আঙুল অথবা উস্কাট্টিও পারো বলতে
আমাকে চুল্লিতে নাও চুল্লিতে নাও আর পারছি না
আর পারছি না
একা দাঁড়িয়ে থাকতে
কেনো পারছি না কেনো পাচ্ছি না
আমি চাইছি চলে যেতে
পুড়ে যেতে
অন্তঃস্থ অভ্যন্তরে
.
তুমি বুঝতে পারছো কি আদৌ কি বলছি?
.
যেতে দাও কুহরে
জেনে নিতে
জাহাজ'টা ভেসে যাচ্ছে
আদিম মাস্তুল কি দেখতে পাও না
খাড়া থাকতে থাকতে
না দুলে পার্ছেনা
তুফান উঠেছে সাগরের এখন, এখনো কি উঠবে না!
আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি জাগিয়ে দিতে@মণি জুয়েল
চোখ বুঁজে কাঁদছো তুমি, সেজদায় আমিও
সুনিবিড় কান্না ঢের ভালো, বীর্য স্খলনের চেয়ে
বুকে জড়িয়ে
প্রেমিক-প্রেমিকাকে
একবার ভাবো তো, দেখা হলো কখনও
নিজেদের, নিজেদেরই সাথে
অতঃপর
তুমি; আহ্ আমিও....
.
ভিজে যাচ্ছি অবাধ, অরব ভিজেই যাচ্ছি
.
এই আমি, তুমিও
একাকার
অথবা কল্পনা করেই দেখ না-
ভুলে যেতেই পারিনি, আমরাও, তখনও
সহসাই সেই তোমাকে
চলপথে পেয়ে...
মুছে দিচ্ছি দুই-পা আমার শির্তাজ রুমাল দিয়ে-
ধুয়ে দেওয়া তোমার দুই-পা, দুপুর বিকেলে@মণি জুয়েল
প্রেমিকা কাছে থাকলে
প্রেমিকা কাছে থাকলে তার শরীরের একটা গন্ধ থাকে
কাম থাকে
ওই সু-ঘ্রাণ মেখে
মন ভরে থাকে একটা বিশেষ শান্তিতে
ঠোঁট রাখলে তার যোনিতে
এক স্নিগ্ধতা
একটা কোমলতা থাকে
.
যোনি কেশে, যেমন বহুফসলী জমির অ্যালে
.
একটা কোমলতা থাকে
সিক্ত স্নিগ্ধতা
পাওয়া যায়, হাঁটতে হাঁটতে
খালি'পা জানে যে কোনোদিন হেঁটেছে
ভোরে শিশির মেখে
জেগে উঠে
যারাই প্রবেশ করেছে, শরীর ভেদ করে, একে অন্যেকে
নির্বাণে, নিরোধ খুলে@মণি জুয়েল
শ্বেত্তাপে তারা গলে পড়ে যায়
মাঝে মাঝে খুউব বেশিই ইচ্ছে এসে যায়
ইচ্ছে বাড়ে
বৃন্দাবনের দিকে
কিন্তু, আহ আমার শ্বেত-উদ্যান
তার কোনো রিপ্লাই নেই
হচ্ছে না
একা একা হচ্ছে না
.
চোখ বুঁজে ধ্যান করা যেতেই পারে
.
কিন্তু বাস্তব তো না,
কল্পনা।
সাথে আমি তাকেই চাই
গমনে আগমনে, উত্থানে পতনে
ভূ-জঙ্গএর ওদিকে
অপার পাড়ে
মাঝে মাঝে খুউব বেশিই ইচ্ছে এসে যায়
হাতের মুঠোতে শব হয়ে যায়@মণি জুয়েল
বলা যেতে পারে তোমার সাথে আমার যেমন
একটা দারুণ যোগাযোগ আছে ডানার সাথে চোখের
পক্ষ আছে
পক্ষপাতিত্ব আছে
মাঝামাঝিতে অটল অবস্থানও আছে
তবে ওই নিরপেক্ষতা' না
ধুরন্ধরদের
যাহা আশ্রয়স্থল
.
তবে শুধু মাছি না তো, তুমি ঈশ্বরও আছো
.
অন্ত আবাসস্থল
প্রেমিকদের
চোখের পলক পড়ছে না
উড়তে উড়তে পাখিটি তাকিয়ে আছে
দুডানা মেলে আছে
চোখ আছে
পক্ষে আছে বিপক্ষে আছে নিরপেক্ষতা আছে, দৃষ্টির-
সীমারেখা আঁটকেই আছে একটা বিন্দুতে@মণি জুয়েল
ওখানে ওখানে
আমার কবর হোক তোমার দেহের সীমান্ত দেশে
তোমার শরীর
বিশাল তোমার শরীর
নদ, নদী, বাহির হউক কবর থেকে
ঢেকে থাকুক কবর, ঘাসে
পর্দায়
সোহাগে সেজদায়
.
