন দরকার, সেই ব্যবস্থার সমস্ত শ্রেণীর হাতে। সেখানে আল্লাহ মানা করছেন সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখতে। কাকে? শুধু ব্যক্তি মানুষকে মান করছেন না, রাষ্ট্রকে বলছেন। বলছেন - সম্পদের বণ্টন করে দিতে সমস্ত শ্রেণীর মানুষের মধ্যে। শুধু সেই ব্যবস্থার অংশীদার মানুষদের মধ্যেই না, তাদের মধ্যেও যারা ওই ব্যবস্থার মধ্যে অবস্থান করছেন তাদের সবার মধ্যে।

সাথে সাথে বলা হচ্ছে - অন্যের নিতান্ত প্রয়োজনের জন্য দরকারে নিজেকে আন্তরিকভাবে ভালোবেসে ত্যাগী হতে।

সূরায় বলা হচ্ছে এরাই সফল।।। এরা মানে শুধু individual না, সমষ্টি।।।

দ্রঃ সুরার ঘটনাগুলো আপনারা নিজেরা পড়ে নেবেন। আমি পড়ে যা বুঝেছি, যেমন বুঝেছি তেমন লিখলাম, ঘটনা উল্লখে না করে। জ্ঞানত কোনো প্রকার বিকৃতি ঘটাই নি, ঘটে থাকলে যে কেউই আমাকে সুপরামর্শ দিতে পারবেন সংশোধন করে নিতে। আরও বলে রাখি- পড়তে গিয়ে বুঝতে গিয়ে লিখতে গিয়ে কোনো প্রকার পূর্ব ধারণাকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই নি।

Monday, 15 November 2021

জেগে উঠবো, তুমি এসে ছুঁয়ে দিলেই

জেগে উঠবো, তুমি এসে ছুঁয়ে দিলেই

বিপরীতের ছোঁয়া পেলে ভালোবেসে বিপরীতে মুক্তা ফলে
কিন্তু আমাদের তো....

তুমি ছুঁয়েছো কি আমাকে

কই
আমি তো মনে করতে পারছি-না, তোমার পরশ
যদিও, তবুও, কিন্তু, আমার নিঃশ্বাসে...

আহ্ আমি কি...
আমি কি কল্পাসক্ত হয়ে পড়ছি?

.
যদি না তবে তোমার দুবাহুর সঞ্চিত ঘ্রাণ এখানে কেন?
.

কেন আমি শীতেও ঘেমে যাচ্ছি
তবে আমি কি...

ও হৃদয় আমার, তুমি ভাল আছো কি?
দখল হয়ে যাচ্ছে, সদর্পে, সব আঃ হৃদয়ের নিষ্কাশ!
ওহো..

দেখ, দেখ দেখ আমাকে

চোখ জেগে আছে
চোখে ভাসছে তোমার দুই পা, নীল নেল-পলিশ উঠে গেছে।

আমি বেঁচে আছি, আমি বেঁচে আছি @মণি জুয়েল

Friday, 12 November 2021

প্রশংসিত-পথ বেয়ে মিলনের মধ্য দিয়ে

প্রশংসিত-পথ বেয়ে মিলনের মধ্য দিয়ে

আমাকে পুঁতে দিতে চাও, তো দাও, পুঁতে দাও-
জেগে উঠি,
আবারও, জন্ম নিই
বিধ্বংসী জলোচ্ছ্বাসে, ডুবিয়ে দাও
আবারও আমরা জন্ম নিই-

ভেসে থেকে,
নৌকা হতে পাহাড়ে

বীজ বপন হতেই থাকুক, হতেই থাকবে

ধ্বংসের অন্দরে-ও
জ্যান্ত থেকে

নাও এসো, বীজ পুঁতে দিই।
দাবোচ্ছ্বাসের উত্তাপে জ্বালিয়ে দাও
আবারও; জন্ম নিই।
জেগে উঠি।
উঠেছি বলেই তো সবুজ এ পৃথিবী; দেখে নাও

এভাবেই একদিন সবুজ ও সম্পূর্ণ হবে@মণি জুয়েল

Thursday, 11 November 2021

সদৃপ্তে দাঁড়িয়ে মাথা তোলার আগেই...

দেখছি, 1600 যখন থেকে, মডার্ণওয়াচে

রক্তে ঘেমে, কাঁপুনিতে নেয়ে, এখন জাঢ় পড়ে গেলো
উত্তরের হাওয়াই
কিন্তু ওই উত্তরের মুক্তি?
না নাহ্ কোনো সম্ভাবনাও তো দেখছি না
শিঘ্র নেইও, তেমন সম্ভাবনা

ঠিক এভাবেই
বর্তমান, কেটে যাচ্ছে
.

তার সাক্ষী হয়েই, ইতিহাসও; দাঁড়িয়ে আছে
.

