Monday, 31 July 2017
Sunday, 30 July 2017
যদিও জানি তুমি ডাকো নি
- মণি জুয়েল(Moni Jewel)
আস্তে আস্তে সব তারাগুলো জেগে উঠলো,
ভেজা বাঁশপাতা দিয়ে ঝরে পড়ছে
থেমে থেমে আপন ছন্দে
টিপ টিপ টিপ টিপ...
জ্বলে উঠেছে Low ভোল্টেজে Light.
ক্লাবের বিলাসী মহিলাদের গান
সান্ধ্য পথের বাইকের হর্ণ
শুনতেছি...
শুনতেছি-
আর হাঁটতেছি, আনমনে।
কেউ-ই ডাকে নি পেছন থেকে,
অথচ মনে হলো কে ডাক দিলে যেন!
ওই...ওই. ওই... যে"
ভালবেসে আলতো হেসে
ঝরে পড়ছে ভালোবাসা চোখে মুখে
যেমন, ঘনকজ্জল মুছে চন্দ্রিমা হেসে দিলে।
***30.07.2017-ধুলিয়ান-07:45সন্ধ্যে***
Saturday, 29 July 2017
অমীমাংসিত
- মণি জুয়েল(Moni Jewel)
একলা আকাশের নিচে দাড়িয়ে আছি আমি।
ভেসে ভেসে যাচ্ছে জমাট মেঘগুলো,
আমার মনেরই সাথে সাথে।
পাহাড়ের পাদদেশে জমে থাকা জলের
শতদল,
আবছা হয়ে যাওয়া প্রান্তর,
দেখতে দেখতে হারিয়েই যাচ্ছি...
ক্রম অনুক্রমে
মিশে যাচ্ছি নীলে,মিশে যাচ্ছি সবুজে
অনন্তে হারিয়ে, শূন্যের সীমাহীন সীমানায়!২
ভেসে যাওয়া পাখিদের ঢেউ খেলানো-
ঠিকানায় ফেরা,
মেঘের আড়ালে একমুঠো রোদ,
ফেলে আসা ফ্যাকাসে পথ
দেখতেছি...
হাসতে হাসতে গড়িয়ে চলেছে পৃথিবীও
প্রেমে আমারই সাথে সাথে,
ভেসে যাচ্ছি যেমন আমিও শূন্যতায়।
অথচ সে'ই তখন থেকে দাঁড়িয়ে আছি আমি!
***29.07.2017-ধুলিয়ান-03:50বিকেল***
Friday, 28 July 2017
Thursday, 27 July 2017
দৃশ্যের আড়ালে
- মণি জুয়েল(Moni Jewel)
তোমায় আমি সবসময়ই নগ্ন দেখতে চাই।
দুলতে থাকুক সবুজ পাতাগুলো,
রঙ-বাহারি পাতাগুলো।
নদী-নর্তকী।
স্তনের ফাঁকে জেগে উঠুক সকালের সুর্য্য
পিনাগ্র কোমসবৃন্তে খেলে যাক রঙ
তোমাকে আমি নগ্ন দেখতে চাই
বয়তে থাকুক স্রোতস্বিনী...
কেশঘন ভেসে যাক দুর দুর শূন্যে...
তোমায় নগ্ন দেখতে চাই।
ঝরে পড়ুক জমে থাকা কজ্জল
ঝুলোরা ধুয়ে যাক পর্ণের গা' থেকে
দেখতে চাই ভিজে ভেজা সবুজ কসমস!
যত আবরণ
খুলে যাক না সবই, সব।
হাসতে থাকে রাতের তারা যেমন,
হে পৃথিবী, ওহ্ মণি, খুলে দাও না মুখোশ।
***27.07.2017-ধুলিয়ান-05:07PM***
Wednesday, 26 July 2017
সৃষ্টিরা তোমার মতো
- মণি জুয়েল(Moni Jewel)
তুমি কেমন এ কথাটি আর জিজ্ঞেস কোরো না
কেন ভালোবাসি তোমায়, তাও আর না
অনেকবার তো বলা হয়ে গেছে
কেন ভালবাসি, জানি না!
খুশি করতে বলেছি- তোমার ঠোঁটকে গোলাপ,
ভাসা ভাসা ও' চোখদুটিকে বলেছি নীলপদ্ম,
কত কল্পনা কত উপমা না টেনে এনেছি!
কিন্তু
খুশি তুমি হলেও, আমি তো হই নি,
তোমার সুখে হেসে দিলেও আসলে হাসি নি
কেন না
ভেজা সবুজ-পেপের মতো নয় তোমার স্তন,
নীমপাতার বাতাসের মতো নিঃশ্বাস
নয়ই
শুধু তোমাকে হাসাতে'ই উপমা টেনেছি
স্বর্গ বলেছি উত্থাল তরঙ্গময় অন্তহীন প্রান্ত,
কিন্তু আসলে তুমি নও, সৃষ্টিরাই তোমার মতো!
