আমি ঠিক মাঝখান দিয়েই হেঁটে চলে যেতে চাইছি
ডানে ও বামে,
এদিকে এবং সেদিকে-
সুবিস্তৃত পথ, ছাড়িয়ে আছে, দুদিকে।
কিন্তু আমি; সরলপথ খুঁজছি
সে-ই তো পথ
যে পথ শেষে সাফল্য
.
সে'ই পথ, যে পথে অন্ত: হৃদ ও প্রশংসিত
.
যে পথে, প্রেম প্রাবল্য,
সে-ই তো পথ।
ক্রমশঃ ক্রমশঃ এগিয়ে যাচ্ছি
নিজে নিজেকে চুম্বক টানছে দুদিকে।
বিপরীতও মনে হচ্ছে!
দ্বন্দ্বের ঘর্ষণে!
আমি তার মাঝখান দিয়েই হেঁটে চলে যেতে চাইছি
যে পথে অন্ত: হৃদ ও প্রশংসিত@মণি জুয়েল
যে অরণ্যে ঠোঁট রাখেনি, জিভের সাহায্যে মোহনায় তুফান তোলে নি, সে কী জানে বাঁশি বাজানো!
যে গিটার প্লেয়ার বিকেলের নদীতে আঙুল প্লে করে নি, সে কিই জানে....
ওহ্ দোতারা আমার, একতারা, ও... ভায়োলিন
এসো এসো, এসো, দুপুর এখন
আমাকে চানে যেতে হবে, দেখো তো ওখানে কি প্রপাত ঝরছে?@মণি জুয়েল
এখন মাঝরাত, আমি জানি তুমি এখনও ঘুমওনি
আকাশে চাঁদ
ঘন অরণ্যে শিশিরপাত
খুব ইচ্ছে করছে খুব মধ্যমায় ধ্বনি তুলতে
ভিজতে ভিজতে এ রাত জাগতে
তোমাকে জাগাতে
নিবিড়তায় তুফান তুলতে
.
অতঃপর এ গহীন রাত ভোর হয়ে যাক
.
তুমি কি চাইবে, জাগাতে
সুরে ভেসে যেতে?
আমি; প্লাবন চাই, চাই ভাসতে
আমি চাই আমার মধ্যমায় অন্ত: কাঁপাতে
কেটে যাক প্লাবনের রাত
ওহ্ শ্বেত চাঁদ
এখন মাঝরাত, আমি জানি তুমি এখনও ঘুমওনি
খুলে দাও এসো ঘন আবরণ, জাগি@মণি জুয়েল
আমার এখানে রাত আজ ভীষণ রকমের নীল
শ্যামের মতন!
হুমম..., হ্যাঁ বলা যায়
কিন্তু, আমি; চাঁদের কথা বলছি
আমি রজনীর কথা বলছি
বিভক্ত চাঁদ
দুভাগে ভাগ হয়েছে
.
ভিজে যাচ্ছে রাত; জোছনায় চুবে গেছে
.
শিশিরে ডুবে গেছে-
মধ্যমার ডগা'
আমি রজনীর কথা বলছি
আমি বিভক্তচাঁদের কথা বলছি
আঙ্গুলের নির্দেশিকায়
প্রেমিক যেমন...
কিম্বা বর্গীয়-জ'র সাধক পথিক আহল্-এ-দিল
যখন ডেকে আনে মধ্যমায় বাঁশীর প্লাবন@মণি জুয়েল
তোমাকে দেখছি, সারারাত ধরে, দাঁড়িয়ে আছি
দুলে দুলে উঠছি
সারারাত জেগেই আছে
খাড়া মিনারের ডগায় আলো জ্বলছে
লম্বা বাঁশ গাছটা ভিজে গেছে
উপরে উঠছি
আবারও নিচে নামছি
.
সারারাত এভাবেই তোমাকেই দেখছি
.
চোখ-দুটি বন্ধ করছি
তোমাকে ভাবছি
জানিনা কতটা সম্ভাবনা আছে
খাড়া মিনারের ডগায় আলো জ্বলছে
আমাকে জাগিয়ে রেখেছে
তৃষ্ণা ধরে রেখেছে
ঝরে পড়ছে শিশির প্রণাগ্র বেয়ে, দাড়িয়ে আছি...