খুব গোপনে রাখো, আমিও থেকে যাই
.
সোহাগে সেজদায়
পর্দায়
শ্বাস ভেসে যাক আকাশে
প্রাণ খুঁজে নিক সাগর বদ্বীপ থেকে
ওই তো সভ্যতার তীর
তোমার শরীর
প্রাক্কালে আমি ঘুরতেই থাকি, তোমারই চারপাশে
যেমন ক্বাবাতে@মণি জুয়েল
শরীর তো একটাই; অথচ কত...
তৃণ আচ্ছাদিত সে-তার কেন্দ্রে মধ্যমা ভিজিয়ে
সুর তুলি
আর অবাক হই
কত রূপ' অথচ শরীর একটাই
দুলে ওঠে তবলা, বায়া
তালুতে নিই
বিস্ময়ে ডুবে যাই
.
অতঃপর বাঁশিকে ঠোঁটে নিতে শুইয়ে দিই
.
আমি, নেমে যাই
কদমতলাই
তালু তলে তবলা, আহা...
আমি উঠে যাই, গিটার বাজাই
আ আমি ডুবে যাই
স্রোতে ভিজি
তৃণ আচ্ছাদিত সে-তারই দু পার মাঝখান দিয়ে
আঙুল রেখে সে-তার যোনিতে@মণি জুয়েল
তোমার পালঙ্কের কিনারা থেকে
আমিও চাই, তুমিও আমার বাঁশিটা ঠোঁটে নাও
অথবা এসো
মস্ত্ আমিই বাজাই
তুমি এসো' এসো তুমি এসে যাও
ফানাহ্...ফানাহ্ হয়ে যাই
উন্মুক্ত তুমি
আমিও উন্মুক্ততায়
.
নাহ্ নির্বাণেই শেষ না, পথ আরো বাকী
.
ওই অ-সীম-সীমায়
প্রাণের ভূমি
ভাবো ওতে ওষ্ঠ রেখেছি
আহ্। আমার দু তালুতে তবলাও
খিরণ, ঘষেই যাচ্ছি-
আঙুল-ডগায়
অরণ্যে ঢাকা নদীতে, ঠোঁটে বাইছি, বংশী-নাও
সেখানে থেকে শব্দ বেরোচ্ছে@মণি জুয়েল
আধুনিক যান্ত্রিক আলোতে ঝাপসা
নাহ্ মুক্তি যে ঘটবেই না, এ কথা আমি বলছিই না
তবে ভাঙবে
তত সহজে মুক্তি আসবে না
আপনি হয়তো ভাবছেন গেরুয়া রঙের
সাঁঝের কথা অতঃপর আঁধার
কিন্তু নাহ্
আসলে তা ঠিক নয়
.
গেরুরার আগে একটা লাল ত্রাসাবহ ছিলো
.
সেইখান থেকেই নয়
তার পূর্বে...
যাইহোক এখন বেশ অন্ধকার
প্রায় তিন-শত বছর হতে যাচ্ছে, ইঙ্গের!
সহজে বেরিয়ে আসবে না।
ঝরে পড়বে
তারপর গজাবে সবুজ পাতা। এখন শুধু সম্ভাবনা
কুয়াশায় ঢেকে আছে সব@মণি জুয়েল
খুলে দাও অন্ধেরা দেখুক আদিমতা
আসলে সমস্যা ওটা নয় যে কেউই বুঝছে না
সমস্যা তুমিই
আর তোমার শিক্ষা
তুমি, যেগুলোকে বলো- সংস্কার।
আসলে জানো-না কিছুই
এডিটেড
তুমি নিপাট এডিটেড
.
মদ শেষ হয়ে গেছে জল ঢালতে ঢালতে
.
সফট-ড্রিংক, মল্টেড
প্রহেলিকা
আসলে ওতে নেশাই নেই
কিন্তু আচার বিচার আর সংস্কার
বারবার ভাবিয়ে তোলে
দীর্ঘঅবচেতনে
শোনো, খুলতে না পারলে ঢুকতেই পারবে না
পোশাক-ই তোমার প্রতিবন্ধকতা@মণি জুয়েল
তুমি নারী এ তুমি নিশ্চয়ই বুঝবে
আমার কাওয়ালি শোনা, নেশালু রাতের কসম
ভালোবাসি
তোমাকে ভালোবাসি
এরপরও কি চাইবে প্রমাণ পেতে?
চাইবে জ্বালিয়ে পোড়াতে
নাও জ্বালাও
ভালোলাগে পুড়তে
.