তুমি কি জানো, নিরুপমা-
সৃষ্টি তোমার থেকেই সৃষ্টিরা সব?
জীবনের জন্ম তোমারই প্রেমেরই পুষ্প!
তুমি কেমন এ কথাটি আর জিজ্ঞেস কোরো না।
****25.07.2017-Dhuliyan-02:20PM****
হারিয়ে যেতে মন করছে
- মণি জুয়েল(Moni Jewel)
হারিয়ে যেতে মন করছে আমার খুব, খুবই
মিশে যেতে মন করছে বাতাসে,
আকাশের নীল রঙে
যেমন
পাখিদুটি উড়তে উড়তে মিলিয়ে গেলো
ডিঙি-নৌকাটি ভাসতে ভাসতে
হয়তো কিনারা পেয়ে গেছে
এতক্ষণ!
আমার তেমনই ইচ্ছে হচ্ছে
সুরেলা হাঁকে ভেসে চলে যেতে।
আওয়াজ যেমন শূন্যেই মিশে যায় শেষে
যেমন,
শ্রাবণের গুম গর্জন।
তেমনি মিশে যেতে মন করছে
হারিয়ে যেতে মন করছে আমার খুব, খুবই
***26.07.2017-Dhuliyan-01:57PM***
Tuesday, 25 July 2017
Monday, 24 July 2017
তোমায় দেখতে দেখতে
- মণি জুয়েল(Moni Jewel)
আজ খুবই, খুব শান্ত হয়ে যেতেই ইচ্ছে করছে
হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করছে
শিথিল হয়ে যেতে মন করছে আমার
বৃষ্টির শীতলতা মেখে থাকা পুর্বের বাতাসে
তোমার শান্ত মুখটা দেখে
কপালের দুই'পাশে গড়ে থাকা চুলগুলো
উড়ে উড়ে যেতে দেখে
প্রেম আবেশে আবেশিত তোমায় দেখে,
তোমার হাসিতে....
তোমার হাসিতে হারাতে মন করছে।
এখনও মোছেনি ভেজা ভেজা গন্ধ।
তোমার শরীরে,
পাপড়ির মতো অধরওষ্ঠে মেখে আছে
এখনও শীতল উষ্ণতা,
সদ্য সেরে নেয়া স্নান সিক্ত শান্ত নিঃশ্বাস,
ও কোমল মৃদু প্রশান্তিতে-
হারিয়ে, নিজেকে হারিয়ে যেতে মন করছে!
আলগা করে দিতে মন করছে আমার
এ মনকেই, ভেসে যাক শূন্যে
ভেসে যেতে মন করছে তোমার সলজ হাসিতে!
*****25.07.2017-ধুলিয়ান-12:44PM****
হোক অঙ্কুরোদ্গম
- মণি জুয়েল(Moni Jewel)
শ্রাবণের যত জল, যত বৃষ্টির ফোঁটা
সবই ঢেলে দেবো, মেটাবো মনের পিপাসা
তুমি সবুজ পাতা হও আমি আকাশ হয়ে যাই...
জানালা টা খোলো পর্দাও তোলো, বাতাসে-
উড়ে ভেজাবো আমি।
শীতল ফোঁটাতে আমিই ভালোবেসে
আনবো মনে প্রেম, কামীনি!
এসো, ভেসে যাই, আজ প্রেমের বর্ষায়।
তুমি সবুজ পাতা হও, আমি আকাশ হয়ে যাই।
নিভেই যাক আলো, রাতের মতোই কালো,
বুকেতে টেনে নাও তুমি।
গড়ানো জলের মতোই, ভেসে আমিও
যাবো, তোমারই জীবন জমিন!
এসো, ঝরে যাই, নতুন ফসল ফলাই।
তুমি সবুজ পাতা হও, আমি আকাশ হয়ে যাই।
*****24.07.2017-ধুলিয়ান-02:48PM*****
Sunday, 23 July 2017
যেমন ভেসে ছিলো বাতাসে
- মণি জুয়েল(Moni Jewel)
ডগা বেয়ে ঝরে পড়ছে জমে থাকা-
বিন্দুগুলো
পৌঁছে যাচ্ছে ধরণীর অভ্যন্তরে।
শুষে নিচ্ছে তৃষ্ণার্ত যোনি সব
শুষে নিক সব, সব সব সবই
আমি তো জানি,এ মরুভূমি না
আসলে মরুভূমি বলে কিছু নেই।
প্রাণগুলো-
সবসময় তবুও শুণ্যেই ভেসে থাকে।
**23.07.17-ধুলিয়ান-06:06PM**
পিছু ফিরে
- মণি জুয়েল(Moni Jewel)
এগিয়ে যেতে যেতে এতোটাই এগিয়ে যাবো
ভাবতেই পারি নি!