তখনও যখন তোমার ওদিকে ভোর@মণি জুয়েল
তোমার লাল ব্লাউজ আমাকে বিপ্লবের পথে নিয়ে যায়
আমি হাঁটি
আমি হামাগুড়ি দিই
হামাগুড়ি দিই অধরা দ্যু উচ্চ পর্বতে
জানি- দূর্গম, কিন্তু অগম না!
আর তাই
প্রথমেই নিচে যাই
.
ঘুরে বেড়াই, সীমানাহীন গহীন অরণ্যে
.
আরও নেমে যাই
কিনারায়।
জলে নামি খুঁজতে প্রাণঝর্না
নিবিড় তৃষ্ণায় তুলে ধরে দুই তালুতে
অতঃপর নেমে যাই
সাঁতার দিই
তোমার লাল ব্লাউজ আমাকে বিপ্লবের পথে নিয়ে যায়
জানি, একদিন শিখরে উঠবো, বিপ্লব তখনই@মণি জুয়েল
তোমার লাল ব্লাউজ আমাকে বিপ্লবী করে তোলে
জেগে উঠি
আলোড়ন শুরু হয়
রক্তিম হৃদয় কাঁপতে থাকে আতৃষ
ইচ্ছে করে- আমূল বদলের
দু মুঠো চেপে ধরি
আমি, ভীষণ উত্তপ্ত হই
.
ইচ্ছে করে শব্দে পৃথিবী জাগিয়ে দিই
.
আমি, ভীষণ উতপ্ত হই
এগিয়ে যেতে চাই
খিদে মিটে যাক, ক্ষুধার্তের!
তুমি চাও না? ভিজুক, ধানের শীষ
যেখানে জীবন বিস্ময়
প্রাণের উঁকি
আমি দেখি তোমার ওই লালব্লাউজে, ঢেউ তোলে!
যে ঢেউ সুতীব্র সংগ্রামী করে তোলে@মণি জুয়েল
যখন তুমি আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরতে চাও
আহবান জানাও
যখন বলো উপরে যেতে
আমি নেমে যাই, আমি মিশতে চাই
সরল পথে, এগোতেই থাকি...
সেই পথে, যে পথে
সংশিতপ্রেমী হেঁটে গেছে
.
ক্রমশঃ আঁধার গ্রাস করে, হারিয়ে যাই
হাঁটি, যেমন সূর্য হেঁটেছে
পুড়ে যেতে যেতে!
.
কর্দমাক্ত অরণ্যে-র ওই পথ,
অনন্ত-পিচ্ছিল তবুও এগিয়েই যাই
অদ্রিৃঙ্গে উঠে দ্যু'দেশ ছুঁতে,
জিহ্বার সাহায্য নিই!
সূর্য জেগে ওঠে, তুমি নদীর মতোই বয়ে যাও
তখন গাঙ্গেয় বদ্বীপে নৌকা দুলতে থাকে@মণি জুয়েল
তখন নদীতে ছোট ছোট নৌকাগুলো ভাসছিলো
বন্ধুকে বললাম-
এগুলো কি ডিঙি নৌকা?
জানো, যেন তোমার জুতো দেখছি
যেমন তুমি হেলে দুলে হাঁটো
তোমার জুতোও।
মনে পড়ছিলো পা দুটো
.
কই, ভুলে উঠতে পারি নি তো কিছুই!
.
অতঃপর বৃষ্টিতে মন্দিরে...
কিন্তু সেখানেও
ঝোলা আছে প্রণামি কৌটো
ভক্তরা প্রণত হচ্ছে, আমি দেখছি...
আমি দেখছি - লালজবা।
আমিও নত হলাম
না ওখানে না এখানে যেখানে তুমি রেখেছিলে।
তোমার পা দুটো@মণি জুয়েল
ও...দুপুর আমার, এত কথা কোত্থেকে থেকে আসছে
অথচ শব্দই নেই
শব্দের অযুত কোলাহলে!
আমি জানি_না- এখন সে কি করছে
হয়তো স্নান কিম্বা রান্না করছে
হয়তো রোদ উঠেছে
কাপড়গুলো, মেলে দিচ্ছে
.
তার নাকের ভাঁজে নিশ্চয় বিরক্তির ঝলমল
.