বর্তমানে বেঁচে আছে,
বর্তমান-ই নেই

সমাপ্তি-হীন যদিও সম্ভাবনা
ঐতিহ্যের কচ্কচানি জন্মাতেই দিচ্ছে না
স্থবির সব, প্রাক উত্থানে
প্রাক জামানা-তে
প্রাকদুপুরে তাও দিলেও মধ্য ছুঁতে না ছুঁতেই.. ফুরালো

সদৃপ্তে দাঁড়িয়ে মাথা তোলার আগেই...@মণি জুয়েল

আপনি বই হলে প্রত্যুষ ডেকে আনতে পারি

আপনি বই হলে প্রত্যুষ ডেকে আনতে পারি

নিজেকে ভালো পাঠক মনে করলেও আসলে তা নই
যদি হতাম
আপনাকে পড়ে নিতাম
আসলে, এতো আড়াল, আপনার সীমান্তে
অন্তঃস্থ যে ছুঁবো সম্ভব হচ্ছে না

আপনার অধরষ্ঠ
আমাকে বাইরেই রাখছে

.
বাইরেই আছি, এভাবেই বেলা বিকেলে দিকে
.

ক্রমশঃ সাঁঝ টের পাচ্ছি
উন্মুক্ত খোপাতে

খোপা বেয়ে ঝরে পড়ছে- ক্ষপা
সূর্যের মতোন আমাকে ডুবিয়ে দিয়ে অস্তে
আর কি ভেতরে যাবো?
যদি বলেন...
তবে ওই দুই পাহাড়ের দেশে উঁকি দিতেই পারি অথই

পারি হামাগুড়ির ভরে নেমে যেতে সাগরে@মণি জুয়েল

Tuesday, 9 November 2021

ভিজুক মাটি কাল কেয়ামত ডেকে

ইচ্ছে করে এক রাত দিন করে দিতে

ইচ্ছে তো করে তোমার মূল দরজায় গিয়ে দাঁড়াতে
অভ্যন্তরে যেতে
যেতে ডোরবেল বাজাতে
আমার আঙুল তোমাকে তুলে আনুক
দ্বার খুলে, ভেতরে নিয়ে যাও

অতঃপর
অ্যাথিত্যে মাছের পেটি...

.
তার ঝাঁঝালো ঘ্রাণ আমাকে খিদে জানাক
.

অভ্যন্তরে যেতেই থাকি
অপরাপর

নিয়ে দেখাও, দক্ষিণের দিক
আঁন্ধারে, অরণ্য আমাকে ঢেকে নিক
মাঝখান দিয়ে চলে যাই
জলে পুড়ে যাই
ঝড়ে পড়ুক জন আন্দোলন, এপার থেকে ওপ্রান্তে

ভিজুক মাটি কাল কেয়ামত ডেকে@মণি জুয়েল

ইচ্ছে করে একটা রাত দিন করে আসতে

ইচ্ছে করে একটা রাত দিন করে আসতে

ইচ্ছে তো করেই তোমার মূলদরজায় গিয়ে দাঁড়াই
ভেতরে যাই
যেতে বেল বাজাই
আমার আঙুল তোমাকে তুলে আনুক
দরজা মেলে দিতে দুই দিকে

অতঃপর
অ্যাথিত্যে মাছের পেটি...


.
তার ঝাঁঝালো সু-ঘ্রাণে আমাকে তৃপ্তি দিক
.

অভ্যন্তরে যেতেই থাকি
অপরাপর

নিয়ে দেখাও, দক্ষিণের দিক
ওই কুঞ্জবন, আমায় আচ্ছাদনে নিক
মধ্য পথে হেঁটে যাই
ভেতরে যাই
ঝরে পড়ুক তোমার ব্যথা, যেমন শিশির ঝরে যায়

মাটি ভিজে, রজণীর কুয়াশায়@মণি জুয়েল

Thursday, 4 November 2021

তৃণঠোঁটে পায়রা খোঁজ দেবেই বসতের

তৃণঠোঁটে পায়রা খোঁজ দেবেই বসতের

চুলো থেকে নদী বেরিয়ে আসুক, এসে যাক প্লাবন
জোড়ায় জোড়ায়
উঠে পড়ি বিশাল নৌকায়
পঞ্জিভূত হয়ে গেছে অযুত পরিত্যাজ্য
এখানে এখন দীর্ঘ হয়েছে রাত

আর সইছে না
ধ্বংস হলে হয়েই যাক

.
এসো, আমরা একান্যে নৌকায় উঠে পড়ি
.

সেই নৌকা ভেসে যাক
আর সইছে না

ক্রমশঃ ক্রমশঃ লম্বা হচ্ছে রাত
গেরুয়া রঙে সাঁঝ এসে, সবই বিভাজ্য
হয়েছে। দিবসের সীমানায়।
আধুনিক আবছায়
সময় হয়েছে, নূতন, জীবনের জন্য জলমান ভ্রমণ

মরা খেকো কাউআ'রা চলে গেলে যাক@মণি জুয়েল