চাই-ই নি এতোটা এগিয়ে যেতে।
বেশ তো ছিলো সাতভাইয়ার আনাগোনা
ময়নার ডাক, দোয়েলের শীষ
আরও কত নাম না জানা পাখিগুলো।
/
জৈষ্ঠর দুপুরে ঘুুঘুর ডাকে ভেসে যাওয়া নেই
সম্মোহিত মনের,
দেখছি না সেই বালকদের টুনটুনি ধরতে,
তপ্ত দুপুরে-
দুলছে খোকসা পাতাগুলো সেলাইহীন।
এগিয়ে গেছে অনেকটা, এগিয়ে যেতে যেতে।
এই পথ দিয়েই হেঁটে যেতো লাঠি হাতে
পন্থ ভিখারি।
আজ সবাই কোথায় যেন ওরা হারিয়েছে,
সময়ের পরিবর্তে।
খোকা বলে পৌত্রস্নেহ করে দেয়ার আর নেই!
/
বৈভবীশৈশব বন্দি সব কিন্ডারগার্টেনে
রোব্বারি দুপুরে মিট্মিটি চোখে-
বেশ তো শুয়ে থাকতো সেই দিন দস্যিটি!
ঝাপসা হয়ে আসছে আমার দৃষ্টি,
ভাবতেই পারি নি-
এগিয়ে যেতে যেতে এতোটাই এগিয়ে যাবো!
***23.07.2017-ধুলিয়ান-01:00দুপুর***
Saturday, 22 July 2017
চলো যাই সীমানায়
- মণি জুয়েল(Moni Jewel)
এসো আজ একদমই কিছু করবো না, কিছুই না
আদুরে আদরে টেনে নেবো না বুকে
আঁকবো না কপালে চুম্বন
ভিজবো না তোমার পাপড়ির মতো ঠোঁটে,
ভোজাবোও না!
চলে যাবে না বেখেয়ালি হাত সীমাহীন প্রান্তে!
এসো, ভেসে যাই হারিয়ে যেতে
ভেজা পেপে পাতাগুলো বাতাসে দুলুক
অথবা
ভেসে যাক বাতাসে ঝরে পড়া নীমপাতাগুলো
হতে দাও সব, হয়ে যাক নিয়ম মেনে।
আমাকে হারাতে দাও।
আমাকে হারাতে দাও-
তোমার চোখের ও' সম্মোহনী চাকায়।
অপলকে পলকে হারিয়েই যেতে দাও আমায়,
অথবা
ভুলে যেতে দাও পৃথ্বী হারিয়ে দিয়ে হোঁশ
আমি পেতে চাই, হারিয়ে, নিজে!
জ্বালিয়ে দাও না আগুনে সব, আমার শরীর!
হোক রৌরব।
যেমন চিমনি বেয়ে উড়ে যায় শূন্যে বাষ্প,
উবে যেতেই দাও তেমনই!
দেখবো নিজেকে বসে থেকে থেকে
আজ আমি করবো না কিছুই, একদম কিছুই না।
****22.07.2017-Dhuliyan-06:15PM****
Friday, 21 July 2017
চাইলেই পাওয়া যায়
- মণি জুয়েল(Moni Jewel)
উড়তেই থাকুক জমে থাকা চাহিদাগুলো।
উবেই যাক না, কেটলির মুখ দিয়ে,
মেলা ভেজা বিছানা দিয়ে
তবুও চাই
আমি তো জানি, কালই বৃষ্টি হবে
এও জানি, ফুল ফুটবে
ঘনমেঘে টিপ টিপ ঝরঝর ঝরে গেলে...
ওহ্ মণি, তুমি জানো কি ঝরা বৃষ্টিদের?
আসলে ওরা তোমারই
জমে থাকা ভাব অন্তঃঅবঃশূন্যে!
তুমি চাও
তুমিও ভাসো, উবেই যাও
ভালবেসে অসীম শূন্যে,হেসে হেসে
ঝরে পড়ো বৃষ্টি হয়ে, বুকে নেবেই পৃথিবী।
***21.07.2017-ধুলিয়ান-03:00PM***
Thursday, 20 July 2017
সম্মোহনী তরঙ্গে সম্মোহিত আমি
- মণি জুয়েল(Moni Jewel)
ঝরে যাওয়া বৃষ্টির টিপ টিপ এখনও থামে নি
টিপ টিপ টিপ টিপ...
মন দিয়ে শুনছি আর ভাবছি তোমাকে
ঘড়ির কাটাও মিলিয়েছে তাল,
সম্মোহনী শব্দের তরঙ্গে!