মস্ত্ এ পৃথিবীর নাদুস রমণীয়তার কসম
.
ভালোলাগে পুড়তে
পানিতে ভিজে
চাইলেই পারো ভেজাতে
উত্তাপে। আমি কাঁপি, শীত-রাতে!
আসলে ভালোবাসি
ভেসে যেতে
বন্ধচোখে, তোমার আঁকেবাঁকে, কান্নার মতোন
যে কান্না সুখ দেয় অর্গ্যাজমের@মণি জুয়েল
যে ভাবে পৃথিবী গড়ে উঠেছে
বিদ্যুৎ-এর ভরে বহু রাত হয়ে গেলো মহাশূন্য-
ভ্রমণ হয় নি
আহরণ করে নিতে
এসো আজ উর্দ্ধে আরোহণ করি
উদ্ভাসিত হোক শ্বেতবার্ক
গতির গতিতে
সময়রেখা মিটে যাক
.
মুহুর্ত মিনিট চল্লিশে, এক থেকে সাত
.
উভয়কে-ই ছুঁয়ে যাক
তীব্রানুভূতিতে
আরহ অবরোহ শেষতক
কাম অন' দাও, হতে দাও বিহারী
জলসায়র সাঁতরাতে।
মাঝদ্বীপ ভূমি-
জেগে জেগেই থাক তৃণে, প্রাণে, প্রাণ অরণ্যে
দিনের আলোতে বসত বসুক@মণি জুয়েল
ঘাসের মধ্যে দিয়ে পথ চলে যাচ্ছে
আমি আসলে প্রেমের কবিতা লিখতেই পারি না
সম্ভবই না
তোমাকে উপস্থাপনা
তোমার কচি জাম পাতার মতো ঠোঁট
আমি কিভাবে' উপমিত করি!
পারবো না
আমি পারবো না
.
আমি পারবো না তোমাকে কাব্য রূপান্তরিতে
.
আর সম্ভব-ই না
অন্ত বর্ণনা
মানের পাতা হেন চওড়া পিঠ
শুধু তাই-ই নয়, সমগ্র বঙ্গ জমজমাট-
তোমার শরীর ঘিরে
কল্পনায় না
ঔপন্যাসিক হেন; তাছাড়া আমি কল্পনা পারি না
এ পৃথিবীটাই ঠিক তোমার মতো@মণি জুয়েল
আমাকে অভিযোগ করারই সুযোগ করে দিতে
ও আমাকে মস্ত্-এ-ইসক্ বানিয়ে চুপ হয়ে গেছে
আর আমি বোবা
ঠিক যেমন কবি বা দ্রষ্টা
এ-সব এখানে কেউই বুঝবেন না
কিন্তু অনুভব ঠিকই করবে
গোঙানী
অথবা শীৎকার
.
আমি, আমারই, জীবনের কথা, বলছি
.
যেমনটি সব্বার
কাহিনী
জ্যান্ত ঠিক অনুভব করবে
উচ্চারে আমি বলতে পারি, বা না
উম্মি ভাবতে পারে মৃতরা
কিন্তু আমি বোবা
আমার সম্ভূগে-আর্তনাদ মূক-শব্দে ভেসে যাচ্ছে
ও আমাকে মস্ত্-এ-ইসক্ বানিয়ে চুপ হয়ে গেছে@মণি জুয়েল
অখণ্ড এক অতৃপ্তির আব-হাওয়ায়
মাঝরাত্তিরে মন রোজ বায়না ধরে অপরাজিতার
কোথায় পাই
কোন দিকেই বা যাই
জানালা বেয়ে নেমে আসা আলো
গরম করে তোলে, আরও
কিন্তু পাই না
তবে মন ও আমি চাই
.
শুঁকতে শিশিরভেজা মধ্যরাতের অপরাজিতা
.
আঃ আমি ভিজে যাই...
তবুও পাই না
সাড়া শব্দ পাই_না কারও
আসলে ভেতরে ভেতরে পরাজিত
এদিক ওদিক সবাই
ছুটেই যাচ্ছে
ভোর দেরীই আছে, অথচ তারকাখচিত-অন্ধকার
রাতে ফুলে মৌমাছি দেখি নি আমি@মণি জুয়েল
নদীতে চলে এলাম আঙুল থেকে!
কতো কতো কথা লিখতে বাকীই থেকে গেছে
তোমারামার
সমগ্র এই পৃথিবীর
দিনের রাতের, বর্তমান ইতিহাসের
নর নারীর শরীর মনের
আঃ আঙুল
তিন আঙ্গুলের কথা
.
অতৃপ্তির আঙুল বিকল্পে, নগ্ন-মগ্ন-রাত
.