হয়তো দুবাহু দেখা যাচ্ছে
শাড়ির পৌঢ়িয় ধাঁচে
আমি জানি না - সে কি করছে
আমার ইচ্ছে করছে খুব ইচ্ছে করছে
দুপার স্রোতে উজান উঠি
বাঁশিতে ঠোঁট রাখি
অতপর চান করি, যেখানে ভূদেহ চিরে প্রপাত ঝরছে
অথচ শব্দই নেই@মণি জুয়েল
প্রেম হৃদয়ে অনেক আছে, তোমায় দেখাবো কেন
আমি জানি
বন্যা এলে নতুন মাটির পলি পড়ে
জমিও ঊর্বরা হয়
কিন্তু অনে..ক অশান্তিও
.
এ তুমি খুব ভালোই জানো
.
তুমি তোমার ঘর ভাঙতে
দেবে না। বরং যাও
আঙুল ডোবাও, বসো নদী পাড়ে
নদীর জলে
আঙুল ডুবিয়ে বসে থাকো, সেচের ব্যবস্থা করো।
নদী ঠিকই সাগরে গিয়ে মেশে, নামে কিম্বা নাম বদলে।@মণি জুয়েল
আসলে প্রেমের কবিতা লিখতে ভুলেই গেছি।
কিন্তু, তুমি!
তোমার নিবিড় গন্ধ,
তোমার ওই কচি জামাপাতা ঠোঁট,
হৃদয় দোলান উচ্চ-দ্যু-অঙ্গ...
.
প্রাণের খোঁজ দেয়
পেয়ে যাই, নদীর উৎস
ভুদেহ চেরা সে জলে আমি জেগে উঠি!
আমি নিষ্পলকে দেখি
পয়স্বিনী বয়ে যায়...
.
ভিজে যায়- আমার প্রত্যঙ্গ
ক্রমশঃই আমিও, ভিজতেই থাকি...
এ কি ভাবতে পারছো?
তোমার স্রোতে
আর আমি দুপার মাঝে উৎস পথে এগোচ্ছি...
যে অঙ্গ চিরে স্রোতের জন্ম@মণি জুয়েল
দুনিয়ার কত হৃদয় কখন কিভাবে বদলে গেছে
ভেসে গেছে স্রোতে।
অল্প কয় থেকে যায় একাই।
ও..কবর আমার, লাখ্ত্-এ-জিগার,
কিন্তু, আমি তো মনে রেখেছি
.
কতবার বলেওছি
তোমাতে' মিশে যেতে চাই
নাও, এসো, ডোবাও; উত্তরনে ডুবে যাই
জীবন তো ধরেই রেখেছি
পারাবার ভাসাও...
.
দেখ না, কিভাবে ঢেলে দিচ্ছি
জমানো বীর্য-আমার-প্রাণ-সমাহার!
আমি উত্তরণে মরতেই চাই,
লিপ্সার সেই মৃত্যুতে
যে মৃত্যু, জীবনকে অনন্ত জীবনের ডাক দিচ্ছে
যে পথে জীবন বয়ে যাচ্ছে@মণি জুয়েল
তুমি হয়তো ভাবছো আমি তোমার হলাম না
তুমিও না
হয়তো বা তুমি ভাবছো
অন্য কেউ তোমাকে পড়ে নিচ্ছে
ওহ্ শ্বেত-পদ্ম বই আমার
সম্ভবই না,
পড়া, একগামী ছাড়া
.
ঘেঁটে দিতে পারে কিন্তু তোমাকে পড়া?
.
অসম্ভব, প্রেমী ছাড়া
সম্ভবই না।
ওহ্ আমার বিরহের বীণা
এতো সুর কোথা থেকে আসছে?
তুমি কি ভেসে যাচ্ছো?
কেঁদো না...
প্রশংসিত-হৃদয়ের হিজ্ র তুমি কি জানো না?
যে বিরহে দিক বদলে যায়@মণি জুয়েল
তুমি হয়তো ভাবছো- আমি তোমার হলাম না
তুমিও না...
হয়তো এও ভাবছো-
ওপর কে তোমাকে পড়ে নিচ্ছে!
ওহ্ শ্বেত-পদ্ম বই আমার-
সম্ভবই না,
পড়া, একগামী ছাড়া
.
হ্যাঁ ঘাঁটতে পারে, কিন্তু; তোমাকে পড়া?
.
অসম্ভব, প্রেমী ছাড়া
সম্ভবই না।
ওহ্ বিরহের বীণা, আমার
এতো সুর কোথা থেকে আসছে?
হয়তো প্লাবিত হচ্ছো?
জানো না -
রাতের হিজ্-র আর প্রশংসিত হৃদয়ের বেদনা?
যে বিরহে দিক বদলে দিয়ে গেছে সেজদার@মণি জুয়েল