শুনশান বাড়ির একলা ঘরে আমি,
দুরে ভেসে আসা ঘরামির বাঁশ কাটা শব্দে
হারিয়ে যাচ্ছি ক্রমশই, হারিয়ে যাচ্ছি, হারিয়ে...
প্রায় মুদে যাওয়া ঘোরপ্রায় দু' চোখের পর্দায়
গুমগুম হৃদ-স্পন্দনে, তুমি জেগে আছো
সুরে ভেসে আসে দুপুরের আজান...
বীর্যের সমুদ্র্ত্থাল বিহার
আর, নিঃশব্দতার শব্দে ভেসে-
আচ্ছন্ন আমি, বিভোর তোমাকে দেখছি
উম্ হুমম...হিস হিস
স্রবন শীৎকার, ঝরে যাওয়া এখনও থামে নি
****20.07.2017-ধুলিয়ান-12:40দুপুর****
Wednesday, 19 July 2017
শূন্যতার রঙ নীল
- মণি জুয়েল(Moni Jewel)
চোখ খুলে সুনীল সমুদ্র দেখা হয়
সবুজ পর্ণ, তৃণদল দেখা হয়
তোমাকে দেখা হয়
কিন্তু দু'চোখ খুলে আমাকে!
কিছুই দেখা যায় না তেমন
অথচ...
চোখ বন্ধ করলেই
পৃথিবীর আমাকে দেখতে পাই।
পৃথিবীর আমাকে দেখতে পাই-
ভেসে যেতে শূন্যতাই!
কিছুই নেই,বাতাসের মতন
ভাসতে থাকা এক নি-দর্শন!
শরীর পড়েই থাকে
এ মন ভরে দেখতে থাকি মন
খুঁজে পাই আয়না সুনীল শূন্যতায়!
***19.7.17-ধুলিয়ান-10:20রাত***
যে কে সেই
- মণি জুয়েল(Moni Jewel)
শ্রাবণের আকাশে পেঁজা-মেঘ দেখলেই,
মাতাল বাতাসের সিরসিরানি
গায়ে ঠেকলেই
মনে পড়ে শরৎের কথা,
মাঠের পর মাঠ, কাশ মাড়ানোর কথা।
ভেজা বাঁশপাতার দোল
চোখে পড়লেই
ঝরে পড়া হলদে পাতাগুলো
দেখলেই, মনে পড়ে, সেই চলার কথা!
// // //
প্রতি শরৎেই আমিও ফিরে আসি সেই
ঠিক যেমনটি বিগত মরশুমে
ফের ভুলে যাই
বর্ষার কান্না, জৈষ্ঠ ক্ষত-
ভুলে যাই, সঙ্গীহীন হারিয়ে দিয়ে খেই!
তুমি ফের আসো ফিরে
রূপের হেরফেরে
একটা হৃদয় সেই আমাতেই!
বদলায় ঋতু, তুমিও, আমি যে কে সেই!
**19.07.2017-ধুলিয়ান-03:00PM**
Tuesday, 18 July 2017
তোমার গন্ধ
- মণি জুয়েল(Moni Jewel)
মাঝে মাঝে মনেহয় একটা প্রেমের কবিতা সাজাই,
মাঝে মাঝে তা-ই তোমায় সুরে গেয়ে শোনাই
কিন্তু তোমায় যে সাজাবো
এমন উপমা আমি কোথায় খুঁজে পাই!
চাঁদ তো বলতেই পারি তোমায়,
কিন্তু তোমার গন্ধ?
বলতেই পারি, তুমি হাসলেই প্রেম পদ্ম
বলতেই পারি, তুমি সুনীলতরঙ্গ
নীলপদ্ম ত' বলতেই পারি কিন্তু তোমারগন্ধ?
বলতেই পারি, তুমি গায়লে ছন্দ
বলতেই পারি,তুমি বললেই প্রেম পদ্য
কাব্য বলতেই পারি
তোমায়, কিন্তু তোমার সে' গন্ধ?
বল না কোথায় তোমার গন্ধ খুঁজে পাই?
কি দিয়ে সাজাই তোমায়,
কোন সুরে বলো রাই, আমি তোমার গান গাই
তোমার কাব্যময়তায় উপমারাই উপমিত হয়ে যায়!
****18.07.2017-ধুলিয়ান-05:35পি.এম****
Monday, 17 July 2017
স্মৃতির প্রেমসন্ধ্যে
- মণি জুয়েল(Moni Jewel)
সন্ধ্যেবেলায় মন চাইলেও আর দেখতে পাই নে
কিশোরী-যুবতিদের চুলবাঁধার তোড়জোর
যুবকগুলোও সাইকেলে টোঁ মারে না
কিন্তু
কিশোর আমি কত না ভেবেছি
যুবক হলে...
//
দাঁড়ি চাঁছার স্বপ্নে বিভোর
কতদিন না লুকিয়ে আয়না দেখেছি!