সুখের নেপথ্যে ব্যথা
আঃ আকুল
নর নারীর মন ও শরীর
যেমন, তোমার ওই প্লাস-সাইজের
ওই ওই ওই নদীটির
স্রোতপারাপার
অথচ নৌকা বেঁধে রেখে নাইয়া হারিয়ে গেছে
অক্ষমতায় অথবা অনান্যস্রোতে@মণি জুয়েল
দ্য এজ্ অব্ ইগনোর ্যন্স এখানেই আছে
অযুত কবিতার গ্রুপের কবি, তাঁহাদের সভা সেমিনার
প্রতিষ্ঠিতদেরও
বিশেষ তালিকাভুক্তদেরও
ফলে, যখন তখনই মঞ্চও কেঁপে উঠছে
আর ছত্রাকের মতো বইমেলা
মাশরুম, বলি?
একটু ভালো শোনাবে
.
বিজ্ঞাপনের ঘাটতি কোথাও দেখছি না, নেই
.
কে যে কাকে দেখবে
কিন্তু কিই বলি
ইস্কুল_কলেজ টিচারও ম্যালা
সিলেবাস পড়ে গলা বেশ কেঁপে উঠছে
দ্রোহে ও স্বার্থসংরক্ষণেও
সামাজিকতাতেও
ওদিকে সমগ্র-সমাজ ক্রমশঃই ভেঙে যাচ্ছে আকসার
একদিন নিশ্চয়ই অভিশাপ বর্ষিত হবে@মণি জুয়েল
নাহ্ আর শব্দে বর্ণে গদ্যে রূপক কবিতায় হচ্ছে না
শরীরেই চাই
তাই শরীর মেলে দিচ্ছি
দু হাত তুলে, নিজেকেই সঁপে দিচ্ছি
আঃ আঃ আল্লাহু-আকবর
জাপটে ধরছি
বুকে দুহাত জড়িয়ে
.
আমাকে ওই পথেই চলে যেতে দাও প্লিজ
.
দুঃ সীমানা ছাড়িয়ে
দাঁড়িয়ে গেছি
শরীরমন আমার একাকার
ক্রম আশ্লেষে ক্রমশঃই হেলে যাচ্ছি
এই শরীর ঢেলে দিচ্ছি
সঙ্গ সেজদায়
আসলে বেরিয়ে আসা দরকার, শিল্প টিল্প কিচ্ছু না
ওরা কেঁদে নেভায়, অশ্ব ছুটতে থাকে প্রভাতে@মণি জুয়েল
যেভাবে আমি দুর্বোধ্য থেকে যেতে চাই
আমি আজকাল নামাজ পড়তে শুরু করেছি
তোমার জন্যে
মনকে শান্তনা দিতে
আপনাকেই 'ট্রেইন্ড' করিয়ে নিতে
মিশবো বলে, তোমাতে
হাত ওঠাই
আলিঙ্গনেও যাই
.
নিছক শব্দ বর্ণেই না, শরীরের কাব্যেও
.
আমি তোমাকেই
রুকুতে চাই
নিবিড়, ভাবতে ভাবতে
ভূদেশে মিশি, সেজদা'য় তোমাতে
অভ্যস্ত করিয়ে নিতে
তোমার জন্যে
আমি আজকাল নামাজ পড়তে শুরু করেছি
তুমি কি আমার কবিতা বুঝতে পারছো?@মণি জুয়েল
হেঁটেই যাচ্ছে জীবন কামে
পুকুরের জলে চারকাঠি'টা ক্রমশঃই লম্বা হচ্ছে
রোদের স্রোতে
পনাদের ভিড় জমেছে
জলের মধ্যস্থে, দাঁড়িয়ে চারকাঠি
বুঝেছো আমি কি বলছি
আঁটকে যাচ্ছি
তোমারই 'বড়শি'-তে
.
ও কাউগার্ল, এ সব তোমারই কারসাজি
.
তোমারই দ্বন্দ্বাঘাতে
এগিয়েই যাচ্ছি
সাইড বাই সাইড। হাঁটছি
মধ্যপথে। তোমার হাতে ওই লাঠি
ক্ষুধার্ত, খিদে পেয়েছে
ক্ষুধার প্রতিপে
একজোড়া লেজিডগ একে অন্যে ছুঁটেই যাচ্ছে
ফেলে আসা ও বর্তমানে@মণি জুয়েল
দেখ শোন জাগ ভূ তব
যদি অনুভব করতে পারো তাহলেই জেনে যাবে
কান্নাই ভালো
বির্য্্যস্খলনের চেয়ে
জিজ্ঞেস কোরো কোন মালাঙ-কে
কিম্বা কোন কবি সাধককে
যে জানে
জীবনের মারেফত
.
কাঁদবো বলে, লিপ্সায়, কতোই ডেকেছি
.
কতই না যাতায়াত
আ-প্রাণে
কিন্তু, কোন সাধক কবিকে
অথবা প্রশংসিত প্রেমিক সুফি-কে
কে পাঠোদ্ধার করেছে
নিষ্কামার্গ্যজমে
দাও তোমাকে পড়ি, তুমিও আমাকে পড়ে নেবে
শরীরই সব শরীরই শব@মণি জুয়েল
একখণ্ড কেওস ভারতবর্ষীয়
এখন বেশ ভালো রকমেরই রাত, দেশজুড়ে...
গেরুয়া সাঁঝে
একটা হওয়া ছিলো
ফলে কাঁপুনি। সভ্য'রাই কাঁপছে
পোশাকহীন, সংখ্যা-গুরু
কুকুর পথে
বেশ জোর ডাকছে
.
ভাবছি আলো নিভিয়ে শোবো, কিন্তু...
.
মশা, বেশ ডাকছে
বিরক্তি-ধুষ
আর সভ্যরা, ভীষণ ভীরু
ফলে কাঁপুনি। তাই জ্বলে আছে
কিন্তু শিক্ষিতরা জানি
কৃত্রিম বাল্বে
গ্রীষ্মে গরম লাগে, কিন্তু কখন কুয়াশা ফুঁড়ে...
সূর্যই তো হেরে যায় হামেশাই@মণি জুয়েল
যৌবনের প্রাক্কাল থেকেই যাতা পছন্দ করি
হাতিও করি
এবং অবশ্যই অশ্ব
বহুদিন যাতা দেখতেই পাচ্ছি না
যদি বলো নির্মাণ করবো
বসে আছি
এসো তুমিও বসো
.
অতঃপর মন্সিজ, যন্ত্র ঘুরিয়েই যাক
.
উর্ধ্বে তুমি থাকো
নিম্নে থাকি
যদি বলো ভেঙ্গেও দেবো
সাদা_জীবনী উপচে দিয়ে পারে
নিজেরাও ক্ষয় হবো
হ্যাঁ হ্যাঁ পারি
যৌবনের প্রাক্কাল থেকেই যাতা পছন্দ করি
যন্ত্র, যান্ত্রিকতার বাইরে@মণি জুয়েল
কিন্তু খোদা তো, কারো একজনের না
কিছুই বলতে পারছি না, আঃ কিছুই না, কিচ্ছুই না
তোমাদের জন্যে
নারী স্বাধীনতার জন্যে
নারীত্বএর স্বাবলম্বী হওয়ার জন্যে
কিন্তু, পাশের ছেলেটি কে
নাহ্ পারছি না
এ সহ্য সম্ভব হচ্ছে না
.
তুমি কি ক্লান্ত হও না, শরীর যায় না ঘেমে?
.
তুমি কি হাই তোল না?
আমি পারছি না -
তোমারই ঘ্রাণে, অন্যে কে-
ভিজছে তোমার আলিঙ্গন অরণ্যে
নিবন্ত তোমারই অঙ্গনে
ও কি তার জন্যে?
কিন্তু আমি জিজ্ঞেস করতেও পারছি না, পাচ্ছি না
সে তা শুনতে পাচ্ছে না বলে শুনছে না@মণি জুয়েল
ঠিক মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে থেকে
হরিণের মতোই ছুটে চলেছো, আমিও মোটামুটি...
জানি তো
বিফল লম্ফঝম্প
আসলে, এভাবে, বেশি যাওয়া যায় না
পেছনেই বহাল যখন লক্ষ্য
যেতে পারি না
বারবার'ই ধরা পড়ি
.
আমি চাইলেই ত হিংস্র হয়ে যেতে পারি না
.
বারবার'ই ধরা পড়ি
থাকতে পাই না
হ্যাঁ গো, তুমি, ধরা পড়েছো?
আসলে পিছনে তো হিংস্রতা ছুটছে না
একে কি-ই বলবো!
জানি.. না
সম্ভবত মানুষেরই মতো, হয়তো বাঁচ্ছি মোটামুটি
একে অন্যের পিছে, অদৃশ্যে@মণি জুয়েল
পাড়বাঁধানো পুকুর এখন আছে?
চাইলেই সব দৃশ্য ভুলে যেতে পারি না, তোমার
এই যেমন
ঘাসে ভরা পৃথিবী
শিশিরে শিশিরে, ভিজে উঠেছে
আর তার সু-লিপ্সু ঘ্রাণ
পারবে
এ সব ভোলা যায়?
বের হয়ে বয়ে যাচ্ছে নদী উৎস চিরে..