চাইলেই হাজির হয়ে যায় ভালবাসা
আজ হৃদয়পুরে হৃদয়ভরে
//
কিন্তু তবুও
কৈশরের সে যুবতিগুলোর কথা
আজো
মননে, মনের কোনে, নিরবে, গোপনে
চেপে বসে আছে, ঠিক যেমন সেজেছিলো
চেপে বসে থাকা লিপস্টিকে, সান্ধ্যগায়ের গন্ধে!
****17.07.2017-Dhuliyan-06:20PM****
কত যে ভালোবাসি
- মণি জুয়েল(Moni Jewel)
কত যে ভালোবাসি কি করে বোঝাই!
যদি দেখে নিতে, আমার এ' হৃদয়
কতটা ভালোবাসি আমি তোমায়।
সকালের আলোর মতো জীবনে চাই
জোছনা চাঁদের মতোই
নেশালু নিশায়।
হৃদয়ে মিশিয়ে হৃদয় একটু বুঝে নাও,
কতটা ভালোবাসি আমি তোমায়।
সাগর পাড়ে যেমন ঢেউ আছাড় খায়
তোমাকে ভেবেও তেমন
আমার এ হৃদয়।
মনে মিলিয়ে এ মন পলকে দেখে নাও
কত যে ভালবাসি আমি তোমায়।
***17.07.2017-Dhuliyan-05PM***
ভাবতে ভাবতে
- মণি জুয়েল(Moni Jewel)
অনেকক্ষণ ধরে ভাবছি একটা কবিতা লিখবো
অনেক কিছু টাইপ করেই ডিলিট করছি
ভাবছি নারী নিয়ে লিখবো না কি...
না কি দেশ ফেস নিয়ে!
ধুস বালের, দেশ ফেস গাঁড় মারাক গে
আর-
কবিতাই লিখতে হবে এমন কথা কে বলেছে
বা লেখাগুলোর নাম 'কবিতা' হতেই হবে?
কোনকালে পুঁথি ঘেঁটে কে বলে গেছে-
এই হলো কাব্য, কবিতা!
তারপর থেকে ভনভনে মাছির মতোই
তর্ক বিতর্ক,পক্ষ বিপক্ষ লেগেই আছে!
এতো তার্কিকদের কেউ' যে একজনও
নতুন কিছু বলে তা আজও দেখিনি!
সে-ই সেই কাব্য, কবিতা!
এরা যে নতুন কিছু করবে তা ভাবিনা।
এরা দেশের গড়পরতা আমজনতার মতো
পুরোনো কে আঁকড়ে ধরে নতুন কেচ্ছা গাঁথে!
আর-
যেমন ওরা সেই পুরাণ গল্প ফেঁদে চলেছে
ধেয়ে মৃত্যুর দিকে প্রতিদিন।
ভাবছি তাই নিয়ে লিখবো না কি...
না কি চর্বিত চর্বণ টাইপ করে ঝেড়ে দিই?
অনেকক্ষণ ধরেই ভাবছি, একটা কিছু লিখবো।
একটি অশ্লীল কবিতা
- মণি জুয়েল(Moni Jewel)
অনেকক্ষণ ধরে'ই ভাবছি একটা কবিতা লিখবো
অনেক কিছু টাইপ করেই ডিলিট করছি
ভাবছি নারী নিয়ে লিখবো না কি...
না কি দেশ ফেস নিয়ে!
ধুস বালের, দেশ ফেস গাঁড় মারাক গে
আর-
কবিতাই লিখতে হবে এমন কথা কে বলেছে!
তারচেয়ে বরং এখন আমি রেডি হয়ে নিই,
ঝোপের আডা়লে খড়গোশগুলো
ভিজে গেছে ওদের চোখ!
শুষতে হবে চোখের জল
আমায় এখনি তৃষ্ণাখনি হতে হবে।
বন্যহরিনগুলো সাধারণত লুকিয়েই থাকে!
আমাকে টাই, শুট অথবা সাদা ধুতি পাঞ্জাবি
আর
নারীবগলের গন্ধ মাখতে হবে এমন না
কিম্বা বালের ডগার জল!
আমায় তৃষ্ণার কলসি হতে হবে,
শুনতে পাচ্ছো তো শব্দ, নোনতা নোনতা?