আঙুল, বিলি কাটছে গড়ানো স্রোতে...
ডুবছে সূর্য সন্ধ্যায়।
পারবে?
পারবে কি ভুলতে হ্রেষা
ওই ঘোড়াটির, তীরে ছুটে গেছে
ঘাস বাঁধানো তীর
স্বর্গ যেমন
চাইলেই কি ভুলতে পারি গাঢ় উচ্চারণ তোমার!
যে শব্দ শ্বাসে, যে শব্দ বাতাসে@মণি জুয়েল
এখন প্রাককাল
আসর হয়ে গেলো আযানের সুর ভেসে আসছে
আমি শুনছি
শুয়েও জেগে আছি
সূর্যটা ক্রমশঃ ক্রমশঃ নিচের দিকে
এভাবেই সে অস্তে যাবে
প্রাক মুহুর্ত,
স্খলন ঘটে গেলেই...
.
সঞ্চিত যত উত্তাপ ঝরে পড়ে গেলেই
.
স্খলন ঘটে গেলেই...
যেমন মৃত্যু
এভাবেই সব অস্ত যাবে
বয়ে গিয়ে, কাল-কেয়ামতের দিকে...
সেই অপেক্ষা করছি
প্রস্তুতও হচ্ছি
ঘটে যাক বিপ্লব; সময় ক্রমশঃই ঘনিয়ে আসছে
গেরুয়াসাঁঝ কেটে গেলে রাতও কেটে যাবে @মণি জুয়েল
কোথাও আঁধার নেই, আলোই সব আঁধারের কারণ
আমি আছি
এসো তুমিও এসো
খুলে দাও অন্তঃ আর যতো আবরণ
এখানে কোন ভেদাভেদ নেই
উন্মুক্তি শুধু
শুধুই যেমন তেমন
.
তুমি কি পারবে না, সব খুলে ফেলে দিতে?
.
পোশাকের মতোন
বিভান্তি শুধু
আলো তার বেশি নয় কিছু'ই
বিশ্বাস না হলে, গিয়ে বসো, আঁধারে
আমার কাছে এসো
জেগে আছি
দেখছি শান্ত পৃথ্বী, চাঁদ থাকুক বা না, নেই বিভাজন
ভেতরে অথবা শরীরে@মণি জুয়েল
ইসস উফ্ আঃ মরে যাই...
ইচ্ছে করে অনন্তকাল তোমার চোখে তাকিয়ে থাকি
গ্লাসের আড়ালে
ওই দু-নহর ভেসে থাক
দেখি দেখি দেখি আর মাতাল হয়ে উঠি
আমার প্রত্যঙ্গও' দুলে উঠুক
হাঁটতে থাকি
শিশির ভেজা ঘাসে
.
শিশির ভেজা ঘাসের মধ্যে দিয়ে, মেঠো পথে
.
শিশির ভেজা ঘাসে
মুখ ভেজাই
ওখান থেকে নদী বের হোক
ভিজি, ভিজতে ভিজতে নৌকা-তে উঠি
দুপার মাঝে ভেসে যাই।
তোমার শরীরে
জেগে উঠুক আতৃষ প্রাণের উচ্চারণ, শুনতেই থাকি
নিবিড়তার গভীর শীৎকার@মণি জুয়েল
কখন আসবে জানি না
রাত এসে গেছে অনেকক্ষন, আমি শুয়ে পড়েছি
কই শীত?
আমার লাগছে না
এবার চাঁদ আসবে, উপরে উঠে বসবে
আমার এই ঠোঁটের উপরে
দ্বিখণ্ডিত চাঁদ
শীত_ভেজা শ্বেত-চাঁদ
.
যুদ্ধাশ্বের মতো আমি পান করবো সারারাত
.
পান করবো সারারাত
বি-গলিত চাঁদ
দুই পার, দুই মুঠোয়, ধরে
দুলে_উঠবে চাঁদ; উঠবে, নেবেও যাবে
রজঃনী শেষ হলে
ভিজে গিয়ে
রাত এসে গেছে অনেকক্ষন, আমি শুয়ে পড়েছি
কিন্তু ঘুম, আসছেই না@মণি জুয়েল
তাছাড়া এখানে কে চেনে তাকে
আমার টগবগে লাল হৃদয়, কুক্ষিগত করে রেখে
লোক সমাজে
সেই আমাকেই ডেকে
সে আজ আমায় জিজ্ঞেস করেছে-
কেমন আছো; ভালো তো?
আহ কি বলি
আহ..কি বলি তাকে
.
চুপ থেকে, বাতেন, বাতেনেই রেখে দিই
.
হাঁসি এঁকে অধরাষ্ঠে
চুপ থেকে যাই
ভেতরের কথা বলি কাকে
ভেতরের ভেতরে ক'জনই ঢুকেছে?