জেনো, বোকাচোদারা অনেককিছু শুনতে পায় না
Sunday, 16 July 2017
Saturday, 15 July 2017
Friday, 14 July 2017
তোমার হাসির হিল্লোলে
- মণি জুয়েল(Moni Jewel)
ভোরের দুয়ার খুলে এনে দিলে হিল্লোল দিন
উষসী ঊষায় তোমাকেই চাই, নয়লে বর্ণহীন
তোমার হাসিতেই
সকাল পেলো আঁধার যাপন
সাঁঝের বেলাতেও যেন থেকো, যেমন এখন।
হেসেছে চোখের কোণে মাঠ ভেজানো শিশির।
সবুজ এ নৌকাখানি আজ পেয়ে গেলো তীর।
ভোরের লাল আর রাতের জোছনার
হাসিতে তোমাকে চাই।
তোমার হাসিতেই
সকাল পেলো আমার যাপন
গোধুলি বেলাতেও যেন থেকো, এখন যেমন।
ভোরের দুয়ার খুলে এনে দিলে রোদেলা দিন
সাঝের বেলা তোমাকে চাই, নয়লে দীপ্তিহীন।
ঝরেছে তোমাকে নিয়ে হাজার স্বপন আমার,
কতই না কল্পনায় ভেসে গেছি রাতের তারায়।
সব সেই স্বপ্নগুলো আজ পূর্ণ হলো
আরও সাজাতে চাই!
তোমার আসাতেই
সকাল পেলো তমসা যাপন
চাঁদের আলোতেও মিশে থেকো, চাঁদ-চারণ!
ভোরের দুয়ার খুলে এনে দিলো হিল্লোল দিন
নিশি নিসঙ্গতায় তোমায় চাই নয়লে নিদ্রাহীন।
****11.07.2017-ধুলিয়ান-11:50রাত****
একটি চলচ্চিত্র
- মণি জুয়েল(Moni Jewel)
মানবতার" মিছিলের সারে সারে চ্যাঁচানো
মুষ্টিবদ্ধ শরীরগুলোর
গলার ফুলে ওঠা শিরাগুলো
দেখে মনে হতেই পারে ওরা হয়তো মানুষ
মনে হলেই সব হয়ে যায় এমন তো না!
অথবা
দেখলে'ই যে সব দেখা যায় তাও না।
যেমন বুদ্বুদ আছে আবার নেই ও!
তবু
ওমন বুদ্বুদে রামধনু মানায় ভালো
এঁকে দিয়ে যায় স্বপ্ন মন প্রাণ মননে।
যদিও
মনে হলেই সব হয়ে যায় এমন তো না!
দেখে মনে হতেই পারে ওরা হয়তো মানুষ
রক্তবিন্দু কতজনই বা জানে!
মুষ্টিবদ্ধ শরীরগুলোর
প্রতিটি বিন্দুর বিন্দুতে আজন্ম বিষান্ধতা।
***14.07.17-Dhuliyan-02:40PM***
Thursday, 13 July 2017
কবিতার দুর্বোধ্যতা বিষয়ক
- মণি জুয়েল(Moni Jewel)
বছর খানেক আগে এক মহিলা কবি আমার কবিতার মতো এক লেখা তাঁকে দুর্বোধ্য মনে হলে তিনি বলেছিলেন- দুর্বোধ্য কবিতা লিখে কি লাভ, যে কবিতা কেউ বুঝবে না এমন কবিতা আমি লিখবো না, লিখতে পছন্দ করি না, পড়েও তৃষ্ণা মেটে না। সেদিন কোনো উত্তর দিই নি । কারণ দুর্বোধ্য বলেছিলেন কেন, তা বুঝি নি। কেন না আমার লেখা আমাকেই দুর্বোধ্য লাগবে এমন নয়। নিজের লেখা কাউকেই মনেহয় দুর্বোধ্য মনে হবে না। পরবর্তীতে আমাকেও অনেকের অনেক কবিতা দুর্বোধ্য মনে হয়েছে। কিন্তু সময়ের সাথে আমি সমৃদ্ধ হলে তবে সমৃদ্ধি আমার চোখে আমার মনে ধরা পড়ে এবং গ্রহন করি। কিছুদিন হলো কারো এক দুর্বোধ্য কবিতা বিষয়ক পোস্টে আমি মন্তব্য করেছিলাম- দুর্বোধ্য বলে আসলে কিছু হয় না, যতটা আমি সমৃদ্ধ ঠিক ততখানি ধরা পড়ে আমার কাছে সমৃদ্ধি।
অনেকেই বলেন- সহজ সরলে লিখলেই কবিতা পাঠক প্রিয়তা পায়। উদাহরণ হিসেবে বলেন রবি ঠাকুর, কাজী কবির নাম এবং কয়েকটা কবিতার লাইন। এমন কিছু কথা শুনে মনে হতে পারে না কি যে, তারা যেন রবি ঠাকুর, কাজী কবিকে খুব ভালো করে ধারণ করেছেন? রবি ঠাকুরের বা কাজী কবির অনুভূতির সাথে তাঁদের অনুভূতি মিলে মিশে একাকার? মনে হওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু আসলে কি তাঁরা সে উচ্চতায় উত্তীর্ণ?
তাছাড়া তাঁদের সৃষ্টি যদি সত্যিই সহজেই বোঝা যায় তাহলে সেগুলো নিয়ে গবেষণা করার কি দরকার? ইউনিভার্সিটিগুলো অযথা তা চালু রেখেছেন কেন? শিক্ষিত সমাজ তাঁদের নিয়ে গবেষণা করতে সময় মস্তিষ্ক অর্থ ব্যয় করেন কেন? ছাপিয়ে বাজারে ছেড়ে দিলেই তো হবে। যিনি পড়বেন তিনি অনুভব করে নেবেন এবং সমাজ সমৃদ্ধ হয়েই যাবে। সহজের আড়ালে যে কত কঠিন কি লুকিয়ে তার খবর কজনই বা রাখি!
কয়দিন আগেই পোস্ট করেছিলাম- শুধু মাত্র মনের বিনোদনই কবিতা নয়, কবিতা হলো মনের ভেতরের মনের চুপকথা। যে চুপকথা ভাষায় ধরা পড়ে না। শুধু অনুভবেই তা ধারণ সম্ভব, তাছাড়া কোনো পন্থা নেই আর। কিছু কিছু অনুভূতি অনুভব করতে নিজেকে আগে পাত্র তৈরি হতে হয় ধারণ করার মতো। নয়লে বরফের কাঠিন্য শূন্য হয়ে শূন্যে উবে যায় তখনকার মতো। পরে ধারণের উপযুক্ত সময়, আবহাওয়া, অবস্থা, অবস্থান হলে তখন ফের ঝরে পড়ে বৃষ্টি হয়ে, ফসল ফলে।
কয়দিন আগে বাংলাদেশের এক কবিতা সাধক, (মাস্টারমশাইও সম্ভবত) তিনি কবিতা বিষয়েই কি যেন পোস্ট করেছিলেন। আমি পড়ে সব বুঝে নিলাম, তারপরেও একটি বাক্যের জন্য সব জটিল মনে হলো। বাক্যাংশটি ছিলো "বকতিয়ারের ঘোড়া"। মতামতে জানালাম বুঝতে না পারার কারণ, দুর্বোধ্যতার কারণ। পরে উনি জানালেন "মাহমুদ কবি"র কবিতার কথা। পরে কবিতাটি পড়লাম এবং তারপরে সেই পোস্টটি আবার পড়লাম। আর দুর্বোধ্য মনে হলো না। অনেকদিন আগে ফেসবুকে এক মহিলা কবির কবিতা পড়ে "অবনী বাড়ি ফেরেনি" এমন এক বাকাংশ্য পেয়েছিলাম। গোটা কবিতাতে বাড়ি ফেরা বিষয়ক কিছু পাই নি। ফলে দুর্বোধ্য মনে হলো। পরে যখন অবনী বিষয়ে জানলাম সেই ফেসবুকের মহিলা কবির কবিতাটি যেন সহজেই চোখে ভেসে উঠলো, তখন না পড়েও যেন সেদিনের পড়া কবিতাটি অনুভব করলাম। অথবা অনেক লেখা পড়তে সহজ মনে হলো বেশ উপভোগ করা গেলো। কিন্তু কিছু দিন বছর পরে সেই একই লেখা পড়তে গিয়ে নতুন কিছু আবিষ্কার হলো। এমন উদাহরণ দেওয়ার বা গল্প শোনানোর মানে হলো এই যে, আসলে দুর্বোধ্য বলে কিছুই নেই, যা কিছু আমাদেরই সীমাবদ্ধতা। সাথে যা সহজ মনে করা হলো তা আদৌ সহজ কি না ভাবা দরকার।
আর কবির সব ভাব যদি আমাদের সাধারণের কাছে ধরা পড়েই যাবে তবে কবি আর বিশেষ কি ভাবলেন? একজন সাধারণ পাঠকে আর একজন কবিতে পার্থক্য কি তবে? শুধু কি ছন্দে, অন্ত্যমিলে, শব্দে রঙ মাখিয়ে সাজালেই হবে? হ্যাঁ রঙ মাখানো বা ছন্দে, অন্ত্যমিলে কথা সাজানোটা একটা কৃতিত্ব। তা স্বীকার করতেই হবে। কিন্তু কবির কাজ কি শুধু তাই? কাজী কবিই মনেহয় বলে গেছেন প্রায় এমন- ভাষাহীন কে ভাষা দেওয়া, অব্যক্তকে ব্যক্ত করা কবির কাজ। তাহলে অব্যক্ত বা ভাষাহীনতার ধারণা তো আমাদের রাখতেই হবে। শুধু সমাজের কথা, সমাজের মনের কথা, সমাজের হৃদয়ের কথা, সমাজের অন্ত কথা বলে কৃত্রিম আলোড়ন শুরু করলেই তো হয় না। সেগুলো জানতে হবে তো না কি?