গেছে আর এসেছে-
অঙ্গে প্রত্যঙ্গে
তার বেশি কেই বা জেনেছে নিজেকে বা অন্যকে!
আহ্ কি বলি, আর বলি কাকে@মণি জুয়েল
আলোকিত পৃথ্বি শংসিত ওই আলোতে
প্রশংসারা গড়াগড়ি খেতে থাক তোমার পদতলে
আমি আনত হই
আলিঙ্গনে এসো, বুকে-
এসো, সঁপে দিই দুহাত তুলে নিজেকে!
ওহ্ ডিয়ার, ওহ্ মাই লাভ
খোল প্লিজ
প্রশংসার ওই দুয়ার
.
একান্যে মিশে চলতেই থাকি, চলতেই থাকি
.
পথ হোক একাকার
ওহ্ মন্সিজ
ডুবে যাবার যারা ডুবে যাক,
স্খলনেই, হেঁটে গেছে যারা বিচ্যুতি'তে
হাঁটে নি, যারা মধ্য-পথে
তাঁদের আমি নই
এসো, দেখ, আমি দাঁড়িয়েই আছি দ্যু-কদমতলে
বিগলিত চাঁদের জোছনা ঝরে পড়ছে@মণি জুয়েল
সারাদিনে, ব্যস্ততার পরে তোমার শরীরের গলিতে
যে ঘ্রাণ ঝরে
সেই ঘ্রাণের বিন্দুতে
আমাকে বিসর্গ হয়ে যেতে দিও
বিশ্বাস করো
আমি শান্তি খুঁজে পাই
.
তোমার ভেজা লোমশ বগলে যোনিতে
.
আমি প্রাপ্তি পেয়ে যাই
বিশ্বাস করো।
এইভাবেই তোমাকে পেতে দিও
ঠোঁট রাখতে যোনিতে
কেশ ঘাম চেটে
তোমার সান্নিধ্যে আছড়ে পড়তে দিও বদ্বীপ প্রান্তে
আমি সাগর বলছি@মণি জুয়েল
জন্ম লিখি দিচ্ছি, তোমার যোনিতে ঢুকে
দু আঙ্গুলে দরজা দুদিকে ঠেলে দিয়ে ডেকে নিচ্ছো
সেই দৃশ্য
ভুলতে কি পারি
ভুলে যেতে কি পারি- আমার কলমটা-
ঠোঁটে নিয়ে নিমগ্ন তোমাকে
সেই ব্যগ্রতা
সৃজনের সিক্ত উগ্রতা
.
চাইলেই কি ভুলতে পারি, তুমি কি পেরেছো?
.
সেই সব নিবিড় বার্তা,
উদ্দাম লিপ্সা,
পেরেছো আদৌ ভুলে যেতে
আমি ভুলিনি স্ফুরিত তোমার উর্বরতা
তুমিও ভোলো নি
সেই দৃশ্য
দু আঙ্গুলে দরজা দুদিকে ঠেলে দিয়ে ডেকে নিচ্ছো
ছড়ানো খাতার মতো তোমার অভ্যন্তরে@মণি জুয়েল
আমি আছি সেই আঁধারে দাঁড়িয়েই...
তোমাকে পাই না সেই বেদনা বুকে জমে আছে অথৈ
তুমি আছো তো?
আমি ভালো টালো নেই
এখন সন্ধ্যে নামলো, আর সন্ধ্যে নামলে
আমার ঈর্ষা, ভীষণ বেড়ে যায়
সূর্যকে দেখি,
নদীবক্ষে পেয়ে যায় ঠাঁই
.
কিন্তু আমি, কিন্তু তুমি! আহ কোন স্রোতই নেই
.
আমার কোনও নদী নেই
কেবলই তুমি
আর ঠিক তাই জ্বলছি সন্ধ্যায়
মাথা তুলে মাথায় আলো ধরে নগরপথে
এ পথের যেন শেষই নেই
তুমি হয়তো হাঁটছো-
কোন গমনাগমনে, নাকের ডগায় ঘাম জমেছে অথৈ
পথের আলোরা ওতে খেলে যাচ্ছে@মণি জুয়েল
আলো-তৃষ্ণায় কাল হয়ে গেছে বস্তি-দেশ
কাব্য-কবিতা, রূপক, প্রতীকি ইত্যাদিতে হচ্ছেই না
এ আমার তৃষ্ণা
ওসবে তৃষ্ণা মিটবে না
বস্তুকে ছেড়ে দিয়ে, প্রতীক! সম্ভব না
দাঁড়িয়েই আছি আমি, রাতে
ভীষণ আঁধার
কিন্তু, আমার তৃষ্ণা?