আমরা জানি পৃথিবীর অনেক ভাবই আজও অজানা, আর অজানা মানে তার প্রকাশ নেই, ভাষা নেই। কিন্তু সেগুলোও সমাজেরই। সমাজের বাইরের নয়। সেই অব্যক্তকে ব্যক্ত করেতে হবে। সাধণা করে হাসিল করতে হবে। কিন্তু ব্যক্ত করতে গিয়ে যত সমস্যা! জটিল মনে হবে, দুর্বোধ্য মনে হবে। কারণ নতুনভাবে কিছু দেখে বা অনুভব করে তাকে নতুন ধরণে বললে সাধারণের কাছে তা সাধারণত দুর্বোধ্যই হয়। তাই তো কবিতা শুধু পড়ার বা উপভোগ করার বিষয় নয়। বিশেষত কবিতা হলো অনুভব করার বস্তু। চাদের নিজের আলো আছেই চলতো, যদি না কেউ গবেষণা করে বলতেন চাঁদের আলো নিজের নয়, সুর্যের ধার করা। কারণ সাধারণত আমরা চাঁদকে জ্বলতে দেখি। হয়তো কোনো কালে এ নিয়ে তর্ক হয়েও ছিলো। এখন আমার বুঝে গেছি বলে তা আর দুর্বোধ্য নয়। কিছুদিন আগেও বাংলাদেশ থেকে প্রকাশ পেয়েছিলো সুর্য ও পৃথিবীর ঘোরা-স্থীর থাকা নিয়ে কিছু বই। তাতে বিজ্ঞানের অনেক বিষয়কে খন্ডন করা হয়েছিলো ঘূর্ণন বিষয় নিয়ে। কিন্তু আসল সত্য তো হলো সবাই ঘুরছে চলছে স্থীর আসলে কিছুই নয়। এমনকি আপনি পাঠক/পাঠিকা এখন বসে /শুয়ে এ লেখা পড়ছেন বটেই তবুও আপনি থেমে আছেন এমন নয়। থেমে কিছুই থাকে না। এই যে আজকের এ সত্যগুলো আজ আমার অনেকে যারা অনুভব করেছি/ ধারণ করেছি তাদের কাছে সহজ হলেও, যারা এ অনুভব করেন নি বা গবেষণা করে জানেন নি তাদের কাছে তো দুর্বোধ্য/জটিল/ফাউ/বাকোয়াস মনে হতেই পারে। তাই বলে ফাঁকা/দুর্বোধ্য/ভুলভাল তো নয়। তেমনি কোনো কবিতাই জটিল নয়। আমরা হয়তো সব বিষয় সবসময় সব ধরণে বুঝতে পারি না। এটা আমাদের দুর্বলতা, কবির নয়। কবির কাজ কবি করে যাবেন বা আবিষ্কারকের কাজ আবিষ্কারক করে যাবেন। আমাদেরকে সেগুলো আবেগ, বোধ, বুদ্ধি চিন্তা, মস্তিষ্ক কাজে লাগিয়ে খুঁজে দেখতে হবে ভেতরে কি।
আমার এতোগুলো কথার মানে এই না যে সবই দুর্বোধ্য হবে। সব তো আর দুর্বোধ্য হয় না। বিনোদনে বিনোদনের মতোই হতে হবে। আমাদের মাথায় রাখতে হবে স্থান-কাল-পাত্র। সৃষ্টিকুলের দরকারে সব, সুতারাং সৃষ্টির সব কিছুই খেয়ালে রাখতে হবে। দুইবিঘা জমি"র যেমন দরকার, তেমনি "কান্ডারি হুশিয়ার" ও। সাথে সাথে নাভীর নিচের বা সুডৌল বুক, ভারি নিতম্বের কথা যেমন ভাবতে হবে তেমনি "খাঁচার ভিতর অচিন পাখি"ও।
কোনো কবিতাই যেমন দুর্বোধ্য নয়, তেমনি অকারণে দুর্বোধ্য করে লেখাটাও কবিত্ব নয়। তার চেয়েও বড় কথা হলো সহজ বা কঠিন এ বিষয়টা ঠিক স্থীর না। কারো কাছে একটা বিষয় সহজ তো সেই বিষয়ই আবার কারো কাছে সহজ। সাধারণত নতুন বা নতুন ধরণের যা কিছুই সাধারণত একটু কঠিনই মনেহয়। যেমন আপনার এ্যান্ড্রোয়েডেক কিবোর্ড। তাই কঠিন সহজ এগুলো বিচার না করে আমরা যদি প্রকৃত পাঠক পাঠিকা হতে পারি তবে সবই সহজ-সম্ভব। আমাদের বেশী বেশী করে উচিত হবে নিজেকে সমৃদ্ধ করা।