.
নিবারণ; প্লাবনের ওই পথে, আত্মোৎসর্গে
.
নিবৃত নিজ লহু'তে
সমস্ত্, অপার-
সোজা পথে, ডুবে যাওয়াতে
ফোঁটায় ফোঁটায়। কিন্তু আলোর ঝর্ণা
বহুদূর.. অবধি দেখছি না
কিন্তু আমার তৃষ্ণা।
নক্ষত্র দিয়ে তৃষ্ণা মেটে! নাহ্, নদীর মতো ন্যাব্য না
ডুবে আছে সভ্যতা, নক্ষত্রদের আঁধারে@মণি জুয়েল
কিন্তু জীবন অনন্ত, ওই দুইয়েরই বিসর্গে
ইসস..., তোমার এই উচ্চার, এতে'ই জীবন সোচ্চার
এই সংকেত
জীবনের, জীবন্তদের
জীবন্ত যতো জীবন সেই সূত্র থেকেই
দিনে রাতে পানি ঝরে যাচ্ছে
জন্ম নিচ্ছে
উষ্ণ মৃত্যুর সাথে সাথে
এই দ্বন্দ্ব সংঘাত, সুখ-শব্দ ওখানে থেকেই
সিক্ত জীবনের সংঘাতে
জন্ম নিচ্ছে
ভূ-দেহ চিরে খাড়া চারা-গাছ
জীবন্ত যতো জীবন সেই সূত্র থেকেই
অশ্লীলতায় যা শীৎকার
ও-ই সংকেত
আহহ...জান, আমার তোমার সুলিপ্সু মৃত্যু-সমাহার
কতো খড়কুটো উড়ে গেছে পুড়ে গেছে@মণি জুয়েল
সাগরের শ্বেত-অশ্লীলতায়
আমি খসরুর মতো, আঙুল দু-তালুর প্লে জানি না
জানি না তবলা
জানি না নেচে উঠতে
বুল্লে হেন, আলিফ-অটল থেকে যেতে-
জানি না, যেমন সানাই স-মস্ত্
কিন্তু, বেদনা
কিন্তু, অন্তঃহীন যন্ত্রণা,
আমার বংশী? নাহ্ বিন্দুতে কম না, বিসর্গেও...
পারি না সুফির সাধনা
কিন্তু, কামনা
বিলিয়ে দিতে তোমাতে, সমস্ত
এস, এস খুলে ওই অদ্রিৃঙ্গ, চলে যেতে
দাও, হামাগুড়ি দিতে
আমি চলে যাই
আলিঙ্গনে; এস সাগর-প্রান্তে, দ্বীপ ভেসেই থাক না
নিষ্কাম, তিন ভাগের জলে@মণি জুয়েল
নিশ্চয়ই ওই পথ প্রকৃতির জল পাচ্ছে?
এমন রাতদিন নেই, তোমার ওদিকে আমি চাই না
প্রতিদিনই যাই
তোমার জানালাই তাকাই
কিন্তু জানালা খোলা দেখতে পাই না
তবে, মনে হয়
রোজ তুমিও উঁকি দাও
.
কুক্ষিগত অন্তঃরাভাস স্লিভলেস আলিঙ্গনে
.
হয়তো তুমি দেখে নাও
তির জানালায়
কিন্তু খোলা জানালায় আর পাই না
হয়তো অন্দরে হরিৎলতায়-
বেশ সেজে গেছে
অপরাজিতা দুয়ার; তৃষ্ণায় ভিজে যায় ত্রিসীমানা
গুল্মেরা জেগে আছে প্রবেশের দুপাশে?@মণি জুয়েল
যদি উৎসের দুয়ার খুঁজে পাই, ভেবে
তোমার তো শীতলতা বা উষ্ণতায় ফারাক পড়ে না
এখন শীত পড়েছে
জানালা খোলা কি আছে?
লতাগুলো রেখেছো, জানালার দু পাশে?
যেতে পারি কি ইচ্ছে করলেই
জেগে থাকো-
এখনো কি রাত জেগে?
.
মাঝরাতে সদর দ্বার খুলে ভেতরে নেয়া আঃ
.
কতটা দুঃসাহস লাগে?
ভাবতে পারো!
কিন্তু ঘটেছে, তোমার ডাকেই
তারপর তোমার কাটা পেয়াজের ঝাঁঝে...
লম্বালম্বি ছুরি ভিজে গেছে
সুদীর্ঘ খিদে মিটেছে।
তুমি তো জানো, প্রতিকূল যাত্রা, আমার সমস্যা না
ইচ্ছে প্রস্তুত আছে উজান সাঁতরাতে@মণি জুয়েল
